ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্বকাপে অতিরিক্ত সময় ও আধুনিক টেকনোলজি নিয়ে বিতর্ক!

প্রকাশ: ০৯:০৩ এএম, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail

এবার কাতার বিশ্বকাপে অতিরিক্ত সময় নিয়ে বহু বিতর্ক ছড়িয়েছে। শুধু অতিরিক্ত সময় নিয়ে নয়, ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারিংয়ের (ভিএআর) ক্ষেত্রে যে আধুনিক টেকনোলজি ব্যবহার করা হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

ইংল্য়ান্ড বনাম ইরান ম্য়াচে ৬-২ গোলে ব্রিটিশরা এ বারের বিশ্বকাপে প্রথম ম্য়াচ জয় পেয়েছে। সেই ম্য়াচের প্রথমার্ধে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ১৪ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। এই ম্য়াচের দ্বিতীয়ার্ধে প্রায় ১৩ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়। পুরো ম্য়াচে ২৭ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেয়ায় প্রায় ১১৭ মিনিট ধরে চলেছিলো ম্য়াচ। সেই দিন নেদারল্য়ান্ডস বনাম সেনেগালের দ্বিতীয় ম্য়াচেও প্রায় ১২ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী কাতার বনাম ইকুয়েডরের ম্য়াচে দ্বিতীয়ার্ধে প্রায় ১০ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে। এ বারের বিশ্বকাপে গ্রুপ স্টেজে মোট ৫৬৩ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে নানা ম্যাচ। কেন এত বেশি অতিরিক্ত সময়? এই নিয়ে বিতর্ক উঠছে কাতার বিশ্বকাপে।

ফিফা রেফারি কমিটির চেয়ারম্যান পিয়েরলুইগি কোলিনা একটি সংবাদ মাধ্য়মে বলেন, “কোনও খেলোয়াড়ের চোট লাগলে, খেলোয়াড় পরিবর্তন হলে, কোনও টিম পেনাল্টি পেলে, কোনও খেলোয়াড় রেড কার্ড দেখলে, গোলের সেলিব্রেশন— ওই সময়গুলো ধরে নিয়ে একটি ম্যাচে গড় অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়।” ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের রেফারি মার্ক হাসলে একটি সংবাদ মাধ্য়মে কটাক্ষ করে বলেছেন, “এ বার কাতারে বিশ্বকাপে আয়োজনে বহু অর্থ খরচ করা হয়েছে। তাই প্রত্য়েকটা ম্য়াচ দীর্ঘ সময় চলুক, এটাই আমরা চাই। তাই আমরা প্রত্য়েকটি ম্য়াচ ৯০ মিনিটের বেশি দেখার সুযোগ পাচ্ছি।”

ভিএআরের আধুনিক টেকনোলজি নিয়ে বহু বিতর্ক আছে। রাশিয়া বিশ্বকাপে প্রথম ভিএআর পদ্ধতি চালু করা হয়। অফসাইড এবং হ্য়ান্ডবল ধরার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল আধুনিক টেকনোলজি। কিন্তু এ বারের বিশ্বকাপে এই টেকনোলজি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আর্জেন্টিনার প্রথম ম্য়াচ থেকে এই বিতর্ক শুরু হয়।

বেশ কিছু সঠিক সিদ্ধান্ত ভিএআর খতিয়ে দেখার পর যে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে, তা যে ভুল, তাও প্রমাণিত হয়েছে। বেশ কিছু অভিজ্ঞ খেলোয়াড় ভিএআর নিয়ে অভিযোগ প্রকাশ করেছেন। প্রাক্তন ব্রিটিশ খেলোয়াড় জেমি ক্যারাঘার টুইট করেন, “বিশ্বকাপ ফুটবলে বেশ কিছু মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে। ফিফা জানিয়েছে, বিশ্বকাপের পর নতুন পদ্বতিতে অতিরিক্ত সময়ে যোগ করা হবে। বিশ্বকাপের প্রায় গোলই অতিরিক্ত সময় হয়েছে। বিশ্বকাপে গ্রুপ লিগের শেষ ম্য়াচ ব্রাজিল বনাম ক্য়ামেরুনের ম্য়াচে অতিরিক্ত সময়ে ১ গোল করে ক্য়ামেরুন জিতে যায়। আফ্রিকার প্রথম টিম হিসেবে ৫বার বিশ্ব চ্য়াম্পিয়ন ব্রাজিলকে হারায়।”

গ্রুপ লিগের পর ভিএআর নিয়ে বিতর্ক যে কমেছে, তা কিন্তু নয়। এখনও বিশ্বকাপের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ রয়েছে। তখন যদি নতুন বিতর্ক জন্ম নেয়, আয়োজক দেশ কাতার তো বটেই, ফিফারও মুখ পুড়বে।


কাতার বিশ্বকাপ   অতিরিক্ত সময়   ভিএরআর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এবার যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষেও নাস্তানাবুদ হল টাইগাররা

প্রকাশ: ১২:৪৭ এএম, ২২ মে, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ প্রস্তুতি হিসেবে র‍্যাংকিং এ নিজেদের থেকে ১০ ধাপ পেছানো দল যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলতে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। যেখানে প্রথম ম্যাচে নাস্তানাবুদ হল টাইগাররা।

হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে মঙ্গলবার (২১ মে) তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এদিন শুরুতে ব্যাট করে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান সংগ্রহ করেছিল বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে তিন বল এবং ৫ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে স্বাগতিকরা। 

মঙ্গলবার (২১ মে) সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরুর পরও খেই হারায় বাংলাদেশ। তবে তাওহিদ হৃদয়ের ফিফটি ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিংয়ে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা। হৃদয় ৪৭ বলে ৫৮ রান ও মাহমুদউল্লাহ ২২ বলে ৩১ রানে করেন। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে স্টিভেন টেইলর নেন ২টি উইকেট।

১৫৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে আগ্রাসী শুরু করেন দুই ওপেনার স্টিভেন টেইলর ও মোনাক প্যাটেল। তবে দলীয় ২৭ রানে রান আউটের শিকার হন মোনাক। দলীয় ২৭ রানে ১০ বলে ১২ রান করে ফিরে যান তিনি।

এরপর ক্রিজে আসা অ্যান্ড্রিস গিউসকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন টেইলর। তবে দলীয় ৬৫ রানে গিউসকে আউট করে বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দেন রিশাদ হোসেন। ১৮ বলে ২৩ রান করেন গিউস।

এরপর ২৯ রানের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের তিন উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান দুই পেসার মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম। টেইলর ২৯ বলে ২৮, অ্যারন জন্স ১২ বলে ৪ ও নিতিশ কুমার ১০ বলে ১০ রান করে সাজঘরে ফিরে যান।

তবে কোরি অ্যান্ডারসন ও হারমিত সিংয়ের ব্যাটে লড়াই করে যুক্তরাষ্ট্র। আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন হারমিত। তার ১৩ বলে ৩৩ রানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৩ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় তুলে নেয় যুক্তরাষ্ট্র।



যুক্তরাষ্ট্র   বাংলাদেশ   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

হায়দ্রাবাদকে উড়িয়ে ফাইনালে কলকাতা

প্রকাশ: ১১:২৮ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

জিতলেই ফাইনালে, হারলে এলিমিনেটরে- এমন সমীকরণের সামনে দাড়িয়ে আজ আইপিএলের প্রথম কোয়ালিফাইয়ারে কলকাতা নাইট রাইডার্স এর মুখোমুখি হয়েছিল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। যেখানে কলকাতার সামনে টিকতেই পারেনি অরেঞ্জ আর্মিরা। 

বোলারদের দাপটে আর ব্যাটারদের নৈপুণ্যে সহজে ম্যাচ জিতে এবারের আসরের প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে পা রাখল কলকাতা। আর কলকাতার কাছে হেরে কামিন্সদের অপেক্ষা করতে হবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের জন্য।

২০২১ সালের পর আবার আইপিএল ফাইনালে কলকাতা নাইট রাইডার্স। সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৮ উইকেট হারিয়ে দিলেন শ্রেয়স আয়ারেরা। প্যাট কামিন্সদের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জ্বলে উঠলেন মিচেল স্টার্ক। প্রথম পাঁচ ওভারের মধ্যে ৩ উইকেট নিয়ে কেকেআরকে চালকের আসনে বসিয়ে দেন ২৫ কোটির বোলার। হায়দরাবাদ ১৫৯ রানের জবাবে কেকেআর ১৩.৪ ওভারে ২ উইকেটে করল ১৬৪ রান।

এদিন টস জিতে আমদাবাদের ২২ গজে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন কামিন্স। প্রায় সব দলকে ভোগানো ট্রেভিস হেড-অভিষেক শর্মার ওপেনিং জুটি কোয়ালিফায়ারে ব্যর্থ হল। ম্যাচের দ্বিতীয় বলেই হেডের (শূন্য) স্টাম্প ছিটকে দেন স্টার্ক। দ্বিতীয় ওভারে অভিষেককে (৩) আউট করেন বৈভব অরোরা। ১৩ রানে ২ উইকেট নিয়ে চাপে পড়ে যায় হায়দরাবাদ। স্টার্ক প্রতিপক্ষকে আরও কোণঠাসা করে দিলেন নিজের তৃতীয় ওভারে। শেষ দু’বলে পর পর আউট করলেন নীতীশ কুমার রেড্ডি (৯) এবং শাহবাজ় আহমেদকে (শূন্য)। স্টার্ক অবশ্য হ্যাটট্রিক পেলেন না। ১৯তম ওভারে তাঁর হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা নষ্ট করে দেন কামিন্স। হায়দরাবাদের ব্যাটারদের দেখে প্রথম থেকেই বোঝা যাচ্ছিল চাপে রয়েছেন। খুচরো রান নেওয়ার ক্ষেত্রেও ঠিক মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলেন না তাঁরা।

৯ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর হায়দরাবাদকে লড়াইয়ে ফেরান তিন নম্বরে নামা রাহুল ত্রিপাঠী এবং ছ’নম্বরে নামা হেনরিখ ক্লাসেন। পঞ্চম উইকেটে জুটিতে আগ্রাসী মেজাজে তাঁরা তুললেন ৬২ রান। পাল্টা আক্রমণের জন্য হায়দরাবাদের দুই ব্যাটার মূলত বেছে নিয়েছিলেন সুনীল নারাইনকে। বিশেষ করে ক্লাসেনকে আটকাতে পারছিলেন না ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের অলরাউন্ডার। এ সময় শ্রেয়সের এক চালে সাজঘরে আবার লড়াইয়ে ফেরে কেকেআর। আক্রমণে আনেন বরুণ চক্রবর্তীকে। তাঁর বলে ঠকে যান ক্লাসেন (২১ বলে ৩২)। জুটি ভাঙার পর নিজের ভুলে আউট হলেন রাহুলও।

৩৫ বলে ৭টি চার এবং ১টি ছক্কার সাহায্যে ৫৫ রান করে আউট হন তিনি। নিজের ভুলে আউট হয়ে হতাশ রাহুল সাজঘরে ফেরার সিঁড়িতে মাথা নীচু করে বসেছিলেন বেশ কিছু ক্ষণ। তার সেই বসে থাকার ছবি ভাইরাল হতে সময় লাগেনি। এর পর আর হায়দরাবাদ তেমন রান তুলতে পারেনি। আবদুল সামাদ করেন ১২ বলে ১৬। শেষ দিকে ২টি করে চার এবং ছয়ের সাহায্যে কামিন্সের ২৪ বলে ৩০ রানের ইনিংস হায়দরাবাদকে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দেয়। ৩ বল বাকি থাকতে ১৫৯ রানে শেষ হয় কামিন্সদের ইনিংস।

এ দিন কেকেআরের সব বোলার উইকেট পেলেন। সফলতম স্টার্ক ৩৪ রানে ৩ উইকেট নিলেন। ২৬ রানে ২ উইকেট বরুণের। ১৫ রানে ১ উইকেট রাসেলের। ১৭ রানে ১ উইকেট বৈভবের। ২৭ রানে ১ উইকেট নিলেন হর্ষিত রানা। নারাইনের ১ উইকেট এল ৪০ রান খরচ করে।

জয়ের জন্য ১৬০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা কেকেআর প্রথম থেকেই ছিল সাবলীল। নারাইন-রহমানুল্লাহ গুরবাজ়ের নতুন ওপেনিং জুটিও ভরসা দিলেন দলকে। আফগান উইকেটরক্ষক-ব্যাটার করলেন ১৪ বলে ২৩ রানের ইনিংস। ২টি চার এবং ২টি ছক্কা এল তাঁর ব্যাট থেকে। নারাইন করলেন ১৬ বলে ২১। ৪টি চার মারলেন তিনি। আমদাবাদের ২২ গজে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেললেন বেঙ্কটেশ আয়ার, শ্রেয়সও। কামিন্সেরা তাঁদের সমস্যায় ফেলতে পারলেন না। ব্যাটিং ধস সামলাতে আগেই ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে এক জন অতিরিক্ত ব্যাটার নামাতে বাধ্য হয় হায়দরাবাদ। তাতে কামিন্সদের বোলিং আক্রমণও কিছুটা দুর্বল হয়ে যায়। বেঙ্কটেশ ২৮ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত থাকলেন। মারলেন ৫টি চার এবং ৪টি ছক্কা। শ্রেয়সও ৫টি চার, ৪টি ছক্কার সাহায্যে খেললেন ২৪ বলে ৫৮ রানের অপরাজিত ইনিংস।


আইপিএল   ক্রিকেট   খেলাধুলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে বাংলাদেশের ১৫৩

প্রকাশ: ১১:১৬ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ প্রস্তুতি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। যেখানে তিন ম্যাচের এই সিরিজের প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে কোনমতে দেড়শ'র বেশি পুঁজি সংগ্রহ করেছে টাইগাররা।  

এদিন অচেনা কন্ডিশন, পিচ সম্পর্কেও ধারণা নেই- এমন মাঠে বলের মতিগতি বুঝতেই খেই হারিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ব্যাট করতে নেমে লিটন দাসের বাজে শুরু এবং এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাকিব আল হাসানরা অনেক সংগ্রামের পরও রান পাননি। শেষ পর্যন্ত তাওহীদ হৃদয়ের ফিফটি ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ক্যামিওতে টাইগাররা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৩ রান তুলেছে।

টেক্সাসের হিউস্টনে চলমান বাংলাদেশ–যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ সরাসরি দেখা নিয়ে কিছুটা সংশয় ছিল। শেষ পর্যন্ত সিরিজের আগেরদিন বিসিবি সেই দোলাচল কাটিয়ে দেশের বেসরকারি একটি চ্যানেলে খেলা দেখানোর কথা জানায়। ইতোমধ্যে যার সম্প্রচার মান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়েছে। যেমন সম্প্রচার, তেমনই বিব্রতকর খেলা উপহার দিয়েছে টাইগাররা। একের পর এক ওভার-স্টেপ করে পাঁচটি নো বল করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বোলাররা, তবে সেখান থেকে কোনো বাউন্ডারি পায়নি বাংলাদেশ।

টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ রান (৪৭ বল) করেছেন তাওহীদ হৃদয়। এ ছাড়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২২ বলে ৩১ রান করেছেন। টপ অর্ডারদের মধ্যে কেবল সৌম্য কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্যে খেলছিলেন, কিন্তু তার ইনিংসটাও বড় করতে পারেননি। অপরপ্রান্তে একের পর এক যাওয়া-আসার মিছিল করেছেন লিটন, শান্ত ও সাকিবরা।

এর আগে প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে প্রবল বাতাসের মাঝে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। ফর্মে ফেরার চাপে থাকায় লিটন এদিন শুরুটা দেখেশুনেই করেন। ফর্মে থাকা তানজিদ হাসান তামিমের পরিবর্তে একাদশে ফিরলেও, তিনি নিজের পঞ্চম বলেই এডজ হয়ে ক্যাচ দিয়েছিলেন উইকেটের পেছনে থাকা স্বাগতিক অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেলের হাতে। যদিও সহজ সেই ক্যাচ অবিশ্বাস্যভাবে ফসকে গেছে। নতুন জীবন পেয়ে টাইগার ওপেনার পরের ওভারে ছয় হাঁকিয়েই ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিত দেন। কিন্তু সেই আলো অন্ধকারে মিলিয়ে যেতে থাকে তার একের পর এক নড়বড়ে শটে।

শেষ পর্যন্ত ১৫ বলে ১৪ রান করার পর লিটন ক্রস ব্যাট চালান জেসি সিংয়ের বলে। সেটি আঘাত করে লিটনের পায়ে, আম্পায়ার এলবিডব্লু আউট দেওয়ার পর সোজা হাঁটা দিয়েছেন টাইগার ওপেনার, সেখানে যে রিভিউ’র কোনো সুযোগ নেই। অবশ্য তাতে হয়তো লাভও হতো না, খালি চোখে যতটুকু আঁচ করা যায় মিডল ও অফ-স্টাম্প বরাবর ভেতরের পায়ে আঘাত করেছে বলটি।

ওই ওভারটিতে শান্ত আসার পর তিন বলই ডট দিয়েছেন, অর্থাৎ মেইডেনসহ এক উইকেট নিয়েছেন জেসি। অন্যপ্রান্তে থাকা সৌম্য খেলছিলেন ঠিকঠাক। লিটনের সহজাত সঙ্গ না পেলেও, নিজের মতো করে বাউন্ডারি খেলে তিনি রানের চাকা সচল রেখেছেন। কিন্তু লিটনের বিদায়ে ছন্দপতন হলো তারও। ডানহাতি অফস্পিনার স্টিভেন টেলরের গুড লেংথে ফেলা বলে উড়িয়ে মারেন সৌম্য। কিন্তু তাতে বেশি জোর ছিল না, ফলে তালুবন্দী হন বাউন্ডারিতে। বিদায়ের আগে এই বাঁহাতি ওপেনার করলেন ১৩ বলে ২০ রান। অল্প সময় ব্যবধানে আউট অধিনায়ক শান্তও। ১১ বলের সংগ্রামী ইনিংসে তিনি করলেন মাত্র ৩ রান।

একইভাবে ফর্ম ফিরে পাওয়ার লড়াই ছিল সাবেক অধিনায়ক সাকিবের সামনেও। কিন্তু সাকিব ১২ বলে ৬ রান করা অবস্থায় তিনিও রানআউট। এরপর মাহমুদউল্লাহ ও হৃদয় মিলে ৬৭ রানের জুটি গড়ছিলেন। সেই জুটিই কিছুটা মান বাঁচিয়েছে টাইগারদের। ১৯তম ওভারে ডিপ মিডউইকেটে টেনে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন মাহমুদউল্লাহ। ইনিংসের শেষ বলে আউট হন হৃদয়ও।


যুক্তরাষ্ট্র   বাংলাদেশ   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে শুরুতেই চাপে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৯:৪১ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম টি-২০তে আজ যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে পারছেন না কেউই। রান করতে ধুঁকছে টাইগাররা।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৯ ওভারে তিন উইকেটে ৬০ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।

টেক্সাসের হিউস্টোনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাষ্ট্র। ব্যাট হাতে শুরুটা মোটামুটি ভালো করেছিলেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। ব্যক্তিগত ১৪ রানে লিটন আউট হলে ভাঙে দুজনের ৩৪ রানের জুটি।

সঙ্গীর বিদায়ের পরপরই আউট হন সৌম্য। তিনি ২০ রান করেন। তিনে নেমে ৩ রানের বেশি করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। তাওহীদ হৃদয় ও সাকিব আল হাসান এখন দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন। দুজনে যথাক্রমে ১৮ ও ৩ রানে অপরাজিত আছেন।

বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাকিব আল হাসান, জাকের আলি অনিক, শেখ মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম।

টি-২০   যুক্তরাষ্ট্র   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে টস হেরে বোলিংয়ে কলকাতা

প্রকাশ: ০৮:০৫ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

শেষ মুহুর্তে এসে পৌঁছেছে আইপিএলের ১৭তম আসর। সেমিফাইনাল, এলিমিনেটর ও ফাইনাল মিলিয়ে আর মোট ৪ ম্যাচ বাকি। এর মধ্যে প্রথম সেমিফাইনালে আজ মাঠে নেমেছে কলকাতা ও হায়দরাবাদ। যেখানে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। মঙ্গলবার (২১ মে) ফাইনালে ওঠার এই মহালড়াইয় অনুষ্ঠিত হচ্ছে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।

লিগ পর্বে হায়দরাবাদকে ৩ রানের হারিয়ে আসর শুরু করেছিল কালকাতা। তাই হায়দরাবাদের বিপক্ষে সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাই কলকাতা। এই ম্যাচ দিয়ে কলকাতার হয়ে চলতি আসরের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামছে রাহমানুল্লাহ গুরবাজ।

অন্যদিকে লিগ পর্বের হারের প্রতিশোধ নিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করতে চাই কামিন্সের দল। আগের ম্যাচের একাদশ নিয়েই মাঠে নামছে হায়দরাবাদ।

সানরাইজার্স হায়দরাবাদ একাদশ: ট্র্যাভিস হেড, অভিষেক শর্মা, রাহুল থ্রিপাঠী, হেনরিক ক্লাসেন, নীতিশ রেড্ডি, আবদুল সামাদ, শাহবাজ আহমেদ, প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), ভুবনেশ্বর কুমার, বিজায়কান্থ ভিয়াশান্থ ও টি-নটরাজন।

কলকাতা নাইট রাইডার্স একাদশ: রহমানুল্লাহ গুরবাজ (উইকেটকিপার), সুনীল নারিন, শ্রেয়াস আইয়ার (অধিনায়ক), ভেঙ্কটেশ আইয়ার, রিঙ্কু সিং, আন্দ্রে রাসেল, রমনদীপ সিং, মিচেল স্টার্ক, ভাইভাভ আরোরা, হর্ষিত রানা, বরুণ চক্রবর্তী।


আইপিএল   সানরাইজার্স হায়দরাবাদ   কলকাতা নাইট রাইডার্স  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন