ক্লাব ইনসাইড

'পেশাদারীত্বে গণমাধ্যম-কর্মীদের সর্বোচ্চ সতর্ক হতে হবে'- জাফর ওয়াজেদ

প্রকাশ: ০৪:০৩ পিএম, ১৭ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

প্রেস ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি) কর্তৃক আয়োজিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সদস্যদের জন্য আয়োজিত তিনদিনব্যাপী 'মোবাইল সাংবাদিকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ' এর সমাপনী অনুষ্ঠানে জাফর ওয়াজেদ বলেন, আমাদের মূল্যবান মেধাগুলো বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। মেধাবীরা জনগনের অর্থে পড়াশোনা করে দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। দেশের শিক্ষকদের এক্ষেত্রে সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে। দক্ষতা অর্জনে ইংরেজি শিক্ষা এবং পাশাপাশি প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনের উপর জোর দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সদস্যদের জন্য মোবাইল সাংবাদিকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী দিনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নুর হাছান নাঈম এর সঞ্চালনায় সভা প্রধানের বক্তব্যে পিআইবি-র মহাপরিচালক এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকদের কর্মক্ষেত্রে নৈতিকতা চর্চার উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের নৈতিক মানুষ হতে হবে। পেশাদারীত্ব বজায় রাখতে গণমাধ্যম-কর্মীদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ৪র্থ শিল্পবিপ্লব আমাদের দরজায় কড়া নাড়ছে। এজন্য আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে৷ যেন নিজেদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে না যায়৷ একটা মানুষও যেন কর্মহীন না থাকে।


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ নূরুল আলম বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম রক্ষার্থে সাংবাদিকদের কাজ করতে হবে।
প্রশাসনিক কর্মকান্ড পরিচালনায় আমরা কোথায় ভুল করছি সেটা সাংবাদিকদের মাধ্যমেই জানতে পারি। সাংবাদিকদের গঠনমূলক সমালোচনায় এগিয়ে আসতে হবে। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে ভূমিকা রাখতে হবে।'

প্রশিক্ষণ সম্পর্কে উপাচার্য বলেন - "মোবাইল ফোন ব্যবহার করে সংবাদকর্মীদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিসহ বহুমুখী প্লাটফর্মের জন্য সংবাদ তৈরিতে পারদর্শী করতেই এই আয়োজন। এ ক্যাম্পাসে কখন কি ঘটছে, আধাঘণ্টার মধ্যেই অনলাইন নিউজের মাধ্যমে সেই সংবাদটা আমরা জানতে পারছি। এতে আমরা যারা প্রশাসনে আছি তাদের জন্য সুবিধা হয়। কারণ এতে করে আমাদের কাজের ভালো-খারাপ দিকের ব্যাপারে জানতে পারি।

অনুষ্ঠানে জাবি প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমন মাহমুদ তার বক্তব্যে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সাংবাদিকদের জন্য প্রেস ইন্সটিটিউট বাংলাদেশের কোর্সগুলো খুবই আকর্ষণীয় ও চমকপ্রদ৷ সাংবাদিকতা চর্চায় মোবাইল জার্নালিজম সাংবাদিকদের আরো দক্ষ করে তুলবে। এ প্রশিক্ষণ প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।

এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পিআইবি-র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদের নিকট জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সদস্যদের জন্য 'অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা' বিষয়ে আরেকটি কর্মশালা আয়োজনের অনুরোধ করেন। এতে মুক্ত গণমাধ্যম চর্চার অগ্রপথিক জাফর ওয়াজেদ সম্মতি প্রদান করেন৷

এসময় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক শেখ মোঃ মনজুরুল হক, জাবি প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোঃ ছায়েদুর রহমান, পিআইবির সহকারী প্রশিক্ষক জিলহাজ উদ্দিন নিপুণসহ জাবি প্রেসক্লাবের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত মোবাইল সাংবাদিকতা বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সদস্যদের জন্য তিনদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ গত সোমবার শুরু হয়েছে। এতে বিভিন্ন গণমাধ্যমের ত্রিশ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করে।

সাংবাদিকতা  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

বহিষ্কার হওয়ার পর যা বললেন রাবির সেই চার ছাত্রলীগ নেতা

প্রকাশ: ০৬:২১ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ৪ ছাত্র নেতাকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ। তবে ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতা নেই দাবি একাধিক ছাত্রনেতার। এমনকি ঘটনা দ্বিপাক্ষিক হলেও একপাক্ষিকভাবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে দাবি বহিস্কৃত ছাত্রনেতাদের।  

 

বহিস্কৃত ছাত্রনেতারা বলছেন, ঘটনার সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতা নেই। হলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখার দাবি তাদের। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এমন সিদ্ধান্ত একপাক্ষিক হয়েছে বলে দাবি করেন তারা। ঘটনায় পত্রিকা বা গণমাধ্যমে নাম না উঠলেও বিনা কারণে বহিস্কৃত হয়েছেন।

 

বহিষ্কৃত ছাত্রনেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহিনুল সরকার ডন বলেন, ‘কি থেকে কি হয়েছে আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা চার জনের মধ্যে আমার নাম উল্লেখ থাকলেও প্রকৃতপক্ষে ঘটনার সাথে আমার কোনো ধরণের সংশ্লিষ্টতা নেই। ঘটনায় হলের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করলে আমাকে পাওয়া যাবে না। এমন সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ আমার বিরুদ্ধে গিয়েছে। ৭ দিন সময় দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। ঘটনার সাথে আমার সংশ্লিষ্টতা নেই এবং আমি নির্দোষ এ বিষয়টি ঢাকায় গিয়ে সরাসরি কথা বলবো।’ 

 

শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ বলেন, ‘ঘটনাগুলো দ্বিপাক্ষিক হলেও শুধু আমাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। ওই দলের বিরুদ্ধে (বাবু-গালিব) এখন পর্যন্ত সাংগঠনিকভাবে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখিনি। আমাদের কারণ নির্দেশনার জন্য সাত দিন সময় দেওয়া হয়েছে কিন্তু ঢাকা যাবো কিনা এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। আজ (১৫ মে) ছিনতাইয়ের অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে উঠেছে তা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও মিথ্যাচার। তা রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুজনের পূর্ব পরিকল্পিত। আমি আতিকের (হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি এবং হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা) রুমে যায়ই নি। তাহলে আমি তার রুমে ভাঙচুর কিভাবে করব অথবা টাকা কিভাবে হাতিয়ে নিবো? এগুলা আমার বিরুদ্ধে সাজানো একটা নাটক এবং পূর্বপরিকল্পিত।’ 

 

আরেক বহিস্কৃত ছাত্রনেতা ও শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু বলেন, ‘খুবই একটি বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছি। এ ঘটনায় পত্রিকা বা গণমাধ্যমে কোথাও আমার নামে অভিযোগ না আসলেও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিসের ভিত্তিতে বহিষ্কার করা হয়েছে এটা আমার জানা নেই। তবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যে সিদ্ধান্ত নিবে আমি তা মাথা পেতে নেব। আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতি করি। ক্যাম্পাসের কারও রাজনীতি করিনা। এছাড়া ঢাকায় গিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাথে কথা বলে বিষয়টা সমাধান করার চেষ্টা করবেন বলে জানান এই ছাত্রনেতা।’

 

বহিষ্কৃত নেতা শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাবিরুজ্জামান রুহুল বলেন, ‘ঘটনা যাই হোক আমাদের সর্বোচ্চ অভিভাবক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ থেকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে রাজি নই। ছাত্রলীগের কর্মী হিসাবে আমরা তাদের সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য। তবে আমি গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানতে পেরেছি পান্থ ভাই নাকি (কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক) বলেছেন আমরা নির্দোষ হলে অবশ্যই আমাদের বহিষ্কারাদেশ বাতিল করা হবে। তাই ঢাকায় গিয়ে আমরা লিখিতভাবে আমাদের অবস্থান ব্যক্ত করবো।’

 

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার তত্বাবধায়ক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-শিক্ষা ও পাঠ্যক্রম সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্রলীগের কোন নেতা-কর্মী নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে জড়ালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে। ইতোমধ্যে কয়েকজনকে বহিষ্কারও করা হয়েছে। আমরা শীঘ্রই সাংগঠনিক সফরে এসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করব।’ 

 

প্রসঙ্গত, এর আগে ১১ মে রাতে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে গেস্ট রুমে বসাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দু'পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ককটেল বিষ্ফোরণ ও অস্ত্রের ঝনঝনানিতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ক্যাম্পাস। সোহরাওয়ার্দী হল সহ আশেপাশের হলগুলোতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করে। ঘটনার এক দিন পর ১৩ মে রাতে পুনরায় একই স্থানে অস্ত্রের মহড়া দিতে দেখা যায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের। 

এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার (১৪ মে) সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদ রাবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহিনুল সরকার ডন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু এবং  সাংগঠনিক সম্পাদক কাব্বিরুজ্জামান রুহুল এই চার নেতা কে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করে। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে কেন পরবর্তী সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার লিখিত জবাব আগামী ৭ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। 


ছাত্রলীগ   রাবি বহিষ্কার  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

রাবি শাখা ছাত্রলীগের ৪ নেতা বহিষ্কার

প্রকাশ: ১২:৫০ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চার ছাত্রলীগ নেতাকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সাথে তাদের বিরুদ্ধে কেন পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার লিখিত জবাব আগামী সাত দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হলো।

 

মঙ্গলবার (১৪ মে) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই চার ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়। 

 

বহিষ্কার হওয়া ছাত্রলীগ নেতারা হলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহিনুল সরকার ডন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু, এবং শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাবিরুজ্জামান রুহুল।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে শাহিনুল সরকার ডন (সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা), নিয়াজ মোর্শেদ (যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা), আশিকুর রহমান অপু (যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা) ও কাবিরুজ্জামান রুহুল (সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা) কে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো এবং তাদের বিরুদ্ধে কেন পরবর্তী সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার লিখিত জবাব উল্লেখিত ব্যক্তিদের আগামী ৭ (সাত) দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হলো।


রাবি   ছাত্রলীগ   বহিষ্কার  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

পাবিপ্রবিতে নিউক্লিয়ার সায়েন্স বিষয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৫:৫৮ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাবনা বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েরোল অব দ্য নিউক্লিয়ার সায়েন্স ইন আনরেভেলিং দ্য মিসটেরি অব দ্য ইভ্যুলুশন অব দ্য ইউনিভার্সবিষয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

সোমবার (১৩ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যালারী- তে সকাল সাড়ে ১১টায় পদার্থ বিজ্ঞান রসায়ন বিভাগ সেমিনারটি আয়োজন করে।

 

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক . হাফিজা খাতুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক . কে এম সালাহ্ উদ্দীন এবং বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক . ফজলুল হক।

 

অধ্যাপক . মো. খায়রুল হকের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পাবিপ্রবির সহযোগি অধ্যাপক জেআইএনআর, রাশিয়ার পোস্ট ডক্টরিয়াল ফেলো . প্রীতম কুমার দাস। 


এ সময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।


নিউক্লিয়ার সায়েন্স   সেমিনার  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

সিকৃবিতে রুম দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৭

প্রকাশ: ১০:০৯ এএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail সিকৃবিতে রুম দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) রুম দখল নিয়ে ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৭ জন। রোববার (১২ মে) বিকাল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুস সামাদ আজাদ হলে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।

সিকৃবির আব্দুস সামাদ আজাদ হলের ৫০৭ নম্বর রুমকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে রুমটি ফাঁকা পড়ে থাকায় হল থেকে রুম বরাদ্দ পাওয়া কয়েকজন ছাত্রকে রুমে তুলে দেন সভাপতির অনুসারী রিয়াজুল ইসলাম রিয়াদ গ্রুপের নেতা-কর্মীর। এতে আপত্তি জানায় সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান হোসেন গ্রুপের নেতা-কর্মীরা। তারা রুমটি নিজেদের বলে দাবি করে। এনিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দু’পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পরে বিষয়টি সমাধানের জন্য ছাত্র পরামর্শ, প্রক্টর, প্রভোস্টরা ছাত্রলীগের সঙ্গে বসলে কথাকাটাকাটির জেরে দ্বিতীয় দফায় আবার সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে মাঠে অবস্থান করে ছাত্রলীগের এই দুই পক্ষ।

সিকৃবির চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. অসিম রঞ্জন রায় জানান, দুই দফা সংঘর্ষে ১৭ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুজনকে ওসমানী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছেন।

আব্দুস সামাদ আজাদ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মীর মোঃ ইকবাল হাসান বলেন, ক্যাম্পাসে একটি রুমকে নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে কয়েকজন ছাত্র আহত হয়েছেন। ওই রুমটা তালা মেরে রাখা হয়েছে। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা নিজেরা বসে বিষয়টা সমাধান করবে বলে জানিয়েছে।

সিকৃবির প্রক্টর অধ্যাপক . সাদ উদ্দিন মাহফুজ বলেন, ‘আব্দুস সামাদ আজাদ হলের একটি রুম নিয়ে ছাত্রলীগের দুগ্রুপের ঝামেলা হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আমরা সকলের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কারা ঝামেলায় জড়িত খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনো সমস্যা হলে প্রশাসন থেকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’


সিকৃবি   ছাত্রলীগ   আব্দুস সামাদ আজাদ হল   রুম দখল  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

তালা সংস্কৃতির অবসান চেয়ে কুবিতে শিক্ষকদের মৌন মানববন্ধন

প্রকাশ: ০৮:৫১ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

সাম্প্রতিক সময়ের বিভিন্ন ঘটনার প্রতিবাদে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা মৌন মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। রোববার (১২ মে) বিকাল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই মৌন মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা।

মৌন মানববন্ধনে শিক্ষকরা 'প্রতিবাদের ভাষা হোক বুদ্ধিবৃত্তিক ও রুচিবোধের পরিচায়ক', 'শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি নিরসনে সকলে দায়িত্বশীল ভুমিকা পালন করুন', 'গবেষণার প্রণোদনা অব্যাহত থাকুক', 'শিক্ষা ও গবেষণার পথ সুপ্রসন্ন হোক, 'অপরাজনীতি বন্ধ হোক' , 'সেশনজট মুক্ত ও শান্তিময় ক্যাম্পাস আমাদের কাম্য', '২৮ এপ্রিল ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হোক', 'শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সম্পর্ক হোক সৌহার্দপূর্ণ ও সম্মানের', 'তালা সংস্কৃতির অবসান হোক', 'প্রাণের কুবিতে তালা সংস্কৃতির এটাই হোক শেষ চর্চা', 'দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীরা জিম্মি কেন', 'এগিয়ে যাবে সবসময়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়', 'মানসম্পন্ন শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে লিডিং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক' লেখা সম্বলিত প্লে-কার্ড হাতে নিয়ে দাঁড়ান। 

এই মৌন মানববন্ধনে  উপস্থিত ছিলেন লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. রশিদুল ইসলাম শেখ, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোসা. শামসুন্নাহার, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. বনানী বিশ্বাস, অধ্যাপক ড. মুহম্মদ হাবিবুর রহমান, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামাল হোসাইন, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শারমিন সুলতানা, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. জাহিদ হাসান, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ সজীব রহমান, মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক আবু ওবায়দা রাহিদ,আইসিটি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আমেনা বেগম, আইসিটি বিভাগের প্রভাষক কাশমি সুলতানা সহ আরো অনেকে। 

উল্লেখ্য, গত ২৮ এপ্রিল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয়ে প্রবেশে বাঁধা প্রদানের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-উপাচার্য ও ছাত্রলীগের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এরপর শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দরা অবস্থান কর্মসূচি, কুশপুত্তলিকা ঝুলানো সহ নানা কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষের পদত্যাগ চেয়ে।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন