‘আমাদের মাননীয় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভাষ্যমতে ভোটার উপস্থিতি ২৫ শতাংশ। গত ৩০ বছরের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি যে, গত উপ-নির্বাচনগুলোতে ভোটারদের উৎসাহ উদ্দীপনা কম ছিল। এর প্রধান কারণ হচ্ছে মেয়াদের শেষের দিকে উপ-নির্বাচন অুনষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচনের জয়-পরাজয়, কোন অবস্থাতেই সরকারের ভাগ্য নির্ধারণ করে না। এটা হচ্ছে ভোটার উপস্থিতি কম থাকার প্রধান কারণ।‘
গতকাল বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির পদত্যাগ করা ৬ আসনে অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া উপ-নির্বাচন নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য প্রফেসর ড. কলিম উল্লাহ এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক আসাদুজ্জামান খান।
উপ-নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রফেসর ড. কলিম উল্লাহ বলেন, প্রথমত, মেয়াদের শেষের দিকে উপ-নির্বাচন অুনষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচনের জয়-পরাজয়, কোন অবস্থাতেই সরকারের ভাগ্য নির্ধারণ করে না। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশে এ পর্যন্ত যত উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, প্রায় সবগুলোই ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। এই নির্বাচন পরবর্তীকালে প্রার্থীরা কতটুকু অবদান রাখতে পারবে সেটা নিয়ে একটি সংশয় থেকেই যায়। এটি আরেকটি কারণ। তৃতীয়ত মনে রাখতে হবে, এ ছয়টি আসন বিএনপির ছেড়ে দেওয়া আসন। তাদের পার্টি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, তারা এই সংসদে থাকবে না। ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে বিএনপির টিকিট ছাড়াই সাবেক বিএনপির প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি তার দল থেকে পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু ব্যক্তি মানুষটাতো ওই ব্যক্তিই রয়ে গেছেন। সেটাও একটি কারণ।
বগুড়া-৪ আসনে প্রথম
দিকে হিরো আলম এগিয়ে
থাকলেও পরে হিরো আলম
হেরে মন্তব্য করেছেন যে, নির্বাচনের ফলাফল
চুরি হয়েছে। এই অভিযোগটা কতটা
সত্যি? - এ বিষয়ে তিনি
বলেন, এই জায়গাটা ঐতিহাসিকভাবেই
ডান ধারার লোক অধ্যুষিত
এবং তার ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ব্র্যাক যখন
সেখানে তুত গাছ লাগিয়েছিল;
তারা এতোটাই ইমোশোনাল যে, তারা সেই
তুত গাছ ছিড়ে ফেলেছিল,
জায়েজ নয়- এই বিবেচনায়।
আমি পরবর্তীতে জায়গাটা ঘুরে দেখেছি। মাগুরার
যে উপ-নির্বাচনটি হয়েছিল বিএনপির আমলে, তার মাস দুই/তিন পরে, বগুড়া
উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই উপ-নির্বাচন
আমি পর্যবেক্ষণ করতে গিয়েছিলাম এবং
পরিবেশ পরিস্থিতি দেখে মনে হয়েছে
যে, দীর্ঘদিনের ধারাবাহিকতাই এখনো বজায় আছে।
সেখানে যেহেতু বিএনপি নির্বাচন করছে না, তাই
হিরো আলম একটি পপুলার
ফিগার হওয়ায় সহজেই নিম্নবর্গের মানুষদের সমর্থন পেয়েছিল। তিনি যেহেতু একজন
পাবলিক ফিগার, এই ইমেজটি তিনি
ব্যবহার করেছিলেন। ফলে সেই বিবেচনায়
আমার মনে হয, তিনি
ভালোই ভোট পেয়েছেন। তবে
আসলে ব্যক্তি আর দল দুটোর
মধ্যেতো গুণগত পার্থক্য আছে। এখানে যে
প্রক্রিয়ায় নির্বাচন হয়েছে, সেখানে বুকে হাত দিয়ে
বলা যাবে না যে,
ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে হারিয়ে দেওয়া
হয়েছে।
ড. কলিম উল্লাহ বলেন, আমি তাকে (হিরো
আলম) সম্মান করি। তিনি এটা
বলতে পারেন, সমাজের নিম্নবর্গের একজন মানুষ তিনি
এবং তিনি নির্বাচনে জয়
লাভ করতে চাইছেন, এটি
একটি শ্রেণির মানুষ হয়তো নাও চাইতে
পারে, যদি সমাজের শ্রেণিভুক্ত মানুষজনের বিচার বিশ্লেষন আমরা করতে চাই।
তবে তিনি যে যুক্তি
দাড় করিয়েছেন যে শিল্পী মমতাজ
যদি তৃণমূল থেকে ওঠে এসে
সংসদে থাকতে পারেন, তবে উনি পারবেন
না কেন? এটা হচ্ছে
তার যুক্তি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, একই সঙ্গে তিনি
দুইটি আসনে দাড়িয়েছেন, ফলে
তার মনোযোগ দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে এবং
তার যে চেষ্টা সেটাও
কিন্তু সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে। তিনি
যদি শুধুমাত্র বগুড়া-৪ আসনেই চেষ্টা
করতেন- আমার ধারনা আরও
হয়তো ভালো করতে পারতেন।
উপ-নির্বাচন নির্বাচন বাংলাদেশ হিরো আলম
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, এপ্রিল মাসে তীব্র তাপদাহ যাচ্ছে। এটা একটু কষ্টদায়ক বটে। তবে মে মাসেও তো আবহাওয়া এমন থাকবে এবং সে সময় প্রচন্ড গরম থাকবে। কিন্তু তাই বলে তো আর স্কুল, কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এত লম্বা সময় ধরে বন্ধ রাখা যায় না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।