ইনসাইড পলিটিক্স

কারা আসছেন স্বাচিপের নেতৃত্বে?

প্রকাশ: ০৬:০৫ পিএম, ২৪ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম চিকিৎসক সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের পঞ্চম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আগামীকাল। এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সম্মেলনকে ঘিরে চিকিৎসকদের মধ্যে নানামুখী আলাপ-আলোচনা চলছে। বিশেষ করে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের নেতৃত্বে কে আসবেন, নেতৃত্বে পরিবর্তন হবে কিনা এ নিয়ে নানারকম জল্পনা-কল্পনা চলছে। বর্তমানে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান এবং মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজ। এবার সম্মেলনের মধ্য দিয়ে এই নেতৃত্বের পরিবর্তন হবে কিনা, সেটি এখন সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয়। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, স্বাচিপের নেতৃত্বে পরিবর্তন আসতে পারে। বিশেষ করে স্বাচিপের বর্তমান সভাপতি ডা. এম ইকবাল আর্সলানকে সরিয়ে নতুন কোনো সভাপতিকে নিয়োগ দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। নতুন সভাপতি হিসেবে বর্তমান মহাসচিব ডা. এম এ আজিজ, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া এবং ডা. কামরুল হাসানের নাম জোরেশোরেই উচ্চারিত হচ্ছে। এদের মধ্যে যে কেউ একজন সভাপতি হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, ডা. আজিজ এবং ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া মধ্যে যদি কেউ সভাপতি হয় তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

অন্যদিকে স্বাচিপের মহাসচিব পদেও বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে আভাস দেওয়া হয়েছে। স্বাচিপের বর্তমান মহাসচিব যদি শেষ পর্যন্ত সভাপতি হন তবে সেখানে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. আবু ইউসুফ ফকির, স্বাচিপের কেন্দ্রীয় নেতা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোসার্জারি বিভাগের ডিন ও নিউরোসার্জন অধ্যাপক মোহাম্মদ হোসেন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেডিওলোজির অধ্যাপক ও ঢাকা মেডিকেল অনুষদের ডিন ডা. শাহরিয়ার নবী শাকিলের নাম আলোচনায় রয়েছে বেশ জোরেশোরে। চিকিৎসকদের সবচেয়ে বড় এই সংগঠনের নেতৃত্ব নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভিন্ন সঙ্কটে চিকিৎসকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিশেষ করে ১৯৯০ সালের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সময় বিএমএ'র নেতা ডা. মিলনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এরশাদ পতনের মূল পথযাত্রা সূচনা হয়েছিল। সেই সময়ে বিএমএ'র মহাসচিব ছিলেন ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন।

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ মূলত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের চিকিৎসকদের সংগঠন। কিন্তু টানা ১৪ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার কারণে স্বাচিপই এখন চিকিৎসকদের প্রধান সংগঠনে পরিণত হয়েছে। স্বাচিপের নেতারাই বিএমএ নির্বাচনে ভূমিকা রাখে। বর্তমানে স্বাচিপের সভাপতি যিনি আছেন তিনি আওয়ামী লীগের একজন ত্যাগী চিকিৎসক নেতা। বিভিন্ন সঙ্কটে তার ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গৌরবোজ্জ্বল। বিশেষ করে এক-এগারোর সময় তিনি ভূমিকা রেখেছিলেন। কিন্তু তিনি বিরল একজন স্বাচিপ নেতা যিনি আওয়ামী লীগ ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও তেমন কিছুই পাননি। এমনকি তাকে বিএমএ'র নির্বাচনেও মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। নানা কারণে তিনি বঞ্চিত হয়েছেন। ইকবাল আর্সলান এবার কি সভাপতি থাকবেন কিনা, সেটি একটি বড় প্রশ্ন। কারণ, তার বিরুদ্ধ মত এখন অত্যন্ত সক্রিয় রয়েছে। ইকবাল আর্সলানকে বাদ দিয়ে যে কাউকে করার পক্ষে কিছু কিছু মত তৈরি হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত স্বাচিপের নতুন নেতৃত্ব চূড়ান্ত করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই। আগামীকালই বোঝা যাবে স্বাচিপের নেতৃত্বে কি পরিবর্তন আসছে, নাকি আগের নেতৃত্বই থাকছে।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মির্জা ফখরুলের জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন

প্রকাশ: ০১:৩৮ পিএম, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে করা মামলায় জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন তার আইনজীবীরা। বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ রোববার এ আবেদন জমা দেন তারা।

উল্লেখ্য, গত ২৯ অক্টোবর রমনা মডেল থানায় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে।

এর আগে গত ২২ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক এ মামলায় বিএনপি মহাসচিবের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। এ মামলায় আজ মির্জা ফখরুলের জামিন চেয়ে করা আবেদন হাইকোর্টে জমা দেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন।

পরে আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন প্রথম আলোকে বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন চেয়ে করা আবেদনটি জমা দেওয়া হয়েছে। আবেদনটি কাল (সোমবার) কার্যতালিকায় আসবে বলেছেন হাইকোর্ট।

গত ২৯ অক্টোবর এ মামলায় গ্রেপ্তার হন মির্জা ফখরুল। পরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে জামিন আবেদন করা হয়। আদালত সেদিন তাঁর জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এরপর গত ২ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে মির্জা ফখরুলের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তাঁর আইনজীবীরা। পরে ২২ নভেম্বর ওই আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত।


মির্জা ফখরুল   জামিন   হাইকোর্ট   আবেদন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ঋণ খেলাপের দায়ে মাহি বি চৌধুরীর মনোনয়ন বাতিল

প্রকাশ: ০১:২২ পিএম, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বিকল্পধারার যুগ্ম-মহাসচিব মাহি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর (মাহি বি চৌধুরী) মনোনয়ন বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। রোববার (৩ ডিসেম্বর) যাচাই-বাছাই শেষে জেলা প্রশাসক মো. আবুজাফর রিপন মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে জমা দেওয়া মনোনয়ন বাতিল করেন। ঋণ খেলাপের অভিযোগে মাহি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, মাহি বি চৌধুরী ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিকল্পধারা থেকে মুন্সীগঞ্জ-১ আসন থেকে মোয়াজ্জেম হোসেনকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

২০১৮ সালের নির্বাচনে তার বাবা বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বে বিএনপি, জাসদ (রব), নাগরিক ঐক্য, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও গণফোরামকে সঙ্গে নিয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠন করেন। পরবর্তীতে মাহি তরুণ প্রজন্মের নিকট প্ল্যান বি উপস্থাপন করেন। যুক্তফ্রন্টের মধ্যে এ সময় ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। মাহি জামায়াতের সাথে একত্রে নির্বাচনে যেতে নারাজ হলে অভ্যন্তরীণ সমস্যায় বিকল্পধারাকে ঐক্য থেকে বাদ দেওয়া হয়।


মাহি বি চৌধুরী   মনোনয়ন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কাউকে জেতানোর দায়িত্ব নেবে না আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, দলের যাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তাদেরকে জিতে আসতে হবে নিজ যোগ্যতায়, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে। কাউকেই জেতানোর দায়িত্ব নেবে না আওয়ামী লীগ।কেউ যদি নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সাহায্যের জন্য হাত পাতে বা অন্য কোনো উপায় অবলম্বনের চেষ্টা করে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মনোনয়ন প্রাপ্তদের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, আওয়ামী লীগ সভাপতি এবার বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরতে চান। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করতে চান যে, বিদেশিরা যে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যে সমস্ত আশঙ্কা এবং সন্দেহ পোষণ করেছিল তার সবই ছিল অমূলক। বরং বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রপ্রিয়। তারা গণতন্ত্রের চর্চা করতে চায়। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চায়। আর এই লক্ষ্যেই তারা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। 

আওয়ামী লীগের প্রধান লক্ষ্য হল ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করা। দ্বিতীয় লক্ষ্য হল ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করা এবং তৃতীয় লক্ষ্য হল উৎসবমুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটগ্রহণ যেন সম্পন্ন হয় সেটি নিশ্চিত করা। এজন্য নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করতেও তারা প্রস্তুত। কিন্তু কোন কোন প্রার্থী ইতোমধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড়ানোতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করছেন, এর ফলে তাদের নিশ্চিত বিজয় ঝুঁকিতে পড়ল। কিন্তু আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা এটিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন। তারা মনে করছেন, এর ফলে নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে। নির্বাচন হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ভোটার ভোট দিতে ভোটকেন্দ্রে যাবেন। এটি আওয়ামী লীগের চাওয়া। কে জিতল না জিতল এটা আওয়ামী লীগের বড় লক্ষ্য নয়। এই কারণেই সব প্রার্থীদেরকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। 

এছাড়াও প্রশাসনকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, কোনো প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে অবস্থান গ্রহণ করা যাবে না। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন যে ব্যবস্থা নেবে সেই ব্যবস্থার সঙ্গে সহমত পোষণ করবে আওয়ামী লীগ। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন যে, নির্বাচন কমিশন এখন সমস্ত কিছু তদারকি করছে। নির্বাচন কমিশনকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন প্রশাসনে রদবদল শুরু করেছে। সকল থানার ওসি

যাদের চাকরির মেয়াদ একবছরের বেশি হয়েছে তাদেরকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসাথে  সুনামগঞ্জ এবং ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসককে আজ প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকেও সরানোর ব্যাপারে প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ সমস্ত কর্মকাণ্ডের ফলে যারা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন তাদের মধ্যে এক ধরনের অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। তাদের কেউ কেউ মনে করছেন যে, এবারের নির্বাচনের সহজ বিজয় আর সম্ভব হবে না। এ কারণে তারা স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরকে হুমকি ধামকি দেওয়া, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বসিয়ে দেওয়া ইত্যাদি তৎপরতার সঙ্গে যুক্ত হতে শুরু করেছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কড়া হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। যে খুশি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে এবং নির্বাচনে জনগণ যাকে ভোট দিবে তিনি এমপি হবেন। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের কোনো রকম পছন্দ নেই। কাউকে টেনে নির্বাচনে জয়ী করা বা কোন হিসাব নিকাশ মিলিয়ে কাউকে ভোটের মাঠে বিজয়ী করার কোন অভিপ্রায় আওয়ামী লীগের নাই এবং সেটা আওয়ামী লীগ করবে না। 

আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতা বলেছেন, নির্বাচনে ন্যূনতম কারচুপি হলেও সেটি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে শোরগোল পড়বে। একারণে আর যাই হোক না কেন, কোন প্রার্থীকে জয়ী করার দায়দায়িত্ব আওয়ামী লীগ নেবে না।


আওয়ামী লীগ   নির্বাচন   প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা   গণতন্ত্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদা জিয়ার মতোই আচরণ করলেন সাদেক খান

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

২০১৫ সালের কথা মনে আছে? ওইসময় বেগম খালেদা জিয়া সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ ডেকেছিলেন। অবরোধ সফল করতে তিনি গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। বলেছিলেন যে, যতক্ষণ পর্যন্ত সরকারের পতন ঘটবে তত ক্ষণ পর্যন্ত তিনি ঘরে ফিরবেন না। সেখানে নাওয়া খাওয়া এবং রাত্রিযাপনের ব্যবস্থাও করেছেন বেগম জিয়া। এই সময় আকস্মিকভাবে ঘটে দুর্ঘটনা। মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বেগম খালেদা জিয়ার ছোট পুত্র আরাফাত রহমান কোকো মৃত্যুবরণ করেন। 

আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুবরণের পর শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েন বেগম খালেদা জিয়া। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একজন মা। আর তাই মায়ের হৃদয়ের বেদনা তিনি অনুভব করতে পেরেছিলেন। এজন্য তিনি ছুটে গিয়েছিলেন গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে। কোনোরকম প্রোটোকল বা নিরাপত্তার কোনো তোয়াক্কা করেননি তিনি। যদিও সেই সময় বিএনপি -জামায়াতের আন্দোলন চলছিল। বেগম খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে যাওয়াটা প্রধানমন্ত্রীর জন্য ছিল ঝুঁকিপূর্ণ এবং নিরাপত্তার হুমকি। তারপরও সবকিছুকে কিছুকে উপেক্ষা করে মাকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার সাঙ্গপাঙ্গরা প্রধানমন্ত্রীর আগমনের কথা শুনে গেট আটকে দেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘক্ষণ গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন। ভেতরে বিএনপির অনেক নেতাই উপস্থিত ছিলেন। যাদের মধ্যে প্রয়াত ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, শিমুল বিশ্বাস অন্যতম। তারা কেউই দরজা খোলেননি। 

৪০ মিনিট বেগম খালেদা জিয়ার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে সান্ত্বনা না দিতে পেরে ফিরে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই ঘটনাটি অমানবিকতার এবং শালীনতা বিবর্জিত হিসেবে রাজনৈতিক ইতিহাসে স্বীকৃত। এই ঘটনার পর সারা দেশে ধিক্কার পড়ে। একজন প্রধানমন্ত্রীকে ন্যূনতম সম্মান দেওয়ার যোগ্যতা যাদের নেই তারা কিভাবে আন্দোলন করতে চাই এবং রাজনীতি করে এই প্রশ্ন উঠেছিল দলমত নির্বিশেষে সকলের মধ্যে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, ২০২৩ সালে ঠিক একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করলেন আওয়ামী লীগের একজন এমপি। 

ঢাকা-১৩ আসনের বর্তমান এমপি সাদেক খান এবার মনোনয়ন পাননি। এই আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক। জাহাঙ্গীর কবির নানক ২০০৮ এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনেও এই আসন থেকে বিজয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু রাজনীতিতে তিনি উদারতার এক বড় নজির। ২০১৮ সালে মনোনয়ন না পেলেও তিনি সাদেক খানকে সহযোগিতা করেছিলেন। সারা দেশে নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সভাপতির পাশে থেকে তদারকি করেছিলেন। আর সে কারণেই তিনি পুরষ্কার পান। যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক থেকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন। এবার তিনি তার ত্যাগ এবং রাজনৈতিক প্রজ্ঞার পুরস্কার পেয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন ওই একই আসন থেকে। মনোনয়ন পাওয়ার পর তিনি প্রথম ছুটে গিয়েছিলেন সাদেক খানের বাসায়। তিনি একা নন, সঙ্গে ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতিও। দুজন সাদেক খানের বাসভবনে গেলে সাদেক খান খালেদা জিয়ার মতো এই কাণ্ড করেন। তিনি কোলাপসিবল গেট আটকে দেন। এমনকি ছোট গেটটিও বন্ধ করে দেন। 

এসময় ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন যে সাদেক খানকে বলেন, আমরা এসেছি। তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করব। এই সময় গেটের দারোয়ান জানান যে সাদেক খান বাড়িতে নেই। এসময় উত্তরের সভাপতি বজলু বলেন যে, সাদিক খান সাহেব থাকার দরকার নেই। তার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আসবো। কিন্তু তখনও দারোয়ান গেইট খোলেনি। জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং ঢাকা উত্তরের সভাপতি প্রায় ৪০ মিনিট সেখানে দাঁড়িয়ে থেকে চলে আসেন। আওয়ামী লীগের একজন সংসদ সদস্য যখন খালেদা জিয়ার মতোই আচরণ করেন তখন তাকে কি বলবেন?

সাদেক খান   ঢাকা-১৩   দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন   জাহাঙ্গীর কবির নানক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ইইউর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করল বিএনপি

প্রকাশ: ০৯:০৯ পিএম, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছে বিএনপি। শনিবার (২ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দুই মাসের জন্য ঢাকায় আসা ইইউ ইলেকশন এক্সপার্ট টিমের সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খানসহ বিএনপির ৫ নেতা এতে অংশ নেন। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ ভার্চুয়াল বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ইইউ প্রতিনিধি দলের কাছে দলীয় সরকারের অধীনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বয়কটের কারণ তুলে ধরেন বিএনপি নেতারা। একইসঙ্গে দেশে যে এখন কোনো রকম নির্বাচনী পরিবেশ নেই, সে বিষয়টিও তুলে ধরেন তারা। এর স্বপক্ষে গায়েবি মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় নেতারাসহ সারা দেশে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার, পরিবারের সদস্যদের ওপর নির্যাতন, গভীর রাত পর্যন্ত আদালতের কাজ চালু রেখে বিরোধীদলের সম্ভাব্য প্রার্থীসহ শত শত নেতাকর্মীর ফরমায়েসি সাজা প্রদান, দমনপীড়নের বিষয়টি তুলে ধরে বিএনপি। দলটির নেতারা বলেন, এমন পরিবেশে দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। এ সময় সরকার ফের একতরফা নির্বাচনের দিকে এগুচ্ছে বলে দলের অভিমত তুলে ধরেন নেতারা।

এর আগে গত ২৯ নভেম্বর ঢাকায় পৌঁছায় ইইউর চার সদস্যের নির্বাচনী এক্সপার্ট টিমটি। তারা হলেন- ডেভিড নোয়েল ওয়ার্ড (ইলেকশন এক্সপার্ট), আলেকজান্ডার ম্যাটাস (ইলেকটোরাল এনালিস্ট), সুইবেস শার্লট (ইলেকটোরাল এনালিস্ট) এবং রেবেকা কক্স (লিগ্যাল এক্সপার্ট)।

ইইউ   ভার্চুয়াল বৈঠক   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন