ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী লড়াইয়ে প্রাণ গেছে ২ হাজার যোদ্ধার

প্রকাশ: ০৩:৩৬ পিএম, ০২ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail

মিয়ানমারে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গণতন্ত্রপন্থি বাহিনীর অন্তত দুই ‍হাজার যোদ্ধা প্রাণ হারিয়েছে দাবি করে মিত্র দেশগুলোর কাছে সামরিক সহায়তা চেয়েছেন দেশটির গণতন্ত্রপন্থি নেতা ডুয়া লাশি লা।

তিনি মিয়ানমারের ‘দ্য ন্যাশনাল ইউনিটি গভারমেন্ট’ (এনইউজি) এর ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট।

গত বছর পহেলা ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চি নেতৃত্বাধীন দলের সরকারকে হটিয়ে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। সু চি সহ তার দলের অনেক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। যার বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সাধারণ মানুষ তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তোলে।

উৎখাত হওয়া এনএলডি সরকারের যেসব নেতারা গ্রেপ্তার এড়িয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিলেন তারা একজোট হয়ে জান্তা সরকারের পাশাপাশি ন্যাশনাল ইউনিটি সরকার গঠন করে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা করছেন।

রয়টার্স জানায়, ডুয়া লাশি লা মিয়ানমারের অজ্ঞাত স্থান থেকে রয়টার্স নেক্সট এর সম্মেলনে কথা বলেন। বৃহস্পতিবার তার ওই সাক্ষাৎকারটি প্রচার করা হয়।

সাবেক শিক্ষক ও আইনজীবী লাশি লা বলেন, ‘‘আমরা (মৃত্যু) কে মূল্য হিসেবে বিবেচনা করি, যা আমাদের অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে।”

লাশি লার বয়স সত্তরের কোটায়। তিনি তার পরিবার নিয়ে কাচিন রাজ্যে তার বাড়িতে পালিয়ে গেছেন।

মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী লাশি লা এবং তার সতীর্থদের সন্ত্রাসীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে এবং নাগরিকদের তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে।

লাশি লা সরকার বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে সমর্থন পাচ্ছে। তাদের মিত্র সশস্ত্র বাহিনী পিপুলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) পুরো দেশজুড়ে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ছবিতে লাশি লা কে পিডিএফ বাহিনীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দেখা গেছে। পিডিএফ বাহিনীর বেশিরভাগ সদস্যই ছাত্র বা নানা পেশাজীবী মানুষ। যারা সামরিক ‍অভিযানের সময় জঙ্গলে পালিয়ে যান এবং পরে প্রশিক্ষণ নিয়ে পিডিএফের হয়ে লড়াই করছেন।

লাশি লা বলেন, ‘‘আমি জানি না কখন আমার মৃত্যু আসবে। এটা ঈশ্বরের ইচ্ছায় ঘটবে। আমি দেশের জন্য আমার সবকিছু বিলিয়ে দেয়ার প্রতিজ্ঞা করেছি।”

গণতন্ত্রপন্থি যোদ্ধারা ছাড়াও গত বছর ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নিতে গিয়ে আড়াই হাজার বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে অ্যাসিসটেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজোনার্স।

রয়টার্স জানায়, মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাশিয়া, চীন ও ভারতের কাছ থেকে সমরাস্ত্র পাচ্ছে। গণতন্ত্রপন্থি যোদ্ধারা শক্তিতে তাদের সঙ্গে পেরে উঠছে না। সেনাবাহিনী যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে বিভিন্ন অঞ্চলে ভয়াবহ বিমান হামলা চালাচ্ছে।

জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে ১৩ লাখের বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে।

যদিও জান্তা বাহিনী বলছে, তারা বেসামরিক লোকদের উপর নয় বরং ‘সন্ত্রাসীদের’ লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালাচ্ছে।

লাশি লা বলেন, তাদের যোদ্ধারা জান্তা বাহিনীর প্রায় ২০ হাজার সেনাকে হত্যা করেছে। কিন্তু স্বাধীনভাবে এ্ই সংখ্যা নিশ্চিত করা অসম্ভব।

বলেন, ‘‘যদি আমাদের কাছে বিমান বিধ্বংসী অস্ত্র থাকতো, নিশ্চিত হয়ে বলতে পারতাম, আমরা ছয় মাসের মধ্যে যুদ্ধে জিতে যাব।

‘‘ইউক্রেইন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের কাছ থেকে যে সহায়তা পাচ্ছে যদি শুধু সেটুকু সহায়তাও আমরা পেতাম তবে মরতে থাকা এই সব মানুষদের দুর্ভোগ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যেত।”

পশ্চিমা দেশগুলো মুখে মুখে এনইউজি-র প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়েছে এবং জান্তা বাহিনীর কয়েকজন কর্মকর্তা ও কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কিন্তু তারা মিয়ানমারের বিরোধী দলকে কোনো ধরনের সামরিক সহায়তা দিচ্ছে না। বলেছে, এটা ওই অঞ্চলের সংগঠন আসিয়ানের বিষয় এবং আসিয়ানের টেবিলে বসেই সংকটের সমাধান খুঁজে বের করা উত্তম হবে।

এদিকে,আসিয়ানের কনভেনশন অনুযায়ী সদস্যভুক্ত এক দেশ অন্য দেশের অভ্যন্তরীন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। আসিয়ান থেকে মিয়ানমারের সব পক্ষকে আলোচনার টেবিলে বসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে লাশি লা বলেন, ‘‘আলোচনার পথ এখনো বন্ধ হয়ে যায়নি। তবে আগে সেনাবাহিনীকে বেসামরিক মানুষদের হত্যা করা বন্ধ করতে হবে, রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানো প্রতিশ্রুতি দিতে হবে এবং সংবিধানের যে অংশ তাদের ক্ষমতাকে সুরক্ষিত করেছে তা বিলুপ্ত করতে হবে।

‘‘তারপর.....সম্ভবত আমরা আলোচনায় বসব।”



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ট্রাম্পের খোঁচায় বাইডেন, মাদক পরীক্ষার দাবি

প্রকাশ: ১০:৩৪ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে আগামী ২৭ জুন প্রথম দফায় বিতর্কে অংশ নিতে রাজি হয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং নির্বাচনে তার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু এ বিতর্কের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মাদক নিচ্ছেন কি না, তা পরীক্ষার দাবি করেছেন ট্রাম্প। গত শুক্রবার মিনেসোটায় দলীয় এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প তাঁর বক্তব্যে এ দাবি করেন।

গত মার্চে বাইডেনের স্টেট অব দ্য ইউনিয়নের ভাষণ উল্লেখ করে সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট মাদক পরীক্ষার দাবি তোলেন। তিনি বলেন, স্টেট অব দ্য ইউনিয়নের ভাষণের সময় বাইডেন যেন ঘুড়ির মতো উড়ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি এই ব্যক্তির সঙ্গে বিতর্কে অংশ নিতে চাই। কিন্তু তার আগে আমি তাঁর মাদক পরীক্ষা করার দাবি করব।’ ট্রাম্প অবশ্য নিজে এ পরীক্ষা করাবেন কি না, তা বলেননি।

স্টেট অব দ্য ইউনিয়নের দীর্ঘ ভাষণের সময় ৮১ বছর বয়সী বাইডেন জোরে ও দ্রুত কথা বলছিলেন। ওই বক্তব্যের পর রিপাবলিকানদের ডক্টরস ককাসের কো-চেয়ার গ্রেগ মারফি বাইডেনের সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্পের পক্ষ থেকে অবশ্য বাইডেনের মাদক পরীক্ষা চাওয়ার বিষয়টি নতুন নয়।

এর আগে, ২০২০ সালে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে অভিযোগ তুলে বলা হয়, ডেমোক্র্যাটদের দলীয় নির্বাচনের সময় বাইডেনের আচরণ স্বাভাবিক ছিল না। তিনি বাইডেনের সঙ্গে বিতর্কের আগে তাই তাঁর মাদক পরীক্ষা করার দাবি করেছিলেন। অবশ্য ওই সময় ট্রাম্প বা বাইডেন কেউই মাদক পরীক্ষা করাননি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে ২৭ জুন এবং ১০ সেপ্টেম্বরের দুই বিতর্ক অত্যন্ত উত্তেজনাকর মুহূর্ত হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলেছে, তাদের আটলান্টা স্টুডিওতে প্রথম বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে কোনো দর্শকের উপস্থিতি থাকবে না। বিতর্কটি উপস্থাপনা করবেন জেক ট্যাপার ও ডানা ব্যাশ। ট্রাম্প অবশ্য জেক ট্যাপারের ব্যাপক সমালোচনা করেছেন।

মার্কিন নির্বাচন সামনে রেখে দ্বিতীয় বিতর্কটির আয়োজন করছে সংবাদমাধ্যম এবিসি। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর এ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। বিতর্কে অংশ নেওয়ার জন্য ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেন এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। দুই প্রার্থীই সে আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।


যুক্তরাষ্ট্র   প্রেসিডেন্ট নির্বাচন   ডোনাল্ড ট্রাম্প   জো বাইডেন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাড়িতে বসেই ভোট দিলেন মনমোহন সিং

প্রকাশ: ০৮:২৯ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে চলছে লোকসভার নির্বাচন। গত ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এ নির্বাচন চলবে আগামী ১ জুন পর্যন্ত। এবারের নির্বাচনে দেশটির বৃদ্ধ নাগরিকরা বাড়ি থেকে ভোট দিচ্ছেন। তারই অংশ হিসেবে বাড়িতে বসে ভোট দিয়েছেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।

দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ভোট দেওয়ার একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে ভোট দিয়ে নিজের হাতের আঙ্গুলের কালি দেখাচ্ছেন তিনি। তবে ছবিটিতে মনমোহনকে দেখে শুরুতে চেনাই যাচ্ছিল না।

বৃদ্ধ বয়সের পুরো ছাপ পড়েছে তার শরীরে। ৯২ বছর বয়সী মনমোহন বয়সের ভারে যেন নুয়ে পড়ছেন। তবে তা সত্ত্বেও নিজের ভোটাধিকারটি প্রয়োগ করেছেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ব্যক্তি লিখেছেন, ৯২ বছর বয়সেও নিজের ভোট দিচ্ছেন মনমোহন। তাকে দেখে তরুণদের অনুপ্রাণিত হওয়া উচিত।

এদিকে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) থেকে দিল্লির প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তা বাড়ি থেকে ভোট গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেন। এই প্রক্রিয়ায় ভোট দিচ্ছেন বয়স্ক ও শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিরা। এটি আগামী ২৪ মে পর্যন্ত চলবে।


ভোট   মনমোহন সিং  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আট মাসের বেতনের সমান বোনাস দিচ্ছে বিশ্বের সেরা এয়ারলাইনস

প্রকাশ: ০৬:৪১ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

কর্মীদের বোনাস দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে বিশ্বের সেরা বিমান কোম্পানি সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস। সিএনএনের সংবাদে বলা হয়েছে, যে মানদণ্ড তারা স্থাপন করেছে, তার উচ্চতা অনেক বেশি।

বিষয়টির সঙ্গে সম্পৃক্ত সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের এক কর্মী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মী সিএনএনকে এ তথ্য দিয়েছেন যে, ভালো মুনাফা করার কারণে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ তার কর্মীদের আট মাসের বেতনের সমান বোনাস দেবে। কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, এ তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশিত হওয়ার নয়।

এ বিষয়ে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের সঙ্গে সিএনএন যোগাযোগ করলেও তাৎক্ষণিকভাবে তারা মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

গত বুধবার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আর্থিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস। সেখানে তারা বলেছে, সেই অর্থবছরে বিমান সংস্থাটি ১৯৮ কোটি ডলার নিট মুনাফা করেছে।

আয়ের বিবরণীতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস বলেছে, উত্তর এশিয়ার দেশগুলো, যেমন চীন, হংকং, জাপান ও তাইওয়ানের মতো দেশ মহামারির পর তাদের সীমান্ত পুরোপুরি খুলে দিয়েছে। সে কারণে এসব দেশে ভ্রমণ বেড়েছে। মানুষের ভ্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসও বড় অঙ্কের মুনাফা করেছে।

সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস গত অর্থবছরের জন্য স্ক্রাইট্র্যাক্স ওয়ার্ল্ড এয়ারলাইনস অ্যাওয়ার্ডস প্রণীত ক্রমতালিকায় বিশ্বের সেরা বিমান সংস্থার পুরস্কার পেয়েছে। সংস্থাটির প্রণীত ক্রমতালিকায় গত ২৩ বছরের মধ্যে এ নিয়ে পঞ্চমবার তারা শীর্ষস্থান পেয়েছে।

সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোহ চুন ফং বলেছেন, প্রতিষ্ঠানটির সব কর্মী নিরন্তর কাজ করায় এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। তাঁদের এই শ্রম–ঘামের কারণে মহামারির পর সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস বাজারে খুব ভালোভাবে ফিরে আসতে পেরেছে।

তবে শুধু সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস নয়, আরও বেশ কয়েকটি এয়ারলাইনস কর্মীদের উদার হস্তে বোনাস দিচ্ছে। জানা গেছে, দুবাইয়ের এমিরেটস এয়ারলাইনস তার কর্মীদের ২০ সপ্তাহের বেতনের সমপরিমাণ বোনাস দিচ্ছে। সিএনএন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

আয় বিবরণীতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস অবশ্য বলেছে, আগামী অর্থবছরে ব্যবসার জগতে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হতে পারে। তারা বলেছে, ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা, সামষ্টিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, মূল্যস্ফীতির চাপ ও সরবরাহব্যবস্থায় নানা ধরনের বাধা বৈশ্বিক বিমান পরিবহন শিল্পের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।

মহামারির সময় মানুষের যাতায়াতে বিধিনিষেধের কারণে বিমান সংস্থাগুলো বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছিল। সেই বাস্তবতা এখন আর নেই। বিধিনিষেধ প্রায় সবই উঠে গেছে। ফলে বিমান পরিবহন সংস্থাগুলোও বড় অঙ্কের মুনাফার মুখ দেখছে।


সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস   সিএনএন সংবাদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলি হামলায় ৮ ফিলিস্তিনি নিহত

প্রকাশ: ০৬:২৪ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের জাবালিয়া শরণার্থী ক্যাম্পের পশ্চিমাঞ্চলে ইসরায়েলি হামলায় আট ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছেন। নিহতরা জাবালিয়ার আল-ফালুজা নামক একটি এলাকায় পানি আনতে গিয়েছিলেন।

এক প্রত্যক্ষদর্শী হামলার ব্যাপারে বলেন, “আমরা ফালুজা থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছিলাম, যেটিকে নিরাপদ স্থান হিসেবে ভাবা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ইসরায়েলিরা সেখানে গোলা ছুড়েছে। আমরা জানি না কোথায় যাব।”

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ হামলার একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

গত কয়েকদিন ধরে জাবালিয়ায় ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। স্থল হামলা ছাড়াও বিমান থেকে প্রতিনিয়ত সেখানে বোমা ফেলছে তারা।

গাজার মধ্যে যেসব শরণার্থী শিবির রয়েছে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো জাবালিয়া। যুদ্ধের আগে এখানে হাজার হাজার মানুষ থাকতেন। এখনো শরণার্থী শিবিরটিতে অসংখ্য মানুষ রয়েছেন।


ইসরায়েল   ফিলিস্তিন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আফগানিস্তানে ভূমিধসে ৫০ জন নিহত

প্রকাশ: ০৫:৫৩ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় ঘোর প্রদেশে হড়কা বান-ভূমিধসে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৮ মে) এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ওই প্রদেশের পুলিশ।

শনিবারের বিবৃতিতে ঘোর প্রাদেশিক পুলিশের মুখপাত্র আবদুল রহমান বাদ্রি বলেন, ‘শুক্রবারের হড়কা বান-ভূমিধসে প্রদেশে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন এবং এখনও নিখোঁজ আছেন আরও অনেকে। নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু হয়েছে।’

বিবৃতিতে আবদুল রহমান বাদ্রি আরও জানান, শুক্রবারের হড়কা বানে প্রায় ২ হাজার বাড়িঘর সম্পূর্ণ ধ্বংস এবং আরও কয়েক হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কয়েক হাজার গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে, শত শত একর কৃষিজমির ফসল নষ্ট হয়েছে, শতাধিক সেতু ও কালভার্ট ধ্বংস হয়েছে এবং হাজার হাজার গাছ উপড়ে গেছে। 

বানের পানি, বাড়িঘর-গাছ-পাথরের ধ্বংসস্তূপ জমা হয়ে প্রদেশের অধিকাংশ সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।


আফগানিস্তান   ভূমিধস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন