নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:২২ পিএম, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
ভাষার মাস গৌরবের মাস অহংকারের মাস বীরের মাস প্রতিবাদী মাস ফেব্রুয়ারি। মনে পড়ে যায় ৫২র সেই রাজপথ রাঙ্গানো স্মৃতির কথা। সেই মাসে ২১শে ফেব্রুয়ারি’র মর্যাদায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২১জন গুণীকে একুশে পদক দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ ২০শে ফেব্রয়ারি ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদকপ্রাপ্তদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন। এ বিষয়ে কথা হয় ২১ জন গুণীর একজনের সাথে আর তিনি হলেন আমাদের বাংলা গানের কিংবদন্তী সুরকার শেখ সাদী খান।
একুশে পদক প্রাপ্তি কেমন লাগছে?
যেকোনো প্রাপ্তি কিংবা স্বীকৃতি ভালো লাগার এবং ভালো লাগে। নিজেকে তখন বলতে ইচ্ছে হয় যে কর্মের সম্মান কর্মেই মেলে।। আর একুশের পদকের মতো প্রাপ্তিতো আসলেই আনন্দের। আমার ভালো লাগছে। আসলে সঙ্গীতইতো আমার জীবনের সব ছিলো। এটাকে ঘিরেই তো বেচেঁ আছি।
এই সাধনায়তো সারা জীবন পার করলাম। এখন বয়সের শেষে এসে এমন স্বীকৃতি সত্যিই প্রশান্তির। একুশে পদক কর্তৃপক্ষসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আর সবার কাছে দোয়া চাই যেন আমৃত্যু সঙ্গীত দিয়ে আপনাদের আনন্দ দিতে পারি।
বাবা ছিলেন প্রখ্যাত সুরকার ওস্তাদ আয়াত আলী খান, সঙ্গীত পরিবারে বেড়ে ওঠা আপনার….
আমার বাবা বা চাচার ছিলেন এক একজন দিকপাল। ওস্তাদ আলাউদ্দিন খান চাচা। ওস্তাদ আয়েত আলী খান বাবা। বিখ্যাত ওস্তাদ আবেদ হোসেন খান, বাহাদুর হোসেন খান ও সংগীতজ্ঞ মোবারক হোসেন খানের ছোট ভাই। আমার নয় ভাইবোন। তাঁদের প্রায় সবারই বিচরণ সংগীতের আঙিনায়। সবারই হাতেখড়ি বাবার কাছেই। আমার বোনের জামাই আবার পন্ডিত রবিশঙ্কর।
সঙ্গীত পরিবারের হওয়াতেই কি গানে আসা?
আমার ভাবনাটা আসলো আমি যখন এসএসসি পাশ করলাম। আমার মেজ ভাই একবার বাংলাদেশে আসলেন। উনি ভারতেই থাকতেন। তখন বললেন তোমার পরীক্ষা তো শেষ হয়েছে। আসো আমার কাছ থেকে কদিন বেড়িয়ে যাও। ওই বেড়াতে গিয়ে আমি আষ্টেপিষ্টে আটকে পড়লাম। তখন উনি বললেন আসছো যখন আমার কাছ থেকে কিছু তালিম নেও। ওনার শিষ্যত্য গ্রহন করলাম। আমার বেহালার হাতেখড়ি হলো। আমার ক্ল্যাসিক মিউজিক শিক্ষার জার্নিটা ওনার কাছ থেকেই শুরু হলো।
সুরকার হওয়াটা কীভাবে?
আমার টোটাল ফ্যামিলি কিন্তু যন্ত্রসঙ্গীত শিল্পী। কিন্তু আমাদের আপন ভাইদের ভিতরে কেউ বেহালা বাজাতেন না। ওই যে বললাম আমার তালিম নিলাম ওস্তাদ বাহাদুর খানের কাছে। যিনি আমার গুরু। যখন ভারত থেকে ব্যাক করে আসলাম। তখন আমার বাবা নিয়ে গেলেন চট্টগ্রাম রেডিওতে। এটা ১৯৬৫ সালের কথা। বাবা বললেন তুমি একটা অডিশন দেও। যতটুকু বিদ্যা শিখেছো সেটা নিয়মিত না করলে তো ভুলে যাবে। এসএসসির পর তিন বছর পড়াশুনায় গ্যাপ। তখন এসে পড়াশুনাও শুরু করলাম। তো ওখানে বাজনা শুনে তারা আমাকে জোর করে চাকরি দিয়ে দিল। আমি তো চাকরি কি বা আমার কাজটা কি। কিছুই জানি না। তারা বললেন তুমি এখানে থাকো শুধু। ওখানে আমার যে শিক্ষাটা হলো, ক্লাসিক থেকে কমার্শিয়াল শিক্ষটা হলো। ওখানে তিন বছর ছিলাম। ঢাকাতে আসার পরে আমাকে অফার দিলো বাংলাদেশে টেলিভিশন।
মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন…
২৫ শে মার্চ গনহত্যা হওয়ার পর আসলে সবার মন পরিবর্তন হয়ে গেছে। একটা রাতেই মানুষের মন কতটা পরিবর্তন হতে পারে সেদিন বুঝলাম। কারফিউ ওঠার পরে দেখলাম এখানে ওখানে লাশ পরে আছে।তখন মনটা চাইতো কিছু করি। আর কিছু না পারি ওখান থেকে পালিয়ে যাই। ওই সব দেখা কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছিলো। এপ্রিলের শুরুর দিকে শুনলাম পাকিস্তানিরা আমাদের গ্রামের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। আমার মা আর ছোট ভাই বোনরা তখন কুমিল্লায় থাকেন। বাবা ১৯৬৭ সালের দিকেই মারা গিয়েছিলেন। এই খবর শুনে আমার বড় ভাই বললেন তুমি গ্রামে গিয়ে পরিবারের পাশে দাড়াও। এখানে আমি গান পয়েন্টে আছি। আমি সরতে পারবো না। অনেক কষ্টে গ্রামে গিয়ে আমার পরিবার রেখে আসলাম বোন জামাইর বাড়ি রাজাপুরে। সে সময় কথা হয় আমার বোন জামাই ও বন্ধু মেজর গিয়াসের সঙ্গে। সেখান থেকে আমি, নিজাম, গিয়াস, আমার আরেকজন খালাতো ভাই। আমরা চলে গেলাম আগরতলা। আমি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিবো। কিন্তু ওখানে আমার আরো কিছু বন্ধু পেয়ে গেলাম। ওরা আমাকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে দিলো না। তারা বললো তুই স্বাধীন বাংলা বেতারে জয়েন্ট করো। আমি জানতাম না কোথায় কী। তখন ওরাই বললো যা শুনতে পেরেছি। কলকাতাতে এটা অবস্থিত। আমার ভাই ছিল রেডিও বাংলাদেশের উচ্চপদস্ত কর্মকর্তা। মোবারক হোসেন খান। তিনি আমাকে আগেই বলেছিলেন পরিবার শিফট করে চলে আসবে। তোমার নাম খাতা- কলমে আছে। তুমি কোথাও কিছু করলে আমাকে এসে ধরবে। আমি কোনভাবে গেলাম কলকাতায়। গিয়ে দেখি আমার ছোট ভাইবোন থেকে শুরু করে সবাই কলকাতায়। মানে আমার আগেই চলে এসেছে। কিন্তু আমি কলকাতা নেমেই খোজ করলাম স্বাধীন বাংলা বেতার কোথায়। ওখানে ভাইয়ের বাসার কাছাকাছিই ছিল স্বাধীন বাংলা বেতার। সেন্ট্রাল রোডের একটা বাড়িতে ছিল ওটা। তখন সমর দাশ, আব্দুল জব্বার, আপেল মাহমুদ, সুজেয় শ্যাম, কল্যানী ঘোষদের পেয়েছি আমি। ওখানে আমি ভায়োলিন বাজাতাম। একটা গানের সুর করেছিলাম। কিন্তু কোন না কোনভাবে সেই গানটা রেকর্ডিং করতে আমি পারিনি। সেটাও আমার জীবনের একটা দু:খ বলা যায়।
তারপরের চলন কীভাবে হল ?
যুদ্ধ শেষে হওয়ার আগেই চলে এলাম দেশে। বাংলাদেশ বেতারে চাকরি নিলাম। ওখান থেকে আসলে নিজেকে প্রমান করার সুযোগগুলো পাচ্ছিলাম।
এই যে নতুন প্রজন্ম গান গাইছে। তাদের ভিতরে বাংলা সংস্কৃতি কতটা দেখেন?
আমি কিন্তু অত্যন্ত আধুনিক মানুষ। আমার সাজপোশাক এবং চলন-বলনেও তা প্রকাশ পায়। তাই বলে আমি আমার বাবাকে বাবা বলতে চাই, ড্যাড না। আমার সংস্কৃতিকে যতটুকু পারি, ইম্প্রোভাইস করে এই সময় নিজের জায়গা করে নিতে চাই। সেভাবেই চলছি।নতুন প্রজন্মকে সেটা ভাবতে হবে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
বলিউড কিংবা সাউথ ইন্ডাস্ট্রির
নায়িকাদের কি সম্পত্তি আছে তা জানার আগ্রহ সবারই আছে। কারণ এই সব নায়িকাদের বিলাশবহুল
জীবন-যাপন সবাইকেই আশ্চর্যন্বিত করে। ভারতের দক্ষিণী চলচিত্রের নয়নতারার কথায় ধরা যাক,
তার নিজের প্লেন রয়েছে। তাই অনেকে ভাবেন তিনি বোধহয় ভারতের সবচেয়ে ধনী নায়িকা। আবার
কারও কারও ধারণা আলিয়া বা দীপিকাই সবচেয়ে ধনী।
কিন্তু সাধারণ মানুষের এই ধারণা
সম্পূর্ণ ভুল। ভারতের সর্বোচ্চ ধনী নায়িকার মুকুট এখনো সাবেক বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের দখলে। সাবেক এই বিশ্বসুন্দরীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৭৭৬ কোটি রুপি।
সম্প্রতি ভারতের
জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম নিউজ এইটিনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ
আছে, ভারতের সবচেয়ে ধনী নায়িকা বচ্চন পরিবারের এই বৌমাই। তার সম্পদের পরিমাণ ৭৭৬ কোটি
রুপি। প্রতি বছর শুধু মাত্র ব্র্যান্ড এনডরসমেন্ট থেকে ঐশ্বর্যর আয় হয় ৮০-৯০ কোটি। একদিনের কোন-ও ইভেন্টের জন্য তিনি নিয়ে থাকেন ৬-৭ কোটি।
তালিকার দুই
নম্বরে আছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৬২০ কোটি রুপি। ভারতের ধনী নায়িকাদের
তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে আছেন আলিয়া ভাট। তার মোট সম্পদ ৫১৭ কোটি রুপি।
এই তালিকায় কারিনা কাপুর খান আছেন চতুর্থ স্থানে। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৪৮৫
কোটি রুপি। এরপরের অবস্থানটি দীপিকা পাডুকোনের। এই অভিনেত্রী ৩১৪ কোটি রুপির মালিক।
এছাড়াও আনুশকা শর্মা (তার মোট সম্পত্তি ২৫৫ কোটি), মাধুরী দীক্ষিত নেনে (তার মোট সম্পত্তি ২৪৮ কোটির), কাজল (তার মোট সম্পত্তি ২৪০কোটির), ক্যাটরিনা কাইফ (তার মোট সম্পত্তি ২২৪ কোটির), শিল্পা শেঠি (তার মোট সম্পত্তি ১৫৮ কোটির), নয়নতারা (তার মোট সম্পত্তি ২০০ কোটির) ও রানি মুখার্জি (তার মোট সম্পত্তি ২০০কোটির)।
মন্তব্য করুন
চিত্রনায়ক
শরিফুল রাজের সঙ্গে ‘কাজলরেখা’ সিনেমা দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক
হয় অভিনেত্রী মন্দিরা চক্রবর্তীর। প্রথম সিনেমাতেই নিজের অভিনয় দিয়ে বেশ প্রশংসা
কুড়িয়েছেন এই অভিনেত্রী। রাজ-মন্দিরার নতুন এই জুটি
দর্শকরাও পছন্দ করেছে।
তারই
রেশ ধরে এই জুটির
প্রেমের গুঞ্জন ছড়িয়েছে। বিশেষ করে চিত্রনায়িকা পরীমণির
সঙ্গে শরিফুল রাজের সংসার ভাঙার পরে তাদের প্রেমের
গুঞ্জনে নতুন বাতাস লেগেছে।
বিষয়টি নিয়ে একটি সংবাদমাধ্যমে
কথা বলেছেন মন্দিরা।
যেখানে
তিনি জানিয়েছেন, ব্যক্তিজীবনে প্রেমের সম্পর্কে আছেন। তবে কার সঙ্গে
প্রেম করছেন সেটা ফাঁস করতে
চান না। একইসঙ্গে এই
অভিনেত্রী মনে করেন, প্রত্যেকের
জীবনেই প্রেম থাকা উচিত।
মন্দিরা
বলেন, ‘আমার মনে হয়
প্রত্যেক মানুষের জীবনে প্রেম থাকা জরুরি। এতে
শরীর ও মন দুটোই
ভালো থাকে। প্রেম ছাড়া একজন মানুষ
ভাল থাকতে পারে না। বাস্তব
জীবনে আমারও প্রেম আছে। তবে এখন
প্রেম করলেও বিয়ে করার ইচ্ছা
নেই। বিয়ে করার জন্য
পরিবার থেকেও চাপ নেই। তাই
কাজেই পুরো মনোযোগ দিচ্ছি।’
এসময়
রাজের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন প্রসঙ্গে এই অভিনেত্রী বলেন,
‘রাজ আমার অনেক ভালো
বন্ধু। বন্ধু থেকে প্রেমিক অনেকেরই
জীবনে হয়। তবে আমার
জীবনে এমনটা হবে না। সে
আমার ভালো বন্ধুই থাকবে।’
মন্তব্য করুন
বলিউড
বাদশাহ শাহরুখ খান। বি-টাউনের
বাঘাবাঘা নির্মাতা তাকে নিয়ে কাজ
করার স্বপ্ন দেখেন। এবার শাহরুখ একদমই
নতুন নির্মাতার সঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছেন।
ছেলে আরিয়ান খানের নির্দেশনায় ওটিটিতে দেখা যাবে তাকে।
অভিনয়ের
থেকে আরিয়ান খানকে পরিচালনাই বেশি টানে। এ
কথা আগেই জানিয়েছিলেন শাহরুখ
পুত্র। বাবাকে নিয়ে এরই মধ্যে
তিনি বিজ্ঞাপন নির্মাণ করেছেন। এবার আর বিজ্ঞাপনে
নয়। শাহরুখকে দেখা যাবে আরিয়ানের
পরিচালনায় ওয়েব সিরিজে, যা
হতে যাচ্ছে তার প্রথম ওয়েব
সিরিজ।
গণমাধ্যমটির সূত্রমতে, সিরিজটির শুটিং এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এখন এডিটিংয়ের পালা। সিরিজে একটি ক্যামিও চরিত্রে দেখা যাবে শাহরুখকে। সিরিজের নাম স্টারডম। শাহরুখের চরিত্র সম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি।
আরিয়ান খান তার প্রথম সিরিজের জন্য বেশ কয়েকবার খবরে উঠে এসেছেন। সম্প্রতি ববি দেওলও তার প্রোজেক্টে এন্ট্রি নিয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, এ সিরিজে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে ববিকে। তার একটি অভিনব ভূমিকাও থাকবে। যেটি একজন সাধারণ মানুষ যা ভাবেন, তার থেকে একেবারেই আলাদা।
মন্তব্য করুন
অভিনেত্রী রিচি সোলায়মান। দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা তিনি। এখন সংসার-সন্তান নিয়েই তার ব্যস্ততা। তবে সুযোগ পেলেই ফিরে আসেন দেশে। সময় কাটান সহকর্মীদের সঙ্গে। সম্প্রতি মা দিবস উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন রিচি।
মা দিবস নিয়ে শুরুতেই রিচি বলেন, ‘বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে পৃথিবীর সব মাকে আমার ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা। তাদের জন্যই আজ পৃথিবী এত সুন্দর। প্রতিটি সন্তানের সফলতার পেছনেই মায়েদের অবদান রয়েছে। তাই এমন একটি দিনে আমার মাকেও আমার কাজের জন্য সম্মানিত করা হয়েছে। যার জন্য আমি গর্বিত।’
অনেকদিন ধরেই রিচির নতুন কোনো কাজ নেই। তবে ভালো কাজ হলে অবশ্যই তা করবেন তিনি। এমনটা জানিয়ে রিচি আরও বলেন, ‘ভালো গল্প হলে অবশ্যই কাজ করব। আমার পছন্দ হলেই আমি কাজ করি, যা আগেও বলেছি। কারণ দেশের মানুষ আমাকে অভিনয়ের মাধ্যমে চেনে। দূরে থাকলেও দর্শকের সঙ্গে আমার আত্মার একটি যোগাযোগ রয়েছে। সে কারণেই সুযোগ পেলে দেশের দর্শকের জন্য বারবার ফিরে আসি আমি।’
রিচি সোলায়মান নব্বই দশক থেকে একাধারে বিজ্ঞাপন ও নাটকে অভিনয় করে দেশ ও দেশের বাইরে নিজের জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। সব মিলিয়ে ২০টির মতো নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। ২০০৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী রাশেকুর রহমানকে বিয়ে করেন রিচি সোলায়মান। এরপর থেকেই সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন তিনি।
মন্তব্য করুন
মাত্র
দু’বছরের মধ্যে বলিপাড়ার তারকাদের ‘নয়নের মণি’ হয়ে উঠেছেন
ওরহান অবত্রমানি ওরফে ওরি। জাহ্নবী
কাপুর, সুহানা খান থেকে সারা
আলি খান, অনন্যা পাণ্ডে,
এমনকি দীপিকা পাড়ুকোন, ক্যাটরিনা কাইফের মতো তারকাদের পাশেও
দেখা গেছে ওরিকে।
তিনি ছবিতে অভিনয় করেন না। শুধু ছবি তোলেন। তার সঙ্গে ছবি নেই, ভারতে এমন তারকা খুঁজে পাওয়াই দুষ্কর! তারকাদের সঙ্গে ছবি তুলেই নাকি লক্ষ লক্ষ রুপি উপার্জন করেন তিনি! সেই অর্থের অঙ্কটা নাকি দৈনিক ২০-৩০ লাখ আবার কখনও কখনও ৫০ লাখ ছোঁয়।
বলিপাড়ার যেকোনও পার্টি হোক, কিংবা বিয়েবাড়ি অথবা জন্মদিন, ওরি ছাড়া যেন অনুষ্ঠান অসম্পূর্ণ। নেটপাড়ায় তিনি পরিচত মুখ। তার নিত্যনতুন দামি পোশাক কিংবা ফোনের কভার অথবা চুলের ছাঁট নিয়ে নেটিজেনদের উৎসাহ রয়েছে। পাশপাশি, অনেকেরই কৌতহূল রয়েছে তার আয়ের উৎস নিয়ে।
সম্প্রতি একটি পডকাস্ট শোয়ে এসে তিনি জানান, ছবি তুলেই নাকি লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করেন তিনি। করণ জোহরের এজেন্সি তার কাজ দেখাশোনা করে। তবে সিনেমা করতে রাজি নন তিনি। অতো খাটাখাটনি করতে পারবেন না, সাফ কথা এই তারকার।
স্রেফ তারকাদের সঙ্গে সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পাতায় পোস্ট করেই নাকি লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করেন তিনি। ওরির কথায়, ‘বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে আমি ছবি তুলি, আর সেই ছবি পোস্ট করার জন্য আমি টাকা পাই। এক রাতেই ওই সব ছবি পোস্ট করে আমি ২০-৩০ লক্ষ টাকা রোজগার করি। তা ছাড়া আমাকে বিয়েতে লোকে ডাকেন। তাদের বিয়েতে ছবি তোলার জন্য ১৫-২০ লক্ষ টাকা দেন।’ সেই ছবি নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করলে নাকি বাড়ে টাকার অঙ্ক! পাশপাশি, ওরি এ-ও জানান শুধুই কাজ নয়, মানুষকে আনন্দ দিতেও চান তিনি।
মন্তব্য করুন
বলিউড কিংবা সাউথ ইন্ডাস্ট্রির নায়িকাদের কি সম্পত্তি আছে তা জানার আগ্রহ সবারই আছে। কারণ এই সব নায়িকাদের বিলাশবহুল জীবন-যাপন সবাইকেই আশ্চর্যন্বিত করে। ভারতের দক্ষিণী চলচিত্রের নয়নতারার কথায় ধরা যাক, তার নিজের প্লেন রয়েছে। তাই অনেকে ভাবেন তিনি বোধহয় ভারতের সবচেয়ে ধনী নায়িকা। আবার কারও কারও ধারণা আলিয়া বা দীপিকাই সবচেয়ে ধনী।