ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে কিশিশে শহরে গণহত্যা চালানো হয়েছে।
অন্তত ২৭২ জনকে হত্যা করেছে বিদ্রোহীরা। সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সরকারের পক্ষ থেকে এ তথ্য
নিশ্চিত করা হয়েছে। খবর আল জাজিরা।
গত ২৯ নভেম্বর ওই গণহত্যার ঘটনা ঘটে বলে জানানো হয় প্রতিবেদনে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার
(১ ডিসেম্বর) কঙ্গোর সশস্ত্র বাহিনী জানায়, এম২৩ বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও তাদের সহযোগীরা
এ গণহত্যা চালিয়েছে। তবে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি এই অভিযোগ অস্বীকার করে।
সরকারের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে বলা হয়, কমপক্ষে ৫০ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা
করা হয়েছে। তবে সোমবার (৫ ডিসেম্বর) শিল্পমন্ত্রী জুলিয়েন পালুকু এক সংবাদ সম্মেলনে
জানান, কিশিশে গণহত্যায় ২৭২ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে বহু শিশু ও নারী রয়েছে।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করে কঙ্গো সরকার যা শনিবার
(৩ ডিসেম্বর) থেকে পালন শুরু হয়। মধ্য-আফ্রিকার দেশটির পূর্বাঞ্চলে কয়েক মাস ধরে সেনাবাহিনী
ও জাতিগত তুতসি গোষ্ঠীর নেতৃত্বাধীন মিলিশিয়া বাহিনী এম২৩-এর মধ্যে লড়াই চলছে। এতে
ওই এলাকাটি চরম অস্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে।
গোষ্ঠীটি বহু বছর নিষ্ক্রিয় ছিল। তবে গত বছরের নভেম্বরে তারা আবারও সশস্ত্র তৎপরতা
শুরু করে। চলতি বছরের জুনে তারা উগান্ডার সীমান্তবর্তী বুনাগানা শহর দখল করে নেয়।
অল্প সময় শান্ত থাকার পর গোষ্ঠীটি অক্টোবরে আবারও আক্রমণ শুরু করে, ব্যাপক অঞ্চলে
নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে থাকে।
সরকার বলছে, তাদের ক্ষুদ্র প্রতিবেশী রুয়ান্ডা এম-২৩ গোষ্ঠিকে সমর্থন করছে।
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারাও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এমনই ইঙ্গিত
করেছেন। তবে কিগালি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
মন্তব্য করুন
ভূমিকম্প রমজান রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান
মন্তব্য করুন
‘মোদী’ পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে দু’বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত রাহুল গান্ধীর সংসদ সদস্য পদ বাতিল করলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। শুক্রবার (২৪ মার্চ) দুপুরে রাহুলকে অযোগ্য ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে লোকসভা সচিবালয়। খবর এনডিটিভির।
মোদী পদবি তুলে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) গুজরাটে সুরাট জেলা আদালত রাহুলকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়। তারই ভিত্তিতে ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ ও জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুলের সংসদ সদস্য পদ বাতিল করা হলো।
মানহানির মামলায় দুই বছরের কারাদণ্ডের রায় ঘোষণার মাত্র একদিনের মাথায় কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধীকে লোকসভায় অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে তাঁর ভারতীয় লোকসভার সদস্য পদ খারিজ হয়ে গেল। এর আগে সকালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য লোকসভায় যান রাহুল গান্ধী। এ সময় লোকসভার অধিবেশনে ব্যাপক হট্টগোল হয়। বিক্ষোভ-প্রতিবাদের জেরে দুপুর পর্যন্ত লোকসভার অধিবেশন মুলতবি করা হয়। এর পর রাহুল চলে যান। কেরালার ওয়েনাড লোকসভা আসনের সদস্য রাহুল।
রাহুলকে লোকসভায় অযোগ্য ঘোষণার পর জরুরি বৈঠক ডেকেছে তাঁর দল কংগ্রেস। এই বৈঠকে কংগ্রেসের স্টিয়ারিং কমিটি, সব রাজ্যের কংগ্রেসের সভাপতিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের দিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দপ্তরে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। বৈঠকে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবে দলটি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে মানহানির মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার গুজরাটের সুরাটের একটি আদালতে ৫২ বছর বয়সী রাহুল দোষী সাব্যস্ত হন। তাঁকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। তবে আদালত রাহুলকে ৩০ দিনের জামিন এবং আপিল করার সুযোগ দিয়েছেন।
জানা গেছে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কর্নাটকে প্রচারে গিয়ে রাহুল প্রশ্ন তুলেছিলেন, সব চোরদের পদবি ‘মোদী’ হয় কেন? আইপিএল কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ললিত মোদী, ব্যাংক-ঋণ মামলায় ‘পলাতক’ নীরব মোদীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তুলনা টেনেছিলেন তিনি। ওই ঘটনায় রাহুলের বিরুদ্ধে ‘পদবি অবমাননার’ অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৯ এবং ৫০০ ধারায় গুজরাটে মানহানির মামলা করেছিলেন বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদী। সেই মামলাতেই দোষী সাব্যস্ত হন রাহুল গান্ধী।
নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে এমন মন্তব্যের পর রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন বিজেপির বিধায়ক ও গুজরাটের সাবেক মন্ত্রী পুর্নেশ মোদি। সাজা পাওয়ার পর রাহুলের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে।
উল্লেখ্য, ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ২০১৩ সালে এক মামলার রায়ে বলেছিলেন, কোনো মামলায় কোনো সংসদ সদস্য, বিধায়ক বা বিধান পরিষদের সদস্যের দুই বছর বা তার বেশি সাজা হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সদস্যপদ সঙ্গে সঙ্গে খারিজ হয়ে যাবে। ভারতের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ১৯৫১-এর ৮ (৩) ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো সংসদ সদস্য কোনো অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হন, আর কমপক্ষে দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত হন, তাহলে তাঁর পদ খারিজ হবে।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত রাহুল গান্ধী সংসদ সদস্য পদ বাতিল
মন্তব্য করুন
ভারতে বিতর্ক উঠেছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে। ইভিএমে কারচুপি সম্ভব বলে দেশটির বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। এ নিয়ে নির্বাচন
কমিশনের লিখিত ব্যাখ্যার দাবি তুলেছেন তারা। অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন বিজেপির বক্তব্য, পরাজয়ের ভয়েই এই তৎপরতা বিরোধীদের।
লোকসভা ভোটের আগে ইভিএম প্রশ্নে সংশয় দূর করতে বৃহস্পতিবার নিজ বাসভবনে বিরোধীদের বৈঠক ডেকেছিলেন ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি তথা এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার।
বৈঠক শেষে প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল বলেন, “পৃথিবীতে এমন কোনও যন্ত্র নেই, যাতে কারচুপি করা সম্ভব নয়। তাই ইভিএম সংক্রান্ত সংশয়গুলোর লিখিত জবাব নির্বাচন কমিশনের কাছে চাইব।”
কমিশনের দাবি, প্রায় এক দশক আগে
সুপ্রিম কোর্টে তারা জানিয়ে দিয়েছিল, ইভিএমে বাইরে থেকে কোনও প্রযুক্তি ব্যবহার করে (ইন্টারনেট, ব্লুটুথ) কারচুপি অসম্ভব।
তারপরেও কেন সংশয়, সেই প্রশ্নে বৈঠকে উপস্থিত সিপিএম নেতা নীলোৎপল বসু বলেন, “প্রথমে বলা হয়েছিল ইভিএম কীভাবে কাজ করবে, তা একবারই ঠিক
করা (প্রোগ্রামিং) যাবে। কিন্তু পরে কমিশন জানায়, সেটি একাধিকবার করা সম্ভব। ফলে প্রশ্ন উঠেছে।”
ইভিএমের গণনা মেলাতে সম্প্রতি তার সঙ্গে কাগজের স্লিপ-তথা ভোটার ভেরিফায়েড পেপার অডিট ট্রায়াল (ভিভিপ্যাট) এর ব্যবহারও শুরু
হয়েছে। কিন্তু তা নিয়েও প্রশ্ন
আছে বিরোধীদের।
কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং বলেন, “প্রথমে বলা হয়েছিল, ইভিএম একটি স্বতন্ত্র মেশিন। ভিভিপ্যাট জুড়ে দেওয়ায় সেটি আর স্বতন্ত্র মেশিন
রইল না। ফলে এমন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে যে, ভিভিপ্যাটের মাধ্যমে মূল ইভিএমে কারচুপি সম্ভব। তাছাড়া বলা হচ্ছে, যন্ত্রে প্রার্থীর নাম ও চিহ্ন প্রবেশ
করানো হয় ইন্টারনেটের মাধ্যমে।”
বিরোধীদের মতে, এমন পরস্পর-বিরোধী তথ্যের ফলেই সংশয় দেখা দিয়েছে। তাই কমিশনের লিখিত ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, বিজেপির রাজ্যসভার সংসদ সদস্য অনিল বলুনী এই প্রসঙ্গে বলেন, “পরাজয় নিশ্চিত বুঝেই এখন থেকে অজুহাত তৈরি শুরু করেছেন বিরোধীরা। তারা জিতলে ইভিএমে সমস্যা থাকে না। হারলেই ইভিএমের দোষ!”
মন্তব্য করুন
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব কেবল তাপমাত্রা ও জলবায়ুতে নয়,
নদীর উপরেও পড়ছে। হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলের নদীগুলি যেমন, সিন্ধু, গঙ্গা ও
ব্রহ্মপুত্র নদীর
জলের প্রবাহ ক্রমশ কমছে। আর এর কারণ
বিশ্ব উষ্ণায়ন। এমনই সতর্কবার্তা দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
বিশ্বের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘর মহাসচিব বলেন, “জীবনযাপনের জন্য হিমবাহগুলি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে পৃথিবীর ১০ শতাংশ হিমবাহ রয়েছে। কিন্তু, বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে সেগুলি ক্রমশ গলে যাচ্ছে।” ফলে গোটা বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
জানা গিয়েছে, প্রতি বছর আন্টার্কটিকায় ১৫ বিলিয়ন টন বরফ গলছে। গ্রিনল্যান্ডে ২৭ বিলিয়ন টন গলছে। এরপর বিশ্বের সবচেয়ে বেশি হিমবাহ রয়েছে হিমালয়ে। সেগুলিও দ্রুত গলতে শুরু করেছে। যার প্রভাব পড়ছে ওই সমস্ত হিমবাহ থেকে সৃষ্ট সিন্ধু, গঙ্গা,ব্রহ্মপুত্রের মতো নদীগুলিতে।
আরও বিশদে বলতে গেলে, এশিয়ার ১০টি বড় নদীর উৎপত্তি হিমালয়ের হিমবাহ থেকে। আর ওই সমস্ত নদীর জল পান করে জীবনধারণ করেন ১৩০ কোটি মানুষ। ফলে এই সমস্ত নদীগুলির জলের প্রবাহ কমলে স্বাভাবিকভাবেই জীবনযাত্রার উপর যে বড় প্রভাব পড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “হিমবাহ এবং বরফের স্তর আগামী কয়েক দশক ধরে এভাবে হ্রাস পেতে থাকলে সিন্ধু, গঙ্গা এবং ব্রহ্মপুত্রের মতো হিমালয় অঞ্চলের প্রধান নদীগুলির উপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে।” এপ্রসঙ্গে পাকিস্তানে কীভাবে হিমালয় গলে বন্যার অবস্থা হয়েছে, তারও উল্লেখ করেন গুতেরেস।
গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্রের জলের প্রবাহ কমলে পাকিস্তানের মতো বন্যা পরিস্থিতি ভারতের হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলেও হতে পারে এবং কেদারনাথ বিপর্যয়ের মতো ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। তাই পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশ্বের সমস্ত দেশকে গ্লোবাল ওয়ার্মিং ঠেকাতে বিশেষ পদক্ষের করতে হবে বলেও জানান গুত্তেরস।
মন্তব্য করুন
চীনকে নিয়ে চিন্তা বেড়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ)। বিশেষ করে
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের রাশিয়ার
রাজধানী মস্কো সফরের পর। ইউক্রেনে যুদ্ধ করার জন্য চীন রাশিয়াকে অস্ত্র দিতে পারে, এমনটিও মনে করছে ইইউ।
লিথুয়ানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্যান্ডসবার্গিস বলেছেন, ‘শি জিনপিং যদি একজন ঘোষিত যুদ্ধাপরাধীর সঙ্গে বন্ধুত্ব বাড়ান, তাহলে আমাদেরও চীনকে নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে।’
গত সপ্তাহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে যুদ্ধাপরাধী ঘোষণা করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট। এরপর মস্কো সফরে গিয়ে পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন শি জিনপিং।
লিথুয়ানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মনে করছেন, চীনের সঙ্গে দ্রুত সম্পর্কচ্ছেদ করতে হবে। যত তাড়াতাড়ি এটা করা হয়, ততই ভালো।
তবে ইইউয়ের সব সদস্য দেশ এরকম চরম পদক্ষেপ নেওয়ার পক্ষে নয়। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ইইউয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, গত কয়েকবছরে শি জিনপিং ও ভ্লাদিমির পুতিন অন্তত ৪০ বার বৈঠক করেছেন। ফলে এখন শি জিনপিং রাশিয়া গিয়ে পুতিনের পাশে থাকার বার্তা দেবেন সেটাই স্বাভাবিক।
ইইউয়ের দেশগুলোর সাধারণ মনোভাব হলো, চীন এখন রাশিয়ার দুর্বলতার সুযোগ নিতে চাইছে। চীন-সহ বিশ্বের কয়েকটি দেশ এখনও ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণকে আগ্রাসন বলেনি। জাতিসংঘে চীন রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রস্তাবে ভোট দেয়নি। তারা রাশিয়ার প্রচারমূলক কথারই পুনরাবৃত্তি করেছে।
প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে চীনের সম্পর্কে কোনও সীমারেখা থাকবে না। এমনিতেই ইইউয়ের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক আগের তুলনায় খারাপ। রাশিয়ার কারণে তা আরও খারাপ হয়েছে।
বেশ কয়েকটি ইইউ দেশ মনে করছে, চীন এবার রাশিয়াকে অস্ত্র বিক্রি করতে পারে। ইইউয়ের সেক্রেটারি জেনারেল স্টলটেনবার্গ জানিয়েছেন, চীন যে রাশিয়াকে অস্ত্র বিক্রি করতে চায়, এমন কোনও প্রমাণ তার কাছে নেই।
চীন বিশেষজ্ঞ স্টেক বলেছেন, ‘চীন এখন রাশিয়ার সঙ্গে আর্থিক কার্যকলাপ পুরোপুরি বজায় রেখেছে। রাশিয়া যে ইউক্রেনে যুদ্ধ করছে, তাকেও সমর্থন করেছে চীন। তারা রাশিয়াকে যে টায়ার, পোশাক ও অন্য জিনিস দিচ্ছে, তা রাশিয়ার সেনা ব্যবহার করতে পারে, কিন্তু এখনও তারা কোনও অস্ত্র রাশিয়াকে দেয়নি।’
স্টেকের মতে, ‘তাইওয়ান নিয়ে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। উইঘুর নিয়ে ইইউয়ের সঙ্গেও তাদের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। ফলে চীনও চাপে আছে। ইইউ চীনের ওপর কিছু বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছে। তবে ইইউ আরও ব্যবস্থা নিলে তাদের অর্থনীতিতে চাপ বাড়বে।’
অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের ডাকে ইইউ এখনও সাড়া দেয়নি। প্রেসিডেন্ট বাইডেন চাইছেন, চীনকে কোণঠাসা করতে ইইউ এবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হাত মেলাক। কিন্তু ইইউ এখনও সেটি থেকে বিরত রয়েছে। ইইউয়ের দেশগুলোর মধ্য়ে চীনের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য করে জার্মানি। তারা ও ইইউয়ের অন্য বেশ কয়েকটি দেশ চীনের লাভজনক বাজার থেকে চলে আসতে রাজি নয়।
তবে দুই পক্ষের মধ্যে সন্দেহ আছে, চীন ও ইইউ একে অন্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। ইইউ-চীন কম্প্রিহেনসিভ ইনভেস্টমেন্ট এগ্রিমেন্টও ঠান্ডা ঘরে চলে গেছে। স্টেক বলেছেন, ‘চীন এখন চাইছে, তারা ইইউয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে। ইইউও একইভাবে নিষেধাজ্ঞা তুলবে। তারপর চুক্তিতে সই হবে।’
ইইউ সূত্র জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো চীন ইস্যুতে বিভক্ত। কিছু দেশ চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে চায়, আবার কিছু দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চীনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে।
মন্তব্য করুন