ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

৪০ নয়, ৪০০-৫০০ শ্রমিক মারা গেছে, স্বীকার করল কাতার

প্রকাশ: ০৮:৪৫ এএম, ৩০ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

অবশেষে কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করতে গিয়ে প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ অভিবাসী শ্রমিকের মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছেন বিশ্বের অন্যতম বড় এ ক্রীড়া আয়োজনের প্রধান হাসান আল-থাওয়াদি।

সংবাদমাধ্যম  সিএনএন গতকাল মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে লিখেছে, থাওয়াদি প্রদত্ত তথ্য আগে কাতারের সরকারি কর্মকর্তাদের দেয় তার থেকে লাদা। প্রবাসী শ্রমিকের মৃত্যুর যে হিসাব তারা জানিয়েছিলেন, এই সংখ্যা তার চেয়ে অনেক বেশি।

যুক্তরাজ্যের সাংবাদিক পিয়ার্স মরগ্যানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে প্রবাসী শ্রমিকের মৃত্যু নিয়ে এই তথ্য জানান আল-থাওয়াদি। টকটিভিতে ওই সাক্ষাৎকারটি প্রচার করা হয়।

প্রবাসী শ্রমিকের মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে মরগ্যানের প্রশ্নের জবাবে আল-থাওয়াদি বলেন, “সংখ্যাটি সম্ভবত ৪০০ জনের মতো, ৪০০ থেকে ৫০০ এর মধ্যে। আমার এ মুহূর্তে সুনির্দিষ্ট সংখ্যাটি জানা নেই, এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। একজনের মৃত্যুও অনেক বেশি, বিষয়টি এমনই।”

এর আগে নভেম্বরে সিএনএনের প্রশ্নের জবাবে কাতার সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, বিশ্বকাপ সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে কাজ করার সময় তিন জন প্রবাসী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে এবং কাজে না থাকা অবস্থায় মারা গেছেন ৩৭ জন।

মঙ্গলবারও ওই সংখ্যা সমর্থন করে বিবৃতি দেন কাতারের সুপ্রিম কমিটি ফর ডেলিভারি অ্যান্ড লিগ্যাসির (এসসি) একজন মুখপাত্র। বিবৃতিতে ওই মুখপাত্র বলেন, “২০১৪ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে কাতারজুড়ে সব কর্মস্থলের (৪১৪) সব খাতের ও সব জাতীয়তার কর্মীদের মৃত্যুর আলাদা পরিসংখ্যান রয়েছে।”

বিশ্বকাপ আয়োজন উপলক্ষে কাতারে কয়েক লাখ অভিবাসী শ্রমিক কাজ করছেন, যাদের বেশিরভাগই মানবেতর পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে সেখানে কাজ করছেন বলে উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২০ নভেম্বর কাতার বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচের দিনও স্টেডিয়ামে বিভিন্ন স্টলে কাজ করতে যাওয়া দুই শতাধিক প্রবাসী শ্রমিকরা সারাদিন কড়া রোদে অপেক্ষায় ছিলেন খাবার, পানি ও শৌচাগারে যাওয়ার সুযোগ ছাড়াই।

কাতারসহ পার‌স্য উপসাগরীয় দেশগুলোতে শ্রমিকদের দুর্দশা নিয়ে বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠনগুলো কড়া সমালোচনা করে আসছে। যদিও কাতার দাবি করেছে যে তারা তাদের শ্রমআইন সংস্কার করেছে।

পিয়ার্স মরগ্যানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হাসান আল-থাওয়াদিও বলেন, “আমি মনে করি প্রতি বছরই কর্মস্থলগুলোতে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার মানের উন্নতি হয়েছে, অন্তত আমাদের কর্মস্থলগুলোতে, বিশ্বকাপের কর্মস্থলগুলোতে, যেগুলোর জন্য আমরা দায়বদ্ধ।”

এদিকে যুক্তরাজ্যের সংবাদপত্র গার্ডিয়ানের গত বছরের একটি প্রতিবেদনের কথা তুলে ধরে সিএনএন লিখেছে, ২০১০ সালে কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজনের জন্য নির্বাচিত হওয়ার পর গত বছর পর্যন্ত সাড়ে ছয় হাজার দক্ষিণ এশীয় প্রবাসী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে সেদেশে, যাদের বেশিরভাগই কম মজুরির, বিপদজনক কাজে নিয়োজিত ছিলেন এবং প্রায়ই প্রচণ্ড গরমের মধ্যে তাদের কাজ করতে হত।

অবশ্য গার্ডিয়ানের ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা সব মৃত্যুই বিশ্বকাপের অবকাঠামো নির্মাণের কাজে সংশ্লিষ্ট বলে প্রতিষ্ঠিত করা যায়নি এবং সিএনএনও নিরপেক্ষভাবে মৃত্যুর তথ্য যাচাই করতে পারেনি বলে জানিয়েছে।

আল-থাওয়াদি গত বছর গার্ডিয়ানের ওই পরিসংখ্যান নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন। সিএনএনের বেকি অ্যান্ডারসনের সঙ্গে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনের শিরোনাম নিয়ে তিনি বলেছিলেন, “এটা একটা চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী শিরোনাম যা বিভ্রান্তিকর এবং এই প্রতিবেদনটির সারবস্তু নেই।”

কাতারের একজন কর্মকর্তা গত মাসে সিএনএনের কাছে দাবি করেন, গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে সাড়ে ছয় হাজার মৃত্যুর যে সংখ্যা দেওয়া হয়েছে, তাতে গত ১০ বছরে সেদেশের সব প্রবাসী মৃত্যুর সংখ্যাও মিলিয়ে ফেলা হয়েছে।

“ওই তথ্য সত্য নয়। অসুস্থতা, বয়সজনিত কারণে ও সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুও সেখানে রয়েছে, যা ওই প্রতিবেদনে বলা হয়নি। প্রতিবেদনে এটাও বলা হয়নি যে কাতারে প্রবাসী শ্রমিকদের মাত্র ২০ শতাংশ নির্মাণ কাজে নিয়োজিত।”

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তথ্য অনুযায়ী, কাতারের মোট শ্রমশক্তির ৯০ শতাংশই প্রবাসী শ্রমিক। মানবাধিকার সংস্থাগুলো অভিযোগ করে আসছে, ২০১০ সালে কাতার ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে অনেক প্রবাসী শ্রমিককে বিনা বেতনে কাজ করতে হয়েছে, তারা দেরিতে বেতন পাচ্ছে, দীর্ঘ সময় তীব্র গরমে তাদের কাজ করতে হয়েছে, নিয়োগকর্তারা হয়রানি করেছে এবং তারা কাতার থেকে বের হতেও পারেনি সে দেশের স্পন্সর ব্যবস্থার কারণে।

বিশ্বকাপ সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলোর স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথেষ্ট কিনা তা জানতে চেয়েছিলেন মরগ্যান। জবাবে আল-থাওয়াদি বলেন, “আমরা যখন বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য প্রতিযোগিতায় নামি, তখনই আমরা এ বিষয়গুলো নিয়ে সচেতন ছিলাম। এই উন্নতিগুলো শুধু বিশ্বকাপ আয়োজনের কারণেই হয়নি। এসব জায়গায় আমরা উন্নতি করতে চেয়েছি আমাদের নিজস্ব মূল্যবোধের কারণে।

“বিশ্বকাপ একটি চালিকাশক্তি হিসেবে ভূমিকা রেখেছে, একে তরান্বিত করেছে, একটি প্রভাবক হিসেবে স্পটলাইটের কারণে যা আমরা আগেই স্বীকার করেছি।”

তিনি বলেন, “এ কারণে অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, শুধু আইনি ব্যবস্থায় উন্নয়ন নয়, বরং আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রেও। এবং আজকে আমরা এমন একটি অবস্থানে পৌঁছেছি যেখানে আমাদের সবচেয়ে কড়া সমালোচকও এ অঞ্চলে আমাদেরকে একটি মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করে।”


কাতার বিশ্বকাপ   প্রস্তুতি   প্রবাসী শ্রমিক   মৃত্যু   ফিফা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পুতিন-সির ছবি নিয়ে হোয়াইট হাউসের কৌতুক

প্রকাশ: ১১:০২ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি চীন সফরে যান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বেইজিং সফরে থাকার সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং একে অপরকে আলিঙ্গন করেছেন। এটুকু ছাড়া চীন ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্কে বিস্ময়কর কোনো অগ্রগতি দেখেনি বলেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সদর দফতর হোয়াইট হাউস।

হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, 'একে অন্যকে আলিঙ্গন? ভালো, এটা তাদের জন্য চমৎকার।' যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রতিপক্ষের আলিঙ্গনাবদ্ধ অবস্থায় একটি ছবি দেখিয়ে এর তাৎপর্য নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে কিরবি এ কথা বলেন।

কিরবি কৌতুক করে আরও বলেন, শারীরিক ভালোবাসা প্রকাশ নিয়ে কথা বলতে তিনি স্বচ্ছন্দ নন। তারা কেন একে অন্যকে জড়িয়ে ধরা ভালো মনে করেছেন, সেটা নিয়ে তাদের কথা বলাই ভালো হবে।

যুক্তরাষ্ট্র বারবারই চীন ও রাশিয়ার সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে। চীনা প্রতিষ্ঠান রাশিয়াকে ইউক্রেনে হামলার জন্য অস্ত্র সরবরাহ করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে দেশটির।

কিরবি বলেন, পুতিনের সফরে এ ধরনের সম্পর্কে কোনও অগ্রগতি হয়েছে বলে মনে করছে না যুক্তরাষ্ট্র। মস্কোর সশস্ত্র বাহিনীকে শিগগিরই শি জিনপিং সহায়তা করতে চান বলেও মনে করে না ওয়াশিংটন।

কিরবি আরও বলেন, এই বৈঠকে আমাদের বিস্মিত হওয়ার মতো খুব বেশি কিছু ঘটেছে বলে আমরা মনে করছি না।


ভ্লাদিমির পুতিন   সি চিন পিং  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় দীর্ঘমেয়াদে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হামাস

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তৎপরতার মধ্যেই সেখানে দীর্ঘমেয়াদে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাস। ইসলামপন্থী এই সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠীটির সামরিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবেইদা। 

শুক্রবার এক ভিডিওবার্তায় আবু ওবেইদা বলেন, 'আমাদের জনগণের ওপর গত কয়েক মাস ধরে যে নির্মম আগ্রাসন চলছে, তা বন্ধের জন্য আমরা পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এবং একই সঙ্গে শত্রুদের সঙ্গে গাজায় দীর্ঘমেয়াদে লড়াই চালিয়ে যেতেও আমরা প্রস্তুত।'  

ভিডিওবার্তায় আল-কাসেম ব্রিগেডের এই মুখপাত্র দাবি করেন, গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে ব্যাপক বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করছে। ইতোমধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীর যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি সাধনেও সফল হয়েছে তারা; কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনী নিজেদের ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য প্রকাশ করছে না।

প্রায় দু'সপ্তাহ আগে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত শহর রাফায় অভিযান শুরু করেছে আইডিএফ। সেখানেও ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে হামাস যোদ্ধাদের তীব্র সংঘাত চলছে বলে দাবি করেছেন আবু উবাইদা।  

ভিডিওবার্তায় এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'গত ১০ দিনে পুরো গাজা উপত্যকায় অন্তত ১০০ ইসরায়েলি সামরিক সাঁজোয়া যানকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে আল-কাসেম ব্রিগেডের যোদ্ধারা। রাফা শহরে আমাদের যোদ্ধাদের সঙ্গে আগ্রাসনকারী বাহিনীর তীব্র লড়াই হচ্ছে এবং শহরের পূর্বাঞ্চলে শত্রুরা পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে।'

গত ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস ও তার মিত্রগোষ্ঠী প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদের প্রায় ১ হাজার যোদ্ধা। ওই দিন সীমানাপ্রাচীর ভেঙে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ মানুষকে হত্যা করে তারা, সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ২৪২ জনকে ধরে নিয়ে যায়। 


গাজা   যুদ্ধ   হামাস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

৩ জিম্মির মরদেহ উদ্ধার, খুশি নন ইসরায়েলিরা

প্রকাশ: ০৯:২৪ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া থেকে তিন জিম্মির মরদেহ উদ্ধারের যে দাবি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু করেছেন, তাতে খুশি নন ইসরায়েলিরা। তারা তাদের স্বজনদের ফিরিয়ে আনতে আরও কিছু করার দাবি করেছে।

ইসরায়েল জানায়, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভেতরে হামাসের হামলার সময় নিহত তিন ব্যক্তির মরদেহ তারা গাজা থেকে উদ্ধার করেছে। ওই তিন ব্যক্তি হলেন আইজ্যাক গেলেরেন্টার, অমিত বুসকিলা এবং শানি লুক। তারা নোভা মিউজিক উৎসবে নিহত হয়েছিলেন এবং হামাস লাশগুলো গাজায় নিয়ে গিয়েছিল বলে ইসরায়েল দাবি করছে।

শুক্রবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি এক বিবৃতিতে বলেন, ওই তিন ব্যক্তির লাশ সেনাবাহিনী এবং ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেইতের অভিযানের সময় উদ্ধার করা হয়েছে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এই অভিযানের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, জীবিত হোক বা মৃত হোক, গাজা থেকে সকল জিম্মিকে মুক্ত করে আনব।

গত সপ্তাহে হামাসের সশস্ত্র শাখা আল কাসসাম ব্রিগেড এক ভিডিও প্রকাশ করে জানায়, ব্রিটিশ-ইসরায়েলি বন্দী নাদাভ পপলওয়েল মারা গেছেন। গ্রুপটি জানায়, এক মাস আগে ইসরায়েলি বোমা হামলায় তিনি আহত হয়েছিলেন। ওই ক্ষত থেকেই তিনি মারা গেছেন।

জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য ইসরায়েল সরকারের ওপর ঘরোয়া চাপ বাড়ার মধ্যে ওই ভিডিও প্রকাশ করা হয়।

জিম্মিদের স্বজন ও বন্ধুসহ হাজার হাজার ইসরায়েলি তাদের মুক্তির ব্যবস্থা করার দাবিতে রাস্তায় নেমে এসেছে। জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য আরও কিছু করার জন্য তারা নেতানিয়াহুর প্রতি দাবি জানাচ্ছেন। তাদের অনেকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার জন্য নেতানিয়াহুকে চাপ দিচ্ছেন।

এদিকে শুক্রবার জর্ডানের আম্মান থেকে আল জাজিরার সংবাদদাতা ইমরান খান বলেন, তিন লাশ উদ্ধার নিয়ে নেতানিয়াহু যে দাবি করেছেন, তাতে জিম্মিদের পরিবারগুলো সন্তুষ্ট নয়। উল্লেখ্য, ইসরায়েল সরকার নিষিদ্ধ করায় আল জাজিরাকে এখন বাইরে থেকে সংবাদ সংগ্রহ করতে হচ্ছে।

ইমরান খান বলেন, জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য গঠিত অ্যাডভোকেসি গ্রুপ দি ব্রিং দেম হোম ক্যাম্পেইন বলেছে, নেতানিয়াহু জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য পর্যাপ্ত কিছু করছেন না।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে হামাস। সেসময় নিহতদের মধ্যে ওই তিনজনও ছিল। তখন আরো ২৫২ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস।


জিম্মি   মরদেহ   উদ্ধার   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

'শয়তানবাদ' প্রচারের দায়ে ইরানে ২৬০ জন গ্রেফতার

প্রকাশ: ০৮:৪১ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

'শয়তানবাদ' প্রচারের দায়ে ২৬০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে তিন ইউরোপীয় নাগরিকও রয়েছেন।পাশাপাশি ৭৩টি গাড়িও জব্দ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে  ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী। গ্রেফতারদের মধ্যে ১৪৬ জন পুরুষ ও ১১৫ জন নারী রয়েছেন। তাদের কাছ থেকে মদ ও নিষিদ্ধ মাদক জব্দ করা হয়েছে।

জানা গেছে, স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার রাতে তেহরানের পশ্চিমে অবস্থিত শাহরিয়ার শহরে অভিযান চালিয়ে শয়তানবাদ প্রচারকারীদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত নারী-পুরুষের পোশাক, মুখ ও চুলে শয়তানবাদের প্রতীক ছিল। 

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে তেহরানের কাছাকাছি একটি বাগানে অনুষ্ঠিত অননুমোদিত রক কনসার্ট চলাকালে শয়তানের উপাসনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২৩০ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল ইরান পুলিশ।


শয়তানবাদ   ইরান   গ্রেফতার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস: বিশ্বের শীর্ষ আইকনিক জাদুঘর

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস আজ। দিনটিতে জাদুঘরের তাৎপর্য তুলে ধরা হয়— যাতে ছাত্র, শিক্ষক, গবেষক ও পণ্ডিত ব্যক্তিদের গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি হয় এবং নাগরিকরা তার আপন ঐতিহ্য সম্পর্কে ভাবতে শেখেন। ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব মিউজিয়ামসের আহ্বানে ১৯৭৭ সালে প্রথম বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়। সেই থেকে প্রতিবছর দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব মিউজিয়ামস (আইসিওএম)। এর সদস্য হিসেবে বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মোট ১৮০টি দেশের ২৮ হাজার জাদুঘর যুক্ত রয়েছে।

পৃথিবীর শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যতো ইতিহাস জমা হচ্ছে তারই প্রতিচ্ছবি হলো জাদুঘর। জাদুঘরের ইংরেজি মিউজিয়াম শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ মিউজয়ন থেকে, যার অর্থ কাব্যাদির অধিষ্ঠাত্রী দেবীর মন্দির। বাংলায় জাদুঘর কথাটির অর্থ হলো, যে গৃহে আদ্ভুত পদার্থসমূহ সংরক্ষিত আছে এবং যা দেখে মন্ত্রমুগ্ধ হতে হয়। চলুন বিশ্বজুড়ে কিছু বিখ্যাত যাদুঘরের ভার্চুয়াল সফর করি।

ল্যুভর মিউজিয়াম, প্যারিস

ফ্রান্সের প্যারিসের ল্যুভর মিউজিয়ামের উল্লেখ না করে বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত জাদুঘরের কোনো তালিকা সম্পূর্ণ হবে না। লিওনার্দো দা ভিঞ্চির মোনা লিসার আইকনিক পেইন্টিংয়ের বাড়ি, দ্য ল্যুভর হল বিশ্বের বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর এবং শিল্প উৎসাহীদের জন্য একটি অবশ্যই দেখার গন্তব্য৷ প্রাচীন সভ্যতা থেকে একবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত বিস্তৃত ৩৮,০০০ টিরও বেশি শিল্পকর্মের সাথে, ল্যুভর হল মানুষের সৃজনশীলতা এবং কল্পনার ভান্ডার। 

স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউশন, ওয়াশিংটন, ডিসি

ওয়াশিংটন, ডিসির স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউশন হল বিশ্বের বৃহত্তম জাদুঘর, শিক্ষা এবং গবেষণা কমপ্লেক্স, যেখানে ১৯ টি জাদুঘর এবং গ্যালারী, ন্যাশনাল জুলজিক্যাল পার্ক এবং নয়টি গবেষণা সুবিধা রয়েছে। ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ ন্যাচারাল হিস্ট্রি থেকে ন্যাশনাল এয়ার অ্যান্ড স্পেস মিউজিয়াম পর্যন্ত, স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউশন বিভিন্ন ধরনের প্রদর্শনী এবং অভিজ্ঞতার অফার করে যা সব বয়সের এবং আগ্রহের দর্শকদের জন্য পূরণ করে। 

ব্রিটিশ মিউজিয়াম, লন্ডন

১৭৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত, যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়াম বিশ্বের প্রাচীনতম এবং সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ জাদুঘরগুলির মধ্যে একটি। যাদুঘরের সংগ্রহটি মানব ইতিহাস এবং সংস্কৃতির দুই মিলিয়ন বছরেরও বেশি সময় ধরে বিস্তৃত, প্রাচীন শিল্পকর্ম থেকে সমসাময়িক শিল্প পর্যন্ত প্রদর্শনী সহ। রোসেটা স্টোন, পার্থেনন ভাস্কর্য এবং মিশরীয় মমি যাদুঘরের সবচেয়ে আইকনিক এবং জনপ্রিয় প্রদর্শনী। 

মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অফ আর্ট, নিউ ইয়র্ক

মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অফ আর্ট, যা দ্য মেট নামেও পরিচিত, এটি বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে ব্যাপক শিল্প জাদুঘরগুলির মধ্যে একটি। নিউ ইয়র্ক সিটিতে অবস্থিত, দ্য মেটের সংগ্রহটি ৫,০০০ বছরেরও বেশি বিশ্ব সংস্কৃতি এবং শিল্পকে বিস্তৃত করে, যেখানে প্রাচীন মিশরীয় শিল্পকর্ম থেকে সমসাময়িক চিত্রকর্ম এবং ভাস্কর্যের প্রদর্শনী রয়েছে। মেটের ছাদের বাগান এবং কস্টিউম ইনস্টিটিউট হল এর কিছু জনপ্রিয় আকর্ষণ। 

ভ্যাটিকান মিউজিয়াম, ভ্যাটিকান সিটি

ভ্যাটিকান সিটির ভ্যাটিকান মিউজিয়াম হল জাদুঘর এবং গ্যালারির একটি সংগ্রহ যেখানে বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান এবং উল্লেখযোগ্য শিল্প ও নিদর্শন রয়েছে। জাদুঘরের সংগ্রহে মাইকেলেঞ্জেলো, রাফেল এবং অন্যান্য বিখ্যাত শিল্পীদের কাজ, সেইসাথে প্রাচীন রোমান এবং মিশরীয় শিল্পকর্ম রয়েছে। সিস্টিন চ্যাপেল, মাইকেলেঞ্জেলোর আঁকা তার চমৎকার ছাদ সহ, ভ্যাটিকান যাদুঘরের সবচেয়ে পরিদর্শন করা এবং আইকনিক আকর্ষণগুলির মধ্যে একটি।

অ্যাক্রোপলিস মিউজিয়াম, এথেন্স

গ্রীসের এথেন্সের অ্যাক্রোপলিস যাদুঘরটি প্রাচীন দুর্গ এবং এর চারপাশের স্মৃতিস্তম্ভ, পার্থেনন, এথেনা নাইকির মন্দির এবং এরেকথিয়ন সহ নিবেদিত। জাদুঘরের সংগ্রহে রয়েছে ভাস্কর্য, মৃৎশিল্প এবং অন্যান্য নিদর্শন যা অ্যাক্রোপলিস এবং আশেপাশের এলাকা থেকে খনন করা হয়েছিল। যাদুঘরের কাঁচের মেঝে দর্শকদের বিল্ডিংয়ের নীচে প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ দেখতে দেয়, একটি অনন্য এবং নিমগ্ন অভিজ্ঞতা তৈরি করে। 

জাতীয় প্রাসাদ যাদুঘর, তাইপেই

তাইওয়ানের তাইপেই ন্যাশনাল প্যালেস মিউজিয়াম হল চীনের শিল্প ও নিদর্শনগুলির বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জাদুঘরগুলির মধ্যে একটি। যাদুঘরের সংগ্রহ ওভার নিয়ে গঠিত প্রাচীন চীনা চিত্রকর্ম, মৃৎশিল্প, ক্যালিগ্রাফি এবং জেড খোদাই সহ ৭০০,০০০ বস্তু। জাদুঘরের সবচেয়ে বিখ্যাত প্রদর্শনী হল জাদেইট বাঁধাকপি, জেডের একটি ছোট টুকরো যা বাঁধাকপির মাথার মতো খোদাই করা হয়েছে এবং এটি কিং রাজবংশের জেড খোদাইয়ের অন্যতম সেরা উদাহরণ হিসাবে বিবেচিত হয়। 

হারমিটেজ মিউজিয়াম, সেন্ট পিটার্সবার্গ

রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গের হারমিটেজ মিউজিয়াম বিশ্বের বৃহত্তম এবং বিখ্যাত শিল্প জাদুঘরগুলির মধ্যে একটি। যাদুঘরের সংগ্রহে রয়েছে ত্রিশ লাখেরও বেশি আইটেম, যার মধ্যে রয়েছে প্রাচীন শিল্পকর্ম থেকে শুরু করে আধুনিক শিল্প, বিশ্বের সব প্রান্ত থেকে প্রদর্শনী সহ। শীতকালীন প্রাসাদ, রাশিয়ান রাজাদের প্রাক্তন বাসস্থান, এটিও যাদুঘরের একটি অংশ এবং এটি রাশিয়ান রাজপরিবারের ঐশ্বর্যময় জীবনধারার একটি আভাস দেয়।

ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ নৃবিজ্ঞান, মেক্সিকো সিটি

জাতীয় জাদুঘর মেক্সিকো সিটিতে নৃবিজ্ঞানের একটি বিশ্ব-বিখ্যাত জাদুঘর যা মেক্সিকো এবং মেসোআমেরিকার প্রাচীন সভ্যতার জন্য নিবেদিত। জাদুঘরের সংগ্রহে অ্যাজটেক, মায়া এবং অন্যান্য প্রাচীন সংস্কৃতির শিল্পকর্ম রয়েছে, যেখানে প্রাক-কলম্বিয়ান শিল্প থেকে সমসাময়িক মেক্সিকান লোকশিল্প পর্যন্ত প্রদর্শনী রয়েছে। যাদুঘরের সবচেয়ে বিখ্যাত প্রদর্শনী হল অ্যাজটেক ক্যালেন্ডার স্টোন, একটি বিশাল পাথরের চাকতি যা অ্যাজটেকরা ক্যালেন্ডার এবং আনুষ্ঠানিক বস্তু হিসেবে ব্যবহার করত। 

উফিজি গ্যালারি, ফ্লোরেন্স

ইতালির ফ্লোরেন্সের উফিজি গ্যালারি হল বিশ্বের প্রাচীনতম এবং বিখ্যাত শিল্প জাদুঘরগুলির মধ্যে একটি, যেখানে মিকেলেঞ্জেলো, লিওনার্দো দা ভিঞ্চি এবং অন্যান্য ইতালীয় রেনেসাঁর মাস্টারদের কাজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মধ্যযুগ থেকে রেনেসাঁ পর্যন্ত ইতালীয় শিল্পের বিবর্তন প্রদর্শনের জন্য কালানুক্রমিক ক্রমে সাজানো প্রদর্শনী সহ যাদুঘরের সংগ্রহে রয়েছে পেইন্টিং, ভাস্কর্য এবং অন্যান্য শিল্পকলা। জাদুঘরের ছাদের টেরেস ফ্লোরেন্স এবং আশেপাশের গ্রামাঞ্চলের অত্যাশ্চর্য দৃশ্য দেখায়।


আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস   বিশ্ব   আইকনিক জাদুঘর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন