নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সদস্যদের নানা মুহূর্তের ভিডিও প্রকাশ করেছে র্যাব। এসব ভিডিওতে এই জঙ্গি সংগঠনের আমিরসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের প্রশিক্ষণ, রণকৌশলগত চলাচল, চলতি পথে অস্ত্র বহন এবং টহলকালীন ও ব্লক করার সময় অবস্থান কেমন হবে, তা দেখানো হয়েছে। এছাড়া শত্রুর ক্যাম্পে হানা দেওয়ার সময় কীভাবে ৩৬০ ডিগ্রির কৌণিক দূরত্বে সদস্যরা অবস্থান নেবেন, সেই মহড়াও রয়েছে ভিডিওতে।
র্যাব জানিয়েছে, বড় ধরনের হামলার পর অস্ত্রসহ এসব ভিডিও প্রকাশ করে দায় স্বীকারের পরিকল্পনা ছিল জঙ্গিদের। বিশেষ করে কাশিমপুর কারাগারে একযোগে জঙ্গি হামলা চালিয়ে উগ্রপন্থিদের ছাড়িয়ে নেওয়ার ছক কষেছিলেন তারা। এরমধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা ছিল মূল লক্ষ্য। যে কারণে ছোট ছোট এই ভিডিওগুলো তিন-চার মাস আগে থেকে তৈরি করা।
র্যাব জানায়, জামাতুল আনসারের সামরিক শাখার প্রধান মাসুকুর রহমানকে এই ভিডিও করার কারণ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিল। প্রশ্নের উত্তরে এসব তথ্য জানায় জামাতুল আনসারের সামরিক শাখার প্রধান মাসুকুর রহমান।
মাত্র ৮ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও। ভিডিওটিতে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সদস্যদের প্রশিক্ষণ এবং নানা মুহূর্তের প্রস্তুতির চিত্র। সামরিক প্রশিক্ষণের প্রস্তুতিসহ সংগঠিত হচ্ছে জঙ্গি সংগঠনটি- যা অনেকটা ফিল্মি কায়দায়। অর্থাৎ চলচ্চিত্র কিংবা যুদ্ধের কোনো ডকুমেন্টারিতেই এমন দৃশ্য দেখা যায়।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব ভিডিওচিত্র প্রকাশ করে র্যাব। ভিডিওতে সামরিক পোশাকের আদলে তৈরি পোশাক পরে একে-২২ রাইফেল ও শর্টগান নিয়ে প্রশিক্ষণের দৃশ্য দেখা গেছে। ভিডিওতে তাতে যে ২২-২৩ জনকে দেখা গেছে, তাদের প্রায় সবার পরিচয় নিশ্চিত করা গেছে বলেও জানায় র্যাব। এদের মধ্যে রয়েছেন, জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার আমির আনিসুর রহমান ওরফে মাহমুদ, কথিত সামরিক কমান্ডার শিব্বির আহমেদ ওরফে হামিদ কারছে এবং দাওয়াতি শাখার প্রধান আবদুল্লাহ মায়মুন।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত সোমবার (২৪ জানুয়ারি) ভোরে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকা থেকে সংগঠনটির সামরিক শাখার প্রধান মাসুকুর রহমান ওরফে রনবীর ও তার সহযোগী আবুল বাশার মৃধা ওরফে আলমকে গ্রেফতার করে র্যাব। মাসুকুর রহমানের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। সেই ফোনেই পাওয়া যায় পার্বত্য অঞ্চলে সংগঠনটির সদস্যদের সামরিক প্রশিক্ষণের একটি ভিডিও।
র্যাবের অভিযানে উদ্ধার হওয়া ভিডিওতে জঙ্গিদের কয়েকটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্প দেখানো হয়েছে। সেগুলো হলো- জর্দান ক্যাম্প, ডা. আহমেদ ক্যাম্প, রেতলাঙ ক্যাম্প, রামজুদান পাহাড়ের পাশে রামজুদান ক্যাম্প। বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে এসব ক্যাম্প গড়ে তোলা হয়েছে। ভিডিওর শুরুতেই জামাতুল আনসারের আমির আনিসুর রহমান ওরফে মাহমুদকে দেখা গেছে। ঠিক তার পেছনেই পার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) এক প্রশিক্ষককেও দেখা গেছে।
ভিডিওচিত্রে পাহাড়ে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো প্রথম ও দ্বিতীয় ব্যাচের জঙ্গি রয়েছে বলেও জানিয়েছে র্যাব। তবে এই জঙ্গিগোষ্ঠীর সামরিক শাখার প্রধান মাসুকুর রহমান ওরফে রনবীরের ছবি দেখা যায়নি। গত সোমবার কক্সবাজারে রনবীরের সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া তার সহযোগী আবুল বাশার মৃধা ওরফে আলমকে ভিডিওতে দেখা গেছে। আবুল বাশার এই সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং বোমা তৈরির বড় কারিগর বলে জানায় র্যাব।
ভিডিওতে আরও দেখা যায়, জঙ্গিদের হাতে অস্ত্র, ওয়াকিটকি, কারও মাথায় কাফনের কাপড়। সব তরুণের চোখ-মুখ হাস্যোজ্জ্বল। নিজেরা রান্না করছেন, আড্ডা দিচ্ছেন ও খাওয়া-দাওয়া করছেন। পাহাড়ে তৈরি বাঙ্কারে কেউ কেউ পাহারা বসিয়েছেন। বিশাল কড়াইয়ে বনের ভেতরে কথিত হিজরতের উদ্দেশে ঘরছাড়া তরুণরা মাংস রান্না করছেন। কোনো তরুণের কাঁধে ভারী অস্ত্র। তারা কাঠের তৈরি ক্যাম্প পাহারা দিচ্ছেন। কারও গায়ে কমব্যাট ড্রেস। এ সময় রাতের আঁধারে একজনকে গাইতে শোনা যায়, ‘মাথায় কাফন বেঁধে জঙ্গি মিশন দুনিয়াতে ছড়িয়ে দাও’।
বিভিন্ন ক্যাম্পে সামরিক কার্যক্রম বা প্রশিক্ষণের সার্বিক দায়িত্বে থাকা দুই সদস্যকে ভিডিওতে দেখা গেছে জানিয়ে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ভিডিওতে সাব্বির ওরফে কারসে এবং দিদার ওরফে চাম্পাইকে দেখা গেছে। প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের সামরিক কার্যক্রম বা প্রশিক্ষণ দুভাগে ভাগ করা হয়েছে। দুটি ভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয় এ দুজনকে। আর পুরো সামরিক কার্যক্রম দেখভাল করতেন গ্রেফতার হওয়া সামরিক শাখার প্রধান মাসুকুর রহমান। ভিডিওতে সালেহ ও আল-আমিন নামের আরও দুজনকে দেখা গেছে। গ্রেফতার হওয়া সালেহ কদিন আগে বান্দরবানে শারক্বীয়ার দুই সদস্যের কবরের সন্ধান দিয়েছিলেন।
এই ভিডিও করার উদ্দেশ্য সম্পর্কে কমান্ডার মঈন বলেন, প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো, যারা পার্বত্য চট্টগ্রামে আছেন ও প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, তাদের আরও উদ্বুদ্ধ করা। সংগঠনটির সামরিক শাখায় যাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে, তাদের করণীয় কী হবে, সে বিষয়টি সামনে রেখেও ভিডিওটি করা হয়েছে। সমতলে অবস্থানকারী বিভিন্ন ব্যক্তিকে ভিডিও দেখিয়ে উদ্বুদ্ধ করাও ছিল তাদের অন্যতম উদ্দেশ্য।
প্রসঙ্গত, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করে কুমিল্লা থেকে নিখোঁজ হওয়া আটজন তরুণের মধ্যে চারজন ও কেএনএফ সদস্যসহ ১৪ জনকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়। এদের মধ্যে রয়েছেন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার বর্তমান আমির আনিসুর রহমান ওরফে মাহমুদ। উগ্রবাদী এ সংগঠনে ছয়জন শূরা সদস্য রয়েছেন। তারা দাওয়াতি, সামরিক, অর্থ, মিডিয়া ও উপদেষ্টার দায়িত্বে আছেন।
এর মধ্যে শূরা সদস্য আবদুল্লাহ মাইমুন দাওয়াতি শাখার প্রধান, রনবীর সামরিক শাখার প্রধান, মারুফ আহমেদ সামরিক শাখার সেকেন্ড ইন কমান্ড, মোশারফ হোসেন রাকিব অর্থ ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান, শামীন মাহফুজ প্রধান উপদেষ্টা ও প্রশিক্ষণের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক এবং ভোলার শায়েখ আলেম বিভাগের প্রধান হিসেবে সংগঠনটিতে দায়িত্ব পালন করছেন।
নতুন এই জঙ্গি সংগঠনের ৫৫ জন সদস্যকে কেএনএফ প্রধান নাথান বম, সামরিক কমান্ডার কথিত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ভাংচুং লিয়ান বম, মিডিয়া শাখার প্রধান কথিত লে. কর্নেল লালজং মুই মাওয়াইয়া, কথিত লে. কর্নেল লাল মুন ঠিয়াল চির চির ময়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে পার্বত্য চট্টগ্রামে সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
ভিডিও প্রকাশ পরিকল্পনা জঙ্গি র্যাব আটক
মন্তব্য করুন
প্রশ্নপত্র ফাঁস ব্যাংক অ্যাকাউন্ট
মন্তব্য করুন
মতিউর রহমান ছাগলকাণ্ড এনবিআর গোয়েন্দা দুদক দুর্নীতি
মন্তব্য করুন
বেনজীর আহমেদ দুদক পাসপোর্ট তুরস্ক
মন্তব্য করুন
মতিউর রহমান এনবিআর সোনালী ব্যাংক শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ
মন্তব্য করুন
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য ড. মতিউর রহমান এখন গোয়েন্দা জালে। তার বিপুল সম্পদের ফিরিস্তি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তার চেয়েও বড় কথা নিজের সন্তানকে তিনি অর্থের জন্য অস্বীকার করেছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন আগামী রোববার তার বিরুদ্ধে তদন্তের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে বলে দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা প্রাথমকিভাবে গণমাধ্যমে যেসব সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তার সত্যতা পেয়েছে। গোয়েন্দা সূত্র বলছে, মতি দেশেই আছেন, তিনি যেন বিদেশে যেতে না পারেন সেজন্য সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন তারা। যদিও এখন পর্যন্ত তার বিদেশ ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি। কিন্তু একাধিক সূত্র বলছে, মতিউর রহমান যাকে তার সন্তান হিসেবে অস্বীকার করেছেন সেই ইফাত এখন দেশে নেই। তিনি দুইদিন আগেই বিদেশে চলে গেছেন বলে দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।
তবে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলছে, ইফাত তাদের কাছে কোন বড় বিষয় নয়, বিষয় হলো মতিউর রহমান। এনবিআরের এই কর্মকর্তা কীভাবে বিপুল সম্পদের মালিক হলেন সেটি তদন্তের দায়িত্ব দুর্নীতি দমন কমিশনের। কিন্তু মতিউর রহমান যেন বেনজীরের মতো সটকে পড়তে না পারেন বা তিনি যেন তার নামে-বেনামে রাখা সম্পদগুলো বিক্রিবাত্তা করতে না পারেন সেজন্য গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়েছে মতিউর রহমানকে । শুধু দেশে নয়, বিদেশেও মতিউর রহমানের বিপুল সম্পদ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাধারণত এ ধরনের ঘটনার পরপরই দুর্নীতিবাজরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে থাকেন। আর এ কারণেই দুর্নীতি দমন কমিশনের আনুষ্ঠানিক তদন্তের আগে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়েছে মতিউরকে। মতিউরের অবস্থান, তার দুই স্ত্রীর অবস্থান এবং তার সন্তানদের অবস্থান সম্পর্কে সার্বক্ষণিক তথ্য গ্রহণ করা হচ্ছে এবং সেই তথ্যের ভিত্তিতে যখনই দুর্নীতি দমন কমিশন ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করবে, সাথে সাথে যেন তাকে আইনের আওতায় আনা যায় সেলক্ষ্যে এরইমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি সূত্র বলছে যে, আগামী রোববার এনবিআরের সদস্য এবং কাস্টমস ও ভ্যাট আপিল ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট মতিউরের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করতে পারে দুদক এবং এক্ষেত্রে বেনজীরের মতো মতিউর রহমানের সম্পত্তির অনুসন্ধান করে সেই সম্পত্তিগুলো ক্রোক করার জন্য আদালতের শরণাপন্ন হতে পারে কমিশন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন আইনজীবী বলেছেন যে, এখন পর্যন্ত গণমাধ্যমে তার সম্পর্কে যেসব তথ্য প্রকাশিত হয়েছে তার আলোকে তারা তদন্ত শুরু করতে চান এবং একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে আসলেই মতিউর রহমানের অবৈধ সম্পদ রয়েছে কিনা তা উদ্ধার করতে চান।
এর আগেও মতিউর রহমানে বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করেছিল, কিন্তু সেসময় তাকে ক্লিনশিট দেওয়া হয়েছিল কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে এই আইনজীবী বলেন, "অতীতে কি হয়েছিল সেটি এখন মুখ্য ব্যাপার নয় , আমরা সামনের দিকে তাকাতে চাই। দুর্নীতি দমন কমিশন দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি নিয়ে এগোচ্ছে। মতিউর রহমানের ব্যাপারেও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে।"
তবে, গোয়েন্দা সূত্রগুলো যাই বলুক না কেন, বিপুল বিত্তের অধিকারী এই প্রভাবশালী সরকারি কর্মকর্তা আইনের ফাঁক গলে আবারও বেরিয়ে যেতে পারেন কিনা সেটিই এখন দেখার বিষয়।
দুর্নীতি গোয়েন্দা দুদক জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ড. মতিউর রহমান
মন্তব্য করুন
এনবিআরের সদ্য সাবেক সদস্য মতিউর রহমান কোথায়- এ নিয়ে এখন ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। তবে একাধিক গোয়ান্দা সূত্র নিশ্চিত করেছেন যে, মতিউর রহমান দেশেই আছেন। তিনি দেশ থেকে পালিয়ে যাননি। গতকাল মতিউর রহমানের স্ত্রী ১৪ দিন পর প্রকাশ্যে এসেছেন এবং উপজেলা পরিষদের দুটি সভায় তিনি অংশগ্রহণ করেন। তবে সে সমস্ত অনুষ্ঠানগুলোতে অংশগ্রহণ করার আগে বা পরে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে কোন কথা বলেননি। তিনি শুধু বলেছেন, আমার আরেকটি মিটিং আছে। আমি সেখানে যাচ্ছি।
বেনজীর আহমেদের বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছিল সাতটি। মজার ব্যাপার হল, এই সাতটি পাসপোর্টের কোনটিই সরকারি কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে করা হয়নি। সবগুলোতেই তিনি বেসরকারি চাকরিজীবী হিসেবে পাসপোর্ট নিয়ে ছিলেন। সর্বশেষ তার যে পাসপোর্ট করা হয়েছিল সেখানে তিনি বেসরকারি চাকরিজীবী হিসেবে পাসপোর্ট নবায়ন করেছিলেন, যেটি তাকে পাসপোর্ট অধিদপ্তর দিয়েছিল, যখন তিনি পুলিশ প্রধানের দায়িত্ব পালন করছিলেন সেই সময়। সেই বেনজীর আহমেদের শুধু দেশেই একাধিক পাসপোর্ট নয়, বিদেশেও অন্তত তিনটি দেশের পাসপোর্ট রয়েছে বলে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে।
দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক সোনালী ব্যাংকের আজ বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ব্যাংকটির পরিচালনা পরিষদের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় সকাল ১১ টায়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ডে চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী। আজকের বৈঠকে ব্যাংকের অন্যতম পরিচালক ড. মতিউর রহমান যোগ দেননি। ছাগল কাণ্ডে আলোচিত বিতর্কিত সমালোচিত এই এনবিআর কর্মকর্তা যেন বৈঠকে উপস্থিত না থাকেন সেজন্য তাকে টেলিফোনে জানিয়ে দেওয়া হয়। পরিচালক পরিষদের অধিকাংশ সদস্যই ড. মতিউর রহমানের সঙ্গে পরিচালনা পরিষদে বসতে অস্বীকৃতি জানান। এর পরপরই আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে মতিউর রহমান জানিয়ে দেওয়া হয় যে, সে যেন বৈঠকে উপস্থিত না থাকে।