চলতি বছর চারটি
দেশে সফর করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে দেশগুলোতে সফরের প্রস্তুতি
চলছে। এর বাইরেও প্রধানমন্ত্রী আরও দুই/একটি দেশ সফর করতে পারেন। তবে সেসব দেশ সফর
এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
সূত্র জানায়,
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাতার, জাপান, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র সফরকে কেন্দ্র করে কাজ
করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এসব সফর ঘিরে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে।
যে দেশগুলোতে
সফরের বিষয় চূড়ান্ত হয়েছে সেগুলো হল: কাতার, জাপান, ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
কাতার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি বছরের
প্রথম বিদেশ সফরে কাতার যাচ্ছেন। আগামী ৫-৯ মার্চ কাতারে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ৫ম জাতিসংঘ
সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বের ৪৬ স্বল্পোন্নত দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান
এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।
জাপান: আগামী এপ্রিল মাসে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার জাপান সফরের প্রস্তুতি চলছে। গত বছর ২৯ নভেম্বর বাংলাদেশ-জাপান কূটনৈতিক
সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টোকিও সফরে যাওয়ার কথা ছিল। তবে
জাপানে কোভিড-১৯ বেড়ে যাওয়া ও রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হওয়ার ফলে প্রধানমন্ত্রীর সে
সফর স্থগিত করা হয়। এখন নতুন করে জাপান সফরের প্রস্তুতি চলছে।
ভারত: আগামী ৯-১০ সেপ্টেম্বর ভারতের নয়াদিল্লিতে
অনুষ্ঠেয় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ দেবেন। জি-২০’র এই সম্মেলনে
যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ইতোমধ্যেই আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদী। জি-২০ সম্মেলনে ৯টি দেশকে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত। এর
মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্র: ভারত
সফরের পরেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র
সফরে যাবেন। প্রতিবছরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল জাতিসংঘ
অধিবেশনে যোগ দেয়৷ এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না বলে আশা করা হচ্ছে। চলতি বছর ২৪-৩০ সেপ্টেম্বর
জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।
অন্যান্য
দেশ: বর্তমান সরকারের
মেয়াদের শেষ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও দুই/একটি দেশে সফরে যেতে পারেন। আফ্রিকার
দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর আলজেরিয়া সফরেরও
প্রস্তুতি চলছে। তবে সে সফরটির দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বিএসএমএমইউ
মন্তব্য করুন
রাজার ভুটান ভুটান তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে।
স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিবিয়া বাংলাদেশি জিম্মি নির্যাতন ভিডিও মুক্তিপণ
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।