ইনসাইড বাংলাদেশ

ফখরুলকে কি সরকারই হিরো বানাচ্ছে?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮


Thumbnail

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কি হিরো বানাচ্ছে সরকার? বিএনপির মধ্যে এখন এই প্রশ্ন প্রচন্ডভাবে আলোচিত হচ্ছে। বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপ করে দেখা গেছে, মির্জা ফখরুলকেই দল ভাঙার প্রধান অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। একজন নেতা তো বলেছেন, সরকার তিল তিল করে তাঁকে পাদপ্রদীপে নিয়ে এসেছে। বিএনপির ওই নেতা বলেন, ২০১৪ সাল থেকেই বিএনপিকে টার্গেট করে একের পর এক মামলা দিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। স্বয়ং তারেক জিয়াই মনে করেন, গ্রেপ্তার করেই তাঁকে বশে আনে সরকার। গ্রেপ্তার, মুক্তি, আবার গ্রেপ্তার এভাবেই ফখরুলকে দ্বিতীয় নেতা বানিয়ে ফেলা হয়। এরপর ফখরুলকে গ্রেপ্তার করার পর আবার বিকেলে ছেড়ে দেওয়া হয়। এখান থেকেই বিএনপিতে সন্দেহ উঁকি মারে। গত বছর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক দিনেই ১৮ মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন নিলে বিএনপিতে তারেকপন্থীরা বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে, মির্জা ফখরুল সরকারের ইশারায় চলছে। এসময় স্বয়ং তারেক জিয়া সঙ্গে বিএনপি মহাসচিবের দূরত্ব তৈরি হয়।

বেগম জিয়া কারাবন্দি হলে তারেক জিয়া এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মধ্যে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা শুরু হয়। জিয়া পরিবারের সদস্য হবার পরও দূরে থাকা এবং খারাপ ব্যক্তিগত ইমেজের কারণে পিছিয়ে পড়েছেন তারেক জিয়া। এখন মির্জা ফখরুলই বিএনপির প্রধান নেতা। বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চেয়ারপারসন সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। এর পরই দলের ভাইস চেয়ারম্যান। বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক সংস্থা হলো দলের স্থায়ী কমিটি। দলের মহাসচিব স্থায়ী কমিটির সদস্য হন পদাধিকার বলে। স্থায়ী কমিটিতেও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেশ জুনিয়র। স্থায়ী কমিটিতে তাঁর অবস্থান ১৫তম। বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়ার পরেই বিএনপির সিনিয়র নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এরপরই ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের অবস্থান। তৃতীয় অবস্থানে আছেন সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার। কিন্তু এদের আড়াল করে মির্জা ফখরুলই এখন দৃশ্যত বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সিনিয়র নেতাদের ঈষৎ অস্বস্তি সত্ত্বেও তাঁরা ফখরুলের অধীনেই চলছেন। এর কারণ হিসেবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, ‘ মির্জা ফখরুল বিনয়ী, সংযত কথাবার্তা বলেন। সাধারণ মানুষের মধ্যে তাঁর একটা পরিচ্ছন্ন ইমেজ রয়েছে। একারণেই তাঁকে আমরা সামনে রেখেছি।’

কিন্তু বিএনপিতে তারেকপন্থীদের এব্যাপারে ভিন্ন মত। তারা মনে করেন, এজেন্সিগুলো পরিকল্পিত ভাবে মির্জা ফখরুলের ইমেজ বাড়িয়েছ। বার বার গ্রেপ্তার করে সাধারণ মানুষের সহানুভূতি কেড়েছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাজনীতিতে আবদুল মান্নান ভুঁইয়ার শিষ্য ছিলেন। তাঁর নিকটাত্মীয় লে. জে. (অব.) মাহাবুবুর রহমান। কাজেই শেষপর্যন্ত তিনি বেগম জিয়ার নেতৃত্বের প্রতি কতটা অটল থাকবেন, তা নিয়ে সন্দেহ আছে।



বাস্তবতা হলো কে এম ওবায়দুর রহমানের পর এই প্রথম একজন মহাসচিব বিএনপি পেয়েছি যিনি দলে প্রচণ্ড জনপ্রিয়। দলের বাইরেও তাঁর ইমেজ যথেষ্ট ভালো। মির্জা ফখরুল এখন তারেক জিয়ার অনেক সিদ্ধান্তই নাকচ করে দেন। স্থায়ী কমিটির সিংহভাগ সদস্যই তারেকের চেয়ে মির্জা ফখরুলকে বেশি পছন্দ করেন। তাহলে মির্জা ফখরুলই কি জিয়া পরিবারের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করবেন? তিনি কি হবেন জিয়া পরিবারের বাইরে বিএনপির প্রথম প্রধান নেতা? এজন্যই কি তাঁকে তৈরি করা হয়েছে? এজন্যই মির্জা ফখরুল তাঁর শান্তিপূর্ন কর্মসূচি সরকারের আশীর্বাদে করতে পারছেন?

Read In English: http://bit.ly/2CCHpkM


বাংলা ইনসাইডার/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজশাহীর রেল লাইন ডাবল গেজ করা হবে: রেলপথমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৫:৩২ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেছেন, রাজশাহীতে ডাবল লাইন করার প্রস্তাব এসেছে। ডাবল লাইন তো আর একদিনে হবে না। আমরা কাজ শুরু করেছি। সমস্ত লাইনগুলোর মধ্যে যেখানে সিঙ্গেল গেজ রয়েছে সেখানে ডাবল গেজ করার চেষ্টা করছি। কাজ শুরু হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব এগুলো আমরা বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।

শনিবার (১১ মে) দুপুর ১টার দিকে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

রেলপথমন্ত্রী বলেন, আপনাদের সুবিধার্থে রেলপথে আম পরিবহনের ব্যবস্থা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যাতে করে সবচেয়ে কম খরচে আপনাদের আম পৌঁছানো যায় এবং আমের গুণাগুণ ঠিক থাকে।

তিনি আরও বলেন, আম পরিবহনে আমরা ডাক বিভাগকে কাজে লাগাতে পারি। তবে আমার মনে হয়- বর্তমান পর্যায়ে এই যে কুরিয়ার সার্ভিসগুলো আছে, এদের সঙ্গে আমরা একটা কন্ট্রাকে আসতে পারি। আমরা তাদের সঙ্গে বসে আপনাদের সুবিধার্থে একটা আলোচনা করব। আপনারা বলেছেন যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে লাগেজ ভ্যান লাগানোর জন্য। আগে তো প্রত্যেকটি যাত্রীবাহী কোচের সঙ্গে লাগেজ ভ্যান ছিল। অন্যান্য যে শস্যগুলো রয়েছে সেগুলো আমরা কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিবহন করব। আমরা ঈদের সময় গবাদিপশু পরিবহনের ব্যবস্থা করি।

রেলপথমন্ত্রী বলেন, কোনো অসুস্থ রোগীর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে সে কিন্তু আর বাঁচে না। আমরা এখন অসুস্থ ধরে নেন। সুস্থ হওয়ার চেষ্টা করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের টেনে তুলছেন। তিনি রেলকে ভালোবাসেন। এই পরিবহনটা খুবই সস্তা পরিবহন। সেটা যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে বলেন আর পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে বলেন। নতুন নতুন লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। ঢাকা থেকে বরিশাল হয়ে পায়রাবন্দর পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন। যা আটটা জেলাকে কানেক্ট করবে। সমস্যা থাকবে, সমস্যার সমাধানের জন্য আপনারা পরামর্শ দেবেন। কিন্তু আমাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন না।

সেমিনারে জানানো হয়, আগামী ১০ জুন ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন চালু হবে। এবার পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় যাবে রাজশাহী অঞ্চলের আম। যাত্রা পথে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, আব্দুলপুর, ঈশ্বরদী, পোড়াদহ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও ভাঙ্গা স্টেশনসহ মোট ১৫টি স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেবে ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন’। বাংলাদেশ রেলওয়ে ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন চালু করে ২০২০ সালে।

সেমিনারে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে বিভাগের জেলা প্রশাসকগণ ছাড়াও আম ব্যবসায়ী, রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


রাজশাহী   রেল লাইন   রেলপথমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফরিদপুরে ট্রাকচাপায় বাবা-ছেলেসহ নিহত ৩

প্রকাশ: ০৪:২৬ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ট্রাক ও মোটরসাইকেল সংঘর্ষে বাবা-ছেলেসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। শনিবার (১১ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন কাশেম শিকদার (৪০), তার ভাই নাজমুল শিকদার (৩৭) ও তার ছেলে মোরসালিন (৮)।

নিহতদের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার কোয়ালদিয়া গ্রামে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল বাকি।

তিনি বলেন, শনিবার ভাঙ্গা থেকে মোটরসাইকেলে করে বাবা-ছেলে ও তার ভাই ফরিদপুর যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদীতে ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে মোরসালিনের মৃত্যু হয়। পরে আহত কাশেম ও নাজমুলকে ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুর মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে।


ফরিদপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কর্মদক্ষ যুবসমাজের বিকল্প নেই: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৪:১৬ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে যুগোপযোগী ও কর্মদক্ষ যুবসমাজের কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সম্ভাবনাময় সময় পার করছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, জনসংখ্যাগত এই সুবিধার সঠিক ব্যবহার করতে আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে।

শনিবার (১১ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের অধ্যাপক হাবিবুল্লাহ কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত ‘ইয়ুথ লিডারশিপ স্কিলস্ ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, এমডিজি, এসডিজিসহ, ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ ইত্যাদি প্রমাণ করে সরকার যুবসমাজ ও দেশের নাগরিকদের নিয়ে নিয়ে দূরদর্শী পরিকল্পনা করছে।

মন্ত্রী মার্কেট ইকোনমি নিয়ে বলেন, আমাদের পণ্য ও সেবার মান বিশ্বমানের হতে হবে। তাহলেই এই মুক্তবাজার অর্থনীতির যুগে আমরা অন্যান্য দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে পারব। ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়ন করে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের বাস্তবায়িত করতে হলে নিজেরদের যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তোলাটা একান্তই অপরিহার্য।

ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবায়ন এক অবারিত সুযোগের দুয়ার খুলে দিয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, শতভাগ বিদ্যুতায়ন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, সাবমেরিন ক্যাবলের ফলে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এখন প্রযুক্তির ছোঁয়া। এই সমস্ত সুযোগ সুবিধা তরুণ ও জনসাধারণের জন্য নানা রকমের সম্ভাবনা ও আয়ের মাধ্যম সৃষ্টি করছে। যুবসমাজ ফ্রিল্যান্সিংসহ রিমোট জবের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। যা অর্থনীতিকে করছে বেগবান।

স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার বিকল্প নেই জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ একটি বহুমাত্রিক ধারণা। সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে জ্ঞান ও দক্ষতাভিত্তিক সমাজ গঠনে এগিয়ে আসলে আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা তথা স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করতে পারব।

একশনিস্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ড. শারিন শাহাজাহান নাওমির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় সম্মানিত বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্মার্ট বাংলাদেশ নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ।


স্থানীয় সরকারমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

একমাসেই ৬৫৮ সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ৬৩২

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) জানিয়েছে, ঈদুল ফিতরের মাস এপ্রিলে সারা দেশে ৬৫৮টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। আর এসব দুর্ঘটনায় মানুষ মারা গেছেন ৬৩২ জন। সেইসঙ্গে আহত হয়েছেন ৮৬৬ জন মানুষ।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার সই করা সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। বিআরটিএ’র বিভাগীয় অফিসের মাধ্যমে সারা দেশের সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

দেশে দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে রয়েছে..

ঢাকা বিভাগে ১০৮টি দুর্ঘটনায় ১১৫ জন নিহত এবং ১৫৭ জন আহত হয়েছেন।

চট্টগ্রাম বিভাগে ১৩৫টি দুর্ঘটনায় ১২৩ জন নিহত এবং ২২৭ জন আহত হয়েছেন।

রাজশাহী বিভাগে ১০০টি দুর্ঘটনায় ৯৩ জন নিহত এবং ১১২ জন আহত হয়েছেন।

খুলনা বিভাগে ৯৮টি দুর্ঘটনায় ৮৭ জন নিহত এবং ৯৫ জন আহত হয়েছেন।

বরিশাল বিভাগে ৪৫টি দুর্ঘটনায় ৪৯ জন নিহত এবং ৬৪ জন আহত হয়েছেন।

সিলেট বিভাগে ৩৪টি দুর্ঘটনায় ৩৮ জন নিহত এবং ৬৪ জন আহত হয়েছেন।

রংপুর বিভাগে ৬৮টি দুর্ঘটনায় ৬৫ জন নিহত এবং ৬৪ জন আহত হয়েছেন।

ময়মনসিংহ বিভাগে ৭০টি দুর্ঘটনায় ৬২ জন নিহত এবং ৮৩ জন আহত হয়েছেন।

এপ্রিল মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত মোটরযানের মধ্যে মোটরকার/জিপ ৪১টি, বাস/মিনিবাস ১৫৭টি, ট্রাক/কাভার্ডভ্যান ১৭০টি, পিকআপ ৫০টি, মাইক্রোবাস ২৮টি, অ্যাম্বুলেন্স ১২টি, মোটরসাইকেল ২৫২টি, ভ্যান ২১টি, ট্রাক্টর ১৭টি, ইজিবাইক ৩৪টি, ব্যাটারিচালিত রিকশা ৩১টি, অটোরিকশা ৬৮টি ও অন্যান্য যান ১৭৫টিসহ সর্বমোট ১০৫৬টি যানবাহন রয়েছে।

এসবের মধ্যে মোটরকার দুর্ঘটনায়/জিপ ২৬ জন, বাস/মিনিবাস দুর্ঘটনায় ৬৭ জন, ট্রাক/কাভার্ডভ্যান দুর্ঘটনায় ৬২ জন, পিকাপ দুর্ঘটনায় ৩০ জন, মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় ২০ জন, অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় ১৩ জন, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৯১ জন, ভ্যান দুর্ঘটনায় ১৮ জন, ট্রাক্টর দুর্ঘটনায় ৯ জন, ইজিবাইক দুর্ঘটনায় ৩০ জন, ব্যাটারিচালিত রিকশা দুর্ঘটনায় ১৭ জন, অটোরিকশা দুর্ঘটনায় ৪৫ জন ও অন্যান্য যান দুর্ঘটনায় ১০৪ জনসহ সর্বমোট ৬৩২ জন নিহত হয়।

এর আগে, গত ২১ এপ্রিল বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার জানিয়েছিলেন, ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াতের ১৭ দিনে (৪ থেকে ২০ এপ্রিল) সারা দেশে ২৬৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২০ জন নিহত ও ৪৬২ জন আহত হয়েছেন। এই সময়ে গড়ে প্রতিদিন ১৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হয়েছেন।


সড়ক দুর্ঘটনা   বিআরটিএ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সকলকে সচেতন হওয়ার আহ্বান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ আহত হচ্ছে, নিহত হচ্ছে। সড়কে খালি হচ্ছে হাজারো মায়ের কোল। এসব দুর্ঘটনার সমস্যা সমাধানে সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন। এখন পর্যন্ত যতটা দেখছি সড়ক দুর্ঘটনার মূল কারণ সচেতনতার অভাব। সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে হলে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

শনিবার সকালে শিল্পকলা একাডেমিতে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর ১০ম মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন মন্ত্রী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দক্ষ চালকের হাতে যাতে স্টিয়ারিং থাকে আমরা সেই ব্যবস্থা করতে যাচ্ছি। ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিষয়ে খেয়াল রাখছি। চালকদের প্রশিক্ষণের অভাবও দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। গাড়ি চালানো অবস্থায় চালকের মোবাইল ব্যবহার, অপরিকল্পিত ভঙ্গুর সড়ক, ওভার ক্রসিং, অতিরিক্ত গতি, ওভার ব্রিজের স্বল্পতা, ট্রাফিক আইন অমান্য করা, ট্রাফিক পুলিশের গাফিলতিও আমরা মাঝেমধ্যে দেখি।

মন্ত্রী বলেন, আইনে গাড়িচালক, হেলপার, মালিক এবং বিভিন্ন ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি সবার দায়িত্ব যথাযথভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। যে যেই দায়িত্বে থাকবে তার গাফিলতি হলে কি ধরনের শাস্তি হবে তার সবকিছুই আইনে পরিষ্কার করা হয়েছে। আমরা চাই দুর্ঘটনা কম হোক, দুর্ঘটনায় আর যেন কেউ মৃত্যুবরণ না করে। পৃথিবীর সব দেশে দুর্ঘটনা ঘটে, মানুষের মৃত্যু হয়। বাংলাদেশে যাতে সড়ক দুর্ঘটনা কমে সেজন্যই কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনার কারণ চিহ্নিত করে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে বিভিন্ন সময় দাবি করে আসছে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’। এ বিষয়ে সরকার ২২ অক্টোবর নিরাপদ সড়ক দিবস ঘোষণা করে। যা দেশে গুরুত্ব সহকারে পালিত হচ্ছে।

নিজের সড়ক দুর্ঘটনার স্মৃতি স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, রোড এক্সিডেন্টে আমার সব আশা স্তম্ভিত হয়েছিল। মহান আল্লাহ আমার এক রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিলেন এবং এই রাজনীতির রাস্তা ওপেন করে দিয়েছিলেন। সেই জন্য বোধহয় আমি আজকে এ জায়গায় আসতে পেরেছি।

সমাবেশে নিসচার চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী   আসাদুজ্জামান খান কামাল   সড়ক দুর্ঘটনা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন