ইনসাইড বাংলাদেশ

দেশে একটি স্থিতিশীলতা আছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৬:১৭ পিএম, ০১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই দেশটাকে গড়ে তোলা- এটা আমাদের দায়িত্ব। এখানে আমরা ক্ষমতা কুক্ষিগত করে নিজের আখের গোচাতে আসিনি। বিশ্বব্যাপী অনেক জিনিসের দাম বেড়েছে। কোথায় আমরা ভর্তুকি দিব? আমরা ভর্তুকি দিব কৃষিতে এবং খাদ্যে। আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। দেশে একটি স্থিতিশীলতা আছে। আমার মনে হয় যেন কিছু লোক আছে, তাদের দেশের স্থিতিশীলতা ভালো লাগে না।

বুধবার (১ ফ্রেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন জাতির পিতার আরেক কন্যা শেখ রেহানা।

গণতান্ত্রিক ধারা এবং আন্দোলনের নামে বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ধারাটি যেন অব্যাহত থাকে তার পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি। আজ গণতান্ত্রিক ধারাটি অব্যাহত আছে বলেই তো দেশটা উন্নত হতে পেরেছে। আমরা পঞ্চদশ সংশোধনী করেছিলাম বলেই কিন্তু আজকে বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা আছে, গণতান্ত্রিক ধারাটি আছে, এর  মাঝে আমাদের অনেক দুর্যোগও সামাল দিতে হয়েছে, অগ্নি সন্ত্রাস, খুন, লুটপাট, গাছ কেটে ফেলা, হাজার হাজার মানুষকে সেই আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা, হাজার হাজার বাস- প্রায় তিন হাজার ৮শ’ বাস পুড়ানো হয়েছে, ৭০টি সরকারি ভবন-অফিস পুড়ানো হয়েছে, এই যে জ্বালাও-পোড়াও করে একটি মানুষের ক্ষতি করা, পোড়া শরীর নিয়ে যে মানুষগুলো বেঁচে আছে, একবার তাদের দিকে তাকিয়ে দেখুন। তারা কি দুর্বিসহ যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে জীবন চালাচ্ছে। প্রায় তিন হাজার জীবন্ত মানুষগুলোকে আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে, প্রায় পাঁচশ’ মানুষ মারা গেছে, আর বাকিরা আগুনে দগ্ধ অবস্থায় মানবেতর জীবন-যাপন করছে। হ্যাঁ, আমি আমার সাধ্যমত তাদের পাশে দাড়াচ্ছি, সহযোগীতা করছি।’ 

বিএনপিসহ বিরোধীদের বিভিন্ন আন্দোলন এবং আসন্ন সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এটাতো কোনো আন্দোলন হলো না, জীবন্ত মানুষকে হত্যা করে। এইগুলো মেকাবেলা করেও- কখনও হেফাজতি আন্দোলন, কখনও সেই হলি আর্টিজানের ধাক্কা, কখনও সরকার গঠন করার সাথে সাথেই বিডিআর-এর ঘটনা- এমন একটার পর একটা ঘটনা এসেছে। এর সাথে আবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সবগুলো মোকাবেলা করেও কিন্তু আমাদের অর্থনীতির গতিকে আমরা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছি। আজ দেশে একটি স্থিতিশীলতা আছে। আমার মনে হয় যেন কিছু লোক আছে, তাদের দেশের স্থিতিশীলতা ভালো লাগে না। আমার কথা হচ্ছে, কারো যদি ক্ষমতায় যাওয়ার ইচ্ছে থাকে, তবে জনগনের কাতারে দাঁড়াবে, নির্বাচন করবে, ভোট করবে- জনগন যাকে চাইবে তারাই ক্ষমতায় আসবে। নির্বাচনকে সুষ্ঠু করবার জন্য আজকে ছবিসহ ভোটার তালিকা আছে, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, আইডি কার্ড- এগুলো তো আমাদেরই প্রস্তাব এবং সেভাবেই করা হয়েছে। যেন মানুষ স্বাধীনভাবে তার ভোট দিতে পারে। শান্তিপূর্ণভাবে তার অধিকারটা সে প্রয়োগ করতে পারে। আমরা সেটাই চাই এবং সে ব্যবস্থাটা আমরা কিন্তু করেছি। এটাকে অনেকভাবে, যারা ৩০টা সিট পেয়েছিল, তারা সিট পাবে কোত্থেকে? আমরা কাজের মধ্য দিয়ে মানুষের সমর্থন আদায় করেছি। এটাতো আমাদের অপরাধ না। আমাদের তো চেষ্টাই থাকবে যে, আমরা আমাদের নিজেদের কাজ করি। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অন্তত একটি মানুষও বাংলাদেশে ভূমিহীন থাকবে না, জাতির পিতা শুরু করেছেন, আমরা সেই কাজ করে যাচ্ছি। ইতিমধ্যেই বহু ভূমিহীন মানুষকে আমরা বিনা-পয়সায় ঘর করে দিয়েছি। জানি না, পৃথিবীতে এভাবে আর কেউ দিয়েছে কি না? কিন্তু আমরা দিয়েছি, আমাদের এখন আরও ৪০ হাজার ঘর করে দিলে আমরা বলতে পারবো, বাংলাদেশে এখন আর কেউ ভূমিহীন নেই। তারপরও যদি কেউ থাকে আমরা খুঁজে বের করছি। এটাই আমাদের লক্ষ্য। সাধারণ ভূমিহীন নয়, হরিজন শ্রেণি, তাদেরকে ফ্ল্যাট করে দিয়েছি। আমাদের হিজড়া, তাদেরকে স্বীকৃতি দিয়ে, ঘর-বাড়ি করে দিয়ে, তাদের জীবন-জীবিকার সুযোগ করে দিয়েছি। বেদে শ্রেণি- তাদের জন্য ডাঙ্গায় ঘর করে, বিনা-পয়সায় ঘর করে তাদের থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এমনকি কুষ্ঠরোগী, তাদের জন্যও আশ্রয়ন প্রকল্পে ঘর করে তাদের জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।  

দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আমাদের স্বাক্ষরতার হার ৭৫.৫ শতাংশ করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা আড়াই কোটি শিক্ষার্থীকে বৃত্তি-উপবৃত্তি দিচ্ছি। আজকে একটি স্থিতিশীল পরিবেশকে নষ্ট করার অনেক রকম চক্রান্ত হচ্ছে। আমি জনগনের উপর বিশ্বাস করি, জনগনের জন্য কাজ করি। দেশের সেবা করা, এটাই আমাদের লক্ষ্য।     

বাংলাদেশের জনগনকে উদ্দেশ্য করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বলেছিলেন, আমার মাটি আছে, মানুষ আছে, আমার মাটি এবং মানুষ দিয়ে দেশ গড়বো। আমি বিশ্বাস করি এই মাটি ও মানুষ দিয়েই আমরা আমাদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে পারবো। ডিজিটাল বাংলাদেশের যেমন সুফল আছে, তেমনি অন্তরায়ও আছে, আপনারা যেখানে যা শুনবেন, অন্তত বাস্তব চিত্রটা দেখবেন- সেটাই আমি চাই। 

ডিজিটাল যুগে ভাষা এবং সাহিত্য চর্চাও ডিজিটালাইজড করার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রাণের বইমেলা আরও বিকশিত হচ্ছে। বইগুলো অডিও ভার্সনও করা যেতে পারে। সব সাহিত্যকর্ম অডিও ভার্সন করতে পারলে চলতে-ফিরতেও শোনা যাবে, পড়া যাবে। সেভাবে আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে আমাদের চলা উচিত। যদিও বইয়ের পাতা উল্টে পড়ার মজাই আলাদা।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি বইমেলায় আসতে পেরে সত্যিই খুব আনন্দিত। আমি যে কথাগুলো বললাম, আন্তর্জাতিক সাহিত্যমেলার ব্যবস্থা করা, আমাদের জেলায় জেলায় বইমেলা অব্যাহত থাকবে। সাহিত্যচর্চা, বই পড়া, সেই ছোট্ট শিশুকাল থেকেই, শিশু সাহিত্যটা আরও বেশি দরকার আমাদের।’

বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আবুল মনসুর, পুস্তক প্রকাশক সমিতির সভাপতি আরিফুর রহমান ছোটন, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহাম্মদ নূরুল হুদা। অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও বইপ্রেমীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রূপা চক্রবর্তী ও শাহাদাত হোসেন নিপু।


অমর একুশে বইমেলা   উদ্বোধনী অনুষ্ঠান   প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কাঁচা মরিচের কেজি ছাড়াল ২০০ টাকা

প্রকাশ: ১০:০৩ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

কাঁচা মরিচের দাম আরও বেড়েছে। গত ১০ দিনের ব্যবধানে এই পণ্যের দাম দ্বিগুণ হয়ে প্রতি কেজি ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে। কোথাও কোথাও আরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বছরের এই সময়ে বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি থাকে। ফলে আমদানি করে মরিচের প্রয়োজন মেটাতে হয়। তবে এবার দাম বাড়তে থাকলেও সরকারের পক্ষ থেকে দাম নিয়ন্ত্রণে এখনো কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।

এবার কাঁচা মরিচের দাম বাড়ছে ঈদুল আজহার মাসখানেক আগে থেকেই। গত বছর কোরবানির সময়ে ঢাকায় কাঁচা মরিচের কেজি ৭০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। তখন দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দিয়েছিল।

গত পাঁচ বছরের বাজারের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বছরের এই সময়ে উৎপাদন কমে যাওয়ায় কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা বাড়ে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশে বৃষ্টিসহিষ্ণু মরিচের জাত কম। ফলে বৃষ্টি বেশি হলে কাঁচা মরিচের উৎপাদন কমে যায়। তখন আমদানি করে কাঁচা মরিচের চাহিদা মেটানো হয়। সাধারণত ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি করা হয়। তবে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার থেকেও কিছু কাঁচা মরিচ আসে। মিয়ানমারে চলমান যুদ্ধের কারণে কাঁচা মরিচ আমদানিতে ভারতের ওপর নির্ভর করতে হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সঙ্গনিরোধ শাখা সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি (আইপি) দেওয়া হয়নি। তবে বাজারে কাঁচা মরিচের দাম ও সরবরাহ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। চাহিদা ও সরবরাহ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।


কাঁচা   মরিচ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জুজুৎসুর নিউটন ভয়ংকর যৌন নিপীড়ক: র‍্যাব

প্রকাশ: ০৯:৫৫ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

নারী ক্রীড়াবিদদের ধর্ষণ ও শারীরিক নিপীড়ন। অপ্রাপ্তবয়স্ক ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে অনৈতিক কার্যকলাপের কারণে গর্ভবতী হলে তাদের গর্ভপাত করানোর মতো ভয়ংকর কাজও করেছেন তিনি। নারী ক্রীড়াবিদকে ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় প্রধান আসামি বাংলাদেশ জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম নিউটনকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জেনেছে র‍্যাব।

তার অনৈতিক এ কাজে আরেক নারী সহযোগী ক্রীড়াবিদকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলায় দ্বিতীয় আসামি ওই নারী ক্রীড়াবিদকে ইতোমধ্যে রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।

র‍্যাব কমান্ডার আরাফাত ইসলাম জানান, ১৮ মে রাজধানীর শাহ আলী ও মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে রফিকুল ইসলাম নিউটন ও তার সহযোগী একজন নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। জুজুৎসু এসোসিয়েশনের একজন নারী ক্রীড়াবিদদের করা নারী শিশু নির্যাতন দমন ও পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

সংবাদ সম্মেলনে  র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ধর্ষণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা স্বীকার করেছেন। রফিকুল ইসলাম নিউটন জুজুৎসু (জাপানি মার্শাল আর্ট) খেলার প্রশিক্ষক। অ্যাসোসিয়েশনের অধিকাংশ প্রশিক্ষণার্থী নারী। যেখানে অভিভাবক হিসেবে কোমলমতি মেয়েদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল। কিন্তু তিনি কোমলমতি মেয়েদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তার হীন চরিত্র চরিতার্থ করার প্রয়াস চালান।

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, রফিকুল ইসলাম নিউটন অ্যাসোসিয়েশনের অপ্রাপ্তবয়স্ক নারী ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে অনৈতিক কার্যকলাপের কারণে কেউ গর্ভবতী হলে তাদের গর্ভপাত করাতেন। এছাড়া অনুশীলনের আগে মেয়েদের পোশাক পরিবর্তনের কক্ষে প্রবেশ করে তাদের জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ ও নগ্ন ছবি তুলে রাখতেন তিনি। পরে ধারণ করা নগ্ন ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ব্ল‍্যাকমেইল করে বারবার ধর্ষণ করতেন।


জুজুৎসু   নিউটন   র‍্যাব  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদি অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ


Thumbnail

আগামী ২১ মে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন ২ জন। এর মধ্যে জনগণের ও সরকার দলীয় কর্মীদের পছন্দের প্রার্থী তালিকায় অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ অন্যতম। অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদের আনারস প্রতীকে ভোট দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ভোটাররা।

অপর প্রার্থী আলতাফ হোসেন মোটরসাইকেল প্রতীকে প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। তবে তার বিরুদ্ধে চরের জমি নিয়ে নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, আইন অমান্য করে মাছ শিকারসহ জেলেদেরকে দিয়ে নদী দখল ও বাস্তুচ্যুতদের মহিষ দিয়ে চর দখলে রেখেছেন।

প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভোটারদের মন জয় করতে নানা কুরুচীপূর্ণ বক্তব্য দিতেও সংকোচ বোধ করছেন না অনেকে।

এদিকে নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি  মেনে চলার  আহ্বান জানিয়েছে।


বিজয়   অধ্যক্ষ   মামুনুর রশীদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যে কারণে ডিবি কার্যালয়ে যান মামুনুল হক

প্রকাশ: ০৯:১৬ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেফাজত ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হক প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবস্থান করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে। পরে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে তিনি ডিবির কার্যালয় ত্যাগ করেন।

সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নেওয়ার জন্য তিনি ডিবি কার্যালয়ে এসেছিলেন।

মামুনুল হক বলেন, আমাকে যখন গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তখন মামলার আলামত হিসেবে আমার মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়েছিল। সেই মোবাইল ফোনটি নিতে আমি আজ ডিবি কার্যালয়ে এসেছি।

ডিবি কার্যালয়ে মামলা সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাকে ডিবি ডাকেনি এবং মামলা সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি।

মোবাইল ফোনটি তিনি ফেরত পেয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই হেফাজতের এই নেতা গাড়িতে উঠে যান।


মোবাইল   ডিবি   মামুনুল হক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভাঙ্গা থেকে যশোর রেলপথ চালু হবে অক্টোবরে : রেলমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:৪০ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত রেলপথ পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হবে আগামী অক্টোবরে। ভাঙ্গা জংশনের নির্মাণকাজ শেষ হবে সেপ্টেম্বরে। রাজবাড়ী থেকে ভাঙ্গা হয়ে ঢাকা পর্যন্ত যে চন্দনা কমিউটার ট্রেন চলছে, তা ফরিদপুরে স্টপেজ দেওয়ার ব্যাপারে আন্দোলন চলছে।

এ ব্যাপারে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম সাংবাদিকদের বলেন, ফরিদপুরে চন্দনা ট্রেনের রিশিডিউল দিয়ে দেব। আপনাদের মাধ্যমে সবাইকে আশ্বস্ত করছি। ওদের আশ্বস্ত করে দেন। আন্দোলন করতে হবে না।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার বামনকান্দা এলাকায় অবস্থিত ভাঙ্গা রেলওয়ে জংশনের নির্মাণকাজ পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবির, রেলের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত ঢালী, প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন, প্রজেক্ট ম্যানেজার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কবির হোসেন, ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিএম কুদরত এ খুদা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও চায়না রেলওয়ে কোম্পানিসহ বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা।


ভাঙ্গা   যশোর   রেলপথ   অক্টোবর   রেলমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন