ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি স্কুলে স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সদস্য ভর্তির অভিযোগ

প্রকাশ: ১০:৪৩ এএম, ০৭ জানুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

ময়মনসিংহ জিলা স্কুলে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভর্তিতে অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। একটি জন্ম নিবন্ধনের বিপরীতে একটি স্কুলের একই ক্লাশের জন্য একবার আবেদন করার নিয়ম থাকলেও ময়মনসিংহ জিলা স্কুলে সেই নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটেছে। এমনি এক শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে তার ভর্তি ফরম উত্তোলন করে ময়মনসিংহ জিলা স্কুলে জমা দিয়ে ভর্তি নিশ্চিত করেছে বলেও একটি বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে।

অভিযোগে জানা যায়, ময়মনসিংহ জিলা স্কুলে ওই আবেদনকারি একটি জন্ম নিবন্ধনের বিপরীতে ষষ্ঠ শ্রেণির লটারিতে দুইবার আবেদন করেছেন। দুইটি আইডি সংগ্রহ করে লটারিতে দুটি আইডিতে দুইবার অংশ নেয় এবং একটি আইডি মেরিট লিস্টে স্থানও পেয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যদিওবা লটারি উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন এবারের লটারিতে একটি স্কুলের একই ক্লাশে একবারের বেশি আবেদন করতে পারেনি কেউ। পরবর্তী সময়ে এরকম ব্যতিক্রমী বেশ কয়েকটি ঘটনা জানা গেলে অনেক শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলও করা হয়। কিন্তু এই শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে নিয়ম অনুসরণ না করেই ভর্তি করা হয়েছে।

জানা যায়, জন্মনিবন্ধন নম্বর 20106125519347127 এর বিপরীতে মায়ের নাম এদিক সেদিক করে ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য দুটি আইডি সংগ্রহ করে লটারিতে দুইবার অংশ নেয়। আইডির নম্বরগুলো হলো GVOGQSBZQO এবং GVYRROFZOV  । ইতোমধ্যে GVOGQSBZQO আইডির মাধ্যমে আবেদনকারী ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণিতে দিবা শাখায় মেরিট লিস্টে স্থান পেয়ে (মেরিট লিস্টের ১২ নম্বর, নাম MD. SHAHIDUZZAMAN FARABI) বিভিন্নভাবে লবিং তদবীর করে স্কুলের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে।  এনিয়ে পুরো শিক্ষাঙ্গনে চলছে জল্পনা-কল্পনা। একজন শিক্ষার্থী একটি জন্মনিবন্ধন দিয়ে একটি স্কুলে একই শ্রেণিতে দুইবার লটারিতে অংশ নিয়ে প্রতারণা করছেন বলে অভিবাবকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।  এমনকি আবেদনকারী শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী বয়স ইতোমধ্যে ১২ বছর ৮ মাস অতিক্রম করেছে, যদিওবা ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ১১ বছর এবং সপ্তম শ্রেণির জন্য ১২ বছর নির্ধারিত রয়েছে।  খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ওই শিক্ষার্থী স্থানীয় আরেকটি স্কুলে ইতোমধ্যে ২০২২ সালের ষষ্ঠ শ্রেণির সমাপনি পরীক্ষা দিয়েছে।  তারপরও তার আবেদনপত্রে পূর্বে অধ্যয়ণরত পঞ্চম শ্রেণির কথা উল্লেখ করেছে। এবিষয়ে অভিভাবকদের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে এমন ঘটনার সাথে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কেউ বা সংশ্লিষ্ট স্কুলের কেউ জড়িত আছে কিনা তারও সঠিক তদন্ত চেয়েছেন অভিবাবকরা।

উল্লেখ্য, ময়মনসিংহের জামায়াত শিবিরের পরিবার হিসেবে পরিচিত ময়মনসিংহ সদরের আলীয়া মাদ্রাসা এলাকার মৃত রুকন উদ্দিনের পরিবার। তার পরিবারের সবাই জামায়াত শিবিরের সাথে যুক্ত। তার এক ছেলে মো. হাসানুজ্জামান ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া শাখার ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি, বর্তমানে ময়মনসিংহ শহরের জামায়াতের রুকন। তার একটি হজ্জ লাইসেন্স ছিল (সাদমান ট্রাভেলস) । আর সেই হজ্জ এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশে মানব পাচার ও জঙ্গি প্রেরণের দায়ে বর্তমান সরকার হজ্জ লাইসেন্স নং ১১৪৪ বাতিল করে। তার ভাই মো. ওয়াহিদুজ্জামান ও জামায়াতি ইসলামির সাথে জড়িদ। তার ছেলেকেই ময়মনসিংহ জিলা স্কুলে ভর্তির জন্য বিভিন্ন ব্যক্তির মাধ্যমে সুপারিশ করে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করে। তাছাড়া এই শিক্ষার্থী বর্তমানে শহরের পাটগুদাম উচ্চ বিদ্যালয়ে একবার ষষ্ঠ শ্রেণিতে বার্ষিক পরীক্ষাও দিয়েছে। এদিকে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি এই পরিবারকে সরকারের কিছু কর্মকর্তা বিভিন্নভাবে সহযোগীতা করছে। আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করায় ওই শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

দুবাইতে বাংলাদেশের কারা সম্পদের পাহাড় গড়েছেন?

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি ‘দুবাই আনলকড’ শিরোনামে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দুবাইয়ে সারা বিশ্ব থেকে অর্থপাচারকারীদের অর্থের এক ফিরিস্তি দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যক্তিদের নাম যেমন আছে তেমনি আছে বাংলাদেশের নামও। ‘দুবাই আনলকড’ শীর্ষক এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ৩৯৪ জন বাংলাদেশির ২ হাজার ছয়শ ৩৬ কোটি টাকা মূল্যের ৬৪১ টি সম্পত্তি রয়েছে বলে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। তবে এই প্রতিবেদনে বাংলাদেশের যারা দুবাইয়ে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। 

বিভিন্ন সূত্র থেকে অনুসন্ধান করে দুবাইয়ে যে সমস্ত বাংলাদেশিরা অবৈধভাবে সম্পদ করেছেন, তাদের কয়েক জনের তালিকা পেয়েছি। এই তালিকার মধ্যে আছেন রাজনীতিবিদ, বিরোধী দলের নেতা, সাবেক সেনা কর্মকর্তা, ঋণখেলাপী ব্যবসায়ী এবং আমলা। 

৩৯৪ জনের মধ্যে ব্যবসায়ীদের সংখ্যা ২৫ থেকে ৩০ জন বলে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে। এই সমস্ত ব্যবসায়ীদের মধ্যে অন্তত তিন জন ঋণখেলাপি এবং পলাতক। ঋণ খেলাপের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে এবং এই সমস্ত মামলা মোকাবেলা না করে তারা বিদেশে পালিয়ে গেছেন। ঋণ খেলাপিদের মধ্যে একজন ব্যাংকের মালিকও রয়েছেন বলে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে। ৩৯৪ জনের তালিকার মধ্যে রাজনীতিবিদের নাম আছে এবং রাজনীতিবিদদের মধ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ দুবাইতে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। 

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং মন্ত্রিসভার সদস্যের মধ্যে অন্তত ১০ জনের দুবাইয়ে সম্পদ রয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে। এছাড়াও আওয়ামী সমর্থক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত এরকম আরও ১০ জনের দুবাইয়ে বিভিন্ন ধরণের সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। বিএনপির একাধিক নেতার দুবাইতে সম্পত্তি রয়েছে এবং এই সম্পদের পরিমাণ আওয়ামী লীগের নেতাদের চেয়েও বেশি বলেই প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যাচ্ছে। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্তত দু জন সদস্যের দুবাইয়ে সম্পদ রয়েছে। এছাড়াও বেগম খালেদা জিয়ার একান্ত অনুগত হিসেবে পরিচিত একসময় বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসাবে পরিচিত একজন ব্যক্তিরও দুবাইয়ে বিপুল পরিমাণ সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। সাবেক সেনা কর্মকর্তার তথ্য পাওয়া গেছে। এগারোর সময় সক্রিয় একজন সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার ব্যক্তি এখন দুবাইয়ে অবস্থান করছেন। তিনি বিপুল সম্পদের মালিক বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া অন্তত ১২ জন সাবেক আমলা রয়েছেন। যারা দুবাইয়ে বিপুল পরিমাণ নিনিয়োগ করেছেন এবং সম্পদের মালিক হয়েছে। তবে যেহেতু ‘দুবাই আনলকড’ অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এই সমস্ত ব্যক্তিদের সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যানি। সেজন্য বাংলাদেশ থেকে যারা অর্থ দুবাইয়ে পাচার করেছেন তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত কোন পরিচয় বা বিবরণ প্রকাশ করেনি।

দুবাই   বাংলাদেশ   অর্থ পাচার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

কুকি-চিনের নারী শাখার প্রধান সমন্বয়ক গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৫:২৫ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাহাড়ি উগ্রবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) নারী শাখার অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক আকিম বমকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। 

শুক্রবার (১৭ মে) বান্দরবান জেলার লাইমী পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১৫। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান।

তিনি জানান, কুকি-চিনের নারী শাখার অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক আকিম বমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি দেশে-বিদেশে সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।

উল্লেখ্য, গত ৭ এপ্রিল বান্দরবানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক চেওসিম বমকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

কুকি-চিন   র‍্যাব  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

চাকরির নামে ভারতে পাচার, পরে কিডনি বিক্রি

প্রকাশ: ০৮:০৩ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

দরিদ্র মানুষকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ভারতে নিয়ে যেত একটি চক্র। সেখানে নেওয়ার পর চাকরিতো দুরের কথা উল্টো জিম্মি করে কৌশলে কিডনি নেওয়া হতো পাচার হওয়া ব্যক্তিদের। চক্রটি এ পর্যন্ত ১০ জনের কিডনি নিয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

সম্প্রতি রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় এ চক্রের বিরুদ্ধে মামলা করেন রবিন নামের এক ভুক্তভোগী। এর পরিপ্রেক্ষিতে শনি (১১ মে) ও রোববার (১২ মে) ধানমন্ডি এবং বাগেরহাটে অভিযান চালিয়ে চক্রটির তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ধানমন্ডি থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মো. রাজু হাওলাদার (৩২), শাহেদ উদ্দীন (২২) ও মো. আতাহার হোসেন বাপ্পী (২৮)। পলাতক রয়েছেন মো. মাছুম (২৭), শাহীন (৩৫), সাগর ওরফে মোস্তফাসহ (৩৭) ১০–১২ জন।

ধানমন্ডি থানা পুলিশ সূত্রে জানায়, ভারতে চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রথমে দিল্লির ফরিদাবাদ এলাকায় নেওয়া হয় রবিনকে। পরে নানা কৌশলে কিডনি বিক্রির জন্য তাকে রাজি করায় চক্রটি। এ জন্য তার সঙ্গে চক্রটি ৬ লাখ টাকা দেওয়ার একটি চুক্তি করে। চুক্তি অনুযায়ী ভুক্তভোগীকে ৬ লাখ টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও কিডনি নেওয়ার পর দেয় ৩ লাখ টাকা।

রোববার (১২ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মহিদ উদ্দিন বলেন, ২০২৩ সালের এপ্রিলে রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বরে শাহ আলী মার্কেটের পেছনে একটি চায়ের দোকানে বন্ধুর সঙ্গে চা পান করছিলেন রবিন। বন্ধুর সঙ্গে আলাপ করছিলেন সংসারের অভাব–অনটন নিয়ে। এ সময় পাশেই চা পান করছিলেন মাছুম। মাছুম রবিনকে বলেন, ভারতে তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেখানে তাকে চাকরি দিতে পারবেন। মোবাইল ফোন নম্বর আদান-প্রদান করেন তারা। এরপর মাছুমের সঙ্গে নিয়মিত কথা হতো রবিনের। পরে ভারতে চাকরি করার বিষয়ে রাজি হন।

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, ভারতে যেতে কিছু ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে বলে রবিনকে জানান মাছুম। গত সেপ্টেম্বরে তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে যায় মাছুম। সেখানে রাজু হাওলাদারের (গ্রেপ্তার করা আসামি) সঙ্গে রবিনের পরিচয় করিয়ে দেয় সে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ভিসার জন্য রবিনের পাসপোর্ট নিয়ে নেয় চক্রটি। ভিসা নিশ্চিত করার পর তাকে চক্রের আরও দুই সদস্য শাহেদ ও আতাহারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। অবশেষে রবিনকে নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লিতে। নয়াদিল্লির একটি হাসপাতালে কিডনিসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পরীক্ষা করানো হয়। কিছুদিন পর ভুক্তভোগীকে গুজরাটের মুক্তিনগর এলাকার একটি বাসায় নেয় চক্রটি। এরপর আসামিরা ভয়ভীতি দেখিয়ে এ বছরের ৪ মার্চ গুজরাটের এক হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ভুক্তভোগীর একটি কিডনি নিয়ে নেয়।

হাসপাতাল থেকে চার দিন পর রবিন ছাড়া পান জানিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মহিদ উদ্দিন বলেন, পরে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ১০–১১ দিন তাকে আটক রাখে অভিযুক্ত আসামিরা। হাসপাতালে থাকা অবস্থায় রবিন জানতে পারেন, তার কিডনি আসামিরা দালাল চক্রের কাছে বড় অঙ্কের অর্থে বিক্রি করে দিয়েছে। পরে বাংলাদেশে অবস্থান করা চক্রের কয়েকজন সদস্য রবিনের স্ত্রীকে তিন লাখ টাকা দেন। এরপর দেশে ফেরেন রবিন।

পাচার   কিডনি বিক্রি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

সাবেক ভূমিমন্ত্রীর দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে দুদকে আবেদন

প্রকাশ: ০৪:১১ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি এবং সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদকে) আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান।

বুধবার (১ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

চিঠিতে আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান বলেন, গত ২০ ফেব্রুয়ারি দৈনিক সমকাল পত্রিকায় “সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সাম্রাজ্য যুক্তরাজ্যে” শিরোনামে এবং মানবজমিন পত্রিকায় “ব্রিটেনে বাংলাদেশি রাজনীতিবিদের ২০০ মিলিয়ন পাউন্ডের সাম্রাজ্য" শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ব্লুমবার্গের অনুসন্ধান প্রতিবেদন থেকে এ দুটি সংবাদ প্রকাশিত হবার পরেও কর্তৃপক্ষ যথাযথ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এর ফলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান দুর্নীতি দমন কমিশনের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস ক্ষুণ্ণ করে। 

এ কারণে চিঠির মাধ্যমে এ বিষয়ে যথাযথ অনুসন্ধান করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য দুদককে বিশেষভাবে অনুরোধ করেন এই আইনজীবী।

সাবেক ভূমিমন্ত্রী   দুর্নীতি   দুদক   সাইফুজ্জামান চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

‘মিতুকে আমার ছেলেই খুন করেছে, তাকে আপনি মাফ করে দিন’

প্রকাশ: ১০:৪৯ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিয়েছেন মিতুর মা শাহেদা মোশাররফ। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে এসব কথা বলেছেন নিহত মাহমুদার মা শাহেদা মোশাররফ।

সাক্ষ্যে বলেন, ‘মিশন শেষ করে ফিরে এসেই বাবুল চীনে চলে যায়। সেখানে বসেই মিতুকে মারার পরিকল্পনা করে। মিতুকে খুন করার জন্য মুসাকে ৭০ হাজার টাকা দিয়ে অস্ত্র কিনে দেয়, মুসার স্ত্রী এ কথা বলেছেন। আর ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারীর সঙ্গে বাবুলের বিয়েবর্হিভূত সম্পর্কের জেরেই মিতুকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে।’

মিতু হত্যা মামলার ৪৯তম সাক্ষী হিসেবে আদালতকে তিনি বলেন, ‘২০১৭ সালে বাবুল আক্তারের মা মারা যাওয়ার ১৫ দিন আগে আমাকে কল করেন। বলেন- বেয়াইন, মিতুকে আমার ছেলে খুন করেছে। তাকে আপনি মাফ করে দেন। আমি তাকে বলি- বাবুল মরলে কি এ কথা আপনি বলতেন? এসব আমি তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে বলেছি। তদন্তে সবকিছু উঠে আসেনি।’

আদালত সূত্র জানায়, সাক্ষ্যে শাহেদা মোশাররফ আদালতকে বলেন, ২০০২ সালের ২৬ এপ্রিল বাবুল ও মাহমুদার বিয়ে হয়। এরপর তাঁরা মোটামুটি সুখী ছিলেন। বাবুল পুলিশের চাকরিতে যোগদানের পর মাহমুদার সঙ্গে আচরণ পাল্টে যায়। বাবুল কক্সবাজারে বদলি হওয়ার পর সেখানে এক বিদেশি নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তখন মাহমুদা বিষয়টি তাঁকে জানিয়েছিলেন।

শাহেদা মোশাররফ আদালতকে বলেন, বাবুল কক্সবাজারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে কর্মরত থাকাকালে সেখানে একটি হোটেলে ওঠেন। একই হোটেলে মাহমুদাও ওঠেন। বাবুল ও একটি বিদেশি সংস্থায় কর্মরত সেই নারীকে একটি কক্ষে দেখতে পান মাহমুদা।

মাহমুদার মা জানান, ২০১৪ সালে বাবুল জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে যান। বাসায় রেখে যান তাঁর একটি মুঠোফোন। তাতে বেশ কয়েকটি খুদে বার্তা পান মাহমুদা। বাবুলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা সেই নারী বাবুলকে খুদে বার্তাগুলো দিয়েছিলেন।

মিশন থেকে দেশে ফেরার পর বাবুল চীনে যান জানিয়ে শাহেদা মোশাররফ বলেন, ‘মূলত সেখানে বসে বাবুল মাহমুদাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী অস্ত্র কেনার জন্য বাবুল তাঁর সোর্স (তথ্যদাতা) কামরুল শিকদার ওরফে মুসাকে ৭০ হাজার টাকা দেন। আর পুরো খুনের ঘটনায় মুসা তাঁর সহযোগীদের ব্যবহার করেন। মাহমুদাকে খুনের জন্য বাবুল যে তিন লাখ টাকা দেন, তা ছিল মাহমুদার ব্যবসার টাকা।’

আদালতে সাক্ষীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে শাহেদা মোশারফ মেয়ের হত্যার পেছনের ঘটনা বলার সময় কিছুক্ষণ পরপর কাঁদতে থাকেন। চোখ মুছে আবার কথা বলেন। এ সময় আসামির কাঠগড়ায় ছিলেন বাবুল আক্তার। পুরোটা সময় বাবুল ছিলেন নীরব।

আজ শাহেদা মোশারফের সাক্ষ্য শুরুর আগে দুপুরে তৎকালীন পাঁচলাইশ থানার ওসি মহিউদ্দিন মাহমুদ সাক্ষ্য দেন। তিনি আদালতে বলেন, ঘটনার সময় তিনি পাঁচলাইশ থানার ওসি ছিলেন। ওসি হিসেবে তখন মামলা রেকর্ড করেছিলেন।

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আবদুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, সাক্ষ্য শেষ হওয়ার পর শাহেদা মোশাররফকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। পরে আদালত জেরা মুলতবি রেখে বুধবার পরবর্তী দিন রাখেন।

২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন মাহমুদা খানম। এই ঘটনায় করা মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বাবুলসহ সাতজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। এই মামলায় ৪৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে।


মাহমুদা খানম মিতু   পুলিশ সুপার   বাবুল আক্তার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন