ইনসাইড পলিটিক্স

‘খেলা হবে’ কোনো রাজনৈতিক স্লোগান হতে পারে না: তোফায়েল আহমেদ

প্রকাশ: ০৯:১৮ পিএম, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail

‘খেলা হবে’ কোনো রাজনৈতিক স্লোগান হতে পারে না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা ও দলটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘আমরা আজকাল একটা স্লোগান বের করেছি, খেলা হবে। আমার দৃষ্টিতে এটা রাজনৈতিক স্লোগান না, হতে পারে না। রাজনীতিতে মারপিট হবে, রাজনৈতিকভাবে আমার বক্তব্য আমি দেব। কী একটা কথা, খেলা হবে, খেলা হবে। আমার বিবেক বলে এই স্লোগানটা এভাবে না দেওয়াই উচিত।’

শনিবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ের সামনে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির ৮৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ প্রসঙ্গেও তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বিএনপি গোঁ ধরেছে, নয়াপল্টনে তাদের সভা করতে হবে। পল্টনে কী? সেখানে ১০-২০ হাজার লোক হলেই ভরে যায়। অর্থাৎ ওটাকে যাতে বলতে পারে লাখ, লাখ লোক হয়েছে। ব্লাফ দেওয়ার জন্য।’

শেখ ফজলুল হক মনির স্মৃতিচারণা করে তিনি বলেন, মনি ভাই যেটা করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিতেন, সেটা করতেনই। তিনি দেখতে পেতেন, সামনে কী আসছে।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মন্ত্রী-এমপিরা কেন দলের সিদ্ধান্ত মানছেন না

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রথম দফায় প্রায় ৫০ জন মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। গতকাল ছিল দ্বিতীয় দফায় মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। দ্বিতীয় দফায় ১৫৯ টি উপজেলায় ২১ মে নির্বাচন হওয়ার কথা। মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন দেখা গেছে, যে ১৪ জন এমপি এবং মন্ত্রীর নিকট আত্মীয় স্বজন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন তারা দলের নির্দেশ মানেননি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখান করে ১৪ জন এমপি এবং মন্ত্রীর নিকট আত্মীয়রা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। 

দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্বাচনে দুইজন মন্ত্রী এবং একজন প্রতিমন্ত্রীর স্বজন শেষ পর্যন্ত প্রার্থীতায় থাকলেন। দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে তারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী থাকার বিষয়ে অটল রয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন। তিনি শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের ছোট ভাই। 

রাজবাড়ী বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন সেখানকার আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হাকিম। তিনি রেলমন্ত্রী এবং রাজবাড়ী-২ আসনের এমপি মোঃ জিল্লুর হাকিমের চাচাত ভাই। 

গাজীপুরের শ্রীপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলীর বড় ছেলে জামিল আহসান দূর্জয় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। 

এ তিনজন মন্ত্রী ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা প্রার্থী হয়েছেন। 

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান আহমেদের ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদ এবং ছোট ভাই ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুজ্জামান আহমেদ প্রার্থী হয়েছেন। এছাড়াও সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের ভাই গোলাম সরোয়ার চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায়। এভাবে দ্বিতীয় দফাতেও মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা ভীতিহীনভাবে নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন। দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের কঠোর হুশিয়ারিকে তারা পাত্তাই দিচ্ছে না। 

প্রথম দফায় অনেকে বলেছেন যে আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিতে অনেক দেরি করেছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে গিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। এবং সেই সময় তিনি বলেছিলেন যে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে দেরি হওয়ার জন্যই তিনি তার ছেলেকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য নির্দেশনা দিতে পারেননি। কিন্তু ২১ মে যে উপজেলাগুলোতে নির্বাচন হবে এবং গতকাল যার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল সে উপজেলাগুলোতেও আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এবং এমপিদের স্বজনরা প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াচ্ছেন।
 
প্রশ্ন হলো যে, দলের মন্ত্রী-এমপিরা কেন দলের নির্দেশনা মানছেন না। এর পেছনে কি কারণ রয়েছে তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা একাধিক কারণের কথা উল্লেখ করছেন। 

১. দলের প্রতি আনুগত্যের অভাব: যারা মন্ত্রী-এমপি হয়েছেন তাদের দলের প্রতি আনুগত্যের অভাব তীব্রভাবে দেখা যাচ্ছে। তারা দলের চেয়েও নিজের স্বার্থকে বেশী দেখছেন। দলে কি হলো না হলো তার চেয়ে তাঁর নিজের অবস্থান কতটা সংহত হলো সেটা তিনি বিবেচনা করছেন। এজন্য দলের নির্দেশনা তারা মানছেন না।  

২. এলাকায় অস্তিত্ব রক্ষা: এসমস্ত মন্ত্রী-এমপিরা এলাকায় নাজুক অবস্থায় রয়েছে, তাদের শক্ত প্রতিপক্ষ রয়েছে। নিকট আত্মীয়দের এলাকার চেয়ারম্যান বানিয়ে তাদের অবস্থঅন শক্ত করতে চাই। এলাকায় তাদের অবস্থান সংহত করার জন্যই আসলে তারা দলের সিদ্ধান্ত তারা মানছেন না। 

৩. অতীত অভিজ্ঞতা: অতীতে দেখা গেছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে দলের প্রার্থী হয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তারা এবারও মনে করছেন, শেষ পর্যন্ত সবকিছু ম্যানেজ করে নিবেন। আর এই কারণেই দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছেন এই মন্ত্রী-এমপিরা।         


উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সস্ত্রীক সৌদি আরবে যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০৫:০৯ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail ফাইল ছবি

পবিত্র ওমরাহ পালন করতে সৌদি আরবে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সঙ্গে যাবেন স্ত্রী রাহাত আরা বেগম। বৃহস্পতিবার তার সৌদি আরবে যাওয়ার কথা রয়েছে। 

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, আগামী ২ মে ওমরাহ পালন করতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সৌদি আরব যাওয়ার কথা রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার মহাসমাবেশে সহিংসতাকে কেন্দ্র করে ৭৭ বছর বয়সি মির্জা ফখরুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাবাসের পর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি জামিনে বেরিয়ে আসেন তিনি। 

সৌদি আরব   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

টাকা দিলেই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হয় বিএনপিতে

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজনৈতিক দলগুলোতে নানারকম বাণিজ্য এখন ‘ওপেন সিক্রেট’। টাকা দিয়ে মনোনয়ন পাওয়া যায়, টাকা দিয়ে কমিটিতে থাকা যায়, টাকা দিয়ে বিভিন্ন পদে আসীন হওয়া যায়। কিন্তু ইদানিং বিএনপি রাজনৈতিক বাণিজ্যের এক নতুন অধ্যায় সূচনা করেছে। টাকা দিলেই বিএনপি থেকে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা যায়। 

বাংলা ইনসাইডারের অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল সময়ে বিএনপিতে প্রায় ৫ হাজার ৪শ জনকে বিভিন্ন অপরাধে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে একটি বড় অংশই ছিলো স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা। ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। কিন্তু এদের মধ্যে অন্তত দুই হাজার স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকে আবার দলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। যাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে, তাদের অনেকেই টাকা দিয়ে দেন-দরবার করে দলে ফিরে এসেছেন। 
বাংলা ইনসাইডারের অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, বিভিন্ন স্থানে পৌর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন, এমন অন্তত ৮ জন নেতা এখন আবার বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ের কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন। 

কিভাবে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হলো—এ প্রশ্নের জবাবে তারা বিষয়টি এড়িয়ে গেছে। তবে অনুসন্ধান করে দেখা গেছে যে, বহিষ্কারাদেশের পর তারা কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে দাম নিয়ে দফারফা করেছেন। এবং কেউ ১০ লাখ, কেউ ২০ লাখসহ সর্বোচ্চ ৩০ লক্ষ টাকা দিয়ে আবার দলের পদ পদবীতে ফিরে এসেছেন। 

এবার উপজেলা নির্বাচনে প্রথম পর্বে ৭৩ জনকে দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু তাদের বহিষ্কারাদেশের পরও তারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াননি। 

দ্বিতীয় পর্যায়ের মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন ছিল গতকাল। সেখানে দেখা গেছে, বিএনপির ৫৪ জন বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণ করেছেন। কেন তারা দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন—এর জবাবে একাধিক উপজেলা চেয়ারম্যান বলেছেন, বহিষ্কার আদেশ নিয়ে তারা আতঙ্কিত নয়। বরং বিএনপির একাধিক প্রার্থী যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। তারা বলছেন যে, আগে নির্বাচন হয়ে যাক, তারপর সবকিছু ম্যানেজ করা যাবে। 

এক এগারোর পর থেকে বিএনপিতে ঢালাও বহিষ্কারের রীতি শুরু হয়েছে। বিশেষ করে বেগম খালেদা জিয়া জেলে যাওয়ার পর তারেক জিয়া নেতৃত্বে আসলে কথায় কথায় বিএনপিতে বহিষ্কারের মত চরম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়। কিন্তু বহিষ্কারাদেশ বিএনপিতে এখন একটি বাণিজ্য হয়ে গেছে। যে কাউকে দল থেকে বহিষ্কার করে পরে টাকার বিনিময়ে তাকে আবার দলে নেয়ার এক অদ্ভুত কৌশল বিএনপি চালু করেছে। 

শুধুমাত্র নির্বাচনের মনোনয়ন নয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য বিভিন্ন সময়ে যাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছিল তারা অনেকেই আবার কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ করেছেন এবং নানারকম দেন দরবারের পর একটি নির্দিষ্ট অর্থ ঐ কেন্দ্রীয় নেতার হাতে দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় নেতা লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে যোগাযোগ করে এই বিষয়টি নিয়ে একটি চূড়ান্ত দফারফা করেছেন। এবং তার প্রেক্ষিতেই শেষ পর্যন্ত বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। 

বিভিন্ন বিএনপি নেতা স্বীকার করেছেন যে, বহিষ্কার হবার পরও অনেককে বিএনপিতে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। অবশ্য বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় টাকার দিয়ে বহিষ্কারাদেশের ব্যাপারটি অস্বীকার করেছেন। তার মতে, কেউ যদি বহিষ্কৃত হয়, তারপর যদি তার অনুশোচনা হয়, আত্ম উপলব্ধি হয় তিনি কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে আবেদন করেন এবং এই আবেদন যদি গ্রহণযোগ্য মনে করা হয় তাহলে তাকে ক্ষমা করা হয়। এটি যেকোন রাজনৈতিক দলের রীতি বলে তিনি দাবী করেছেন। 

বহিষ্কারাদেশ   বিএনপি   তারেক জিয়া   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নিয়ে কেন আলোচনা হল না আওয়ামী লীগে?

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

গতকাল ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ বৈঠক ঘিরে সারাদেশের আগ্রহ ছিল। উপজেলা নির্বাচনে যারা দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে, যারা দলের নির্দেশনা মানেনি- তাদের বিরুদ্ধে কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় সে ব্যাপারে সকলের আগ্রহ ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কোন আলোচনাই হয়নি। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে পরবর্তীতে আলোচনার কথা বললে উপজেলা নির্বাচনের প্রসঙ্গটি উঠেনি। কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে কেবলমাত্র দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বিভিন্ন কর্মসূচী এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে।

প্রশ্ন উঠেছে যে, উপজেলা নির্বাচনে যেসব মন্ত্রী-এমপিরা তাদের স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছে, যারা দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কথা হচ্ছিল। আওয়ামী লীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতাও বলছিলেন যে, যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে। কিন্তু বাস্তবে তেমনটি হল না কেন? এ নিয়ে আওয়ামী লীগের কোন নেতার কাছেই তেমন কোন উত্তর নেই। বরং আওয়ামী লীগের একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেছেন যে, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্ভবত চাননি বিষয়টি এই কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে আলোচিত হোক।

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, কৌশলগত কারণেই আওয়ামী লীগ সভাপতি এই প্রসঙ্গটি কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে উত্থাপন করেননি এবং এই কৌশলগত অবস্থানের ব্যাপারে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বিভিন্ন রকমের ব্যাখ্যা দিচ্ছেন।

প্রথমত, অনেকে মনে করছেন আওয়ামী লীগ আসলে দেখতে চাচ্ছে যে উপজেলা নির্বাচন কীভাবে অনুষ্ঠিত হয়। যারা আত্মীয় স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছেন, তারা উপজেলা নির্বাচনে কী ধরনের ফলাফল করে। এই ব্যাপারে নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য যথেষ্ট সময় এবং সুযোগ আছে। যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা যদি এমনিতেই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে সেটিই হবে তাদের একধরনের শাস্তি। আর যদি তারা জয়ী হন তবে তাদেরকে অন্যভাবে শাস্তি দেয়ার ব্যবস্থা করা যাবে। এ কারণে এটি একটি কৌশলগত অবস্থান বলে অনেকে মনে করেন।

উপজেলা নির্বাচনের আগে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে নির্বাচনের উপর তার প্রভাব পড়বে। উপজেলা নির্বাচনে যে উৎসাহ উদ্দীপনা সেটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এরকম একটি উপলব্ধি থেকেই হয়তো উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে এধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলেই উপজেলা নির্বাচনের যে প্রচারণা, সে প্রচারণাই ভাটা পড়তে পারে।

দ্বিতীয়ত, সারাদেশ থেকে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ। উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা প্রার্থী হয়েছেন তাদের সম্পর্কে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছেন। যদিও দলের সাংগঠনিক সম্পাদকদেরকে এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শুধু দলের সাংগঠনিক সম্পাদকদের তথ্যের উপর আওয়ামী লীগ সভাপতি নির্ভরশীল নন। তিনি নিজস্ব উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করছেন বলে জানা গেছে এবং এই তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের পরপরই হয়তো তিনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন।

তৃতীয়ত, দলের দুর্বলতা প্রকাশ না করা। উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালীরা, বিশেষ করে মন্ত্রী-এমপিরা যেভাবে সিদ্ধান্ত লঙ্ঘণ করেছে সেটি আওয়ামী লীগের জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়। এই মুহূর্তে যদি কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা হয়, তাহলে আওয়ামী লীগের দুর্বলতাই প্রকাশ পাবে। আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা, দলের মন্ত্রী-এমপিরা যদি দলের সিদ্ধান্ত না মানেন তাহলে তৃণমূলে তার প্রভাব পড়বে এবং এক্ষেত্রে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে দলের ভেতর একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। এসব বিবেচনা করেই প্রধানমন্ত্রী হয়তো উপজেলা নির্বাচনে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে একটি কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করেছেন।


উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ভোটের মাঠেই রয়েছেন মন্ত্রী-এমপির স্বজন ও বিএনপির প্রার্থীরা

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনে প্রথম ধাপের পর দ্বিতীয় ধাপেও কেন্দ্রের নির্দেশনার তোয়াক্কা করছেন না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সরকারবিরোধী বিএনপির মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীরা। দলের নির্দেশনা উপেক্ষা করে এ ধাপেও প্রার্থিতা বহাল রেখে ভোটের মাঠে রয়েছেন মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়স্বজনরা। কেন্দ্র থেকে দেওয়া কঠোর হুঁশিয়ারি তাদের ভোটের মাঠ থেকে সরাতে পারেনি। অন্যদিকে হাইকমান্ডের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন বিএনপির অন্তত দুই ডজন নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের প্রার্থীদের বহিষ্কারের মতো কঠোর সিদ্ধান্তও তাদের পিছু হটাতে পারেনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, দ্বিতীয় ধাপের ১৬০টি উপজেলা ভোটে সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের অন্তত ৩০ জন আত্মীয়-স্বজন মনোনয়ন জমা দেন। এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে মাত্র কয়েকজন তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। নির্বাচনী মাঠে বহাল রয়েছেন অন্যরা। অন্যদিকে, এ ধাপে বিএনপির অন্তত ৩০ জন স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী মনোনয়ন দাখিল করেন। এর মধ্যে কেন্দ্রের নির্দেশনা মেনে গতকাল তাদের কয়েকজন ভোটের মাঠ থেকে সরে যান। বাকিরা প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ছেন।

সূত্র জানায়, দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা ভোটে মোট দুই হাজার ৫৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৭৩০, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৬৩ ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৬২ জন মনোনয়ন দাখিল করেন। যাচাই-বাছাই শেষে ১ হাজার ৯১৬ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬৭৭, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭০১ ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৩৮ জন রয়েছেন।

এর মধ্যে একক প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়ায় ইতোমধ্যে তিনজন চেয়ারম্যান, তিনজন ভাইস চেয়ারম্যান ও পাঁচজন নারী ভাইস চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। গতকাল নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে পড়েন অনেকে। বাকি প্রার্থীদের মধ্যে আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। এর পরই আনুষ্ঠানিক প্রচারে নেমে পড়বেন প্রার্থীরা। আগামী ২১ মে এসব উপজেলায় ভোট গ্রহণ হবে। আগামী ৮ মে প্রথম ধাপের ভোটের মধ্য দিয়ে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের এ নির্বাচন শুরু হচ্ছে। ২৯ মে তৃতীয় এবং ৫ জুন সর্বশেষ চতুর্থ ধাপের ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

প্রত্যাহার করেননি মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা

নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা চেয়ারম্যান পদে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের ছোট ভাই ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন মনোনয়ন প্রত্যাহার না করে মাঠে রয়েছেন। মনোননয়নপত্র প্রত্যাহার না করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন করব বলেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি এবং জমা দিয়েছি। মন্ত্রীর ভাই হিসেবে নয়, নিজের পরিচয়ে রাজনীতি করি। আমি ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছি। মন্ত্রীর ভাই হয়েছি বলে নির্বাচন করতে পারব না। নির্বাচন করা আমার গণতান্ত্রিক অধিকার। তা ছাড়া দলীয় সিদ্ধান্ত আমি পাইনি। একেক সময় একেক সিদ্ধান্তের কথা বলে। আমি দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত লিখিতভাবেও পাইনি। আমি সুষ্ঠু নির্বাচন চাই’।

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ভোটের মাঠে রয়ে গেছেন সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও লালমনিরহাট-২ (কালীগঞ্জ-আদিতমারী) আসনের সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান আহমেদের ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদ ও ভাই মাহবুবুজ্জামান আহমেদ। এর মধ্যে মাহবুবুজ্জামান আহমেদ দুবারের সাবেক চেয়ারম্যান এবং রাকিবুজ্জামান আহমেদ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

বগুড়ায় আদমদীঘি চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে বহাল রয়েছেন সিরাজুল আলম খান রাজু। তিনি বগুড়া-৩ (আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া) আসনের সংসদ সদস্য খান মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদীর বাবা এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।

মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুলের আপন বড় ভগ্নিপতি, বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. জাফরউল্লাহ চৌধুরী এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ এমপির ভায়রা ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অবুল কালাম আজাদ।

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় পাবনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. মকবুল হোসেনের বড় ছেলে ও সাবেক মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করে ভোটের মাঠে থাকছেন সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপির ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদ ও তার ভাই মাহবুবুজ্জামান আহমেদ।

মাঠে রয়েছেন রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের চাচাতো ভাই ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হাকিম সাধন।

শরীয়তপুর সদরে শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপুর চাচাতো ভাই বিল্লাল হোসেন দীপু মিয়া প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। বিল্লাল হোসেন দীপু মিয়া বলেন, ‘আমি ইকবাল হোসেন অপু মিয়ার চাচাতো ভাই। তা ছাড়া আমি ছাত্রজীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি করি, আমি ছাত্রলীগের নেতা ছিলাম। আমি বর্তমানে শরীয়তপুর সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি। আমি মানুষের জন্য রাজনীতি করি; তাই মানুষকে সেবা দিতেই আমি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি’।

চুয়াডাঙ্গা সদরে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের এমপি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের ভাতিজা নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার এবং দুমুড়হুদায় চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের এমপি আলী আজগর টগরের ভাই আলী মনসুর বাবু।

এ ছাড়া লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় স্থানীয় এমপি নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের ভগ্নিপতি আওয়ামী লীগ নেতা মামুনুর রশিদ, জামালপুরের বকশীগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ করে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়া জামালপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য নুর মোহাম্মদের ছোট ভাই মো. নজরুল ইসলাম সাত্তার বলেন, ‘এমপির সংসার এমপির, আমার সংসার আমার। এমপির খাবার এমপি খান, আমার খাবার আমি খাই। তাহলে আমি নির্বাচন কেন করতে পারব না? তা ছাড়া আমি দলের কেউ নই’।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার চেয়ারম্যান পদে মাঠে রয়ে গেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের আপন ফুফাতো ভাই সায়েদুর রহমান স্বপন। এ বিষয়ে সায়েদুর রহমান স্বপন বলেন, ‘আমি মন্ত্রীর ফুফাতো ভাই। মন্ত্রীর পরিবারের আত্মীয় নই। আমি দলীয় প্রতীক নিয়েও নির্বাচন করছি না। আমি আমার অবস্থান থেকেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দাঁড়িয়েছি। তা ছাড়া নির্বাচন না করার ব্যাপারে দলীয় কোনো লিখিত নির্দেশনা পাইনি। তাই নির্বাচন করতে আমার কোনো বাধা নেই’। ভোটের মাঠ থেকে সরেননি হবিগঞ্জের বাহুবলের সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীর বড় ভাই রাজন চৌধুরী।

প্রার্থিতা থেকে সরে গেলেন যেসব স্বজন

নির্বাচন থেকে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর (বীরপ্রতীক) ছেলে গোলাম মূর্তজা পাপ্পা। তিনি রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবং গাজী গ্রুপ ও বিসিবির পরিচালক। দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর নিষেধাজ্ঞা মেনে নিজের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন বলে জানিয়েছেন পাপ্পা গাজী।

বর্জনের পরও মাঠে বিএনপির প্রার্থী: দলের কঠোর নির্দেশনা অমান্য করে প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে রয়েছেন বোরহানউদ্দিন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান। এ ব্যাপারে কালবেলাকে তিনি বলেন, ‘আমার ওপরে দলের কোনো চাপ নেই। তা ছাড়া আমি ১০ বছর আগেই দলের পদপদবি থেকে সরে এসেছি। আমি দল করি না। একজন সমর্থক মাত্র। এলাকার জনগণ আমার সঙ্গে রয়েছেন।’

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী, খুলনার ফুলতলা উপজেলায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির হোসেন, দিঘলিয়ায় জেলা বিএনপির সমাজকল্যাণ সম্পাদক গাজী মোহাম্মদ এনামুল হাচান মাসুম ও বিএনপির কর্মী জাকির হোসেন, পাবনার ফরিদপুরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফরিদপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জিয়াউর রহমান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা মহিলা দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নাসরিন পারভীন মুক্তি প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। জিয়াউর রহমান দীর্ঘদিন বিএনপির স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।

এর আগে তিনি ফরিদপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এদিকে নাসরিন পারভীন মুক্তি জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ১০ বছর ধরে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগেও মুক্তি দল থেকে দুবার বহিষ্কার হয়েছেন।

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ চেয়ারম্যান পদে হাজীগঞ্জে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন। মাঠে রয়েছেন বিশ্বম্ভপুর বিএনপির সাবেক সভাপতি হারুনুর রশিদ ও বিএনপি নেতা মোহন মিয়া বাচ্চু, ধর্মপাশা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুরুল হক আফিন্দি, তাহিরপুর উপজেলা বিএনপির নেতা আবুল কাশেমসহ আরও অনেকে।

বিএনপির সরে গেছেন যারা

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি নুরুল ইসলাম খান হিরু ও রাজবাড়ী সদরে জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নেকবর হোসেন মনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী উপজেলা যুবদলের সভাপতি কামরান জাদিদ মুকুট ও ভাইস-চেয়ারম্যান পদে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আহসান উল্লাহর দলীয় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আরও যারা জয়ী

এদিকে ২১ এপ্রিল শেষ দিনে একক প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করায় তিনজন চেয়ারম্যান (কুমিল্লা আদর্শ সদর, রাউজান ও রাঙ্গুনিয়া), তিনজন ভাইস চেয়ারম্যান ( কুমিল্লা আদর্শ সদর, রাউজান ও রাজস্থলী) এবং পাঁচজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান (কুমিল্লা আদর্শ সদর, রাউজান ও রাঙ্গুনিয়া আড়াইহাজার ও মৌলভীবাজার সদর) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। গতকাল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে রূপগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মিজানুর রহমান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রূপগঞ্জ উপজেলা যুব মহিলালীগের সভাপতি ফেরদৌসী আক্তার রিয়া ও চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।


উপজেলা নির্বাচন   মন্ত্রী-এমপির স্বজন   বিএনপি   প্রার্থী   আওয়ামীলীগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন