লিভিং ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাগাজিন ‘ভোগ’-এ বাংলাদেশি চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডা. রোকসানা আক্তার

প্রকাশ: ০২:১৯ পিএম, ২৩ জানুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডা. রোকসানা আক্তার। ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

ডা. রোকসানা আক্তার একজন চিকিৎসা বিজ্ঞানী, মেডিকেল জার্নালের লেখিকা, গ্লোবাল পিস অ্যাম্বাসেডর, মোটিভেশনাল স্পিকার এবং মানবাধিকার কর্মী। ২০২২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর মহিলা আইকন অফ দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ডস পুরষ্কার জিতেছেন তিনি।  কমিউনিটি ওয়ার্কসের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গোল্ড মেডেল অর্জন করেছেন তিনি।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত মাসিক ফ্যাশন এবং লাইফস্টাইল ম্যাগাজিন ‘ভোগ’ বাংলাদেশি ডাক্তার রোকসানা আক্তার সম্পর্কে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে।   

ফ্যাশন এবং লাইফস্টাইল ম্যাগাজিন ‘ভোগ’ বলছে, ২০২২ সালেই তিনি জয় করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মিসেস ইন্টারন্যাশনাল ক্লাসিক অ্যওয়ার্ডস। ২০১৯ সালের যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারন্যাশনাল বিউটি কন্টেস্টে রানার আপ হয়েছেন তিনি। ২০১৯ সালের ইন্টারন্যাশনাল বিউটি কন্টেস্টে, টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে রানার-আপ হয়েছেন তিনি। এই বছরই তিনি মুনারির ক্লাসিক্যাল মডেল হিসেবে টেক্সাসের স্বর্ণপদক আর্জন করেন।  



ম্যাগাজিনটি আরও জানায়, ২০২০ সালে নিউ ইয়র্ক ফ্যাশন উইকে মডেল নির্বাচিত হন। আন্তর্জাতিক সঙ্গীত প্রযোজক হিসেবে ইউটিউবে তিনি ৭০টির বেশি গানও প্রকাশ করেছেন। ইউটিউবে মুক্তি পাওয়া এসব গানের মধ্যে আন্তর্জাতিক মানের গায়কের মডেলও হয়েছেন তিনি। ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে টেক্সাসে অনুষ্ঠিত ‘ভিক্টিমস অফ ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স, মা ও শিশু’-এর জন্য তহবিল সংগ্রহের ফ্যাশন শোতে মডেল হয়েছিলেন তিনি। তিনি ইন্দো আমেরিকান দাতব্য ফাউন্ডেশনের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ২০১৯ সালের মডেল। 

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন এবং লাইফস্টাইল ম্যাগাজিনটি বলছে, তিনি টেক্সাসের কমিউনিটি মাদার অ্যাওয়ার্ডস জিতেছেন ২০২১ সালে। টেক্সাসের শিফা হেলথ কেয়ার, কমিউনিটি সার্ভিস, টেক্সাস ইবনে সিনা কমিউনিটি মেডিকেল ক্লিনিক এবং আরও অনেক প্রতিষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবক মেডিকেল প্রফেশনাল হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। টেক্সাসের লায়ন্স ক্লাব, রোটারেক্ট ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এ কাজ করেছেন তিনি। 

স্যান্টি অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস ফাউন্ডেশন ফর সেভ অ্যা ফ্যামিলি, স্টপ বুলিং, ডিসক্রিমিনেশন এবং গার্হস্থ্য হিংসা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং যুব উন্নয়নের বোর্ড অফ ডিরেক্টর এবং পরিচালক পদে রয়েছেন তিনি। তিনি একজন মানবতাবাদী এবং তিনি বিশ্বের সবাইকে ভালোবাসেন। তিনি মনে করেন প্রতিটি নারীই সুন্দর। তিনি আরও মনে করেন, আমাদের সকলের একে অপরকে সমর্থন করা এবং অনুপ্রাণিত করা উচিত। 

তার শখের মধ্যে রয়েছে খেলাধুলা, সঙ্গীত, কবিতা আবৃত্তি (আন্তর্জাতিক সঙ্গীত প্রযোজকের সাথে ইউটিউবে প্রকাশিত), নতুন লোকের সাথে দেখা করা, গান করা, নাচ করা, ভ্রমণ করা, সংবাদপত্র এবং মেডিকেল জার্নাল পড়া, বিতর্ক করা ইত্যাদি ইত্যাদি।

যুক্তরাষ্ট্র   ভোগ   চিকিৎসা বিজ্ঞানী   ডা. রোকসানা আক্তার  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

যেসব খাবার রোদের চেয়েও ত্বকের জন্য বেশি ক্ষতিকর

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ২৮ মে, ২০২৩


Thumbnail

ত্বকের প্রধান সমস্যাগুলো সাধারণত ধুলা-বালি, দূষণ, বাইরের খাবার খাওয়া, পানি কম পান করা থেকে দেখা দেয়। তবে ত্বকের সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় সূর্যের প্রচণ্ড তাপ ও আলো থেকে। সুর্যকে নিয়ন্ত্রণ করা না গেলেও খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তাই ত্বক ভালো রাখতে সেদিকেই বেশি মনযোগ দেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু আপনি জানলে অবাক হবেন যে, এমন কিছু খাবার আমরা নিয়মিত খাই যেগুলো সূর্যের তাপ ও আলো থেকেও ত্বকের বেশি ক্ষতি করে।

আম

মধু মাসে আম ছাড়া ভাবাই যায় না। তবে এই সময়ে অতিরিক্ত আম খাওয়া ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।

চেন্নাইয়ের ‘অ্যাপোলো স্পেক্ট্রা হসপিটাল’য়ের ত্বক বিশেষজ্ঞ ডা. সুভাষিণী মোহন হেলদিশটস ডটকম’য়ে প্রকাশিত বলেন, “অতিরিক্ত আম খাওয়া হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে ‘সিবাম’ উৎপাদন বৃদ্ধি করে। এটা ত্বককে তৈলাক্ত করে লোমকূপ আটকে ফেলে। ফলে দেখা দেয় ব্রণ ও ব্রেক আউট। এছাড়াও ব্রণ প্রবণ ত্বকের অধিকারীরা আমের মতো বাড়তি শর্করা-জাতীয় ফল খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করে ব্রণের মাত্রা কমিয়ে আনতে পারেন।”

ভাজাপোড়া

বাইরের খাবার মানেই তা হবে তেল-মশলাদার। এই ধরনের খাবার স্বাদের যত্ন নিলেও ত্বকের জন্য একেবারেই উপকারী নয়। তেল চপচপে খাবার খেলে স্বাভাবিক ভাবেই ব্রন হয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বেশি ভাজাপোড়া খেলে এমনিতেই ত্বকের ক্যানসার হওয়ারও আশঙ্কা থাকে।

মিষ্টি

চিনি ত্বকের জন্য একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। মিষ্টিজাতীয় খাবার খেলে যেমন ওজন বেড়ে যায়, তেমন ত্বকেও এর প্রভাব পড়ে। মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা ব্রনের সমস্যা ডেকে আনে। তাই ব্রনের ঝুঁকি এড়াতে মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা যেন নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সেদিকে খেয়াল রাখুন।

উচ্চ কার্বোহাইড্রেট-জাতীয় খাদ্যাভ্যাস

উচ্চ কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার বিশেষত, প্রক্রিয়াজাত ‘কার্ব’ যেমন- সাদা রুটি, পাস্তা ও চিনি দেওয়া নাস্তা দ্রুত রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়ায়। ফলে দেহে ইন্সুলিন উৎপাদন বাড়ে (আইজিএফ ১)।

এটা হরমোনের ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করে ত্বক তৈলাক্ত করে ফেলে। আর ব্রণের সৃষ্টি করে।

ডা মোহন বলেন, “কম কার্বোহাইড্রেইট সমৃদ্ধ খাবার সাধারণত উচ্চ প্রোটিন ও আঁশহীন হয়। এটা অতিরক্তি গ্লাইকেইশনের উৎপাদন কমিয়ে দেহ ও ত্বকের ওপর নেতিবাচক ভূমিকা রাখে। ফলে বার্ধক্যের ছাপ দ্রুত পড়ে।”

কম আঁশবহুল খাবার

কম আঁশ বহুল খাবার যেমন- প্রক্রিয়াজাত খাবার, মিষ্টি পানীয়- রক্তের শর্করা বাড়ায় এবং অন্ত্রের অণুজীবকে বিব্রত করে। ফলে প্রদাহ ও ব্রণ দেখা দেয়।

ডা মোহন বলেন, “উচ্চ আঁশ ধরনের খাবার যেমন- পাতাবহুল শাক, সবজি, ফল ও বাদাম হজমে উন্নত করে। রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। আর ব্রণ কমাতে সহায়তা করে।



মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

ঈদ উপলক্ষে “বিশ্বরঙ”র যত আয়োজন

প্রকাশ: ০১:১৫ পিএম, ১১ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail

ত্যাগের মহিমায় আসছে ঈদুল আযহা। ঈদকে ঘিরে বেশ আগে থেকেই শুরু হয় ঈদ উদযাপনের সব পরিকল্পনা। সে ক্ষেত্রে ঈদের পোশাক কিনতে হয় সবার আগে এবং পোশাক হতে হয় অন্য রকম। উৎসব পার্বন উদযাপনে বিশ্বরঙ সবসময়ই অগ্রপথিক। তাই উৎসব পাবর্নে নতুন ট্রেন্ড নিয়ে কাজ করা বিশ্বরঙে স্বভাবসিদ্ধতা সুদীর্ঘ ২৮ বছর ধরে। 

এবারেও ঈদ-উল-ফিতরের আয়োজনে পোশাকে ট্রেন্ডি এবং ট্রেডিশনাল লুকের নান্দনিক উপস্থাপন করেছে। দেশের আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে আরামদায়ক কাপড় যেমন সুতি, ধুপিয়ান সিল্ক, তসর সিল্ক, লিলেন, কাতান, জ্যাকার্ড কাপড় ব্যবহার করেছে, রঙের ব্যবহারেও কনট্রাস্ট কালারের পাশাপাশি রঙের ‘ম্যাচিউরড টোন’ এর পরিমিত ব্যবহার লক্ষ্যনীয়। কাজের মাধ্যম হিসাবে রয়েছে স্ক্রিন প্রিন্ট, ব্লক, ডিজিটাল প্রিন্ট, মেশিন এমব্রয়ডারী, কম্পিউটার এমব্রয়ডারী, হ্যান্ড এমব্রয়ডারী, কারচুপি, নকশী কাঁথা জারদৌসীসহ মিশ্র মাধ্যমের নিজস্ব বিভিন্ন কৌশল। 

এবারের ঈদ আয়োজনে “বিশ্বরঙ” প্রতিটি শ্রেণীর মানুষের জন্যই ভিন্ন কিছু যোগ করেছে। বাচ্চাদের জন্য এনেছে নান্দনিক সব কালেকশন সেই সাথে প্রাপ্ত বয়স্ক এবং নারীদের জন্য আছে ঐতিহ্য ও আভিজাত্যের ছোঁয়া।

সুদীর্ঘ ২৮ বছরে সারা দেশব্যাপী বিশ্বরঙ এর শোরুমে সুপ্রিয় শুভানুধ্যায়ীদের আগ্রহী পদচারনায় মুখরিত হয়েছে কৃতজ্ঞচিত্তে বারংবার। শোরুমে গিয়ে কেনাকাটার সুযোগের পাশাপাশি যে কেউ ঘরে বসে অনলাইনে কেনাকাটা করতে পারবেন।


বিশ্বরঙ  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

ঈদ উপলক্ষ্যে ‘রেঞ্জ’র চমক

প্রকাশ: ০২:২২ পিএম, ০২ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail

আর কিছুদিন বাদেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়ছে সবাই। এদিকে ফ্যাশন হাউজগুলোও ঈদ উপলক্ষ্যে নান্দনিক সব ডিজাইনের পোশাকে সাজিয়েছে তাদের আউটলেট। আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘রেঞ্জ’ এনেছে নজরকাড়া ডিজাইন ও গুণগত মানের পোশাক।

নতুন কালেকশনে রয়েছে ছেলেদের পাঞ্জাবি, কাবলি, শার্ট, টি-শার্ট, পলো শার্ট, জিন্স প্যান্ট, গ্যাবার্ডিন প্যান্ট ইত্যাদি। এছাড়াও ঈদ আয়োজনে রয়েছে মেয়েদের পাশাপাশি বাচ্চাদের জন্যেও এক্সক্লুসিভ সব পোশাক। বাবা-ছেলেদের কথা মাথায় রেখে রেঞ্জ এই ঈদে নিয়ে এসেছে এক্সক্লুসিভ কিছু কম্বো কালেকশন। এমনটাই জানান রেঞ্জ ফ্যাশন লিমিটেডের সিইও নাহিদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, সব শ্রেণির ক্রেতার ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনা করেই এবারের ঈদ আয়োজন করেছে রেঞ্জ। বরাবরের মতোই ঈদ আয়োজনে গুণগত মান ও ক্রেতার ক্রয়ক্ষমতার বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।স্ক্রিন প্রিন্ট, ডিজিটাল প্রিন্ট, কারচুপি, এমব্রয়ডারি, জিওমেট্রি, ট্রেডিশনাল, ফ্লোরাল এমন অনেক কিছুই থাকছে এবারের ঈদ আয়োজনে। 

রাজধানীর ঢাকাসহ রেঞ্জের ৬টি আউটলেট (যমুনা ফিউচার পার্ক, বনশ্রী  (ঢাকা),  বরিশাল, সিলেট  রাজশাহী, টাঙ্গাইল) ছাড়াও অনলাইনে অর্ডার করা যাবে।  অনলাইন অর্ডারে থাকছে ফ্ল্যাট ১৫%  ডিসকাউন্ট সকল পণ্যের উপরে সেই সাথে থাকছে ফ্রি ডেলিভারি। 

ঈদ   রেঞ্জ  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

ধূমপানের অভ্যাস ছাড়ার ৫ সহজ উপায়

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১৯ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

যারা দীর্ঘ দিন ধরে ধূমপানের অভ্যাস লালন-পালন করে আসছেন, তাদের পক্ষে হঠাৎ ধূমপান ছেড়ে দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এমন অনেকেই আছেন যারা পরিবার, বন্ধুবান্ধব, অফিসের সহকর্মী এমনকি, চিকিৎসকের নিষেধ উপেক্ষা করে এ অভ্যাস চালিয়ে যাচ্ছেন। চিকিৎসকরা বার বার সতর্ক করছেন যে, সুস্থ জীবনযাপন করতে ধূমপানের অভ্যাস জীবন থেকে বাদ দিতে হবে। অনেকে আছেন যারা ধূমপান ছাড়তে চেয়েও পারছেন না। কোন কোন অভ্যাস ধূমপান ছাড়তে সাহায্য করবে তার জেনে নিন।

 

আপনার চারপাশের মানুষেরও ক্ষতি হচ্ছে

ধূমপান যিনি করেন, তার স্বাস্থ্যের ঝুঁকি থেকে যায়। তেমনই পরোক্ষ ধূমপানের ফলে আশপাশে থাকা মানুষেরও স্বাস্থ্যহানি ঘটছে। যা একেবারেই কাম্য নয়। ধূমপান ত্যাগ করে নিজেকে এবং চারপাশের মানুষজনকেও সুস্থ রাখুন। পরিবার ও সন্তানের কথা ভেবে মানসিকভাবে প্রস্তুত হন।

জীবনযাপনে বদল আনুন

গবেষণা বলছে, আমিষ এবং মাংসজাতীয় খাবার খাওয়ার পরই মূলত ধূমপান বেশি উপভোগ্য হয়ে ওঠে। তাই ধূমপান ত্যাগ করতে চাইলে কিছু দিন বেশি করে ফলমূল ও শাকসব্জি খেতে পারেন। এ ছাড়া নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। বিশেষ করে যোগাসন, প্রাণায়ামের অনুশীলন বেশি করে করুন।

মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন

অ্যালকোহল মিশ্রিত পানীয়, নরম পানীয়, চা বা কফি খাওয়ার পরে যোগ্য সঙ্গত হিসাবে ধূমপান করে থাকেন। ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে চাইলে প্রথমে এই ধরনের পানীয় এড়িয়ে চলুন।

পছন্দের চকলেট খেতে পারেন

ধূমপানের অভ্যাস বদলে ফেলুন চকলেট খেয়ে। চকলেট বা চুউইংগাম খাওয়ার অভ্যাস তৈরি হলে ধূমপানের আগ্রহ চলে যাবে।

প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন

যে কোনও অভ্যাস থেকে বেরোতে খানিক সময় লাগে। তবে নিজের চেষ্টায় ধূমপানের আসক্তি ত্যাগ করতে না পারলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তাদের পরামর্শে নিকোটিন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপিরও সাহায্য নিতে পারেন।



মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

প্রযুক্তির যুগে নতুন অসুখ

প্রকাশ: ০৭:৩৯ পিএম, ১৭ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

সারা দিনে একবারও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গেলেন না। এ কারণে কখনো কি এমন মনে হয় যে আপনি গুরুত্বপূর্ণ কিছু মিস করছেন? কিংবা অন্যরা খুব ভালো জীবন যাপন করছেন, যা থেকে আপনি বঞ্চিত হচ্ছেন? তাহলে জেনে রাখুন, আপনার মধ্যে একটি বিশেষ প্রবণতা আছে, যেটার নাম ফিয়ার অব মিসিং আউট (ফোমো)। এটি এমন একটি বিষয়, যা আপনার মধ্যে এমন এক অনুভূতির জন্ম দেয় যে অন্যরা হয়তো আপনার অনুপস্থিতিতে অনেক মজা করছেন বা করবেন। অন্যদের দেখে মনে হওয়া যে তাঁরা ভালো জীবন যাপন করছেন, যা আপনি কোনো কারণে পারছেন না। মোট কথা, এটি আপনার মধ্যে এমন একটি অনুভূতির সৃষ্টি করে যে আপনি গুরুত্বপূর্ণ কিছু মিস করছেন। কিন্তু বাস্তবতা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ভিন্ন।

 ফোমোর ফলে ব্যক্তির মধ্যে সামাজিক অস্বস্তি, অসন্তোষ, বিষণ্নতা, চাপের অনুভূতি, হীনম্মন্যতা, হিংসা, একাকিত্ব এবং তীব্র ক্রোধের মতো গভীর অনুভূতির সৃষ্টি হতে পারে। এমনকি এটি আপনার আত্মসম্মানকেও প্রভাবিত করতে পারে। ফোমো একটি অপেক্ষাকৃত নতুন ধরনের মনস্তাত্ত্বিক ঘটনা। বিপণন কৌশলবিদ ড্যান হারম্যান ১৯৯৬ সালে একটি গবেষণাপত্রে শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোয় পর্যবেক্ষণ করা একটি ঘটনা বর্ণনা করার জন্য ২০০৪ সালে ‘ফোমো’ শব্দটি প্রথম ব্যবহার করা হয়।

 ফোমোর অনুভূতি প্রায়ই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টগুলো থেকে অনুপ্রাণিত হয়। উদ্বেগটি আপনাকে বোঝায় যে একটি উত্তেজনাপূর্ণ বা আকর্ষণীয় ঘটনা বর্তমানে অন্য কোথাও ঘটছে, যেটি সম্পর্কে আপনি অনবরত খোঁজ না রাখলে পিছিয়ে পড়বেন। জীবনকে আরও ভালো করে তুলতে পারে, এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থেকে বঞ্চিত হবেন। ফলে ক্রমাগত সংযুক্ত থাকার ইচ্ছা মানুষকে বারবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের দ্বারস্থ করছে, যা তাঁকে এসব তথ্য সম্পর্কে সারাক্ষণ অবগত রাখে।

সে সম্পর্কে মানুষ বর্তমানে আগের চেয়ে অনেক বেশি জানেন। আর এটা সম্ভব হয়েছে সামাজিক যোগযোগমাধ্যমের কারণে, যা দেখে অন্যদের জীবনের সঙ্গে নিজের জীবনকে মিলিয়ে ফেলার মতো ঘটনাও বাড়ছে। আগে হয়তো আত্মীয়স্বজনেরাও খুব বিশেষ মুহূর্তগুলোয় উপস্থিত না থাকলে সেভাবে কেউ জানতেন না। মুখে মুখে শুনলেও সেটা মানুষকে সেভাবে স্পর্শ করত না। আর একটু দূরের পরিচিত হলে তো জানারও কোনো উপায় ছিল না। এখন নানা মাধ্যমে প্রযুক্তি আমাদের নিয়ে এসেছে একই ছাতার নিচে। যেখানে কোনো বিষয়, ঘটনা, এমনকি সুখ—সবকিছুই একটি প্রতিযোগিতার মধ্যে আছে বলে মনে হয়। মানুষ তাঁদের বাছাই করা সেরা ছবি দিয়ে অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন, যা অন্যদের উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দেয়। নিজের মধ্যে কী কী অভাব রয়েছে, সে বিষয়ে সচেতনতা বাড়িয়ে তোলে।

 নিজের মধ্যে এই ‘ফোমো’ অনুভূতি কমাতে চাইলে কিছু বিষয় মেনে চলার চেষ্টা করতে পারেন।

মনোযোগের পরিবর্তন

আপনার কিসের অভাব রয়েছে, তার ওপর মনোযোগ দেওয়ার পরিবর্তে আপনার কী আছে, সেদিকে মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করুন। আপনার কী নেই, সেই তালিকা যদি বেশি লম্বা করে ফেলেন, তাহলে নিজেকে অসুখী মনে হবে। তাই নিজের যা আছে, সেটার মধ্যে সুখ খোঁজার চেষ্টা করুন।

 ডিজিটাল ডিটক্স করার চেষ্টা করুন

ডিজিটাল ডিটক্স মানে হচ্ছে, সব ডিজিটাল ডিভাইস থেকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিরতি নেওয়ার প্রক্রিয়া। ফোমো থেকে দূরে থাকতে এবং আপনার বাস্তব জীবনের দিকে মনোযোগ সরিয়ে নিতে ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহার কমাতে হবে। এতে আপনার মধ্যে ফোমোর প্রবণতা কমে আসবে।

 জার্নাল রাখুন

নানা রকম অভিজ্ঞতার স্মৃতি ধরে রাখতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করাটা একটা সাধারণ প্রবণতা। কিন্তু সে ক্ষেত্রে অনলাইনে দেওয়া আপনার অভিজ্ঞতাগুলো সবাই পছন্দ করছেন কি না, সে সম্পর্কে আপনি উদ্বিগ্ন থাকতে পারেন। যার ফলে বারবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের দিকে যাবেন। যদি এমন হয়, তাহলে এর পরিবর্তে আপনি আপনার কিছু ছবি এবং স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য একটি ব্যক্তিগত অ্যালবাম বা ডায়েরি রাখুন। এই অভ্যাস আপনাকে আরও ভালো থাকতে সাহায্য করবে।

বাস্তব সম্পর্ক স্থাপন

সব সময় যোগাযোগ ধরে রাখতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের দ্বারস্থ হওয়া স্বাভাবিক। তবে এ ক্ষেত্রে শুধু ভার্চ্যুয়াল জগতের ওপর নির্ভরশীল না থেকে বাস্তবে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করতে পারেন।

প্রযুক্তির এই সময়ে ‘মনোযোগ অর্থনীতি’ নামক একটি নতুন বিষয়ও আলোচিত। একটি পণ্য বা সেবা বিক্রি করার জন্য প্রযুক্তিগুলো ক্রমাগত আমাদের মনোযোগের দখল নেওয়ার চেষ্টায় আছে। কিছু থেকে বাদ পড়ে না যাওয়ার ভয়ে সব সময় সবকিছুতে অংশগ্রহণ কিংবা সবকিছু সম্পর্কে অবগত থাকার কারণে বারবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের দ্বারস্থ হওয়ার চক্র সেই মনোযোগ অর্থনীতিকেই এগিয়ে নিচ্ছে। তাই এটি থেকে বের হয়ে আসা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি।


মিস করা   ফোমো   প্রযুক্তি   রোগ   প্রযুক্তিগত রোগ   ডিজিটাল রোগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন