আন্তর্জাতিক আদালতের তরফে যুদ্ধাপরাধী ঘোষণার মাঝেও জিনপিংকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দীর্ঘদিন বাদে প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে চলেছে বলে কথা। আজই রাশিয়া
যাচ্ছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তাঁকে
স্বাগত জানাবেন পুতিন। টানা তৃতীয়বারের মত চীনের প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পর এই প্রথম
বিদেশ সফরে যাচ্ছেন শি। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের তরফে সম্প্রতি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে যুদ্ধাপরাধী বলে ঘোষণা করা হয় এবং তাঁর
বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর একদিকে যেমন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই
সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন, সেখানে পুতিনের পাশেই দাঁড়াতে পারেন শি বলে জানা গিয়েছে।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের এই সফরকে রাশিয়া অত্য়ন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে, কারণ এই সফরের মাধ্যমেই পশ্চিমী দুনিয়ার কাছে রাশিয়া বার্তা দেবে যে তাদের পাশে শক্তিধর বন্ধু দেশ রয়েছে। আজই মস্কোয় পৌঁছবেন শি। দুই দেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব বাড়াতে পুতিন ও জিনপিং বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারেন বলে জানা গেছে। দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে একাধিক ইস্যু নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা থাকলেও, প্রধান আলোচ্য় বিষয় হবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, এমনটাই সূত্রের খবর।
রাশিয়া সফরের আগেই সম্প্রতি চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জানিয়েছিলেন, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে শান্তি স্থাপকের ভূমিকা পালন করতে পারে চিন। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনও চিনের এই ইচ্ছাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা এক বছর পেরিয়ে গেছে। যদিও এখনও সেখানে যুদ্ধবিরতি হওয়ার কোনও লক্ষণ নেই, তবে যুদ্ধের তীব্রতা আগের থেকে কিছুটা কমেছে। তবে ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায় এখনও অতর্মকিত হামলা চালাচ্ছে রুশ সেনাবাহিনী। ইউক্রেন সেনাও প্রতিরোধ করছে। আন্তর্জাতিক মহলের বিভিন্ন চেষ্টা সত্ত্বেও রুশ আগ্রাসন বন্ধ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে আজ চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর মস্কো সফর। সেখানে গিয়ে শান্তিস্থাপকের ভূমিকা নিতে পারে চীন। অন্তত এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। রাশিয়া সফর গিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে জিনপিং কথা বলতে পারেন বলেও গুজব ছড়িয়েছে। তবে ইউক্রেন-রাশিয়া দ্বন্দ্বে শুরু থেকে রাশিয়ার পাশে রয়েছে চীন। সরাসরি রাশিয়াকে সাহায্য না করলেও পশ্চিমী দুনিয়ার আর্থিক নিষেধাজ্ঞার সময়ে মস্কোর পাশে ছিল বন্ধু বেইজিং।
রাশিয়া চীনের পুরনো বন্ধু। বিশেষত আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলির জোটের বিরুদ্ধে যদি কোনও অক্ষ ঘঠিত হয়, তাতে প্রথম দুই নাম রাশিয়া ও চীন। ইউক্রেনে হামলার পর পশ্চিমী দুনিয়া এক ঘরে করার চেষ্টা করেছে রাশিয়াকে। অন্য দিকে তাইওয়ানে আমেরিকার উচ্চপদস্থ পদাধিকারদের সফর আরও কাছাকাছি এনেছে এই দুই দেশকে। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে জিনপিংয়ের রাশিয়া সফরের ঘোষণা করা হয়ে। সেই সফরের ব্যাপারে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন জানিয়েছিলেন, শান্তি স্থাপনে উদ্যোগ নেবেন চীনা প্রেসিডেন্ট। এই সফরের ব্যাপারে বেইজিংয়ের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওয়াং ওয়াইয়েই বলেছেন, “যুদ্ধ বন্ধ করা সকলেরই ইচ্ছা। কারণ পশ্চিমী দুনিয়া ও আমেরিকা ইউক্রেনকে যতদিন ধরে সাহায্য করবে ভেবেছিল, তা পারবে না। কিন্তু চীন দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মীমাংসা করার ক্ষমতা রাখে। ইউক্রেন ও রাশিয়ার বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু হতে পারে।”
যদিও চীন রাশিয়া-ইউক্রেনের দ্বন্দ্ব মেটাতে পারবেন, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে আমেরিকা ও ইউরোপের একাংশের বিশেষজ্ঞ মহলের। এ নিয়ে চীননের পররাষ্ট্র নীতির উপরে কাজ করা আমেরিকার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বলেছেন, “ইউক্রেনে শান্তি ফেরাতে বেইজিং খুবই নগন্য উদ্যোগ নিয়েছে। রাশিয়ার উপর চাপ তৈরি বা রাশিয়াকে প্রকাশ্যে যুদ্ধ বন্ধ করতে কখনও বলেনি চীন।”
তবে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়না জারির করার পর জিংপিন যাচ্ছেন সেখানে। আজ চীনা প্রেসিডেন্টের এই রাশিয়া সফরে নজর রাখছে আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দুনিয়া।
মন্তব্য করুন
মার্কিন ঘাঁটি রুশ সেনা মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী
মন্তব্য করুন
এবার অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) দেশটির সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইউনিভার্সিটি অব সিডনি) তাবু স্থাপন করে অবস্থান নেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। সেসময় তারা যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
এদিনের আন্দোলন থেকে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলের সাথে সম্পর্কযুক্ত সংস্থাগুলো থেকে সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিচ্ছিন্ন করার দাবি তোলেন। বিক্ষোভকারীরা অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ও তার সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের দাবি, অস্ট্রেলিয়ান সরকার গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যথেষ্ট কাজ করেনি।
ব্রিটিশি বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মেলবোর্ন, ক্যানবেরাসহ অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও একই ধরনের শিবির গড়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসগুলো থেকে পুলিশ ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারীদের জোর করে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও, অস্ট্রেলিয়ায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি।
বিক্ষোভের জায়গাগুলোতে স্বল্পসংখ্যক পুলিশের শান্তিপূর্ণ উপস্থিতিতে ছিল। সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে বেশ কয়েকটি পুলিশের গাড়ি পার্ক করা থাকলেও বিক্ষোভে কোনো পুলিশ উপস্থিত ছিল না।
এদিকে, এই বিক্ষোভের কারণে অনিরাপদ বোধ করছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অধ্যয়নরত ইহুদী শিক্ষার্থীরা। তাদের মতে এ ধরনের আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে করা উচিত।
ইউনিভার্সিটি অব সিডনির উপাচার্য মার্ক স্কট বলেছেন, ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভকারীরা ক্যাম্পাস আংশিকভাবে অবস্থান করতে পারে, কারণ যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে কোনো সহিংসতা দেখা যায়নি।
কয়েক দফা দাবি নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীরা। অস্থায়ী তাঁবু খাটিয়ে ক্যাম্পাস চত্বরেই তাদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি ও মিশরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্ষোভকারীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে মিত্র দেশগুলো থেকে ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা।
অস্ট্রেলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভ ফিলিস্তিন
মন্তব্য করুন
গত ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২ হাজার ২০০ জন ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)।
এপির হিসেব অনুযায়ী, ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের মোট ৪৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৬ বার অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সেসব অভিযান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের।
সর্বশেষ স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ার বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেসে (ইউসিএলএ) অভিযান চালিয়ে ২০০ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের প্লাইউড, মেটাল ফেন্স, প্ল্যাকার্ড দিয়ে তৈরি করা ব্যারিকেড এবং ক্যাম্পাস চত্বরের অস্থায়ী তাঁবুগুলো তছনছ করে দিয়েছে পুলিশ। এসব তাঁবুতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রাতে ঘুমাতেন।
ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে গত মার্চের শেষ দিক থেকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু করেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ। পরে সেই আন্দোলন দেশটির অন্যান্য অঙ্গরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে সেই আন্দোলন চলার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুরোধে ১৮ এপ্রিল রাতে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। এ অভিযানে ১০০ জন ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ এবং তাদের তাঁবু-ব্যারিকেডও তছনছ করে দিয়েছিল পুলিশ।
কিন্তু পরের দিন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ফের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। মার্কিন এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে পুলিশ একাধিকবার অভিযান চালিয়েছে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ-আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীরা।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার সদস্যরা মার্কিন শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনকে 'ইহুদিবিদ্বেষী' আন্দোলন বলে আখ্যা দিয়েছেন। তবে আন্দোলনের সংগঠকদের (যাদের মধ্যে ইহুধি ধর্মাবলম্বীরাও রয়েছেন) দাবি, তারা কেবল ফিলিস্তিনিদের অধিকার ও গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছেন।
যুক্তরাষ্ট্র বিক্ষোভ গ্রেপ্তার শিক্ষার্থী ইউসিএলএ
মন্তব্য করুন
মুক্ত গণমাধ্যম বাংলাদেশ পাকিস্তান
মন্তব্য করুন
চলন্ত ট্রেনে অপ্রত্যাশিত এক ঘটনার সাক্ষী হলেন যাত্রীরা। স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়ে পালালেন স্বামী। গত ২৯ এপ্রিল ভারতের জাহাংসি জংশনে এ ঘটনা ঘটে।
২৮ বছর বয়সি মোহাম্মাদ আরশাদ তার ২৬ বছর বয়সি স্ত্রী আফসানাকে নিয়ে ট্রেনে ভ্রমণ করার সময় তালাকের এ ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভির।
পেশায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার আরশাদের চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি বিয়ে হয়েছিল আফসানার সঙ্গে। বিয়ের পর দুজনে ভোপালে থাকতেন। এক সপ্তাহ আগে কানপুরের পুখরায়ানে যান দুজনে। সেখানে আরশাদের পৈতৃক বাড়ি। কিন্তু সেখানে গিয়েই চমকে যান আফসানা। জানতে পারেন আরশাদের আরও এক স্ত্রী রয়েছে। এর প্রতিবাদ করলে আরশাদ ও তার মা আফসানার কাছে যৌতুকের দাবি করতে থাকে।
অভিযোগ, মারধরও করা হয় আফসানাকে। এরপর স্ত্রী আফসানাকে নিয়ে ভোপালে ফিরছিলেন আরশাদ। ঝাঁসি স্টেশনে ট্রেন ঢোকার মুখে স্ত্রীকে তিন তালাক দেন আরশাদ। এরপরই ট্রেন থেকে নেমে যান।
এ ছাড়া স্ত্রীকে চলন্ত ট্রেনে মারধরও করেছিলেন আরশাদ। ট্রেন ঝাঁসিতে থামতেই জিআরপিকে সমস্ত ঘটনা জানান আফসানা। এরপরই আফসানাকে ফেরত পাঠানো হয় আরশাদের পৈতৃক বাড়িতে। ঘটনায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। আরশাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
গোটা ঘটনার কথা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেও জানিয়েছেন আফসানা। স্বামীর কড়া শাস্তির দাবি করেছেন তিনি।
পুলিশের সার্কেল অফিসার জানিয়েছেন, আফসানার অভিযোগের ভিত্তিতে তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলা থেকে রেহাই পাইনি তার বাবা-মাও।
মন্তব্য করুন
গত ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২ হাজার ২০০ জন ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)। এপির হিসেব অনুযায়ী, ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের মোট ৪৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৬ বার অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সেসব অভিযান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের।