ইনসাইড গ্রাউন্ড

কোয়ার্টার ফাইনালের টিকেটের লড়াইয়ে মাঠে নামছে স্পেন ও মরক্কো

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail

একদিকে ৭ নম্বর ফিফা র‌্যাঙ্কিংধারী, একবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন (২০১০) এবং ‘লা রোজা’ খ্যাত স্পেন। অন্যদিকে ২২ নম্বর ফিফা র‌্যাঙ্কিংধারী, একবারের ফিফা আরব কাপ চ্যাম্পিয়ন (২০১২) এবং ‘দ্য এটলাস লায়ন্স’ খ্যাত মরক্কো। চলমান কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে ইউরোপ বনাম আফ্রিকার মধ্যে লড়াইয়ে জিতবে কে? সেটার নিষ্পত্তি হবে আজ মঙ্গলবার আল রাইয়ানের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় আর্জেন্টিনার রেফারি ফার্নান্দো রাপাল্লিনির বাঁশি বাজলেই শুরু হবে ম্যাচটি।

ই-গ্রুপের রানার্র্সআপ হিসেবে স্পেন উঠে এসেছে এবারের দ্বাবিংশতম আসরের নকআউট স্টেজে। নিজেদের প্রথম ম্যাচেই তারা কোস্টারিকাকে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত করে শুভসূচনা করে। দ্বিতীয় ম্যাচে তারা জার্মানির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে হোঁচট খায়। তৃতীয় ম্যাচে অবস্থা হয় আরও খারাপ। এবার জাপানের কাছে ১-২ গোলে হেরে অঘটনের শিকার হয়। ৩ ম্যাচে ১ জয়, ১ ড্র ও ১ হারে তাদের অর্জিত হয় ৪ পয়েন্ট।

সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট হয়ে যায় জার্মানিরও। কিন্তু গোলপার্থ্যকে এগিয়ে থাকায় (স্পেন +৬, জার্মানি +১) কপাল খুলে যায় স্পেনেরই। জার্মানিকে পয়েন্ট টেবিলের তিনে নামিয়ে তারা চলে যায় দুইয়ে। সেই সঙ্গে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে পৌঁছে যায় কাক্সিক্ষত দ্বিতীয় রাউন্ডে। পক্ষান্তরে এফ-গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে রাউন্ড অব সিক্সটিনে নাম লেখায় মরক্কো। নিজেদের প্রথম গ্রুপ ম্যাচে তারা গোলশূন্য ড্র করে গত আসরের রানার্সআপধারী ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে। দ্বিতীয় ম্যাচে গত আসরের তৃতীয় স্থান অধিকারী বেলজিয়ামকে ২-০ গোলে হারিয়ে দেয় অঘটন ঘটায়। তৃতীয় ম্যাচে কানাডাকে হারায় ২-১ গোলে। ৩ ম্যাচে ২ জয় ও ১ ড্রতে ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নাম লেখায় শেষ ১৬ তে। এবার আসা যাক দুদলের মুখোমুখি লড়াইয়ের প্রসঙ্গে।

এ পর্যন্ত উভয় দল তিনবার (১৯৬১-২০১৮) মুখোমুখি হয়েছে। দুবার জিতেছে স্পেন। মরক্কো জয়হীন। অপর ম্যাচটি ড্র হয়। বিশ্বকাপের মূলপর্বে দুদল এর আগে একবারই পরস্পরকে মোকাবিলা করেছে। ২০১৮ আসরে গ্রুপ পর্বের সেই ম্যাচে শেষ মুহূর্তে গোল করে মরক্কোর বিরুদ্ধে কোনোমতে হার এগিয়েছিল স্পেন (২-২)। আজ যে দলই জিতবে, তারাই বিশ্বকাপের হেড টু হেডের পরিসংখ্যানে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যাবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে স্পেনের চেয়ে ১৫ ধাপ পিছিয়ে থাকলেও মরক্কো কিন্তু আজ স্পেনকে হারানোর মতোই দল, এমনটাই মনে করছেন অনেক ফুটবলবোদ্ধা। যেখানে স্পেন গ্রুপ পর্বে এক ম্যাচ হেরে দ্বিতীয় পর্বে এসেছে, সেখানে গ্রুপ পর্বে কোন ম্যাচেই হারেনি মরক্কো। তাছাড়া আজকের ম্যাচে তারা আন্ডারডগ হিসেবেই নামবে বিধায় তাদের ওপর বাড়তি চাপ থাকবে না। বরং এই চাপটা বেশি থাকবে স্পেনের ওপরেই।

আজ স্পেন জিতলে তারা ষষ্ঠবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে উঠবে। এর আগে তারা শেষ আটে খেলেছে ১৯৩৪, ১৯৮৬, ১৯৯৪, ২০০২ ও ২০১০ সালে (১৯৫০ আসরে চতুর্থ হলেও সেবার খেলা হয়েছিল লিগ পদ্ধতিতে)। তার মানে আজ জিতলে স্প্যানিশরা শেষ আটের খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে পাক্কা এক যুগ পর!

আজ মরক্কো জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলে তারা নিশ্চিতভাবেই ইতিহাস পড়বে। কেননা এর আগে কখনই তারা শেষ আটে উঠতে পারেনি। এবার তারা দ্বিতীয়বারের মতো শেষ ১৬ তে ওঠে ৩৬ বছর পর (১৯৮৬ সালের পর)। যদি তারা কোয়ার্টারে ওঠে, তাহলে ক্যামেরুন এবং সেনেগালের পর তৃতীয় আফ্রিকান দল হিসেবে এই কৃতিত্ব অর্জন করতে পারবে তারা।

স্পেন ২০১৮ বিশ্বকাপে শেষ ১৬ তে বাদ পড়েছিল। কিন্তু কোচ লুইস এনরিকে পেছনের ইতিহাস নিয়ে ভাবতে নারাজ। তিনি আজকের ম্যাচে জয়ের কথাই ভাবছেন। মরক্কো কোচ ওয়ালিদ রেগ্রাগুই-ও জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।

মরক্কোর এক নম্বর গোলরক্ষক ইয়াসিন বুনু বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে জয়ের ঠিক আগে অসুস্থ বোধ করেছিলেন এবং শেষ সেকেন্ডে মাঠ ছেড়েছিলেন। তবে কানাডার বিরুদ্ধে পুরো ৯০ মিনিট খেলেছেন। আজ তাকেই গোলপোস্টের নিচে দেখা যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ডিফেন্ডার আচরাফ হাকিমির গোড়ালির চোট কাটিয়ে আজ খেলার সম্ভাবনা আছে। ফরোয়ার্ড হাকিম জিয়েচ, মিডফিল্ডার সোফিয়ান আমরাবাত এবং ফরোয়ার্ড সোফিয়ান বুফাল... এই ত্রয়ীকে বিগত ম্যাচগুলোতে বিশ্রামে রাখা হয়েছিল। আজ তাদের একাদশে নামিয়ে তাদের ওপর ভরসা করবেন কোচ রেগ্রাগুই।

স্পেনের সর্বশেষ ট্রেনিং সেশনে দানি ওলমো, ডেভিড রায়া এবং সিজার আজপিলিকুয়েটাকে দেখা যায়নি। আজপিলিকুয়েটা জাপানের বিপক্ষে হাফ টাইমে নেমেছিলেন। তার অবশ্য কিঞ্চিৎ চোট-সমস্যা আছে। তবে ফেরাস টোরেস এবং জর্ডি এলবা প্রথম একাদশে ফিরে আসার কথা। এনরিকের আজকের মূল ভরসা আলভারো মোরাতা। তিনি স্পেনের হয়ে তার শেষ চারটি খেলাতেই গোল করেছেন, এবং চলমান আসরে ৬টি শটের চেষ্টা থেকে ৩টি গোল করেছেন।

স্পেনের জন্য প্লাস পয়েন্ট হলো তারা কখনো মরক্কোর বিরুদ্ধে কোনো অফিসিয়লি ম্যাচ হারেনি। আফ্রিকান দলের বিরুদ্ধে তাদের প্রথম দুটি জয় ১৯৬১ সালে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে এসেছিল। স্পেন এই প্রথমবারের মতো ফিফা বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে একটি আফ্রিকান দলের মুখোমুখি হতে চলেছে। যদিও তারা গ্রুপ পর্বে এই মহাদেশের দলের বিরুদ্ধে তাদের পাঁচটি খেলায় অপরাজিত।


কাতার বিশ্বকাপ   কোয়ার্টার ফাইনাল   মরক্কো   স্পেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

২০২৩-২৪ মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় ফোডেন

প্রকাশ: ০৭:৩২ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ২০২৩-২৪ মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির ফিল ফোডেন। রোববার মৌসুমের শেষ দিনে ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে জিতলেই প্রথম দল হিসেবে টানা চতুর্থবার প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হবে ম্যানসিটি। এই যাত্রায় দুর্দান্ত পারফর্ম করে দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে আছেন ফোডেন।

২০২৩-২৪ আসরে সেরা খেলোয়াড় হিসেবে ফোডেনের নাম শনিবার (১৮ মে) ঘোষণা করেছে প্রিমিয়ার লিগ। সেরা হওয়ার পথে ফোডেন পেছনে ফেলেছেন ম্যানচেস্টার সিটি সতীর্থ আর্লিং হাল্যান্ড, নিউক্যাসলের আলেক্সান্দার ইসাক, আর্সেনালের মার্টিন ওডেগার্ড ও ডেকলান রাইস, চেলসির কোল পালমার, লিভারপুলের ভার্জিল ফন ডাইক ও অ্যাস্টন ভিলার ওলি ওয়াটকিন্সকে।

চলতি মৌসুমে পেপ গার্দিওলার আস্থাতেই ছিলেন ফোডেন। আস্থার প্রতিদানও দিয়েছেন। ৩৪ ম্যাচে সিটির জার্সিতে নেমে ২৫ গোলে সরাসরি অবদান রেখেছেন। নিজে গোল করেছেন ১৭টি, সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ৮টি। মনোমুগ্ধকর পারফরম্যান্সে চলতি মাসে দ্বিতীয়বার সেরার স্বীকৃতি পেলেন ফোডেন। মাসের শুরুতে ইংল্যান্ডের ফুটবল লেখক সমিতির বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার।

প্রিমিয়ার লিগের মৌসুম সেরার স্বীকৃতি পেয়ে গর্বিত ফোডেন। তিনি বলেন, এই পুরস্কার আমার কাছে এমন এক অর্জন, যা নিয়ে আমি খুবই গর্বিত। প্রিমিয়ার লিগ বিশ্বের সেরা লিগ হিসেবে সমাদৃত। অনেক দুর্দান্ত খেলোয়াড়ের সঙ্গে মনোনীত হতে পেরে আমি আনন্দিত। সব মিলিয়ে এই মৌসুমে আমি যেভাবে খেলেছি, তাতে খুব খুশি এবং এটা ভেবে খুব আনন্দিত যে মৌসুমজুড়ে গোল করা ও গোলে সহায়তায় অবদান রাখতে পেরেছি। আমি সিটির সব স্টাফ, কোচ এবং বিশেষ করে আমার সতীর্থদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কারণ, তাদের ছাড়া এটা সম্ভব হতো না। যারা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন, তাদেরও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

প্রিমিয়ার লিগের মৌসুম সেরার পুরস্কার এনিয়ে টানা পঞ্চমবার জিতলো সিটির খেলোয়াড়রা। ফোডেনের আগে একবার করে রুবেন দিয়াস ও আর্লিং হাল্যান্ড এবং ডি ব্রুইনে জিতেছেন দুইবার।


ফিল ফোডেন   ম্যানচেস্টার সিটি   ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

শিরোপার লড়াইয়ের মীমাংসায় মাঠে নামছে ম্যানসিটি ও আর্সেনাল

প্রকাশ: ০৬:২৭ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রিমিয়ার লিগ শেষ মুহূর্তে এসে জমে উঠলেও শিরোপার সমীকরণ এখনও মেলাতে পারেনি ম্যানচেস্টার সিটি ও আর্সেনাল। একে অপরকে রীতিমতো টেক্কা দিয়েই চলেছে এই দুই ক্লাব। যদিও গানারদের চেয়ে দুই পয়েন্ট এগিয়েই আছে সিটিজেনরা।

তবে আজ রাতেই এই লড়াইয়ের মীমাংসা হয়ে যাবে। শিরোপার লড়াইয়ে রাতে আলাদা আলাদা ম্যাচে মাঠে নামবে আর্সেনাল ও ম্যানচেস্টার সিটি। আজ (রোববার) রাত ৯টায় ওয়েস্ট হামের বিপক্ষে মাঠে নামবে ম্যানচেস্টার সিটি। আর অন্য ম্যাচে এভারটনকে চ্যালেঞ্জ জানাবে আর্সেনাল।

লিগে এখন ৩৭ ম্যাচে ৮৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার শীর্ষে ম্যানসিটি। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৮৬ পয়েন্ট আর্সেনালের। ৭৯ পয়েন্টের অধিকারী লিভারপুল শিরোপার দৌড় থেকে ছিটকে গেছে আগেই।

প্রায় দুই দশক পর লিগ শিরোপার স্বাদ নিতে এভারটনের বিপক্ষে আর্সেনালের জিততেই হবে, পাশাপাশি ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে হারতে হবে ম্যানচেস্টার সিটিকে। সে তুলনায় ম্যানসিটির সমীকরণটা সহজ, ৩৮তম ম্যাচে জিতলেই আর কিছুর হিসাব মেলাতে হবে না গার্দিওলার শিষ্যদের।

এদিকে চ্যাম্পিয়ন যেই হোক, কত টাকা পাবে তারা? রানার্সআপদের জন্যই বা বরাদ্দ কত? মার্কার এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চ্যাম্পিয়নরা পাবে ৫৭ মিলিয়ন ইউরো, টাকার হিসাবে যা প্রায় ৭২৩ কোটি।

অপরদিকে আর্সেনাল যদি হোঁচট খায়, তবে তারা পাবে ৫২ মিলিয়ন ইউরো। লিভারপুল এরই মধ্যে তৃতীয় স্থান নিশ্চিত করে ফেলেছে। তারা পাবে ৫০ মিলিয়ন ইউরো। চতুর্থ স্থানে থাকা অ্যাস্টন ভিলা পাবে ৪৭ মিলিয়ন ইউরো।


ম্যানচেস্টার সিটি   আর্সেনাল   প্রিমিয়ার লিগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফিরল মেসি, জিতল মায়ামি

প্রকাশ: ০৫:২১ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত ম্যাচে চোটের কারণে দলের সাথে ছিলেন না লিও মেসি। যার জন্য হেরেছিল তার দল। তবে পরের ম্যাচে যেমনি তিনি দলে ফিরলেন তেমনই জিতল ফ্লোরিডার ক্লাবটি। যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের ১৪ তম ম্যাচডে তে ডিসি ইউনাইটেডের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছে মেসির দল।

রোববার (১৯ মে) সকাল সাড়ে ৮টায় (বাংলাদেশ সময়) নিজেদের মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে ডিসি ইউনাইটেডকে আতিথ্য দেয় মায়ামি। ইস্টার্ন কনফারেন্স স্লটের এই ম্যাচ জিতে টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে মেসি-সুয়ারেজরা।

ম্যাচের শুরু থেকেই দলগতভাবে ইন্টার মায়ামি দাপট দেখালেও জালে বল পাঠাতে পারছিলেন না কেউই। একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল ম্যাচটা হয়তো গোলশূন্য ড্রয়েই শেষ হবে। তবে নির্ধারিত সময়ের শেষে যোগ করা অতিরিক্ত সময়ের চতুর্থ মিনিটে গোল করে চমক দেখান কাম্পানা। মাঝমাঠ থেকে বুসকেতসের বাড়ানো বলকে দুর্দান্ত ভলিতে জালে জড়ান ইকুয়েডরিয়ান এ ফরোয়ার্ড।

উল্লেখ্য, লিগে ১৫ ম্যাচে ৯ জয় ৪ ড্র ও ২ হারে মায়ামির পয়েন্ট ৩১। এক ম্যাচ কম খেলা সিনসিনাটির পয়েন্ট ৩০। মায়ামির পরবর্তী ম্যাচ আগামী রোববার (২৬ মে) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায়। সেই ম্যাচে ভ্যাঙ্কুভারের বিপক্ষে মাঠে নামবে মেসিরা।


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   ইন্টার মায়ামি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মে রোহিতের মত কোহলিরও ‘না’

প্রকাশ: ০৪:৪৭ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ম্যাচের মাঝে যেকোনো সময় একজন ক্রিকেটারকে বদলে ফেলতে পারবে দু’টি দল। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের গত আসর থেকে শুরু হয়েছে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ নামে এই নিয়ম। এই নিয়ম আসার পর আইপিএলে বদলেছে অনেক কিছুই। যেমন- এখন আর প্রথম একাদশ বেছে নিলেই হয় না। বেছে নিতে হয় একজন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারকেও। তাই এখন ১১ জন নয়, বরং ১২ জনের খেলা হয়ে গেছে। যেদিন থেকে আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম এসেছে, সেদিন থেকে অলরাউন্ডারের প্রয়োজন কমে যাবে কি না সবার মনে এই একটাই প্রশ্ন ছিলো।

তবে এখন  প্রশ্ন উঠছে ভারতীয় দলে এই নিয়মের কোন প্রভাব পড়ছে কি না, সেই নিয়ম কি বিপদে ফেলছে ভারতীয় দলকেই, নাকি হচ্ছে সুবিধা? আইপিএলের এই নিয়মটা পছন্দ না ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মার। সম্প্রতি রোহিত ক্লাব ফ্রেইরে পডকাস্টে বলেছিলেন তার ভাবনার কথা। এবার রোহিতের সঙ্গেই ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার ইস্যুতে নিজের সুর মিলিয়েছেন ভিরাট কোহলি।

কোহলি বলেন, চার-ছক্কা হলেই ম্যাচ জমে না। ব্যাটসম্যান ও বোলারের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জায়গা থাকলেই ক্রিকেট হয়ে ওঠে আনন্দদায়ক। জিও সিনেমায় দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন ভিরাট। রোহিতের কথায় সমর্থন জানিয়ে কোহলি বলেন, আমি রোহিতের সঙ্গে একমত। খেলার একটা দিক হচ্ছে বিনোদন, কিন্তু সেটা করতে গিয়ে কোনো সমতা থাকছে না। এ অবস্থায় বোলারদের খারাপ লাগারই কথা। আমি আগে কখনো এমন পরিস্থিতি দেখিনি, যেখানে একজন বোলারকে প্রতিটি বলে চার বা ছয় হজমের কথা ভাবতে হচ্ছে। সব দলে তো আর বুমরাহ কিংবা রশিদ খান নেই।

কোহলি আরও বলেন, একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে নিয়মটা আমি ভালো বলতে পারি। কিন্তু ম্যাচ তো জমজমাট হতে হবে। ক্রিকেটে চার-ছক্কা হলেই যে ম্যাচ জমে ব্যাপারটা এমন না। ১৬০ রান ডিফেন্ড করতে পারলেও কিন্তু ম্যাচ জমে, সেখানেও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আবহ দর্শকরা উপভোগ করতে পারে।

উল্লেখ্য, ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়মে আছে, কোনো খেলোয়াড় আউট হয়ে গেলে তার পরিবর্তে নামা কেউ ব্যাট করতে পারবেন। তবে ১১ জনের বেশি ব্যাট করতে পারবেন না। আবার বোলিংয়ের ক্ষেত্রেও যদি কোনো প্লেয়ারের কোটা শেষ হয়ে যায়, তাহলে বদলি হিসেবে নামা একজন পূর্ণ ৪ ওভার বল করতে পারবেন। মূলত, এই সিস্টেমে ক্রিকেটে অলরাউন্ডারদের ভূমিকা কমছে। সুবিধামত সময়ে অতিরিক্ত একজন পূর্ণ ব্যাটার কিংবা বোলার ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন অধিনায়করা।


ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার   আইপিএল   রোহিত শর্মা   ভিরাট কোহলি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

একবছরেই অনুষ্ঠিত হবে দুই বিপিএল!

প্রকাশ: ০৪:০৪ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ঘরোয়া আসর হচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। প্রতিবারই বেশ জাকজমকপূর্ণভাবে আয়োজন করা হয় ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই টুর্নামেন্টটির। শুধু তাই নয়, নানা জটিলতা ও নানা কারণে প্রতি আসরেই টুর্নামেন্টটির সময়-সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়।

২০২৪ সালে জাতীয় নির্বাচনের কারণে বিপিএল পিছিয়ে শুরু হয়েছিল ১৯ জানুয়ারি। টুর্নামেন্টটির আগামী আসর শুরু হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ ঠিক হয়ে আছে ২০২৫ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। তবে এবারও পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে পূর্বে নির্ধারিত তারিখে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কারণে ২০২৫ সালের বিপিএলের সময় এগিয়ে আনতে হতে পারে। এতে বিপিএলের একাদশ আসর মাঠে গড়াতে পারে চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে। যদি তাই হয় তবে এক বছরে দুইবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে টুর্নামেন্টটি।

অবশ্য এর জন্য আয়োজক কমিটি দায়ী নয়। ২০২৫ সালের শুরুতেই হতে যাচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। জানা গেছে, আগামী বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ মার্চ আইসিসির এই ওয়ানডে টুর্নামেন্টের সময় ঠিক হয়ে আছে। ৫০ ওভারের ক্রিকেটের প্রস্তুতির জন্য হলেও বাংলাদেশ দলের কিছুটা সময় প্রয়োজন হবে।

এ কারণে ২৫ ডিসেম্বর থেকে টুর্নামেন্ট শুরুর সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করতে পারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। জাতীয় দলের আন্তর্জাতিক সূচির সঙ্গে সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী।

সাত দলের বিপিএল ডাবল লিগ ভিত্তিতে ৪৪টি ম্যাচ খেলা হয়। টুর্নামেন্ট শেষ করতে সময় লাগে ৪০ দিনেরও বেশি। একাদশ আসর ২০২৫ সালের জানুয়ারির প্রথম দিন থেকে শুরু হলে শেষ হবে ১০ ফেব্রুয়ারি। সে ক্ষেত্রে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ওয়ানডে প্রস্তুতি নেয়ার সময় থাকবে না।

এ অবস্থায় টুর্নামেন্ট শেষ করেই পাকিস্তানের বিমান ধরতে হবে। ৫০ ওভারের ম্যাচের প্রস্তুতি নেয়ারও সুযোগ পাবে না খুব একটা। এই বিষয়ে বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতির সময় ধরে আমরা বিপিএল স্লট ঠিক করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ জন্য ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তারা কবে থেকে অনুশীলন শুরু করতে চায়। আমার মনে হয় না যে স্লট দেওয়া আছে, সেখানে খুব একটা পরিবর্তন করতে হবে। এক-দুই দিন এদিক-ওদিক করতে হতে পারে।’

ডিসেম্বরের শেষদিকে বিপিএলের একাদশ আসর শুরু হলে আসরকে বিদেশি ক্রিকেটারের জন্য তিনটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট- আরব আমিরাতের আইএল, দক্ষিণ আফ্রিকার এসএটি২০ ও বিগ ব্যাশের সঙ্গে পাল্লা দিতে হবে।


বিপিএল   বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন