ফেব্রুয়ায়রি
মাসের প্রথম দিন শুরু হয়েছিল বিদ্যুৎ ও গ্যাসের বাড়তি
দাম কার্যকরের মধ্য দিয়ে। দ্বিতীয় দিনে এসে জানা গেল, রান্নার গ্যাস, মুরগি, ডিম, ডাল ও কাঁচা মরিচের
দাম বৃদ্ধিতে ব্যয়ের চাপ আরও বেড়ে গেছে।
বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সরকার গ্যাস–বিদ্যুতের মতো সেবামূল্য বাড়িয়ে দিচ্ছে। দ্বিমুখী চাপে চ্যাপটা হচ্ছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত। আগে যেসব পণ্যের দাম বেড়েছিল, তা কমারও কোনো লক্ষণ নেই। আরেকটি দিক হলো, সরকার যেসব পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে, তা–ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না।
ঢাকার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ডিমের দাম বেড়েছে ডজনে ১০ টাকা। ফার্মের মুরগির বাদামি ডিম গত সপ্তাহেও প্রতি ডজন ১২৫ টাকায় কেনা যেত, তা এখন কিনতে হচ্ছে ১৩৫ টাকা দরে। এ দর বড় বাজারের ডিমের দোকানের। তবে পাড়া–মহল্লার মুদিদোকানে গেলে দাম আরও বেশি দিতে হয়। বাজারে ডিমের ডজন সাধারণত ৯০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে থাকে। কয়েক মাস ধরে দাম অত্যন্ত চড়া। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এখন ডিমের দাম ২৩ শতাংশ বেশি।
অনেকের জন্য পুষ্টির যোগানে বড় ভরসা ফার্মের ব্রয়লার ও সোনালি মুরগি। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে মুরগির দাম অনেকটা বেশি থাকছে। ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা জানান, দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। সোনালি মুরগি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। গত সপ্তাহে যা ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা ছিল। খাবার ও এক দিন বয়সী মুরগির বাচ্চার দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরায় মুরগির দর বেড়েছে।
ব্রয়লার মুরগি মাংসের মধ্যে সবচেয়ে সস্তা। গরুর মাংস ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়ার বিপরীতে ব্রয়লার মুরগির দাম সাধারণত ১৩০ থেকে ১৪০ টাকার মধ্যে থাকে। শুধু উৎসব এবং পবিত্র শবে বরাতের সময় ১৮০ টাকার আশপাশে বিক্রি হতে দেখা যায়। কিন্তু এখন দাম প্রায়ই দ্বিশতকের কাছাকাছি চলে যাচ্ছে। গত অক্টোবরে ব্রয়লার মুরগির কেজি ২০০ টাকা ছাড়িয়েছিল। টিসিবির হিসাব বলছে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এখন ব্রয়লার মুরগির দাম ২২ শতাংশ বেশি।
মাছের বাজারেও স্বস্তি নেই। যেসব চাষের মাছের দাম বছরজুড়ে স্থিতিশীল থাকে, সেগুলোর দরও বেড়েছে। যেমন তেলাপিয়া মাছ সাধারণত ১৫০ থেকে ১৮০ টাকার মধ্যে পাওয়া যেত। এখন তা ২০০ থেকে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হয়। টিসিবি রুই মাছের দামের হিসাব রাখে। তাদের তালিকায় দেখা যায়, গত বছর একই সময়ে যে রুই মাছের কেজি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা ছিল, সেটা এখন ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়।
ডালের মধ্যে বেড়েছে অ্যাংকরের দাম। অ্যাংকর ডাল আমদানি করা। এটি মূলত নিম্ন আয়ের মানুষ কেনে। গত বছরও এ ডালের দাম কেজিতে ৫০ টাকা বা তার কম ছিল। এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে। এক সপ্তাহে দাম বেড়েছে ৫ টাকা। অন্য ডালের দামও চড়া। মসুর ডাল মানভেদে ৯৫ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।
রান্না করতে কাঁচা মরিচ লাগেই। কাঁচা মরিচের কেজি উঠেছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। গত সপ্তাহে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয় ১০০ টাকা কেজির নিচে। বেশির ভাগ সবজির কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, সবজির দাম স্থিতিশীল আছে। তবে মৌসুমের সময় দাম যতটা কমে, এবার ততটা কমেনি।
চাল, আটা ও তেল
দেশের মানুষের প্রধান খাদ্য চালের দাম উচ্চ মূল্যে স্থিতিশীল রয়েছে। আমদানি ও আমনে ভালো ফলনও দাম কমাতে পারেনি। টিসিবির তালিকায় মোটা চালের দাম ৪৬ থেকে ৫০ টাকা লেখা রয়েছে। তবে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভালো মানের মোটা চাল কিনতে দর পড়ছে কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। মাঝারি চালের দর ৬০ থেকে ৬২ টাকা। আর সরু মিনিকেট চাল কিনতে লাগছে ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা।
জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার গতকাল বলেন, বিএনপির আমলে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় মোটা চাল বিক্রি হতো। তখন একজন নারী শ্রমিক মজুরি পেতেন ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। পুরুষ পেতেন ৬০ থেকে ৭০ টাকা। এক কেজি চাল কিনলে তেল ও লবণ কেনার টাকা থাকত না। এখন মোটা চাল যদি ৪৮ কিংবা ৫০ টাকা ধরি...এখন একজন শ্রমিক মজুরি পান ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। সেই দিকে ধরলে তাঁরা পাঁচ গুণ, ছয় গুণ, সাত গুণ কিংবা আট গুণ বেশি আয় করেন।
চালের দাম কতটা বেড়েছে, তা বোঝা যায় টিসিবির ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসের দর দেখলে। তখন মোটা চালের সর্বনিম্ন দাম কেজিপ্রতি ৩০ টাকা ও সরু চাল ৪৫ টাকা ছিল। চালের দাম কমাতে সরকার আমদানির সুযোগ দিয়েছে। শুল্ক কমিয়েছে। তবে তারপরও দাম কমাতে পারেনি।
২০২০ সালের শুরুতে খোলা আটার কেজি ছিল ২৮ থেকে ৩০ টাকা; তা এখন কেজিপ্রতি ৫৮ থেকে ৬০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে মানুষকে। প্যাকেটজাত আটার দাম আরও বেশি। কেজিপ্রতি ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা। টিসিবির হিসাবে গত বছরের এ সময়ের তুলনায় আটার দাম এখন ৬৬ শতাংশ বেশি।
২০২১ ও ২০২২ সালজুড়ে ভোজ্যতেলের দাম চড়া ছিল। এখনো চড়া। ২০২০ সালের শুরুতে লিটারপ্রতি সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১০০ টাকার আশপাশে। এখন তা ১৮০ টাকার বেশি।
মসলার মধ্যে পেঁয়াজের মৌসুম চলছে। দাম নাগালে আছে। কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ টাকা। দেশি রসুনের কেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। চীনা রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। বিক্রেতারা বলছেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ট্রাকভাড়া, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ও সারের দাম বাড়ার কারণে পণ্যের উৎপাদন ও আমদানি ব্যয় বেড়েছে। ফলে মৌসুমের সময় দাম ততটা কমছে না, যতটা আগে কমত।
যেমন টিসিবির হিসাবে গত বছর একই সময়ের তুলনায় এখন পেঁয়াজের দাম ৪০ শতাংশ বেশি। এবার আবাদে কোনো সমস্যা হয়নি।
নির্ধারিত দর কেউ মানে না
সরকারি সংস্থাগুলো এখন ভোজ্যতেল, চিনি ও তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম নির্ধারণ করে দেয়। ভোজ্যতেলের দাম মাঝেমধ্যে মানা হয় না। এটা মূলত নির্ভর করে বৈশ্বিক বাজার পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে, সেটির ওপর।
চিনি ও এলপিজির নির্ধারিত দর এখন মানা হচ্ছে না। গত ২৬ জানুয়ারি চিনির খুচরা মূল্য কেজিপ্রতি ৫ টাকা বাড়িয়ে ১০৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দাম আসলে কেজিপ্রতি ১১০ থেকে ১২০ টাকা। টিসিবির তালিকায়ও এ দর উল্লেখ করা হয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘চিনির বাড়তি দাম ঠেকাতে আমরা সক্রিয় আছি। এলপিজির দাম আজই (গতকাল) বাড়ল। বেশি নেওয়া হলে আমরা দেখব।’
অবশ্য গ্রাহকেরা বলছেন, সব সময়ই এলপিজি নির্ধারিত দামের বেশি দরে বিক্রি হয়।
গ্যাস–বিদ্যুৎ দাম ‘আরও বাড়াবে’
সরকার গত ১৮ জানুয়ারি গ্যাসের দাম গড়ে ৮২ শতাংশ বাড়িয়েছে। বাসাবাড়ির গ্যাসের দাম না বাড়লেও তা পরোক্ষভাবে পরিবারের ব্যয় বাড়াবে। কারণ, গ্যাস পণ্যের উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে দেবে। বিদ্যুতের দাম গত মাসে দুই দফায় ১০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এতে সরাসরি মানুষের বাসার বিদ্যুৎ বিল বাড়বে। পণ্যের উৎপাদন ব্যয়ে প্রভাব ফেলবে।
গ্যাস–বিদ্যুতের দাম বাড়ানোয় ডিম ও মুরগির দাম আরও বাড়তে পারে। কারণ, গ্যাসের বাড়তি দামে পোলট্রি খাবারের উৎপাদন ব্যয় বাড়বে। আর বিদ্যুৎ সরাসরি খামারের ব্যয় বাড়িয়ে দেবে।
দেশে গত ৫ আগস্ট জ্বালানি তেলের দাম রেকর্ড হারে বাড়ানো হয়েছিল। ওই মাসে মূল্যস্ফীতি দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ, যা আগের ১১ বছর ৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল।
এসব মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের ওপর কী প্রভাব ফেলছে, তা আঁচ করা যায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আবদুল মজিদের কথায়, যিনি নিউমার্কেট কাঁচাবাজারে কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘এখন মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করেও পাঁচজনের সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। মাসের শেষ দিকে ধার করা লাগে।’
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি অ্যাসেনচ্যুয়েট টেকনোলজির কাছ থেকে প্রতি লিটার ১৪০ টাকা দরে এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনছে সরকার। এছাড়া দেশীয় কোম্পানি সিটি এডিবল অয়েলের কাছ থেকে ১৮২ টাকা ৬৫ পয়সা লিটার দরে আরও ৭০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনা হবে।
বুধবার (২৪ মে) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য সয়াবিন তেল কেনার প্রস্তাব দুটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
এছাড়াও সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে প্রতি কেজি ১০৫ টাকা দরে ১২ হাজার ৫০০ টন চিনি কেনার একটি প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয় মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে। এতে মোট ব্যয় হবে ১৩১ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান এসব তথ্য জানান। তিনি আরও জানান, বৈঠকে বিএডিসির জন্য মরক্কোর ওসিপি এসএর কাছ থেকে ১২০ কোটি ৩ লাখ ৭৯ হাজার ২০০ টাকায় ৩০ হাজার টন টিএসপি সার কেনার প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে প্রতি টনের দাম পড়ে ৩৬৮ ডলার।
সাঈদ মাহবুব খান জানান, বিএডিসির আরেক প্রস্তাবে রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশনের কাছ থেকে ২২৬ কোটি ৬৮ লাখ ১৪ হাজার টাকায় ৫০ হাজার টন এমওপি সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সয়াবিন তেল সরকার
মন্তব্য করুন
জরুরি ভিত্তিতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য দেশীয় একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ১০৫ টাকা কেজি দরে আরও ১২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চিনি কিনছে সরকার। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩১ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
বুধবার (২৪ মে) দুপুরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলো নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান।
তিনি জানান, জরুরি প্রয়োজনে টিসিবির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ১২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চিনি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৩১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। প্রতি কেজি চিনির দাম পড়বে ১০৫ টাকা। ব্রান্ড শেয়ার ট্রেডিং লিমিটেড মাইডস থেকে এই চিনি কেনা হবে।
এর আগে গত ১৭ মে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের এক্সেনচুয়াল টেকনোলজি ইনকোরপোরেশন থেকে সাড়ে ১২ হাজার মেট্রিক টন চিনি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে খরচ ধরা হয় ৬৬ কোটি ২৭ লাখ ৩১ হাজার ২৫০ টাকা। প্রতি কেজি চিনির দাম ধরা হয় ৮২ টাকা ৮৫ পয়সা।
তার আগে গত ৯ মে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে সিঙ্গাপুরের স্মার্ট মেট্রিক্স প্রাইভেট লিমিটেড (স্থানীয় এজেন্ট মার্ক লাইন এন্টারপ্রাইজ) থেকে সাড়ে ১২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চিনি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। সে সময় খরচ ধরা হয় ৬৬ কোটি ৭৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা। প্রতি কেজি চিনির দাম ধরা হয় ৮২ টাকা ৯৪ পয়সা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাজারে ভোক্তা পর্যায়ে পিঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানি করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে কৃষি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
রোববার (২১ মে) রাজধানীর বাড্ডা আলাতুন্নেছা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও মেধা পুরস্কার এবং গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন পর্যাপ্ত হয়েছে। কিন্তু বেশি মুনাফা লাভের আশায় অনেকে পেঁয়াজ মজুদ রেখে সংকট তৈরি করে বাজারকে অস্থিতিশীল করা হয়েছে। ভোক্তা পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম কয়েক দিনের ব্যবধানে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমান বাজার বিবেচনায় আমরা পেঁয়াজ আমদানির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে কৃষি মন্ত্রণালয় অবহিত করেছি। ইমপোর্ট পারমিট বা আইপি যেহেতু কৃষি মন্ত্রণালয় দিয়ে থাকে তাই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। বাজার পর্যবেক্ষণ করে তারা এ ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিবে বলে আমাদের জানিয়েছেন।’
টিপু মুনশি বলেন, ‘দেশের কৃষকরা যাতে পেঁয়াজের ন্যায্য মূল্য পান সেজন্য মূলত ইমপোর্ট পারমিট বন্ধ রাখা হয়েছে। এখন যেহেতু ভোক্তাদের বাজারে পেঁয়াজ কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে- তাই আমদানি করা ছাড়া উপায় নেই। আমদানির পর বাজারে স্থিতিশীলতা আসবে।’
বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের দিয়ে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। নির্ধারিত দামে বাজারে চিনি বিক্রয় করছে কি-না তা পর্যবেক্ষণে মনিটরিং করা হচ্ছে।
এর আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে রূপান্তরিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী নেতৃত্বের ফলে এতো অল্প সময়ের মধ্যে দেশের সকল খাতে যে উন্নয়ন সাধিত হয়েছে সেজন্য বিশ্ববাসী অবাক চিত্তে তাকিয়ে রয়। শিক্ষার উন্নয়নেও অনেক সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়ে বাস্তবায়ন করছে সরকার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বল্প-উন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে শেখ হাসিনা পথ নকশা তৈরি করেছেন। এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করার জন্য সবাইকে ঐকবদ্ধ্য হয়ে কাজ করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে টিপু মুনশি বলেন, এ দেশের স্বাধীনতা অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে। অনেক জীবনের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার রক্ষার দাযিত্ব নতুন প্রজন্মকে নিতে হবে। সন্তানদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যোগ্য এবং মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন করে গড়ে তুলতে অভিভাকদের প্রতি আহবান জানান তিনি।
বিদ্যালয়ের সভাপতি ও বাড্ডা ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাসুম গণি তাপসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক সিনিয়র সচিব মফিজুল ইসলাম।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি পেঁয়াজ আমদানি
মন্তব্য করুন
পেঁয়াজ আমদানির
বিষয়ে আগামী দু-একদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর
রাজ্জাক।
রবিবার (২১
মে) সচিবালয়ে তার অফিসকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন,
বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক। এক্ষেত্রে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ আমদানি হবে
কী না, সেটা আগামী দু-একদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
গতকাল
পেঁয়াজের দাম মণপ্রতি ৩০০
থেকে ৪০০ টাকা দাম
কমেছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, স্থানীয়ভাবে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করা
না গেলে দ্রুত ভারত
থেকে আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া
হবে। ৪৫ টাকার বেশি
পেঁয়াজের দাম হওয়া উচিত
না। পেঁয়াজ আমদানি করা হলে ৪৫
টাকার নিচে চলে আসবে।
কৃষিমন্ত্রী
বলেন, সবকিছুর একটা ধারাবাহিকতা থাকে,
কিন্তু গত এক সপ্তাহে
পেঁয়াজের দামে সে ধারাবাহিকতা
রাখা যায়নি। সাধারণত বাজার সাপ্লাই এবং ডিমান্ডের ওপর
নির্ভর করে। গত বছর
পর্যাপ্ত পেঁয়াজ থাকা সত্ত্বেও কিছু
অসাধু আড়ৎদারের কারণে গুদামে অনেক পেঁয়াজ পঁচে
গেছে।
তিনি
বলেন, আমাদের মোট ভূখণ্ডের মোট
৬০ ভাগ জমি আবাদ
করা হয়। আবার একই
জমিতে একাধিক ফসল হচ্ছে। আমাদের
দেশের মোট জনসংখ্যার সঙ্গে
প্রতিবছর প্রায় ২০ থেকে ২৪
লাখ মানুষ নতুন করে যোগ
হচ্ছে। আমরা দানাদার খাদ্যতে
স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকলেও প্রতিবছর ক্রমবর্ধমান এই জনসংখ্যার কারণেই
বাজারে নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা বেশি।
কৃষিমন্ত্রী
বলেন, পেঁয়াজের দাম ২৫ থেকে
৩০ টাকা হওয়া কোনভাবেই
গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা বিষয়টা
মনিটরিং করছি। আমাদের অফিসারদের মাঠ পর্যায়ে পাঠিয়েছি।
তারা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে, কৃষকদের
ঘরে পেঁয়াজ থাকলেও দাম বাড়াবে- এমন
আশায় তারা অনেকেই মজুদ
করে রেখে দিচ্ছেন। এতে
দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পেঁয়াজ পেঁয়াজ আমদানি কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক
মন্তব্য করুন
বাজারে ভোক্তা পর্যায়ে পিঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানি করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে কৃষি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। রোববার (২১ মে) রাজধানীর বাড্ডা আলাতুন্নেছা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও মেধা পুরস্কার এবং গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।