ইনসাইড পলিটিক্স

ছিঃ ছিঃ ছিঃ, লজ্জা, লজ্জা এবং লজ্জা: নানক

প্রকাশ: ০৪:২২ পিএম, ১১ জানুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail বক্তব্য দিচ্ছেন জাহাঙ্গীর কবির নানক

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ‘বিএনপির বন্ধুরা কি বলতে চান? ১০ দফা দিয়েছেন। কিসের ১০ দফা? কারা দেয় এই ১০ দফা, দেশের সংস্কার প্রস্তাব? যারা এ দেশের সেনাবাহিনীর ভেতরে শত শত ক্যু পাল্টা ক্যু করে হাজার হাজার সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনীর অফিসারকে রাতের অন্ধকারে হত্যা করেছে। তারা দেয়, দেশে সংস্কার করতে হবে। কারা দেয়? যারা আমাদের দেশের ভোট লুট করে নিয়ে গিয়ে ‘হ্যাঁ-না’ভোট করে ক্ষমতায় এসেছিল। বিএনপির জিয়াউর রহমান ‘হ্যাঁ-না’ ভোট করেছিল। ভোট লাগে নাই, কিন্তু ভোট হয়ে গেছে শতকরা ৯৯ শতাংশ। জিয়াউর রহমান শতকরা ৯৯ শতাংশ ভোট দিয়ে ‘হ্যাঁ-না’ ভোট করেছিলেন।’ 

বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া এই দেশে ভোট করেছিল। এই তেজগাঁওয়ে ভোট কেড়ে নিয়েছিল, মাগুরায় ভোট কেড়ে নিয়েছিল। তারা এখন বলে নির্বাচন ব্যবস্থার নাকি সংস্কার করতে হবে। লজ্জায় মাথা হেট হয়ে যায়। ছিঃ ছিঃ ছিঃ, লজ্জা, লজ্জা এবং লজ্জা।’

বুধবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর ফার্মগেটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ মহানগর উত্তর আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।  

বিএনপি শাসনকাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যারা পুলিশ ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছিল, দলীয়করণ করেছিল। যারা সিভিল সার্ভিসকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। সমস্ত চেইন অব কমাণ্ড ভেঙ্গে দিয়েছিল, তারা বলে সংস্কার করতে হবে। সেদিনের সরকার ছিল হাওয়া ভবনের কাছে বন্দি, তারেক রহমানের কাছে বন্দি। হাওয়া ভবন দ্বারা সরকার পরিচালিত হতো। সেই হাওয়া ভবন থেকেই সরকারের পৃষ্ঠপোশকতায় ২১ আগস্ট গ্র্যানেড হামলা চালিয়েছিল, আমাদের প্রাণের নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে। আমরা ভুলে যাইনি। বাংলার জনগণও ভুলে যায়নি। সেই বিএনপি ক্ষমতাকে ব্যবহার  করে আহসান উল্লাহ মাস্টারকে হত্যা করেছিল। এমএস কিবরিয়াকে হত্যা করেছিল। তারা হত্যার লীলাভূমিতে পরিণত করতে চেয়েছিল।’
              
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘১০ই জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম, মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে। বঙ্গবন্ধু তখন বন্দি ছিলেন পাকিস্তানের মিয়ানওয়ালি কারাগারে, মৃত্যুর প্রহর গুনছিলেন। তখন আমাদের কণ্ঠে ছিল জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু শ্লোগান। বাঙালি জাতি ভারতীয় মিত্র বাহিনীর সহায়তায়, আমরা তখন বিজয় অর্জন করেছিলাম ১৬ ডিসেম্বর। সে বিজয় অর্জন হলেও আমরা সেদিন স্বস্থিতে থাকতে পারিনি। আমরা সেদিন শান্তিতে থাকতে পারিনি। কারণ আমাদের জীবনে ছিল স্বাধীনতা এবং বিজয় অর্জনের এক বিশাল অপূর্ণতা। সেই অপূর্ণতা ছিল বঙ্গবন্ধু মুজিব আমাদের মাঝে নেই, বঙ্গবন্ধু মুজিব তখন পাকিস্তানের কারাগারে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন। আমার মুসলমান ভাই-বোনেরা জায়নামাজে দাঁড়িয়ে কান্নায় জায়নামাজ ভিজিয়ে ফেলেছিল, কোরআন শরীফের অজিফা পড়তে গিয়ে কোরআন শরীফের অজিফার পৃষ্ঠা ভিজিয়ে ফেলেছিল চোখের পানিতে। আমার হিন্দু মা-বোনেরা তুলশীতলায় গিয়ে প্রার্থনা করেছে, তাদের মুজিব যেন বাংলার মাটিতে ফিরে আসতে পারে। জীবিত অবস্থায় যেন ফিরে আসতে পারে।’

নানক বলেন, ‘আমাদের কৃতজ্ঞতা শ্রীমতি গান্ধীকে। তারা (পাকিস্তানিরা) তখন বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসি দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর কারাগারের সামনেই তাঁর কবর খোড়া হয়েছিল তাঁকে কবর দেওয়ার জন্য। কিন্তু শ্রীমতি গান্ধী বিশ্বের ৭৩টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে বঙ্গবন্ধু মুজিবকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য একটি জরুরী বার্তা পাঠিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ফিরে এলেন, তার স্বদেশ ভূমিতে। ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু তার যাত্রা শুরু করলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা মুক্তিযুদ্ধকে দুই কুকুরের লড়াই হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল, তারাও বাংলাদেশকে মেনে নিতে পারে নাই। তারা বঙ্গবন্ধুর শাষনের তীব্র বিরোধীতা করেছে, তীব্র প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। কিন্তু তারপরেও বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ ৯.১৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে পৃথিবীতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল। সেই বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু যখন বাঙালি জাতির অন্নের অধিকার, বস্ত্রের অধিকার, শিক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে যাত্রা করেছিলেন, তখনই বঙ্গবন্ধু মুজিবকে হত্যা করলো। কারা হত্যা করলো? যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছে, যারা সেদিন সপ্তম নৌ-বহর পাঠিয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাড়খার করে মুক্তিযুদ্ধকে বাধাগ্রস্ত করতে চেয়েছিল, সেই আন্তর্জাতিক শক্তিই পরাজিত হয়ে, সেই পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে।’

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান ফজলে শামস পরশ, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম,যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিল প্রমুখ। এর পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অয়োজন করা হয়।

আওয়ামী লীগ   জাহাঙ্গীর কবির নানক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ওবায়দুল কাদেরকে রিজভীর পাল্টা প্রশ্ন

প্রকাশ: ০৪:৩৩ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে এবার পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’— ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে রিজভী বলেন, এক মর্মান্তিক পরিস্থিতির মধ্যে দেশের মানুষ দিন অতিক্রম করছে। এখানে জীবন ও সম্পদের কোনো নিরাপত্তা নেই। জনগণের মনোভাব ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য সরকার একের পর এক পন্থা অবলম্বন করছে। মধুখালীতে শ্রমিকদের পিটিয়ে হত্যা এটি একটি পন্থা। এরা মানুষকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে না। এরা মানুষের লাশ ও রক্তপাতের ওপর দিয়ে হেঁটে যেতে ভালোবাসেন।

আওয়ামী লীগ গোটা জাতিকে একটি গোরস্তান বানানোর প্রক্রিয়ায় লিপ্ত উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আজ লাশ হচ্ছে জীবন্ত মানুষ। তার একটি ঘটনা মধুখালীতে। সরকার তার বহুমুখী ব্যর্থতা ঢাকতেই একের পর নাটক করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, শুধু ব্যাংক থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। এটা আমার বক্তব্য না। এটা সিডিপির বক্তব্য। আমাদের জিডিপি ১২ শতাংশ নাই হয়ে গেছে। ৯২ হাজার কোটি টাকা শুধু ব্যাংক থেকে লোপাট হয়ে গেছে। লোপাটকারী সবাই ক্ষমতাসীন দলের লোক ও আত্মীয়-স্বজন।

রিজার্ভ থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার উধাও করে দেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, এখন তলানিতে রিজার্ভ। সরকার বলছে, ১৩ বিলিয়ন ডলার আছে। অথচ যারা সচেতন মানুষ তারা বলছেন ৭ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার আছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতের ঋণ পরিশোধ করতে ৪ বিলিয়ন ডলার যাবে।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

আওয়ামী লীগ   সাধারণ সম্পাদক   ওবায়দুল কাদের   রুহুল কবির রিজভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতা ইশরাক কারাগারে

প্রকাশ: ০৪:০৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন আদেশ দেন।

মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।


নাশকতা   মামলা   বিএনপি   ইশরাক   কারাগা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘‌‌‌‍‍‍‍ব্যাংকে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?’

প্রকাশ: ০৩:৫৭ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।


‘‌‌‌ব্যাংক   মাফিয়া   মাস্তান   ঋণখেলাপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ: জিএম কাদের

প্রকাশ: ০৩:৪৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত। 

রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।

তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।

জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।


দেশ   অর্থনৈতিক   জিএম কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল

প্রকাশ: ০৯:১৯ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল। সারা দেশেই বাড়ছে দলটির গৃহদাহ। দল পুনর্গঠন চলমান স্থানীয় সরকার নির্বাচন ঘিরে দলীটির বিবাদ প্রকাশ্যে আসছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশ সবচেয়ে বেশি লঙ্ঘন করছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতারা। তাদের অনেকে এলাকায় গিয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করতে গোপনে উসকে দিচ্ছেন স্থানীয় নেতাদের। ঢাকায় ফিরে তারাই আবার দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘনের দায়ে সংশ্লিষ্ট নেতাদের বহিষ্কারের মাধ্যমে নিজেদের পথ প্রশস্ত করছেন। এতে পারস্পরিক সন্দেহ-অবিশ্বাস ঘনীভূত হচ্ছে।

দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো জানায়, গত বছরের ২৮ অক্টোবরের দলীয় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে কারাগারে যাওয়া নেতাদের অনেকের ভূমিকা রহস্যজনক বলে মনে করছেন দলীয় অনেকে। নিয়ে দলের ভিতরে রয়েছে বিতর্ক। সুনির্দিষ্ট প্রমাণের (অডিও-ভিডিও) ভিত্তিতে বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। অনেককে অঘোষিতভাবেওএসডিকরা হয়েছে সাংগঠনিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে। নিয়ে ক্ষোভে কেউ কেউ রাজনীতি থেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন। চলে যাচ্ছেন দেশ ছেড়ে।

এসব বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি মহাসাগরের মতো বিস্তৃত একটি বিশাল রাজনৈতিক দল। দলে নেতাদের মধ্যে কোনো বিষয়ে মতামত প্রদানের ক্ষেত্রে পার্থক্য থাকতেই পারে। তবে কোনো রকমের অভ্যন্তরীণ বিরোধ বা কোন্দল নেই।

জানা গেছে, সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি বিরোধ-কোন্দল সৃষ্টি হয়েছে চলমান উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। এই নির্বাচনের প্রাক্কালে দলের হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে বয়কটের পক্ষে নেতা-কর্মীদের মধ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য সারা দেশে সাংগঠনিক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু বেশির ভাগ নেতাই তাদের নিজ নিজ এলাকায় সেই দায়িত্ব পালন করেননি। অনেকে এলাকাতেই যাননি। জেলা বিএনপির শীর্ষকর্তারাও তেমন কোনো ভূমিকা রাখেননি। বরং উল্লিখিত নেতাদের এলাকাতেই ভোট কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি ভোটারের উপস্থিতি দেখা গেছে। নির্বাহী কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত এসব নেতার দ্বৈত ভূমিকায় তৃণমূলের নেতারা ক্ষুব্ধ।


বিএনপি   অভ্যন্তরীণ   কোন্দল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন