ইনসাইড বাংলাদেশ

মেগা প্রকল্পে পাল্টে যাওয়া চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা আজ

প্রকাশ: ০৯:৪০ এএম, ০৪ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail

আজ রবিবার (৪ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর জনসভা চট্টগ্রাম পলোগ্রাউন্ড ময়দানে। শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি শেষ। চলছে চুল-ছেঁড়া বিশ্লেষণ দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় কি পেয়েছে  চট্টগ্রামবাসী কি পেতে যাচ্ছে। অনেক বড় বড় মেগা প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। এখন চট্টগ্রাম বাসীর চাওয়া পাওয়া বাণিজ্যিক রাজধানীর পূর্ণ বাস্তবায়ন।

‘বাণিজ্যিক রাজধানী’ হিসেবে স্বীকৃতি থাকলেও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে পিছিয়ে ছিলো চট্টগ্রাম। তবে টানা একযুগের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগ সরকার মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করে উন্নয়নের চিত্র  পাল্টে দিয়েছে চট্টগ্রামের। ফ্লাইওভার, রিং রোড, সৈকতের আধুনিকায়ন,কর্ণফুলী  টানেল, সড়ক সম্প্রসারণের মাধ্যমে চট্টগ্রামের ভোল পাল্টে দিয়েছেন। চট্টগ্রামবাসীকে দীর্ঘদিন ধরে ভোগানো জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে বাঁচাতে নিয়েছেন জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প। তাছাড়া চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক খাতকে আরও সমৃদ্ধ করতে বে-টার্মিনাল, মিরসরাই ইকোনমিক জোনের মত বৃহৎ প্রকল্পের কাজ চলমান। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় চট্টগ্রামে মেট্রো রেল প্রকল্পের কাজও প্রক্রিয়াধীন। আগামীকাল ৪ ডিসেম্বর নগরের পলোগ্রাউন্ড মাঠে জনসভা থেকে আরও ৩০টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
  
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক), ওয়াসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অসংখ্য পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়েছে। বাস্তবায়িত প্রকল্পের মধ্যে বহদ্দারহাট এম এ মান্নান ফ্লাইওভার, বায়েজিদ-মুরাদপুর-লালখান বাজার আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভার, স্টেশন রোড-দেওয়ান হাট ওভারপাস, পতেঙ্গা-ফৌজদারহাট মেরিন ড্রাইভ আউটার সিটি রিং রোড, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের আধুনিকায়ন, বায়েজিদ-ফৌজদারহাট বাইপাস রোড অন্যতম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতার ধারাবাহিকতায় রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। বর্তমানে ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে উন্নত আয়ের দেশের দিকে এগিয়ে নিতে চট্টগ্রামকেই প্রাধান্যের তালিকায় রেখেছে সরকার। 

সরকারের সফলতার মধ্যে অন্যতম হলো যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন। ফলে প্রতিটি বিভাগীয় শহর, জেলা শহর, বন্দর, বাণিজ্যিক পয়েন্টে দেশের যেকোনো প্রান্তে অনায়াসে যাতায়াত করা সম্ভব হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে আরও কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও চট্টগ্রামে অনেকগুলো মেগা প্রকল্পের কাজ চলমান। 

কিছুদিন আগে দেশে শত সেতু উদ্বোধন হয়। এরমধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামে ৪৫টি যার ৪২টি খাগড়াছড়িতে। কর্ণফুলীর তলদেশে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকায় নির্মিত হয়েছে দুই টিউব বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু টানেল। যার একটি টিউব গত ২৬ নভেম্বর ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা অর্থায়নে নির্মাণ হচ্ছে দোহাজারী-কক্সবাজার-ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ।  

এছাড়াও চট্টগ্রামে অনেকগুলো মেগা প্রকল্পের কাজ চলমান। যার মধ্যে বিমান বন্দর হতে লালখান বাজার পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার খাল খনন, সংস্কার ও পুনরুদ্ধার করে জলাবদ্ধতা নিরসন মেগা প্রকল্প, চাক্তাই হতে কালুরঘাট পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার রিভার ড্রাইভ রিং রোড, ১২টি খালের মুখে শক্তিশালী পাম্পসহ অটোমেটিক টাইডাল রেগুলেটর স্লুইস গেইট নির্মাণ কাজ অন্যতম। তাছাড়া কক্সবাজারে হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর।
 
এদিকে দৃশ্যায়িত হচ্ছে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ৭৫ কিলোমিটারের বেশি রেল লাইনের কাজ। ইতোমধ্যে এই মেগা প্রকল্পের ৭৪ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ২৪ শতাংশ কাজ দ্রুত শেষ করে ২০২৩ সালের মাঝামাঝিতে কক্সবাজারে ট্রেন চলাচল শুরু করার কথা রয়েছে। 

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহা-ব্যবস্থাপক ও প্রকল্প পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কক্সবাজারে রেল যোগাযোগ চালু হলে শুধু পর্যটন খাতে সম্ভাবনা বাড়বে তা নয় লবণ, মৎস্য, কৃষিসহ অন্যান্য খাতেও বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।

চট্টগ্রাম হল দেশের অর্থনৈতিক সঞ্চালনের জীবনী শক্তি। চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে দেশের ৯০ শতাংশ আমদানি ও ৮৫ শতাংশ রপ্তানি কার্যক্রম সম্পাদিত হয়। তাই দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে সরকার চট্টগ্রামের উন্নয়নকেই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন। চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক খাতকে আরও সমৃদ্ধ করতে চলছে বে-টার্মিনালের কাজ। চট্টগ্রাম বন্দরকে সম্প্রসারণ করছে সরকার। পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরকে মানসম্মত পর্যায়ে আনতে দফায় দফায় কেনা হয়েছে নতুন যন্ত্রপাতি। পাশাপাশি মাতারবাড়িতে নির্মিত হচ্ছে গভীর সমুদ্রবন্দর। বাঁশখালীর ও মাতারবাড়িতে হচ্ছে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প এবং আনোয়ারা ও মিরসরাইয়ে হচ্ছে দুটি ‘স্পেশাল ইকোনমিক জোন। 

বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণশক্তি হলো কর্ণফুলী নদীপাড়ের চট্টগ্রাম বন্দর। দেশের বৃহত্তম এই বন্দর গড়ে উঠেছে প্রায় সাড়ে ৪০০ একর জমিতে। প্রতিবছর আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধি পাওয়ায় কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে হিমশিম খেতে হয় বন্দর কর্তৃপক্ষকে। তাই চট্টগ্রাম ইপিজেডের ঠিক পেছনেই আউটার রিং রোডসংলগ্ন সাগরপাড়ে প্রায় ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ জায়গায় বে-টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প নিয়েছে সরকার। এটি হবে গভীর সমুদ্রবন্দরের আদলে এক আধুনিক বন্দর। বে-টার্মিনাল বাস্তবায়িত হলে ১৪ মিটার ড্রাফটের বড় বড় জাহাজ ভিড়তে পারবে। চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ে ৫-৬ গুণ বড় হবে এই বে-টার্মিনাল। প্রকল্পটির প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ হাজার কোটি টাকা। বে-টার্মিনাল নির্মাণে ভূমি অধিগ্রহণ, নকশাসহ সবধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়ে শেষ হবে ২০২৫ সালে। ২০২৬ সালে টার্মিনালটির অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হবে। 

এদিকে পতেঙ্গা কনটইনার টার্মিনালেরও কাজ শেষ। বিদেশি অপারেটর নিয়োগ দিলেই শুরু হয় যাবে টার্মিনালটির কার্যক্রম। এ নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। ৩২ একর জায়গায় নির্মিতব্য টার্মিনালটি চালু হলে চার লাখেরও বেশি টিইইউএস কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি থাকবে তেলবাহী জাহাজ ভিড়ানোর সুবিধা। নির্মাণাধীন পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল বাস্তবায়ন হলে বন্দরের কার্যক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে, বাড়বে লজিস্টিক সক্ষমতা।

অর্থনীতিতে তৈরি পোশাক ও বস্ত্র শিল্পের অবদান বিশাল। এই শিল্পে শ্রমিক অধিকার, কর্মস্থলের নিরাপত্তা ও পরিবেশগত মানসহ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার ব্যাপারে সরকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। করোনার সময় সংকটে পড়েছিল পোশাক খাত। ওই সময় শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধের জন্য তিন কিস্তিতে ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা প্রণোদনার ব্যবস্থা করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা। রফতানি আয়ের ওপর ৫% ভাগ শুল্ক রেয়াত পাচ্ছে রফতানিকারকরা। ফলে এত সংকটসময় সময়ের মধ্যেও পোশাক খাত ঘুরে দাঁড়াবার শক্তি পেয়েছে। 

চট্টগ্রামের মিরসরাই, ফেনীর সোনাগাজী ও সীতাকুণ্ডের ৩০ হাজার একর জমি নিয়ে গড়ে ওঠা শিল্পনগরীর নামকরণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর। বন্দর জেটি সুবিধা, বিদ্যুৎকেন্দ্র, ট্যুরিজম পার্কসহ নানা সুযোগ-সুবিধা থাকছে এ মহাকর্মযজ্ঞে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে বিশেষভাবে গড়ে তোলা এ অর্থনৈতিক অঞ্চল আনুষ্ঠানিকভাবে গত ২০ নভেম্বর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রায় ৭ হাজার ৭১৬ একর জমিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১১ হাজার কোটি টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। 

চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম  বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামকে সত্যিকার অর্থে বাণিজ্যিক রাজধানী করার ঘোষণা দিয়েছেন। তাই চট্টগ্রামকে ঘিরে যেসব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে তা সময়মত সম্পন্ন করা হলে আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে এই অঞ্চলে যুগান্তকারী পরিবর্তন হবে যা এসডিজি অর্জন ও ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে সহায়ক হবে। 

বিজিএমইএ প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম  বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক উন্নয়নে সব সময় আন্তরিক। আমরা  ব্যবসায়ীরা সব সময় যে সমস্যা নিয়ে গেছি, তিনি সমাধান করে দিয়েছেন। চট্টগ্রামে এখন বিভিন্ন মেগাপ্রকল্পের কাজ চলছে। এগুলো আমাদের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করতে অনেক বেশি সহায়ক হবে। পাশাপাশি কর্মসংস্থানের বিশাল সুযোগ তৈরি হবে।

তাছাড়া সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে এগিয়ে চলছে বহদ্দারহাট বাড়ইপাড়া হতে চাক্তাই খাল খনন প্রকল্প। ওয়াসার মাধ্যমে বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলোর মধ্যে মদুনাঘাট পানি শোধনাগার, রাঙ্গুনিয়ায় শেখ রাসেল পানি শোধনাগার ও শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার অন্যতম। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় চট্টগ্রামে মেট্রো রেল প্রকল্পের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তাছাড়া চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর ই-গেট উদ্বোধন করা হয়েছে। ই-ভিসা চালু করার কথাও ভাবছে সরকার। পাশাপাশি চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ, ঢাকার সাথে চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের সীমান্তে যোগাযোগ সহজ করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে সরকার। 

রবিবার (৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের জনসভায় ভাষণ দেওয়ার পাশাপাশি ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন ও চারটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনও করবেন প্রধানমন্ত্রী। 

প্রকল্পগুলোর মধ্যে আছে—পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে তিনটি প্রকল্প। সেগুলো হলো— জেলার ফটিকছড়ি ও হাটহাজারী উপজেলায় হালদা নদী ও ধুরং খালের তীর সংরক্ষণ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প, সন্দ্বীপ উপজেলার ৭২নং পোল্ডারের ভাঙনপ্রবণ এলাকায় স্লোপ প্রতিরক্ষা কাজের মাধ্যমে পুনর্বাসন (১ম সংশোধিত) প্রকল্প ও বাঁশখালী উপজেলার ৬৪/১এ, ৬৪/১বি এবং ৬৪/১সি পোল্ডারের সমন্বয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অংশের স্থায়ী পুনর্বাসন প্রকল্প (২য় সংশোধিত), কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীনে সীতাকুণ্ড টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ফটিকছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং রাউজান টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ মোট ৩০ প্রকল্পর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। 

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন  বলেন, আমাদের নেত্রী  চট্টগ্রামে আসছেন। এটা আমাদের জন্য পরম আনন্দের। দীর্ঘদিন পর আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশ হচ্ছে পলোগ্রাউন্ডে। এখানে ভাষণ দেবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। তাই নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও উজ্জীবিত। আমরা মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সবাই মিলে এই আয়োজন করছি। এই সমাবেশে লাখ লাখ মানুষ ও নেতাকর্মীদের সমাগম হবে। 

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন। ফলে চট্টগ্রামে এতগুলো মেগাপ্রকল্পের কাজ হচ্ছে। এগুলো বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রাম আরো সম্বৃদ্ধ হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থাতর উন্নয়ন, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিসহ সব ধরনের উন্নয়নের কথা  ভাষণে প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরবেন।

প্রধানমন্ত্রী   জনসভা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অবশেষে ঢাকায় স্বস্তির বৃষ্টি

প্রকাশ: ০৯:০৯ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

একমাস তাপদাহের পর অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজেছে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা। বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর পুরান ঢাকার সদরঘাট, ইসলামপুর, সূত্রাপুর, রায় সাহেব বাজার, রায়েরবাগসহ একাধিক এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে।

এদিন সন্ধ্যা থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মেঘের দেখা মেলে। অবশেষে রাত ৯টার দিকে সদরঘাট, ইসলামপুর, সূত্রাপুর, রায় সাহেব বাজার, রায়েরবাগসহ একাধিক এলাকায় বিদ্যুতও চমকানোর সঙ্গে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর ক্রমে বাড়তে থাকে বৃষ্টির তীব্রতা। অবশ্য ১৫ মিনিট পর বৃষ্টি অনেকটা থেমেও যায়। কোথাও কোথাও বৃষ্টির সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়া। স্বস্তির বৃষ্টি দেখে অনেকেই উচ্ছ্বাসে ভিজতে নেমে যান। বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া বয়ে যাওয়ায় এসব এলাকায় শীতল অনুভব হচ্ছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পশ্চিত বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

স্বস্তির বৃষ্টি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এবার উপজেলায় ওবায়দুল কাদেরের ভাই-ভাগ্নের মনোনয়ন দাখিল

প্রকাশ: ১০:২৫ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে এবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও ভাগনে। ছোট ভাই শাহদাত হোসেন প্রার্থী হয়েছেন চেয়ারম্যান পদে। আর ভাগনে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু প্রার্থী হয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদে।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ৪র্থ ধাপের নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন বৃহস্পতিবার (২ মে) তারা মনোনয়ন দাখিল করেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন।

চেয়রাম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ গোলাম শরীফ চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, আমেরিকা প্রবাসী ওমর আলী। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাগ্নে বসুরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রশীদ মঞ্জু, মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী মামুন হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেন, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী পারভীন আক্তার, ফাতেমা বেগম, রেহানা আক্তার। 

এ উপজেলায় আওয়ামী লীগ ব্যতীত অন্যকোন রাজনৈতিক দলের কেউ প্রার্থী হয়নি।

৪র্থ ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ২ মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৫ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১২ মে, প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে। ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৯ মে।

উপজেলা নির্বাচন   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মুক্তি পাচ্ছেন মামুনুল হক

প্রকাশ: ১০:১৭ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বৃহস্পতিবার (২ মে) রাতেই মুক্তি পাচ্ছেন।

তিনি কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন এমন খবরে সেখানে হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়েছেন।

এর আগে গত ১১ মার্চ মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন হেফাজত নেতারা। ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন। 

বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান দাবি করেন, ‘মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।’

এদিকে, গত ২৪ এপ্রিল তিন মামলায় জামিন পান মামুনুল হক। এ বিষয়ে মামুনুল হকের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল বলেন, ২০১৩ সালের মতিঝিল থানার এক মামলায় ও ২০২১ সালের পল্টন থানার দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন মামুনুল হক। তার বিরুদ্ধে ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে একাধিক মামলা রয়েছে। ওইসব মামলায় জামিন পেলে তিনি কারামুক্ত হতে পারবেন।

এর আগে গত ৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় জামিন পান মামুনুল হক। এ ছাড়া গত ৫ ফেব্রুয়ারিতে আরও দুই মামলায় জামিন পান তিনি। তার আগে ২০২৩ সালের ৩ মে পাঁচ মামলায় হাইকোর্ট থেকে স্থায়ী জামিন পান মামুনুল হক। গণমাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে সব মিলিয়ে বর্তমানে অন্তত ১১টি মামলায় জামিনে আছে হেফাজতের এ নেতা।

হেফাজতে ইসলাম   মাওলানা মামুনুল হক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশে হচ্ছে উন্মুক্ত কারাগার

প্রকাশ: ০৯:৫৭ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশেও উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের কার্যক্রম শিগগিরই শুরু করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এদিন প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।

নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশে উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। মালয়েশিয়ার কমিউনিটি রিহ্যাবিলিটেশন প্রোগ্রামের (সিআরপি) আদলে এই উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের জন্য কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় ১৬০ একর জমি বন্দোবস্ত পাওয়া গেছে। সেখানে শিগগিরই উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করা হবে।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশে বর্তমান সরকারের বিগত তিন মেয়াদে ৮৩ হাজার ৫৭৭টি পদ বাড়ানো হয়েছে। স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এসব পদে জনবল নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে ও অভিযান পরিচালনার জন্য এবং বাংলাদেশ পুলিশকে ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তরের জন্য দুটি অত্যাধুনিক হ্যালিকপ্টার সংযোজনের কার্যক্রম চলমান আছে।

পুলিশ বাহিনীর আধুনিকায়নের বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশকে স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে বিভিন্ন ধরনের যুগোপযোগী আগ্নেয়াস্ত্র দেওয়া হচ্ছে। আগে ব্যবহৃত পয়েন্ট ৩০৩ রাইফেলের পরিবর্তে বর্তমানে ৭ পয়েন্ট ৬২ মিলিমিটার রাইফেল ব্যবহৃত হচ্ছে। সেই সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের ৭ পয়েন্ট ৬২ অথবা ৯ এমএম পিস্তল ছাড়াও ৯ এমএম এসএমজি, পয়েন্ট ৪৫ ইঞ্চি এসএমজি, ১২ বোর শটগান, ৩৮ মিলিমিটার টিয়ারগ্যাস, গ্যাস গান/লঞ্চারসহ প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ সরবরাহ করা হচ্ছে।

এ ছাড়া সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্তে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। ইতোমধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) অত্যাধুনিক অস্ত্র, যানবাহন, আকাশযান ও জলযান দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে।

উন্মুক্ত কারাগার   স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী   আসাদুজ্জামান খান কামাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বৃষ্টির আশায় ব্যাঙের বিয়ে

প্রকাশ: ০৮:০২ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

টানা খরতাপ থেকে স্বস্তি পেতে বৃষ্টির আশায় রাজশাহীতে ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১ মে) থেকে প্রতীকী এই বিয়ের আয়োজন করা হয় রাজশাহীর পবা উপজেলার ভুগরইল পশ্চিম আদিবাসীপাড়ায়। এ গ্রামের বাসিন্দারা সাঁওতাল। তবে খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারী। সাঁওতালি রীতিনীতি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্যাঙের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

গ্রামের একমাত্র চার্চের শিক্ষক অঞ্জলী বিশ্বাসসহ কয়েকজন ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করেন। এ জন্য বুধবার বিকেলে তারা গ্রামের এক শুকনো পুকুরপাড় থেকে একটি ছেলে ব্যাঙ ও একটি মেয়ে ব্যাঙ ধরে আনেন। তারপর সন্ধ্যায় গ্রামের চার্চে সাজানো ছাতনাতলায় বর ও কনের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠিত হয়।

এই বিয়েতে বরের নাম রাখা হয় শিমুল। আর কনের নাম মেঘলা বিশ্বাস। গায়ে হলুদের পর কনেকে রাখা হয়েছিল গ্রামের আলফন্স বিশ্বাসের বাড়িতে। বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রামের নারী ও শিশু-কিশোরীরা নেচে-গেয়ে নানা আনুষ্ঠানিকতা পালন করেন। এরপর সবাই লাইন ধরে গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠ নারীদের আশীর্বাদ নিয়ে বরযাত্রী হিসেবে বর নিয়ে রওনা দেয়। সঙ্গে যান বরের প্রতীকী বাবা সৈকত বিশ্বাস আর প্রতীকী মা ভাবনা বিশ্বাস নামের দুই শিশু।

আলফন্স বিশ্বাসের বাড়ি গেলে বরের বাবা-মায়ের পা ধুইয়ে দেওয়া হয় পানি দিয়ে। তারপর সবাই বাড়িতে কনের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। কনে সাজানো শেষ হলে অঞ্জলী বিশ্বাস পুরোহিত সেজে বর-কনের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। এরপর বর শিমুলের হাত দিয়ে কনে মেঘলার মাথায় সিঁদুর পরিয়ে দেওয়া হয়। খাওয়া-দাওয়ার পর শেষ হয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। পরে বর-কনেকে একটি পুকুরে ছেড়ে দেওয়া হয়।

বিয়ের আয়োজক অঞ্জলী বিশ্বাস বলেন, ‘টানা খরায় পথঘাট পুড়ে যাচ্ছে। সব ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। পশুপাখি ও অন্যান্য প্রাণি কষ্ট পাচ্ছে পানির অভাবে। আমরা বিশ্বাস করি ব্যাঙের বিয়ে দিলে বৃষ্টি হবে। তাই আমাদের সামাজিক রীতিনীতি অনুযায়ী দুই কোলা ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া হলো।’

বৃষ্টি   ব্যাঙের বিয়ে  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন