ফেব্রুয়ায়রি
মাসের প্রথম দিন শুরু হয়েছিল বিদ্যুৎ ও গ্যাসের বাড়তি
দাম কার্যকরের মধ্য দিয়ে। দ্বিতীয় দিনে এসে জানা গেল, রান্নার গ্যাস, মুরগি, ডিম, ডাল ও কাঁচা মরিচের
দাম বৃদ্ধিতে ব্যয়ের চাপ আরও বেড়ে গেছে।
বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সরকার গ্যাস–বিদ্যুতের মতো সেবামূল্য বাড়িয়ে দিচ্ছে। দ্বিমুখী চাপে চ্যাপটা হচ্ছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত। আগে যেসব পণ্যের দাম বেড়েছিল, তা কমারও কোনো লক্ষণ নেই। আরেকটি দিক হলো, সরকার যেসব পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে, তা–ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না।
ঢাকার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ডিমের দাম বেড়েছে ডজনে ১০ টাকা। ফার্মের মুরগির বাদামি ডিম গত সপ্তাহেও প্রতি ডজন ১২৫ টাকায় কেনা যেত, তা এখন কিনতে হচ্ছে ১৩৫ টাকা দরে। এ দর বড় বাজারের ডিমের দোকানের। তবে পাড়া–মহল্লার মুদিদোকানে গেলে দাম আরও বেশি দিতে হয়। বাজারে ডিমের ডজন সাধারণত ৯০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে থাকে। কয়েক মাস ধরে দাম অত্যন্ত চড়া। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এখন ডিমের দাম ২৩ শতাংশ বেশি।
অনেকের জন্য পুষ্টির যোগানে বড় ভরসা ফার্মের ব্রয়লার ও সোনালি মুরগি। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে মুরগির দাম অনেকটা বেশি থাকছে। ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা জানান, দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। সোনালি মুরগি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। গত সপ্তাহে যা ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা ছিল। খাবার ও এক দিন বয়সী মুরগির বাচ্চার দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরায় মুরগির দর বেড়েছে।
ব্রয়লার মুরগি মাংসের মধ্যে সবচেয়ে সস্তা। গরুর মাংস ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়ার বিপরীতে ব্রয়লার মুরগির দাম সাধারণত ১৩০ থেকে ১৪০ টাকার মধ্যে থাকে। শুধু উৎসব এবং পবিত্র শবে বরাতের সময় ১৮০ টাকার আশপাশে বিক্রি হতে দেখা যায়। কিন্তু এখন দাম প্রায়ই দ্বিশতকের কাছাকাছি চলে যাচ্ছে। গত অক্টোবরে ব্রয়লার মুরগির কেজি ২০০ টাকা ছাড়িয়েছিল। টিসিবির হিসাব বলছে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এখন ব্রয়লার মুরগির দাম ২২ শতাংশ বেশি।
মাছের বাজারেও স্বস্তি নেই। যেসব চাষের মাছের দাম বছরজুড়ে স্থিতিশীল থাকে, সেগুলোর দরও বেড়েছে। যেমন তেলাপিয়া মাছ সাধারণত ১৫০ থেকে ১৮০ টাকার মধ্যে পাওয়া যেত। এখন তা ২০০ থেকে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হয়। টিসিবি রুই মাছের দামের হিসাব রাখে। তাদের তালিকায় দেখা যায়, গত বছর একই সময়ে যে রুই মাছের কেজি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা ছিল, সেটা এখন ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়।
ডালের মধ্যে বেড়েছে অ্যাংকরের দাম। অ্যাংকর ডাল আমদানি করা। এটি মূলত নিম্ন আয়ের মানুষ কেনে। গত বছরও এ ডালের দাম কেজিতে ৫০ টাকা বা তার কম ছিল। এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে। এক সপ্তাহে দাম বেড়েছে ৫ টাকা। অন্য ডালের দামও চড়া। মসুর ডাল মানভেদে ৯৫ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।
রান্না করতে কাঁচা মরিচ লাগেই। কাঁচা মরিচের কেজি উঠেছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। গত সপ্তাহে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয় ১০০ টাকা কেজির নিচে। বেশির ভাগ সবজির কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, সবজির দাম স্থিতিশীল আছে। তবে মৌসুমের সময় দাম যতটা কমে, এবার ততটা কমেনি।
চাল, আটা ও তেল
দেশের মানুষের প্রধান খাদ্য চালের দাম উচ্চ মূল্যে স্থিতিশীল রয়েছে। আমদানি ও আমনে ভালো ফলনও দাম কমাতে পারেনি। টিসিবির তালিকায় মোটা চালের দাম ৪৬ থেকে ৫০ টাকা লেখা রয়েছে। তবে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভালো মানের মোটা চাল কিনতে দর পড়ছে কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। মাঝারি চালের দর ৬০ থেকে ৬২ টাকা। আর সরু মিনিকেট চাল কিনতে লাগছে ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা।
জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার গতকাল বলেন, বিএনপির আমলে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় মোটা চাল বিক্রি হতো। তখন একজন নারী শ্রমিক মজুরি পেতেন ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। পুরুষ পেতেন ৬০ থেকে ৭০ টাকা। এক কেজি চাল কিনলে তেল ও লবণ কেনার টাকা থাকত না। এখন মোটা চাল যদি ৪৮ কিংবা ৫০ টাকা ধরি...এখন একজন শ্রমিক মজুরি পান ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। সেই দিকে ধরলে তাঁরা পাঁচ গুণ, ছয় গুণ, সাত গুণ কিংবা আট গুণ বেশি আয় করেন।
চালের দাম কতটা বেড়েছে, তা বোঝা যায় টিসিবির ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসের দর দেখলে। তখন মোটা চালের সর্বনিম্ন দাম কেজিপ্রতি ৩০ টাকা ও সরু চাল ৪৫ টাকা ছিল। চালের দাম কমাতে সরকার আমদানির সুযোগ দিয়েছে। শুল্ক কমিয়েছে। তবে তারপরও দাম কমাতে পারেনি।
২০২০ সালের শুরুতে খোলা আটার কেজি ছিল ২৮ থেকে ৩০ টাকা; তা এখন কেজিপ্রতি ৫৮ থেকে ৬০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে মানুষকে। প্যাকেটজাত আটার দাম আরও বেশি। কেজিপ্রতি ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা। টিসিবির হিসাবে গত বছরের এ সময়ের তুলনায় আটার দাম এখন ৬৬ শতাংশ বেশি।
২০২১ ও ২০২২ সালজুড়ে ভোজ্যতেলের দাম চড়া ছিল। এখনো চড়া। ২০২০ সালের শুরুতে লিটারপ্রতি সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১০০ টাকার আশপাশে। এখন তা ১৮০ টাকার বেশি।
মসলার মধ্যে পেঁয়াজের মৌসুম চলছে। দাম নাগালে আছে। কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ টাকা। দেশি রসুনের কেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। চীনা রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। বিক্রেতারা বলছেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ট্রাকভাড়া, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ও সারের দাম বাড়ার কারণে পণ্যের উৎপাদন ও আমদানি ব্যয় বেড়েছে। ফলে মৌসুমের সময় দাম ততটা কমছে না, যতটা আগে কমত।
যেমন টিসিবির হিসাবে গত বছর একই সময়ের তুলনায় এখন পেঁয়াজের দাম ৪০ শতাংশ বেশি। এবার আবাদে কোনো সমস্যা হয়নি।
নির্ধারিত দর কেউ মানে না
সরকারি সংস্থাগুলো এখন ভোজ্যতেল, চিনি ও তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম নির্ধারণ করে দেয়। ভোজ্যতেলের দাম মাঝেমধ্যে মানা হয় না। এটা মূলত নির্ভর করে বৈশ্বিক বাজার পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে, সেটির ওপর।
চিনি ও এলপিজির নির্ধারিত দর এখন মানা হচ্ছে না। গত ২৬ জানুয়ারি চিনির খুচরা মূল্য কেজিপ্রতি ৫ টাকা বাড়িয়ে ১০৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দাম আসলে কেজিপ্রতি ১১০ থেকে ১২০ টাকা। টিসিবির তালিকায়ও এ দর উল্লেখ করা হয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘চিনির বাড়তি দাম ঠেকাতে আমরা সক্রিয় আছি। এলপিজির দাম আজই (গতকাল) বাড়ল। বেশি নেওয়া হলে আমরা দেখব।’
অবশ্য গ্রাহকেরা বলছেন, সব সময়ই এলপিজি নির্ধারিত দামের বেশি দরে বিক্রি হয়।
গ্যাস–বিদ্যুৎ দাম ‘আরও বাড়াবে’
সরকার গত ১৮ জানুয়ারি গ্যাসের দাম গড়ে ৮২ শতাংশ বাড়িয়েছে। বাসাবাড়ির গ্যাসের দাম না বাড়লেও তা পরোক্ষভাবে পরিবারের ব্যয় বাড়াবে। কারণ, গ্যাস পণ্যের উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে দেবে। বিদ্যুতের দাম গত মাসে দুই দফায় ১০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এতে সরাসরি মানুষের বাসার বিদ্যুৎ বিল বাড়বে। পণ্যের উৎপাদন ব্যয়ে প্রভাব ফেলবে।
গ্যাস–বিদ্যুতের দাম বাড়ানোয় ডিম ও মুরগির দাম আরও বাড়তে পারে। কারণ, গ্যাসের বাড়তি দামে পোলট্রি খাবারের উৎপাদন ব্যয় বাড়বে। আর বিদ্যুৎ সরাসরি খামারের ব্যয় বাড়িয়ে দেবে।
দেশে গত ৫ আগস্ট জ্বালানি তেলের দাম রেকর্ড হারে বাড়ানো হয়েছিল। ওই মাসে মূল্যস্ফীতি দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ, যা আগের ১১ বছর ৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল।
এসব মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের ওপর কী প্রভাব ফেলছে, তা আঁচ করা যায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আবদুল মজিদের কথায়, যিনি নিউমার্কেট কাঁচাবাজারে কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘এখন মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করেও পাঁচজনের সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। মাসের শেষ দিকে ধার করা লাগে।’
মন্তব্য করুন
চলমান পরিস্থিতিতে চার দিন স্থবির থাকার পর স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে চট্টগ্রাম বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম। চট্টগ্রাম বন্দরে ইন্টারনেট সেবা চালুর পর বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হয়। কাস্টমসেও বিকল্প ব্যবস্থায় আমদানি-রপ্তানি নতুন চালান শুল্কায়নের মাধ্যমে পণ্য খালাস ও রপ্তানি পণ্য জাহাজীকরণ শুরু হয়েছে।
বুধবার (২৪ জুলাই) চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হয়েছে। এতে বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রমও চালু হয়েছে। কাস্টমস থেকে যেসব পণ্য শুল্কায়ন হচ্ছে, সেগুলো আমরা ডেলিভারি দিচ্ছি। এ জন্য কাস্টমসের সঙ্গে আমরা সমন্বয় করে কাজ করছি। বন্দর কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান বলেন, চার দিন বন্ধ থাকার পর বিকল্প ব্যবস্থায় কাস্টমসে অনলাইন চালু করা হয়েছে। এখন যে কেউ কাস্টমস হাউসে এসে আমদানি-রপ্তানির চালানের নথি জমা দিতে পারবেন। বাইরের কনটেইনার ডিপোগুলোতেও শুল্কায়ন কার্যক্রম চলছে।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা যায়, দেশে চলমান কারফিউ পরিস্থিতি এবং ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় রবি ও সোমবার বন্দর থেকে কনটেইনারের কোনো পণ্য খালাস হয়নি। তবে আমদানি পণ্যভর্তি ১৫২৫ টিইইউএস'স (২০ফুট এককের) কনটেইনার বন্দর থেকে বেসরকারি ডিপোতে নেওয়া হয়েছে। ইপিজেডগুলোতে (রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল) নেওয়া হয়েছে ৬৫ টিইইউএস’স কনটেইনার। চট্টগ্রাম বন্দর অভ্যন্তরে আমদানির ৪২ হাজার ১২০ একক কনটেইনার রাখার জায়গা আছে। সেখানে মঙ্গলবার ৪০ হাজার কনটেইনার ছিল। এতে নতুন করে বন্দরে আসা জাহাজ থেকে কনটেইনার ওঠা-নামা ও স্থানান্তরে কিছুটা জট দেখা দিয়েছে। তবে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে মাদার ভেসেল থেকে পণ্য খালাস ও লাইটারিং চলছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বহির্নোঙর থেকে সোমবার রাতেই ৭৯ হাজার টন এবং তার আগে রোববার ১ লাখ ১৬ হাজার টন পণ্য খালাস হয়।
চট্টগ্রাম বন্দর অপারেশনাল কার্যক্রম স্বাভাবিক
মন্তব্য করুন
চাল আমদানি নয়, ভবিষ্যতে আমরা চাল রপ্তানি করবো বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, বিগত দুই বছর সরকার চাল আমদানি করেনি।এবারও চাল আমদানির প্রয়োজন হবেনা।
রোববার (৭ জুলাই) দুপুরে সাপাহার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় "কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৪" এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
কৃষি প্রণোদনা সরকারের পরিকল্পিত ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ অবিহিত করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষি প্রণোদনা দিয়ে-ভর্তূকি দিয়ে কৃষকের পাশে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি কৃষিকে প্রযুক্তি বান্ধব করতে নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছেন। যে প্রণোদনা আজ বিতরণ করা হচ্ছে সেটা সঠিক ব্যবহার হলে বেশি জমিতে চাষাবাদ হবে আর উৎপাদন ও বৃদ্ধি পাবে।’
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুচিন্তিত চিন্তাধারায় অল্প জমিতে বেশি ফসল ফলাতে কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি হয়েছে। অধিক জনসংখ্যার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রযুক্তির ব্যবহার কৃষকের জন্য আশির্বাদ। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক পতিত জমিতেও এখন চাষাবাদ হচ্ছে।’
এর আগে তিনি সাপাহার উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে তিন দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন করেন এবং স্টল পরিদর্শন করেন।
সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মাসুদ হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: শাহজাহান হোসেন,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নঈমুদ্দিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা খাতুন,উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: মাসুদ রেজা সারোয়ার,উপজেলা কৃষি অফিসার শাপলা খাতুন এবং শিরন্টি ইউনিয়নপরিষদের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন।
পরে খাদ্যমন্ত্রী কৃষকদের মাঝে সরকারি আমন প্রণোদনা বিতরণ করেন এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপবৃত্তির চেক ও বাইসাইকেল বিতরণ করেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে খরিপ/২০২৪-২৫ মৌসুমে আমন প্রণোদনা হিসাবে ১২১০ জন কৃষকের প্রত্যেকে ৫ কেজি বীজ,১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার সহায়তা বিতরণ করা হয়।
চাল আমদানি রপ্তানি কৃষি প্রণোদনা
মন্তব্য করুন
মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) নিবন্ধন ৫ লাখ ছাড়িয়ে নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। যদিও এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৯৬৭ প্রতিষ্ঠান ভ্যাট রিটার্ন দাখিল করে।
এনবিআরের হিসাব অনুযায়ী, ২৫ মে পর্যন্ত নিবন্ধন নিয়েছে ৫ লাখ ৬ হাজার ৯৫৪টি প্রতিষ্ঠান। গত ৯ মে নিবন্ধন ৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
এদিকে নিবন্ধন ৫ লাখ ছাড়িয়ে যাওয়ায় কেক কেটে এই মাইলফলক উদযাপন করা হয়। রোববার (২৬ মে) এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম কেক কাটে উদযাপনের সূচনা করেন।
ভ্যাট বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, গত ৯ মে প্রথমবারের মতো ভ্যাট নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা পাঁচ লাখ ছাড়িয়েছে। ২৫ মে পর্যন্ত নিবন্ধন নিয়েছে ৫ লাখ ৬ হাজার ৯৫৪টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ঢাকার চারটি ভ্যাট কমিশনারেটের আওতায় রয়েছে ২ লাখ ৯৩ হাজার ৬৬০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। অর্থাৎ সারা দেশে যত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভ্যাটের আওতায় আছে, তাদের মধ্যে ৫৯ শতাংশই ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকার প্রতিষ্ঠান।
মন্তব্য করুন
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার হ্যালো পিওর গোল্ড
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
চলমান পরিস্থিতিতে চার দিন স্থবির থাকার পর স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে চট্টগ্রাম বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম। চট্টগ্রাম বন্দরে ইন্টারনেট সেবা চালুর পর বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হয়। কাস্টমসেও বিকল্প ব্যবস্থায় আমদানি-রপ্তানি নতুন চালান শুল্কায়নের মাধ্যমে পণ্য খালাস ও রপ্তানি পণ্য জাহাজীকরণ শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশের জন্য ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত। এই খবরে দেশের বাজারে ব্যাপক দরপতন শুরু হয়েছে। সরবরাহ বাড়তে থাকায় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা কমেছে। অথচ রোজা শুরুর আগেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার তখন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছিল।