বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাত ধরে আমুল পরিবর্তন হয়েছে বাংলাদেশের। শিক্ষা, সংস্কৃতি, অর্থনৈতিক, ও সামাজিক অগ্রগতি হচ্ছে ধারাবাহিক ভাবে। প্রধানমন্ত্রীর সুদূরপ্রসারী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ডিজিটাল হচ্ছে সর্বক্ষেত্রে। কিন্তু ১৬ কোটি মানুষের আবেগ যে ক্রিকেট নিয়ে সেটি যেনো অবস্থান করছে একই বিন্দুতে। ক্রিকেট পাগল প্রধানমন্ত্রী নানা সময়ে সরাসরি উপস্থিত থাকেন গ্যালারিতেও। খেলোয়াড়দের রোগ ব্যাধিতেও সরব থাকেন তিনি। এমন খেলা প্রিয় প্রধানমন্ত্রী পেয়েও দেশের ক্রিকেটের উন্নতি কেনো এত ধীর গতিতে সেটি চিন্তার বিষয় ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট সকলের।
ক্রিকেটে
উন্নতি হয় নাই এমনটা
নয়। ক্রিকেটেও উন্নতি হয়েছে, সেটাও বলতে হবে। তবে কাঙ্ক্ষিত গতিতে নয়। অথচ এই ক্রিকেটটাই দলমত,
জাত-পাত, সবকিছুর ঊর্ধ্বে উঠে দেশে-বিদেশের বাঙালিরা হৃদয়ে ধারণ করে। ক্রিকেট বাঙ্গালিদের আলাদা একটা পরিচিতি দিয়েছে। যে ব্রিটিশদের কাছ
থেকে এ দেশের মানুষ
ক্রিকেট নামক খেলাটা শিখেছে, সেই ব্রিটেনে এক সময় এ
দেশের মানুষ যে রেস্টুরেন্টগুলো চালাতো তার
বেশিরভাগের সাইনবোর্ডে লেখা থাকত ‘ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট! কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট দল যখন ইংল্যান্ডে
যাওয়া-আসা শুরু করল তখন সেখানকার মানুষও জানতে শুরু করল, বাংলাদেশের মানুষ, বাঙালিরাও এখানে আছেন। সেটা ক্রিকেট মাঠেই দেখা গেল। এখন সেখানে ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্টের পাশাপাশি বাংলাদেশি রেস্টুরেন্টও চলছে। ক্রিকেট এই পরিবর্তনের ঢেউটা
এনেছে। মাঠের বাহিরের ঢেউটা কি মাঠের পারফরম্যান্সে
হয়েছে সে প্রশ্নটা তোলায়
থাকুক।
গ্লোবালাইজেশনের
যুগে স্পোর্টস এখন কর্পোরেটদের আয়ের বড় এক খোরাক৷
ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টগুলো এর বড় এক
উদাহরণ। ক্রিকেটবোর্ড আয়োজন করে দিলেও পুরো টুর্নামেন্ট নিয়ন্ত্রণ থাকে ফ্র্যাঞ্চাইজি গুলোর দখলে। তাতেও কোন সমস্যা নেই যদি নতুন খেলোয়াড় বেড়িয়ে আসে৷ যারা জাতীয় দলকে সার্ভিস দিবে দীর্ঘ সময়। কিন্তু বাংলাদেশে তাও হয় না। প্রতিবছরই
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বিপিএল নামে আয়োজন হয় ফ্র্যাঞ্চাইজি
ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট।
২০১২ সাল থেকে অনুষ্ঠিত হওয়া বিপিএল থেকে উঠে এসেছে এমন কোন খেলোয়াড় নেই বর্তমান বাংলাদেশ জাতীয় দলে। বিপিএল থেকে যাদের জাতীয় দলে আনা হয় বেশিরভাগ খেলোয়াড়
দলে স্থায়ী হতে পারেন না ফর্মের জন্য।
কয়েক বছরের মধ্যেই বাদ পড়ে যান জাতীয় দল থেকে। বিপিএল
শুরুর আগে দেশ সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের কণ্ঠেও
ছিলো বিপিএল থেকে প্লেয়ার উঠে না আসার আক্ষেপ।
তাহলে বিপিএল আয়োজনের উদ্দেশ্যটাই বা কি? আর
যদি ক্রিকেটের উন্নতিই হয় তাহলে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে টাইগারদের বেহাল দশা কেনো সে চিন্তাও অশনি
সংকেত দিবে যেকোন ক্রিকেট বোদ্ধাদের মনে।
অথচ
পাশ্ববর্তী দেশ ভারত ও পাকিস্থানের ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট
থেকে প্রতিবছরই বেরিয়ে আসে নতুন প্রতিভা। যাদের মধ্যে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের
এপ্রোচ, শট সিলেকশন, ম্যাচের
মোমেন্টাম বুঝে মাঠে নিজেদের প্রতিভার বাস্তবায়ন সব কিছুই দেখা
যায়। কিন্তু বাংলার ক্রিকেট যেনো দিক বেদিক শূন্য। ক্রিকেটের এই ছোট্ট সংস্করণে
এখনো যেনো পিছিয়ে বাংলাদেশ। যদিও চলতি বিপিএল মৌসুম শুরুর আগে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেছেন এবারের টার্গেট নতুন প্রতিভা খুজে বের করা। ইতিমধ্যে মাঠের বিপিএল জমে উঠেছে জমজমাট লড়াইয়ে নির্বাচকদের চোখ ও হয়ত নতুনদের
দিকে। চলমান বিপিএল থেকেই হয়ত পেয়ে যাবে আগামী তারকাদের সে প্রত্যাশায় থাকবে
নির্বাচকদের কাছে।
এরপরেও
প্রশ্ন থেকে যায় বাংলাদেশের পঞ্চপান্ডবদের নিয়ে। যাদের সবার অভিষেক ঘটেছিলো ২০১০ সালের আগেই। দেশের ক্রিকেটের অনেক ইতিহাসের সাক্ষী এই পঞ্চপান্ডবরা। দীর্ঘ
দিন পারফর্ম করে জাতীয় দলে সার্ভিস দেওয়ার রেকর্ড ওই ৫ জনের
দখলেই। নির্বাচক ফারুক আহমেদের যুগে জাতীয় দলে অভিষেক ঘটেছিলো সাকিব-মুশফিক-তামিমদের। ওয়ানডেতে তাদের হাত ধরেই শক্ত অবস্থানে যায় বাংলার ক্রিকেট। নির্বাচকের দায়িত্বে এত বছর পার
করেও নান্নুরা তৈরি করতে পারেনি সাকিব-মুশফিক-তামিমদের বিকল্প। বিপিএল ছাড়াইতো তারা বেরিয়ে
এসেছে। তাহলে কোটি টাকার বিপিএল আয়োজনে করেও কেনো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে নতুন সাকিব-তামিম-মুশফিকদের
!
মন্তব্য করুন
আগামীকাল (রোববার) রাজধানী ঢাকার একটি হোটেলে নারী টি-২০ বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা করবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। চলতি বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে নারী টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসর।
দ্বিতীয়বারের মতো এ টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে বাংলাদেশ। এর আগে ২০১৪ সালে প্রথমবার বাংলাদেশ টুর্নামেন্টটি আয়োজন করেছিল।
সূচি ঘোষণা অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী এবং বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, আইসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জিওফ অ্যালার্ডিস এবং বাংলাদেশ-ভারত নারী ক্রিকেট দলের দুই অধিনায়ক উপস্থিত থাকবেন।
২৩ ম্যাচের এ টুর্নামেন্টে শীর্ষ ১০টি নারী দল অংশ নেবে। ফাইনাল ছাড়া সবক’টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দুই ভেন্যুতে। হোম অব ক্রিকেট হিসেবে বিবেচিত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।
নারী ক্রিকেট টি-২০ বিশ্বকাপ বাংলাদেশ আইসিসি
মন্তব্য করুন
প্রিমিয়ার লিগের বর্ষসেরা ফুটবলারে এবার বাজিমাত করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। কারণ এবার এই ক্লাব থেকেই পুরুষ ও নারী উভয় বিভাগের খেলোয়াড়রা নির্বাচিত হয়েছেন সেরা হিসেবে। ইংলিশ ফুটবল রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভোটে এবারের প্রিমিয়ার লিগের বর্ষসেরা পুরুষ খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির ফিল ফোডেন এবং নারী বিভাগের বর্ষসেরা নির্বাচিত হয়েছেন খাদিজা শ’।
ইংল্যান্ডের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ফোডেন গত চার বছরে সিটির তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ফুটবলের সবচেয়ে পুরনো এই ব্যক্তিগত অ্যাওয়ার্ড জয় করলেন। এর আগে ২০২১ সালে সিটির রুবেন ডিয়াস ও গত বছর আর্লিং হালান্ড এই পুরস্কার জয় করেছিলেন।
এবারের মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে ফোডেন ২৪ গোল করেছেন। ২৩ বছর বয়সী ফোডেন ৪২ শতাংশ ভোট পেয়ে আর্সেনালের ডিক্লান রাইস ও তার সতীর্থ রদ্রিকে পিছনে ফেলেছেন। এফডব্লিউএ’র প্রায় ৯০০ সদদ্যের ভোটে এই পুরস্কার বাছাই করা হয়।
ফোডেন বলেছেন, ‘ফুটবল রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভোটে বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হওয়া সত্যিই অনেক বড় সম্মানের। এই পুরস্কার পেয়ে আমি দারুণ খুশি। সতীর্থদের সহযোগিতা ছাড়া আমি এই পুরস্কার জয় করতে পারতাম না।’
গার্দিওলা তার শিষ্যের প্রশংসা করে বলেছেন, ভবিষ্যতে তার আরো ভাল খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর সে যে পরিমাণ ম্যাচ খেলে তাতে নিজেকে আরো পরিণত করার সুযোগ পাচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সে ম্যাচের আবহ আরো ভালভাবে বুঝতে পারছে। এখনো তার বয়স কম। সবকিছুই এখন তার উপর নির্ভর করছে। আমি নিশ্চিত মানসিক ভাবে শক্ত থাকতে পারলে সে ভবিষ্যতে আরো অনেক দুর এগিয়ে যাবে।’ এদিকে শ’ নারী সুপার লিগে ২১ গোল করেছেন। সব মিলিয়ে তিনি ৮০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।
ফিল ফোডেন খাদিজা শ’ ম্যানসিটি প্রিমিয়ার লিগ
মন্তব্য করুন
মাস্টারমাইন্ড পেপ গার্দিওলা। বার্সালোনাকে ট্রেবল জেতানোর পর গেল মৌসুমে ম্যানসিটিকেও জিতিয়েছেন ট্রেবল। বেশ কয়েকবার ব্যর্থ হবার পরও হাল না ছেড়ে লেগে থাকার ফলেই এই সফলতার মুখ দেখেছে গার্দিওলার দল। তবে এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে গেছে ম্যানসিটি। কিন্তু তারপরও ক্লাব ফুটবলের সাফল্য জাতীয় দলেও ধরে রাখতে পারলে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে ইংল্যান্ডের শিরোপা জয় নিশ্চিত বলে বিশ্বাস করেন পেপ।
গার্দিওলা বলেন, ‘ইংল্যান্ড সত্যিই দারুণ একটি দল। এখানে শুধুমাত্র প্রতিভাবান স্ট্রাইকারই নয়, পুরো দলই একটি গ্রুপ হিসেবে অসাধারণ। গ্যারেথ জানে ঠিক কি করলে দলের সাফল্য আসবে। সে কারণেই আমার মনে হয় এ পর্যন্ত বিশ্বকাপ ও ইউরোতে ইংল্যান্ডের যে ভুলগুলো হয়েছে সেগুলো তারা শুধরে নিতে পেরেছে। তারা শিরোপার একেবারেই কাছাকাছি রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফাইনালে পরাজিত হয়েছে, সেমিফাইনালে খেলেছে। প্রতি দুই বছরে একটি দল যখন এই পর্যায়ে খেলবে তখন সেই দলটির যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকার কথা নয়। এটা অনেকটাই আমাদের মত চিত্র। আমরা শিরোপা কাছাকাছি গিয়েও তা হাতে নিতে পারিনি, শেষ পর্যন্ত সেটা ধরা দিয়েছে।’
গার্দিওলার বিশ্বাস, ফুটবলের প্রতি ইংলিশদের যে ভালবাসা তা অনেক সময় বড় টুর্নামেন্টে খেলোয়াড়দের ওপর প্রত্যাশার চাপ অনেক বেশি বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু এবার ইউরোতে সেই প্রত্যাশার চাপকে সামলে দল অবশ্যই ভাল কিছু করবে।
এ সম্পর্কে সিটি বস বলেন, ‘ইউরোপিয়ান কাপ কিংবা বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড যখন খেলতে নামে তখন সমর্থকদের অনুভূতি আমি দেখেছি। তারা একেবারে পাগল হয়ে যায়। জাতীয় দলের জন্য তারা যেকোন কিছু করতে পারে। এতে এটাই প্রমাণ হয় যে জাতীয় দলকে নিয়ে তারা কতটা গর্বিত। একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবেও এই অনুভূতি সত্যিই অনুপ্রেরণার। পুরো দেশ তার দিকে তাকিয়ে আছে। বড় আসরে শেষ পর্যন্ত খেলতে পারাটাও গর্বের। শুধু এই আত্মবিশ্বাস মনের মধ্যে রাখতে হবে, আমরাও পারবো।’
২০২১ সালে ওয়েম্বলিতে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পেনাল্টিতে ইতালির কাছে পরাজিত হয়েছিল ইংল্যান্ড। ২০১৮ সালে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়া ও ২০২২ সালে কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে পরাজিত হয়ে বিদায় নিতে হয় ইংলিশদের।
পেপ গার্দিওলা ইংল্যান্ড ম্যানসিটি
মন্তব্য করুন
লা লিগায় যেন শিরোপার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে রিয়াল মাদ্রিদ। যার ফলে চার ম্যাচ হাতে রেখে আজই সেই সুযোগ ডন কার্লোর শিষ্যদের সামনে। তবে সেক্ষেত্রে নিজেদের জেতার পাশাপাশি অপেক্ষা থাকবে চিরপ্রতিদ্বন্দি বার্সালোনা হারার।
আজ রাত সোয়া আটটায় শুরু হবে রিয়াল মাদ্রিদ বনাম কাদিজের ম্যাচ। সেই ম্যাচে জেতার পাশাপাশি রাত সাড়ে দশটায় শুরু হওয়া ম্যাচে জিরোনার বিপক্ষে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি বার্সেলোনা পয়েন্ট হারালেই শিরোপা যাবে রিয়ালের ঘরে।
অন্যদিকে সেরা চারের রেসে টিকে থাকতে রাত একটায় অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের প্রতিপক্ষ মায়োর্কা। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে নামছে টেবিলের শীর্ষ দুই আর্সেনাল ও ম্যানচেস্টার সিটি। বিকেলে সাড়ে পাঁচটায় বোর্নমাউথকে গানার্সআর রাত সাড়ে আটটায় উলভসকে আতিথ্য দেবে ম্যানসিটি।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা রেস এখন কার্যত দু’দলের। লড়াইটা মূলত চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি ও আর্সেনালের। তবে রূপালি ট্রফির পথে আপাতত এগিয়ে গানার্সরা। এক ম্যাচ বেশি খেলে এক পয়েন্টে এগিয়ে আর্তেতার দল। কয়েক ঘণ্টার জন্য হলেও সে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ তাদের।
গেলো ম্যাচে টটেনহ্যামকে হারানোর আত্মবিশ্বাস নিয়ে এমিরেটসে নামবে আর্সেনাল। ইনজুরি কাটিয়ে মৌসুমে প্রথমবার খেলতে প্রস্তুত ডিফেন্ডার জুরিয়েন টিম্বার। শেষ ১৫ দেখায় প্রতিপক্ষ বোর্নমাউথ মাত্র একবারই হারাতে পেরেছে আর্সেনালকে।
অন্যদিকে এক ঢিলে দুই পাখি শিকারের সুযোগ ম্যানচেস্টার সিটির। গুরুত্বপূর্ণ তিন পয়েন্টের পাশাপাশি উলভারহ্যাম্পটনের বিপক্ষে প্রতিশোধ নেয়ার হাতছানি সিটিজেনদের। সেপ্টেম্বরে প্রথম পর্বে উলভসের মাঠে ২-১ গোলে হেরেছিল গার্দিওয়ালার দল।
ঘরের মাঠ ইতিহাদে টানা ১৯ লিগ ম্যাচ অপরাজেয় ম্যান সিটি। তার উপর অসুস্থতা কাটিয়ে ফিরতে প্রস্তুত উইঙ্গার ফিল ফোডেন ও ডিফেন্ডার রুবেন দিয়াজ। আর গোলবারে ফের দেখা যেতে পারে আস্থার প্রতিক এডারসনকে।
একই দিনে লা লিগায় আজই হতে পারে শিরোপার নিষ্পত্তি। সেজন্য দুই সমীকরণ মেলাতে হবে রিয়ালকে। এক কাদিজকে হারাতে হবে লস ব্লাঙ্কোসদের। আর জিরোনার কাছে হারতে হবে টেবিলের দুয়ে থাকা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি বার্সেলোনাকে।
সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান কিংবা পারফরমেন্স সব বিচারেই এগিয়ে রিয়াল। প্রতিপক্ষ কাদিজের বিপক্ষে শেষ ৬ আর ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ১৬ লিগ ম্যাচ হারেনি স্বাগতিকরা। সবমিলে মৌসুমে ২৮ ম্যাচ অপরাজেয় আনচেলত্তির দল।
জিরোনার সঙ্গে প্রথম পর্বে হারের প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ বার্সেলোনার। একই সঙ্গে টেবিলের দু’নম্বর পজিশন হারানোর শঙ্কাও আছে কাতালানদের। কেননা দু’দলের পয়েন্ট ব্যবধান মাত্র দুই। ঘরের মাঠে শেষ ১২ ম্যাচ অপরাজিত জিরোনার বিপক্ষে গাভি-ডি ইয়ংদের পাচ্ছেন না জাভি।
রিয়াল মাদ্রিদ বার্সালোনা রিয়াল মাদ্রিদ লা লিগা
মন্তব্য করুন
ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি। ফুটবল দুনিয়ায় এমন কোন অর্জন নেই যা তার ঝুলিতে নেই। ইতোমধ্যেই দীর্ঘদিনের অধরা সোনালী ট্রফিটাও জিতেছেন তিনি। আর এতে করে সর্বকালের সেরা হওয়ার অ্যাখ্যাও পেয়েছেন তিনি।
ফুটবলের পাশাপাশি ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত আছেন মেসি। এর আগে ২০২২ সালে কাপড়ের ব্যবসা চালু করেছিলেন তিনি। সেই ব্যবসায়িক ধারাবাহিকতায় গেল মার্চে বাজারে নতুন হাইড্রেশন (জলযোজন) পানীয় আনার ঘোষণা দেন ৩৬ বছর বয়সী এই তারকা।
নতুন ব্রান্ডের এই হাইড্রেশন পানীয়ের নাম প্রকাশ না করলেও নিজেদের পরিকল্পনা নিয়ে সবকিছু জানিয়েছেন মেসি। বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে নিজের একাউন্টে একটি পোস্ট করেন আর্জেন্টাইন তারকা। সেই পোস্টেই নিজের ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানান মেসি।
পোস্টে মেসি লেখেন, ‘আমাদের নতুন হাইড্রেশন ড্রিংকটি বাজারে আনার জন্য কঠোর পরিশ্রমের সঙ্গে প্রস্তুতি নিচ্ছি। কারণ, হাইড্রেশন (জলযোজন) প্রত্যেকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সবকিছু ঠিকঠাকভাবে হওয়ার বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করতে চাই। যেখানে আমাদের কাজটি এগিয়ে যাচ্ছে, সেখান থেকে মাত্রই ফিরলাম। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জলযোজন পানীয়টি কীভাবে তৈরি হচ্ছে, সেটি সম্পর্কে জেনেছি।’
নিজের মালিকানাধীন ব্যবসা ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন ব্রান্ডের দূত হিসেবে কাজ করে বিশাল অংকের অর্থ আয় করেন মেসি। যার মধ্যে জনপ্রিয় দুটি ব্রান্ড হলো অ্যাডিডাস ও পেপসিকো। চুক্তি অনুযায়ী, অ্যাডিডাস থেকে বছরে ২ কোটি ৫০ লাখ ডলার আয় করেন মেসি।
মেসির শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যায়, স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জো ও বেশকিছু কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি কারখানা পরিদর্শন করছেন মেসি। তাদের সঙ্গে আন্তক্রিয়াতে লিপ্ত হয়েছেন আর্জেন্টাইন দলপতি।
লিওনেল মেসি আর্জেন্টিনা ইন্টার মায়ামি
মন্তব্য করুন
প্রিমিয়ার লিগের বর্ষসেরা ফুটবলারে এবার বাজিমাত করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। কারণ এবার এই ক্লাব থেকেই পুরুষ ও নারী উভয় বিভাগের খেলোয়াড়রা নির্বাচিত হয়েছেন সেরা হিসেবে। ইংলিশ ফুটবল রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভোটে এবারের প্রিমিয়ার লিগের বর্ষসেরা পুরুষ খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির ফিল ফোডেন এবং নারী বিভাগের বর্ষসেরা নির্বাচিত হয়েছেন খাদিজা শ’।
মাস্টারমাইন্ড পেপ গার্দিওলা। বার্সালোনাকে ট্রেবল জেতানোর পর গেল মৌসুমে ম্যানসিটিকেও জিতিয়েছেন ট্রেবল। বেশ কয়েকবার ব্যর্থ হবার পরও হাল না ছেড়ে লেগে থাকার ফলেই এই সফলতার মুখ দেখেছে গার্দিওলার দল। তবে এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে গেছে ম্যানসিটি। কিন্তু তারপরও ক্লাব ফুটবলের সাফল্য জাতীয় দলেও ধরে রাখতে পারলে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে ইংল্যান্ডের শিরোপা জয় নিশ্চিত বলে বিশ্বাস করেন পেপ।