ইনসাইড পলিটিক্স

কোন পথে হাটছে বিএনপি, নির্বাচন না আন্দোলন?


Thumbnail

সম্প্রতি তৃণমূল পর্যায়ের আড়াই হাজার নেতা-কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেছে বিএনপি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বৃহত্তর গণআন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যেই বিএনপি এই মতবিনিময় করেছে বলে জানিয়েছে বিএনপির একাধিক সূত্র। সূত্রগুলো বলছে, গত ১০ দিনে মাঠপর্যায়ের প্রায় আড়াই হাজার সাবেক ও বর্তমান জনপ্রতিনিধিকে ঢাকায় এনে এ মতবিনিময় করেছে বিএনপি। আড়াই হাজার জনপ্রতিনিধির পাশাপাশি এ মতবিনিময় কর্মসূচিতে স্থায়ী কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সরকার বিরোধী একটি বৃহত্তর আন্দোলন গড়ার লক্ষ্য নিয়ে মাঠ পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে এ মতবিনিময় করেন। তিনি বিএনপির তৃণমূলের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে কথা বলেন। গত বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) ১০দিনের এ কর্মসূচি শেষ হয়। 

তবে দলটির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, কার্যত এ মতবিনিময়ের আয়োজন করা হয় তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ ও জনসম্পৃক্ত নেতাদের আরও সক্রিয় করতে। কিন্তু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা নিয়েও আন্তর্জাতিক মহলের বিএনপির ওপর একটি চাপ রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ)  সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় বারিধারার ভারতীয় হাইকমিশনারের বাস ভবনে যান বিএনপির পাঁচ নেতা। ওই দিন ভারতীয় হাইকমিশনারের নৈশভোজের আমন্ত্রণে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম এই নৈশভোজে অংশ নিয়েছেন। সেখানে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ভারতীয় হাই কমিশনের সঙ্গেও বিএনপির নীতিনির্ধারক এসব নেতাদের কথা হয়েছে। 

দলের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র জানায়, সরকার বিরোধী বৃহত্তর আন্দোলন গড়ার লক্ষ্য নিয়ে মতবিনিময়ের আয়োজন করা হলেও তা কতটা সফল হয়েছে, তা নিয়ে সংশয় আছে। কারণ, প্রতিটি মতবিনিময়ের আগে দলের শীর্ষ নেতারা সামনের আন্দোলনের কর্মসূচি ও কৌশল নিয়ে চেয়ারম্যানদের মতামত জানতে চেয়েছেন। কিন্তু অধিকাংশ চেয়ারম্যানই সুনির্দিষ্ট করে মতামত বা পরামর্শ দিতে পারেননি। বেশির ভাগের বক্তব্যে দলের স্থানীয় নেতৃত্ব ও সাংগঠনিক বিষয়ে ক্ষোভ-অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। অনেকে থানা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের নেতাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেছেন। এছাড়াও তৃণমূলের নেতারা মূলত নির্বাচনমুখী।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি যে বৃহত্তর আন্দোলন গড়তে চাইছে, তাতে সাধারণ মানুষসহ সব পক্ষের ব্যাপক অংশগ্রহণ আশা করছে দলটি। সম্প্রতি ইউনিয়ন থেকে থানা, জেলা ও মহানগরে পর্যায়ক্রমে যে পদযাত্রার কর্মসূচিগুলো করা হয়, এর উদ্দেশ্য সাধারণ মানুষকে কাছে টানা। তবে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সাথে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের যথেষ্ট মতের অমিল রয়েছে। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা চান নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে এবং ব্যালটের মাধ্যমে সরকারের হেন বেপরোয়া কর্মকাণ্ডের জবাব দিতে।  

দলটির নেতারা বলছেন, আগামী নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গসহ নানা কারণে যাদেরকে বহিষ্কার করেছিল, তাদের ক্ষমা করে দিয়ে দলে ফিরিয়ে নিয়েছে। যাতে দলের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব-কোন্দল দেখা না দেয়। ক্ষমতায় থাকার পর তারা আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে এসব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। অথচ কাজটা প্রথমে করার দরকার ছিল বিএনপির। এখন বিএনপির হাইকমান্ডের উচিত হবে চূড়ান্ত আন্দোলনে যাওয়ার আগে নানা সময় যাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল তাদের ফিরিয়ে নেওয়া। এতে দলের শক্তিও বাড়বে। নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্যও প্রস্তুত থাকতে হবে।   

তবে ভারতীয় হাই কমিশনের সাথে নির্বাচন বিষয়ে কি কথা হলো?- তা খোলাসা করে বলতে পারেনি দায়িত্বশীল সূত্রটি। বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রটি বলছে, নৈশভোজে যারা অংশ নিয়েছেন, তাদের সাথে ভারতীয় হাই কমিশনের কি কথা হলো, তারাই বলতে পারবেন। তবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে একটি চাপ রয়েছে। তবে কি বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে?- এমন প্রশ্নে সূত্রটি বলছে, এটা দলের নীতিনির্ধারকরা সিদ্ধান্ত নিবেন। এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত একমাত্র তারাই দিতে পারেন।    

এসব বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশের নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হয়- এই ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মহলের একটি চাপ রয়েছে। আর এই চাপটি যেমন সরকার দলের ওপর রয়েছে, তেমনই সরকার বিরোধী ও অন্যান্য দলগুলোর ওপরও রয়েছে। বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে, তবে দীর্ঘদিন ধরে সরকারে বিরুদ্ধে বিএনপি যে ধরনের অভিযোগ করে আসছে, তা মিথ্যা প্রমাণিত হবে। তবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য বিএনপি যে দাবিগুলো জানিয়েছে- সেগুলোর একটি সমঝোতা নির্বাচনের আগে অবশ্যই হবে। একদিকে বিএনপি আন্দোলনের ঘোষণা দিচ্ছে, অন্যদিকে বিএনপি নির্বাচনের মাঠও গুছাচ্ছে। তৃণমূলের নেতাদের মতামত অবশ্যই বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের অজানা নয়। এখন দেখার বিষয় নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এলে কি করে বিএনপি।

বিএনপি   আমির খসরু   মির্জা ফখরুল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

প্রকাশ: ১১:১৩ এএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ (২৭ জুলাই) এদিন ৩১ বছরে পদার্পণ করল সংগঠনটি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ১৯৯৪ সালের এই দিনে দলের সহযোগী সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে সংগঠনটি। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন বর্তমানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ আওয়ামী লীগের পাশে থেকে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রাম দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্রিয় ভূমিকা রেখে আসছে। দেশে করোনা মহামারির সময় সংক্রমণ রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং অসহায় কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়ায় সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ জেলা, মহানগর, উপজেলা, ওয়ার্ডসহ সব শাখার দলীয় কার্যালয়ে দলীয় জাতীয় পতাকা উত্তোলন।

আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু এই দীর্ঘ পথচলায় সব স্তরের নেতাকর্মীসহ দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।

এছাড়াও চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সব কর্মসূচি স্থগিত করে সংগঠনের জেলা, মহানগর, উপজেলা, থানা, পৌরসভা, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন বৈদেশিক শাখাগুলোকে নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং আহত নেতাকর্মীদের সুস্থতা কামনা করে মিলাদ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করতে নির্দেশনা দিয়েছেন।


আওয়ামী   স্বেচ্ছাসেবক   লীগ   প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

তান্ডবে মাঠে ছিলেন না আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীরা

প্রকাশ: ০৯:১৭ এএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

কোটা সংস্কার আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী তান্ডবের সময় মাঠে ছিলেন না আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীরা। কোথাও কোথাও ছিলেন নীরব দর্শক। সহিংস তান্ডবের সময়ে এমপি-মন্ত্রীদের অনেকেই ছিলেন নিরাপদ আশ্রয়ে। কেউ কেউ নিজ বাসা বা অফিসে বসে টেলিভিশনে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন। পরিস্থিতি ঘোলাটে দেখে কেউ কেউ অসুস্থতার কথা বলে পাড়ি জমিয়েছেন বিদেশে, কেউ ছিলেন হাসপাতালে। পরিস্থিতির অবনতি দেখে কেউ কেউ মন্ত্রীপাড়ার বাসা কিংবা ন্যামভবন থেকে বাইরে বের হননি। রাজধানী, বিভাগীয় শহরসহ সারা দেশেই একই চিত্র পাওয়া গেছে।

হাতে গোনা কয়েকজন মন্ত্রী-এমপির উপস্থিতি কেবল লক্ষ্য করা গেছে আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলীয় সভানেত্রীর ধানমন্ডি কার্যালয়ে। রকম দুটি কার্যালয়ই অরক্ষিত ছিল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তান্ডবের সময়ে যদি এমপি-মন্ত্রীরা নিজ নিজ কর্মিবাহিনী নিয়ে মাঠে থাকতেন তাহলে সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করাসহ রক্ষা করা যেত রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ স্থাপনাগুলো। এমনকি আওয়ামী লীগের অফিস, প্রভাবশালী নেতা-মন্ত্রীদের বাসাবাড়িতে হামলা হতো না। টানা চার মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক দেউলিয়াপনা ফুটে উঠত না। এমপি-মন্ত্রীই নয়, দায়িত্বশীল নেতারাও ছিলেন গা ঢাকা দিয়ে। সংকটের সময়ে নিজেদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ থাকার বদলে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে আওয়ামী লীগের কর্মিবাহিনী। এমপি-মন্ত্রী দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা নেতাদের কর্মকান্ডে ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। 

কোটা আন্দোলন নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১৬ জুলাই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে মারাও যান কয়েকজন। ওই দিন রাজধানীসহ অধিকাংশ এলাকায় এমপিরা খন্ড খন্ড মিছিল করে নিজেদের অবস্থান জানান দেন। কেউ কেউ লাঠি হাতে বিক্ষোভ মিছিল করে সেগুলো নিজেদের ফেসবুকেও পোস্ট করেন। জেলা শহরগুলোতেও একই চিত্র চোখে পড়ে। পরদিন ১৭ জুলাই থেকে পরিস্থিতি বেশি খারাপ হয়। ওইদিন আরও অনেকেই মারা যান। এরপর থেকেই এমপি-মন্ত্রীরা লাপাত্তা হয়ে যান। তাদের অনেকেই ফোন বন্ধ করে রাখেন। বিশেষ করে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, রংপুর, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, নরসিংদী, মাদারীপুরে এমপি-মন্ত্রীদের দেখা যায়নি। এসব জায়গায় তান্ডব চালায় বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা। এতে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক দুর্বলতা চরমভাবে ফুটে ওঠে।

রংপুরে ক্ষয়ক্ষতির এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানও দলীয় নেতা-কর্মীদের দুর্বলতাকে দুষেছেন। গত বৃহস্পতিবার রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘আপনারা ফেল করায় তারা এসব করতে সাহস পেয়েছে এবং করেছে। ঘুরে দাঁড়ালেই এসব করতে পারত না। আপনারা বসে ছিলেন কেন? আপনাদের নেতারা বসে ছিল কেন? পকেটে হাত দিয়ে যদি ঘরে থাকেন, তাহলে তারা ঘরে ঘরে ঢুকে মেরে ফেলবে।

প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপচার্য . মীজানুর রহমান বলেন, ‘কোটাবিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। অন্যদিকে বিগত সংসদ নির্বাচনের সময়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের উন্মুক্ত করে দেওয়ার ফলেও অনেক জায়গায় সাংগঠনিক অবস্থা দুর্বল হয়েছে। যেখানে স্বতন্ত্ররা বিজয়ী হয়েছেন, সেখানে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এমপির সঙ্গে কম আছে। আবার কোনো কোনো জায়গায় আওয়ামী লীগের এমপি নির্বাচিত হলেও সাবেক এমপি-মন্ত্রীদের দাপট সেখানে বেশি। সে কারণে বর্তমান এমপিদের সঙ্গে তেমন নেতা-কর্মীও নাই। যার কারণে এমপি-মন্ত্রীরা গা ঢাকা দিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী ফোরামের নেতারা জানান, দীর্ঘদিন ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিণের ওয়ার্ড-থানার কমিটি না থাকায় নেতা-কর্মীরা ঝিমিয়ে পড়েছেন। যে কারণে শনিরআখড়া, রায়েরবাগ, যাত্রাবাড়ী, মালিবাগ আবুল হোটেল, রামপুরায় বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাড্ডা, নতুন বাজার, প্রগতি সরণিকুড়িল, খিলক্ষেত, উত্তরা, উত্তরখান, দক্ষিণখান, মিরপুর ১০ নম্বর কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশন, মোহাম্মদপুর, শংকর, ধানমন্ডি, জিগাতলা, আসাদগেট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গুলিস্তান, বনানীর সেতু ভবন, জাতীয় দুর্যোগ ভবন, ডেটা সেন্টার, স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ বিভিন্ন এলাকায় তান্ডব করতে পেরেছে নাশকতাকারীরা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর থেকেই আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীদের সঙ্গে কর্মীদের দূরত্ব বাড়তে থাকে। কেউ কেউ এলাকায় গড়ে তুলেছেন এমপি লীগ, আত্মীয় লীগ। পরীক্ষিত দুর্দিনের নেতা-কর্মীদের সরিয়ে হাইব্রিডদের নিয়ে করেছেন কমিটি। হাইব্রিড নেতারা এমপি-মন্ত্রীদের ওপর ভর করে কেউ কেউ হয়েছেন টাকার কুমির। যে কারণে টাকা বাঁচাতে তারাও মাঠে নামেননি। দুঃসময়ের পরীক্ষিত কর্মীরা নিজ তাগিদে মাঠে নামলেও তারা স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীদের কাছে ভিড়েননি। আর এমপি-মন্ত্রীদের স্বজন লীগ, প্রটোকল লীগকে মাঠে নামানো যায়নি। আগের দিনে দলের নেতা-এমপি-মন্ত্রীরা ছিলেন যেমন কর্মিবান্ধব, তেমনি কর্মীরাও নেতার জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত ছিলেন। এখন সেই সংস্কৃতি উঠে যেতে বসেছে। নেতা-কর্মীদের ওপর যখন নির্যাতন করা হয়েছে ওইসব নেতারাও ঢাল হয়ে কর্মীদের বাঁচিয়েছেন। বর্তমানে সেটা নেই। এখন সেলফি সংস্কৃতিতে শেষ হচ্ছে মাঠের রাজনীতি। কিছু সময় মাঠে থেকে ছবি তুলে সেলফি দিয়েই দায়িত্ব শেষ করছেন কেউ কেউ।

মাঠপর্যায়ের নেতারা বলছেন, নির্বাচনি এলাকার এমপিদের আমরা অভিভাবক হিসেবে মানি। সঠিক দিকনিদের্শনা না পেলে আমরা কী করব। বিগত কয়েক দিনের কোটাবিরোধী আন্দোলনে অনেক এমপি-মন্ত্রীই গা ঢাকা দিয়েছিলেন। যে কারণে সঠিক নির্দেশনা না পাওয়ায় তেমন প্রতিরোধ গড়ে তোলা যায়নি। তারা আরও জানিয়েছেন, সংকটের সময়ে যারা দলকে অনিরাপদ রেখে নিজে নিরাপদ থাকতে চায় আগামীতে দলীয় মনোনয়নের সময়ে দলের হাইকমান্ডকে চিন্তাভাবনা করেই মনোনয়ন দেওয়া প্রয়োজন।

(তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন, ২৭ জুলাই ২০২৪)


তান্ডব   মাঠ   আওয়ামী লীগ   এমপি   মন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

একদফা দাবিতে জাতীয় ঐক্যের ডাক বিএনপির

প্রকাশ: ১২:০৮ এএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সরকার পতনের একদফা দাবিতে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছে বিএনপি। শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ডাক দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ন্যূনতম একদফা- সরকারের পতনের দাবিতে সকল রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য জাতীয় ঐক্যের আহ্বান বিএনপির।’

এতে আরও বলা হয়, ‘জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে বৃহত্তর স্বার্থে, লুণ্ঠিত গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার, অধিকারহীন জনগণের ও জাতির মুক্তির লক্ষ্যে আমরা উপরোক্ত ন্যূনতম একদফার ভিত্তিতে এবং দাবিতে দেশের সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, ব্যক্তি ও শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি ‘জাতীয় ঐক্য’ গঠনের আহ্বান জানাচ্ছি।’

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমরা বিএনপির নেতৃত্বে যুগপৎ আন্দোলনে সকল শরীক দল ও জোট, বাম-ডান সকল রাজনৈতিক দল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য ধর্মভিত্তিক ও সকল ইসলামি রাজনৈতিক দল এবং সংগঠনের প্রতি ও জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানাচ্ছি।’

জাতীয় ঐক্যের এই ঐতিহাসিক ঘোষণা ও দলিল দেশ ও জাতির মুক্তি ত্বরান্বিত করবে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। আরও জানানো হয়, শীঘ্রই সম্মতিপ্রাপ্ত সকলের স্বাক্ষরে যৌথ বিবৃতি প্রদান করা হবে।

বিএনপি   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সাইবার যুদ্ধে আওয়ামী লীগের শোচনীয় পরাজয় কেন?

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

এখন ষড়যন্ত্র এবং আন্দোলনের দু’টি অংশ হচ্ছে। একটি দৃশ্যমান অংশ যেটি মাঠে হচ্ছে। সরকার পতনের লক্ষ্যে কোটা সংস্কার আন্দোলনের ওপর ভর করে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, পেশাদার সন্ত্রাসীরা এক জোট হয়ে দেশে নাশকতা সৃষ্টি করেছে। একটি ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টির চেষ্টা করে সরকারকে হটানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলো। অন্যটি সাইবার জগতে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

ভার্চুয়াল দুনিয়ায় একটি দৃশ্য ছিলো যেই দৃশ্যে সরকারকে নানাভাবে অপপ্রচারের শিকার হতে হয়েছে। এই ঘটনাগুলোকে বিকৃত করে, অপ-তথ্য প্রকাশ করে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মহলকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। সরকার মাঠের আন্দোলনকে দমন করে মোটামুটি স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে পেরেছে। বিশেষ করে সেনা মোতায়নের পর আস্তে আস্তে পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। সাধারণ মানুষও যে হত্যা, বিভীষিকা এবং তাণ্ডব হয়েছে তা নিয়ে বিস্মৃত এবং হতবাক। তারা এধরনের পরিস্থিতিকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপরাধ বলেই মনে করছেন।


এই যুদ্ধে দৃশ্যতই সরকার বিজয়ী হয়েছে এবং সুবিধাজনক অবস্থায় আছে। সাধারণ মানুষ আর যাই হোক, এই ধরনের ভাঙচুর, বিশেষ করে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, সেতু ভবনের মতো অতিগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো ভাঙচুরকে সমর্থন করেনি। তারা এই আন্দোলন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। কিন্তু আন্দোলনের তথ্যগুলো আমাদের মূল ধারার টেলিভিশন বা সংবাদপত্রে যেভাবে আসছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসছে তার উল্টোভাবে। কিছুদিন ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকার কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ যেতে পারেনি। কিন্তু সাইবার যুদ্ধে বিএনপি-জামায়াত, বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠী বিশ্বব্যাপী তাদের অপপ্রচার অব্যাহত রেখেছে। আর একারণেই আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ সম্পর্কে ভুল, বিভ্রান্তিকর তথ্যগুলো ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিতও হয়েছে। আর এই যুদ্ধে আওয়ামী লীগ শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছে। এখন যখন ইন্টারনেট খুলে দেয়া হয়েছে, গতকাল থেকে ইউটিউব চালু হয়েছে তখন দেখা গেছে ইন্টারনেট জগত পুরোটা বিএনপি-জামায়াতের। বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠীরদের দখলে। সেখানে এমন সব আজগুবি, বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন করা হচ্ছে যা কল্পনারও অতীত।


সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়ানো হয়েছে র‌্যাব নাকি হেলিকপ্টার থেকে গুলি করেছে। র‌্যাব কখনোই হেলিকপ্টারে করে গুলি করেনি। হেলিকপ্টার থেকে টহল দিয়েছে, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে, টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। সেটিকে গুলিবর্ষণ হিসেবে চালিয়ে দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, পুলিশ নির্মমভাবে ছাত্রদের হত্যা করেছে। কিন্তু পুলিশ পিটুনি খেয়ে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাদে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলো। সেখান থেকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। ছাত্রদের সাথে কোন ধরনের সহিংসতায় না জড়ানোর জন্য এবং রক্তপাত এড়ানোর জন্যই পুলিশ এ অবস্থান নিয়েছে। পুলিশের সহনশীলতার কারণেই এই আন্দোলনের সাথে যখন সন্ত্রাসীরা যুক্ত হন তখন আন্দোলন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিলো। অথচ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বীভৎস মিথ্যা এবং বিকৃত ছবি প্রচার করা হয়েছে। বিএনপি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রকাশ করেছে যা আসলে মিথ্যা এবং সেখানে অতীতের বিভিন্ন সন্ত্রাস, সহিংসতার ঘটনাকে জোড়া লাগিয়ে সেটি সাম্প্রতিক সময়ের সহিংসতা হিসেবে চালিয়ে দিয়েছে।


প্রশ্ন উঠেছে, আওয়ামী লীগ ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রবর্তক। ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলেছিল এবং আওয়ামী লীগের হাত ধরেই বাংলাদেশ আজ তথ্য প্রযুক্তিতে নীরব বিপ্লব করেছে। কিন্তু এই সাইবার যুদ্ধে কেন আওয়ামী লীগ শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী গর্ব করে বলেছিলেন, তার এক লাখ সাইবার যোদ্ধা মাঠে নামানো হয়েছে। সেই যোদ্ধারা এখন কোথায়? আওয়ামী লীগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেন শোচনীয়ভাবে হেরে গেল? রাজনীতির কৌশলে এবং আন্দোলন দমনের ক্ষেত্রে সরকার যতোটা ভালো করেছে ঠিক ততটাই ব্যর্থ হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এর কারণ কী?

এর কারণ হলো, আওয়ামী লীগের নেতাদের আত্মতুষ্টি, অহংকার এবং তাদের এ ব্যাপারে মনোযোগী না হওয়া। সাইবার এই যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার কারণে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ সম্পর্কে নানারকম নেতিবাচক তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে। আর একারণেই তথ্য প্রযুক্তির এই ক্ষেত্রটির দিকে নতুন করে নজর দিতে হবে। অপ-তথ্যে সয়লাব হয়ে যাওয়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নেতিবাচক তথ্য দিয়ে এক ধরনের আবহ সৃষ্টি করার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সুস্পষ্ট অবস্থান নিতে হবে এখনই। 


সাইবার যুদ্ধ   আওয়ামী লীগ   কোটা আন্দোলন   তথ্য   ডিজিটাল বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে বিএনপিসহ সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে: ফখরুল

প্রকাশ: ০৬:৪৫ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সরকার নিজেদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ব্যর্থতা আড়াল করতে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে গ্রেপ্তার করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলামগীর।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান তিনি। 

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর সরকারদলীয় সন্ত্রাসী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে হামলা চালিয়ে ইতিহাসে হতাহতের যে বর্বরোচিত নজীর স্থাপন করেছে তা দেশ-বিদেশের সকল নির্মম-নিষ্ঠুরতাকেও হার মানিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘একটি স্বাধীন দেশে সরকারের দায়িত্ব হলো-রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া, গত কিছুদিন যাবত কোটা সংস্কার আন্দোলনে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা যখন যৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলনরত তখন সেই মুহূর্তে সরকারি দলের নেতা-মন্ত্রীরা তাদেরকে তাচ্ছিল্য করে আওয়ামী সন্ত্রাসীদেরকে নির্দেশ দেয় তাদেরকে নির্মূল করার।’


বিএনপি মহাসচিব এই গণহত্যা, নির্যাতন, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে সকল দেশ প্রেমিক মানুষ, রাজনৈতিক দল, ছাত্র, শিক্ষক, কৃষক, শ্রমিক ও পেশাজীবীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভয়াবহ ফ্যাসীবাদী শাসক গোষ্ঠীকে পরাজিত করে জনগণের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তনের দূর্বার সংগ্রামে অবতীর্ণ হওয়ার আহ্বান জানান।

বিএনপি   গ্রেপ্তার   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলামগীর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন