ইনসাইড পলিটিক্স

চার মন্ত্রীকে নিয়ে আওয়ামী লীগে ক্ষোভ-হতাশা

প্রকাশ: ০৫:৫৯ পিএম, ২২ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

আগামী ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। কাউন্সিলের একমাস আগে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন জেলা, উপজেলায় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই সম্মেলনগুলোতে নেতাকর্মীদের উৎসাহ-উদ্দীপনা চোখে পড়ার মতো। নতুন নেতৃত্বের পাশাপাশি দেশের বিরাজমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ওই সব সম্মেলনে তৃণমূলের কর্মীরা তাদের খোলামেলা মতামত ব্যক্ত করছে। যদিও এসব সম্মেলনে গোপন কাউন্সিল বা আত্মসমালোচনার সুযোগ খুব কম। কিন্তু এসব কাউন্সিলে উপস্থিত নেতাকর্মীরা চৌদ্দ বছর ক্ষমতায় থাকা সরকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উদ্বেগ এবং হতাশা প্রকাশ করছেন। আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাকর্মীরাই বলছেন যে, শেখ হাসিনা একাই লড়াই করছেন। তিনি দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু তার সঙ্গে যে সহযোদ্ধা থাকা দরকার সেই সহযোদ্ধাদের অনেকেরই দায়িত্বশীলতা নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সন্তোষ নয়। বিভিন্ন জেলায় অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে অংশগ্রহণকারী তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সাথে আলাপ করে দেখা গেছে যে, দেশের কিছু কিছু বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা গুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করছেন না। কোন কোন মন্ত্রীর দায়িত্বজ্ঞানহীনতা এবং বিতর্কিত কর্মকাণ্ড দলের সুনাম ক্ষুণ্ন করছে এমন কথা নেতাদেরকে এখন প্রকাশ্যে বলছেন তৃণমূলের কর্মীরা। বিশেষ করে চারজন মন্ত্রীকে নিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মীদের ক্ষোভ এবং হতাশা প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। এ সমস্ত মন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছে-

অর্থমন্ত্রী: অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল দীর্ঘদিন ধরেই নীরব। তাকে হঠাৎ হঠাৎ করে দেখা যায়। অনেকের মতে একজন অর্থমন্ত্রী দেশের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। অথচ তিনি সবসময় আড়ালে থাকছেন। দেশে যখন ডলার সংকট, ব্যাংকের তারল্য নিয়ে নানারকম গুজব, অপপ্রচার ও অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে নানারকম আশঙ্কার কথা শোনা যাচ্ছে সেই মুহূর্তে অর্থমন্ত্রীর নীরবতা আওয়ামী লীগের কর্মীদেরকে ক্ষুব্ধ  করে তুলেছে। কুমিল্লাতেই আওয়ামী লীগের সম্মেলনে একাধিক কর্মী অর্থমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। একই অবস্থা দেখা গেছে গাজীপুরে। সেখানেও অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা পালনে  অর্থমন্ত্রী কি ভূমিকা রাখছেন সেই প্রশ্নও তুলেছেন কেউ কেউ।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী: সাম্প্রতিক সময়ে আবার পাইকারি বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় আবার বিদ্যুতের দাম বাড়বে এমন কথা শোনা যাচ্ছে। এই ঘটনায় তৃণমূলের কর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বেড়েছে। তারা মনে করছে সদ্য লোডশেডিং থেকে মুক্ত হয়েছে দেশ। এখন যদি আবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয় তাহলে সেটি একটি ভুল বার্তা দেবে। আওয়ামী লীগের একাধিক তৃণমূলের কর্মী বলছেন যে, এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির নিয়ে মানুষের নাজুক অবস্থা। এরকম পরিস্থিতিতে আবার যদি বিদ্যুতের দাম বাড়ে তাহলে মানুষের জন্য সেটি মেনে নেওয়া কঠিন হয়ে যাবে। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে অনেকেই মনে করছেন যে, তিনি সরকারকে অজনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মীদের সমালোচনা এখন প্রকাশ্য।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী: পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে আওয়ামী লীগের সমালোচনা শেষ নেই। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিভিন্ন বক্তব্য, কর্মকাণ্ড আওয়ামী লীগের কর্মীদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করেছে। কোন কোন ক্ষেত্রে ক্ষোভেরও সৃষ্টি করেছে। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতারা বলছেন তিনি বিভিন্ন সময় যে সমস্ত বক্তব্যগুলো দিয়েছেন সেই বক্তব্যগুলো দলের জন্য বিব্রতকর। তার মুখ বন্ধ করে বন্ধ করা উচিত বলেও আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতারাও নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমন ভাবে কথাবার্তা বলছেন   যাতে আমরা দীর্ঘদিনের কূটনীতিক আদর্শ এবং অবস্থান থেকে বিচ্যুত হচ্ছি বলেও আওয়ামী লীগের কোন নেতা মনে করেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী: বাণিজ্যমন্ত্রীকে নিয়েও আওয়ামী লীগের মধ্যে নানারকম ক্ষোভ এবং হতাশা। বিশেষ করে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বাজার থেকে পণ্য উধাও হয়ে যাওয়া এবং বাণিজ্যমন্ত্রীর অসহায়ত্ব সবকিছু মিলিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ এবং অসহায়ত্ব বাড়ছে। আওয়ামী লীগের অনেক নেতা বলছেন যে, নির্বাচনের আগে যদি দ্রব্যমূল্যের লাগাম টেনে ধরা না যায় তাহলে পরে সেটি আওয়ামী লীগের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

চার মন্ত্রী   আওয়ামী লীগ   কাউন্সিল   তৃণমূল নেতা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ওবায়দুল কাদেরকে রিজভীর পাল্টা প্রশ্ন

প্রকাশ: ০৪:৩৩ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে এবার পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’— ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে রিজভী বলেন, এক মর্মান্তিক পরিস্থিতির মধ্যে দেশের মানুষ দিন অতিক্রম করছে। এখানে জীবন ও সম্পদের কোনো নিরাপত্তা নেই। জনগণের মনোভাব ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য সরকার একের পর এক পন্থা অবলম্বন করছে। মধুখালীতে শ্রমিকদের পিটিয়ে হত্যা এটি একটি পন্থা। এরা মানুষকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে না। এরা মানুষের লাশ ও রক্তপাতের ওপর দিয়ে হেঁটে যেতে ভালোবাসেন।

আওয়ামী লীগ গোটা জাতিকে একটি গোরস্তান বানানোর প্রক্রিয়ায় লিপ্ত উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আজ লাশ হচ্ছে জীবন্ত মানুষ। তার একটি ঘটনা মধুখালীতে। সরকার তার বহুমুখী ব্যর্থতা ঢাকতেই একের পর নাটক করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, শুধু ব্যাংক থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। এটা আমার বক্তব্য না। এটা সিডিপির বক্তব্য। আমাদের জিডিপি ১২ শতাংশ নাই হয়ে গেছে। ৯২ হাজার কোটি টাকা শুধু ব্যাংক থেকে লোপাট হয়ে গেছে। লোপাটকারী সবাই ক্ষমতাসীন দলের লোক ও আত্মীয়-স্বজন।

রিজার্ভ থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার উধাও করে দেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, এখন তলানিতে রিজার্ভ। সরকার বলছে, ১৩ বিলিয়ন ডলার আছে। অথচ যারা সচেতন মানুষ তারা বলছেন ৭ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার আছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতের ঋণ পরিশোধ করতে ৪ বিলিয়ন ডলার যাবে।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

আওয়ামী লীগ   সাধারণ সম্পাদক   ওবায়দুল কাদের   রুহুল কবির রিজভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতা ইশরাক কারাগারে

প্রকাশ: ০৪:০৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন আদেশ দেন।

মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।


নাশকতা   মামলা   বিএনপি   ইশরাক   কারাগা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘‌‌‌‍‍‍‍ব্যাংকে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?’

প্রকাশ: ০৩:৫৭ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।


‘‌‌‌ব্যাংক   মাফিয়া   মাস্তান   ঋণখেলাপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ: জিএম কাদের

প্রকাশ: ০৩:৪৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত। 

রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।

তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।

জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।


দেশ   অর্থনৈতিক   জিএম কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল

প্রকাশ: ০৯:১৯ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল। সারা দেশেই বাড়ছে দলটির গৃহদাহ। দল পুনর্গঠন চলমান স্থানীয় সরকার নির্বাচন ঘিরে দলীটির বিবাদ প্রকাশ্যে আসছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশ সবচেয়ে বেশি লঙ্ঘন করছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতারা। তাদের অনেকে এলাকায় গিয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করতে গোপনে উসকে দিচ্ছেন স্থানীয় নেতাদের। ঢাকায় ফিরে তারাই আবার দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘনের দায়ে সংশ্লিষ্ট নেতাদের বহিষ্কারের মাধ্যমে নিজেদের পথ প্রশস্ত করছেন। এতে পারস্পরিক সন্দেহ-অবিশ্বাস ঘনীভূত হচ্ছে।

দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো জানায়, গত বছরের ২৮ অক্টোবরের দলীয় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে কারাগারে যাওয়া নেতাদের অনেকের ভূমিকা রহস্যজনক বলে মনে করছেন দলীয় অনেকে। নিয়ে দলের ভিতরে রয়েছে বিতর্ক। সুনির্দিষ্ট প্রমাণের (অডিও-ভিডিও) ভিত্তিতে বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। অনেককে অঘোষিতভাবেওএসডিকরা হয়েছে সাংগঠনিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে। নিয়ে ক্ষোভে কেউ কেউ রাজনীতি থেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন। চলে যাচ্ছেন দেশ ছেড়ে।

এসব বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি মহাসাগরের মতো বিস্তৃত একটি বিশাল রাজনৈতিক দল। দলে নেতাদের মধ্যে কোনো বিষয়ে মতামত প্রদানের ক্ষেত্রে পার্থক্য থাকতেই পারে। তবে কোনো রকমের অভ্যন্তরীণ বিরোধ বা কোন্দল নেই।

জানা গেছে, সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি বিরোধ-কোন্দল সৃষ্টি হয়েছে চলমান উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। এই নির্বাচনের প্রাক্কালে দলের হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে বয়কটের পক্ষে নেতা-কর্মীদের মধ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য সারা দেশে সাংগঠনিক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু বেশির ভাগ নেতাই তাদের নিজ নিজ এলাকায় সেই দায়িত্ব পালন করেননি। অনেকে এলাকাতেই যাননি। জেলা বিএনপির শীর্ষকর্তারাও তেমন কোনো ভূমিকা রাখেননি। বরং উল্লিখিত নেতাদের এলাকাতেই ভোট কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি ভোটারের উপস্থিতি দেখা গেছে। নির্বাহী কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত এসব নেতার দ্বৈত ভূমিকায় তৃণমূলের নেতারা ক্ষুব্ধ।


বিএনপি   অভ্যন্তরীণ   কোন্দল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন