প্রকাশ: ০৩:১১ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২
আজ
বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে পঞ্চম আন্তর্জাতিক গ্লুকোমা সোসাইটি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত
হয়। সেখানে আমি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলাম। সভার শুরুতে কোরআন তেলওয়াত করা
হয়। সে কোরআন তেলওয়াত এর বাংলা অর্থ দাঁড়ায় সময়ের গুরুত্ব। আমি সে কোরআনের অর্থ দিয়েই
আজকে আমার বক্তব্য দিয়েছি।
বিশ্বের
যারা মোড়ল হিসেবে খ্যাত তাদের সহায়তায় পৃথিবীর সব চেয়ে জগন্যতম আর্মি বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে
নস্যাৎ করার চেষ্টা করে। সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে আমরা মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করতে সক্ষম হই। ৩০ লক্ষ শহীদ,
২ লক্ষ মা বোনের ইজ্জত/সম্ভ্রম আত্মত্যাগ এর বিনিময়ে আমাদের এ স্বাধীনতা। সুতারং মুক্তিযুদ্ধের
শক্তিকে শক্তিশালী করাই এখন আমাদের সময়ের দাবী এবং আগামীদিনে যে নির্বাচন আসছে সে নির্বাচনেও
যেনো বঙ্গবন্ধুর আর্দশের সৈনিকরা অর্থাৎ তার কন্যা দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার
নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়। আল্লাহ্ যেনো দার্শনিক রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনাকে সুস্থ রাখেন
এবং আমারা দেশবাসী যেনো এ দার্শনিক রাষ্ট্র নায়কের দর্শন দ্বারা উপকৃত হই।
ভবিষ্যতে
খাদ্য ঘাটতি হতে পারে তাই তিনি এখন থেকেই সমস্যা সমাধানে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা শুরু
করেছেন। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে যারা এখন আমাদেরকে বিভিন্ন উপদেশ দিচ্ছে তারা আসলে সময়ের
কথা বলছেন না। আমাদের সময়ের কথা হচ্ছে জনগণের কথা এবং জনগণের কথাই বাস্তবায়ন করে আসছেন
দার্শকিন রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনা। শুধু নেত্রী হিসেবে নয় দার্শনিক হিসেবে শেখ হাসিনার
প্রত্যকটি বক্তব্য আমরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে বাংলাদেশকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিবো।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৮:১৫ এএম, ১৬ মে, ২০২৪
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৮:১২ এএম, ১৬ মে, ২০২৪
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৮:০৭ এএম, ১৬ মে, ২০২৪
মন্তব্য করুন
সবার জন্য স্বাস্থ্য নিশ্চিতে বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক অভাবনীয়, অনন্য এবং যুগান্তকারী একটি মডেল। শিশু স্বাস্থ্য, মাতৃ স্বাস্থ্য এবং কিশোরীদের স্বাস্থ্য পরিসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এটি একটি অসাধারণ উদ্যোগ। নবজাতকের মৃত্যু, মাতৃ মৃত্যু কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক মডেল আজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ অনুসরণ শুরু করেছে। গত বছর ১৭ মে কমিউনিটি ক্লিনিক ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিসিয়েটিভ’ হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি পায়। ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ সারা বিশ্বের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রত্যাশী জনগণের জন্য ‘আলোক বর্তিকা’।
আজকে আমরা ১৭ মে নিয়ে কথা বলছি। যেদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। আবার গত বছর এই দিনে তাঁর চিন্তা প্রসূত কমিউনিটি ক্লিনিককে জাতিসংঘ ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আজকে আমরা যে ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলছি, উন্নয়নশীল বাংলাদেশের কথা বলছি, যে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখছি, একদিন উন্নত বাংলাদেশ হব বলে স্বপ্ন দেখছি এই সবকিছু শেখ হাসিনার স্বপ্ন, শেখ হাসিনার ইনিশিয়েটিভ। বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৭৮১ সালে পলাশি যুদ্ধে ইতিহাসের ঘৃণিত সেনাপতি মির্জাফরের বিশ্বাসঘাতকতায় নবাব সিরাজ উদ্দৌলার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ২০০ বছরের গোলামী আমাদের ললাটে এসেছিল। ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ স্বাধীন হলেও বাঙালী এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতা পায়নি। যার পটভূমিতে বীরদর্পে আবির্ভূত হন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ থেকে ৭৫’ বাঙালি জাতির ভাগ্যাকাশে স্বাধীনতার লাল পতাকা উড়েছিল বাঙালী আশায় বুক বেধেছিল।
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বিয়োগান্তের ঘটনায় জাতি ছিল দিক নির্দেশনাহীন। নারকীয় এই ঘটনায় জনগণ হয়ে পড়েন দিশেহারা। প্রতিবাদ, প্রতিরোধ করার কোন শক্তি সাহস ছিল না। দলের অনেক বড় বড় নেতাও ছিলেন কিংকর্তব্যবিমূঢ়। ধানমন্ডির ৩২ বাড়ি ছিল কবরের নীরবতা। সমগ্র জাতি তখন অন্ধকারে। সামরিক বুটে পিষ্ঠ গণতন্ত্র। নির্বাসনে সংবিধান আর মানুষের মৌলিক অধিকার। বাক স্বাধীনতা বলতে কিছুই ছিল না। এমনকি বঙ্গবন্ধু নাম উচ্চারণ ছিল নিষিদ্ধ।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশের মৌলিক চরিত্রকেই বদলে ফেলা হয়। বিশেষ করে পাকিস্তানি ধারায় সামরিক শাসনের সংস্কৃতির প্রবর্তন ঘটে দেশে। সাম্প্রদায়িকতা ফিরে আসে রাজনীতি, প্রশাসন, শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরে। একের পর এক স্বপ্নভঙ্গের ঘটনা ঘটতে থাকে দেশে। বাঙালি জাতির জীবনে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে ঘোর অমানিশার অন্ধকার। ঠিক এমন প্রতিকূল সময় ১৯৮১ সালের ১৭ মে সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর রক্তস্নাত মাতৃভূমিতে ফিরে আসেন বাঙালির মুক্তির মহানায়কের যোগ্য উত্তরসূরি জননেত্রী শেখ হাসিনা।