ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্র, বিএনপি ভারতমুখী

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৬ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে কূটনীতিকপাড়ায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির যোগাযোগ বেড়েছে। শুধু কূটনীতিকপাড়ায় নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি দু'টি রাজনৈতিক দল স্ব স্ব অবস্থান থেকে জোর লবিং, তদবির করছে। এই সমস্ত লবিং এবং তদবিরের প্রধান উদ্দেশ্য হলো আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আওয়ামী লীগ মনে করছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আসার পথে প্রধান বাধা হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগামী নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার দাবি তুলেছে। এ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান খোলামেলা এবং সুস্পষ্ট। 

গত ২০ মার্চ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যে মানবাধিকার রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে ২০১৮ নির্বাচন প্রসঙ্গ আনা হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশে বিরোধী দলগুলোর ওপর দমনপীড়ন-নির্যাতন চলছে। এর দুদিন পরেই আওয়ামী লীগের সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল ছুটে যান মার্কিন দূতাবাসে। সেখানে তারা মধ্যাহ্নভোজে মিলিত হন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তারা বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় করা সম্ভব নয়। প্রচ্ছন্নভাবে বিএনপি যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে অটল থেকে নির্বাচনে না আসে তাহলে সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন এগিয়ে নেওয়ার একটি বার্তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আওয়ামী লীগ দিয়েছে। কিন্তু মার্কিন দূতাবাস কতটা নীতিনির্ধারণী ভূমিকা পালন করবে এক্ষেত্রে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমস্ত সিদ্ধান্তগুলো তৈরি হয় ওয়াশিংটনে। এ কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের অস্বস্তি কাটিয়ে তোলার জন্য একটি তৎপরতা আওয়ামী লীগের মধ্যে দৃশ্যমান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন মুখে মার্কিন বিরোধী কথা বললেও তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঘন ঘন যাচ্ছেন এবং সেখানকার বিভিন্ন থিঙ্ক-ট্যাঙ্কদের সঙ্গে কথা বলছেন। এছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য একটি লবিস্ট ফার্ম নিযুক্ত করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। যাদেরকে ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বটে কিন্তু তারা আসলে দু'দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি আগামী এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওয়াশিংটন যাওয়ার কথা। সেখানে তিনি বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করবেন। কিন্তু তার পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সিনেটর এবং প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা। 

আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতার ধারণা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি শেষ পর্যন্ত নমনীয় হয় তাহলে আগামী নির্বাচন নিয়ে কোনো সংশয় থাকবে না। অন্যদিকে বিএনপি এখন অনেকটাই ভারতমুখী এবং ভারতকে বশে আনার জন্য চেষ্টা করছে। গত ১৬ মার্চ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে নৈশভোজে মিলিত হন। এটি নিয়ে বিএনপির মধ্যে বিভিন্ন রকম প্রতিক্রিয়া থাকলেও বিএনপির হাইকমান্ড ইতিবাচকভাবে দেখছেন। বিএনপির প্রায় সব নেতাই বিশ্বাস করেন, ভারত যদি নমনীয় না থাকতো তাহলে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারতো না। 

বিএনপির অধিকাংশ নেতা মনে করেন, আওয়ামী লীগের টানা ক্ষমতায় থাকার প্রধান রহস্য হলো ভারতের সহযোগিতা এবং এমনকি আগামী নির্বাচনের ব্যাপারেও ভারত সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দেয়ার পর বিএনপির নেতারা নড়েচড়ে বসেছেন। তারা এখন ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা করছেন। ২০১৮ নির্বাচনের আগেও বিএনপি ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করার চেষ্টা করেছিল এবং ভারত সে সময় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থন করে না, সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে তাদের কোনো আতাঁত নাই- এই ধরনের কথাবার্তা বলেছিল। কিন্তু ভারত বিএনপির নেতাদের এই সমস্ত কথাবার্তা খুব একটা আমলে নেয়নি। যার ফলে এখন পর্যন্ত ভারত বিএনপি বিমুখ হয়ে চলে আসে। তবে বিএনপির নেতারা মনে করছেন, বিএনপির ব্যাপারে  ভারতের যে ভুল গুলো সেগুলো ভাঙ্গানোর কাজ চলছে এবং ভারত যদি শেষ পর্যন্ত নিরপেক্ষ অবস্থানে চলে যায় তাহলে আওয়ামী লীগ সরকারের টিকে থাকা কঠিন। আর তাই প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল দুই প্রভাবশালী দেশের কাছে এখন ধরনা দিচ্ছে তাদের কৌশল যেন জয়যুক্ত হয় সে লক্ষ্যে।

আওয়ামী লীগ   যুক্তরাষ্ট্র   বিএনপি   ভারত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ আজ

প্রকাশ: ০৮:২৩ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে আজ শনিবার। বিকেল সাড়ে ৩টায় মোহাম্মদপুর আড়ংয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের এক যৌথ সভার শুরুতে এ কথা জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকে বলে আমরা পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করছি, আসলে আমরা কোনো সমাবেশ করছি না। আজ আমরা এখানে যৌথসভা করছি। আগামীকাল শনিবার আমাদের মন্ত্রিসভার সদস্য, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সংসদীয় এলাকায় আমরা একটি শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করব। সেখানে সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

এর আগে দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভা আজ শুক্রবার (১০ মে) অনুষ্ঠিত হয়।


আওয়ামী লীগ   শান্তি সমাবেশ   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কর্মীদের দাবি রিজভী, তারেকের পছন্দ খসরু

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপিতে নতুন মহাসচিব নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া বিভিন্ন জেলার স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে নৈশ বৈঠকের আয়োজন করছেন। এ পর্যন্ত নোয়াখালী, কুমিল্লা, সিলেট, বরিশালসহ অন্তত দশটি জেলায় এই ধরনের জুম বৈঠক আয়োজন করা হয়েছে। যে বৈঠকগুলোতে লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়া সরাসরি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন। তৃণমূলের নেতাকর্মী ছাড়াও ছাত্রদল, যুবদল, কৃষক দলের মতো বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ তারেক জিয়ার সঙ্গে কথা বলছেন। 

নোয়াখালীতে এ রকম বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে প্রজেক্টরের মাধ্যমে তারেক জিয়া সরাসরি কর্মীদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন এবং তাদের মতামত দিয়েছেন। এই সমস্ত মতামতে দল পুনর্গঠন, নতুন নেতৃত্ব ইত্যাদি বিষয় নিয়ে তারেক জিয়া দলের নেতৃবৃন্দের খোলাখুলি মতামত জানতে চান। আর এই খোলাখুলি মতামতে যদি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মহাসচিব না থাকেন তাহলে কাকে মহাসচিব করা যেতে পারে সেই প্রশ্নটি উত্থাপন করেন।

জানা গেছে, অধিকাংশ তৃণমূলের কর্মীরা তাদের পছন্দের কথা জানাতে প্রথমে অস্বস্তি প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে তারেক তাদেরকে আশ্বস্ত করেন যে, এই বৈঠকের খবর বাইরে প্রকাশিত হবে না এবং বৈঠকে উপস্থিত নেতৃবৃন্দকেও সতর্ক করা হয় তারা যেন এই বৈঠকের বিষয়টি দলের কেন্দ্রীয় নেতা বা সিনিয়রদের সঙ্গে আলোচনা না করে। এরপর এই বৈঠকে মতামত প্রকাশের জন্য সবাইকে স্বাগত জানানো হয়। এই সব বৈঠকে বিভিন্ন জেলার অধিকাংশ কর্মীরা দলের পরবর্তী মহাসচিব হিসেবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নাম উচ্চারণ করেছেন। তার পেছনে বিএনপির নেতাকর্মীরা যুক্তি দেখিয়েছেন, তিনি নিবেদিতপ্রাণ ত্যাগী। কর্মীদের কাছে তিনি শ্রদ্ধার আসনে আসীন। তাছাড়া সব সংকটেই তাকে সাহসী ভাবে দেখা যায়। এ কারণে রিজভীর মহাসচিব হওয়া উচিত বলে অনেকে মনে করছেন। 

তবে বেশ কিছু স্থানীয় পর্যায়ের নেতা মনে করেন যে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি। এখন পর্যন্ত তাঁর কোনো বিকল্প নেই। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের মহাসচিব থেকে সরে গেলে দলের জন্য সমস্যা হবে বলেও তারা অভিমত ব্যক্ত করেছেন। 

তারেক জিয়া উপযাচক হয়ে কয়েকটি বৈঠকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী যদি বিএনপির মহাসচিব হয় তাহলে সেটি কেমন হয়- এই প্রশ্নটা জিজ্ঞেস করছেন। এর উত্তরে স্থানীয় পর্যায়ের কিছু নেতা নীরবতা অবলম্বন করেছেন। অনেকে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। খুব অল্প সংখ্যক ব্যক্তি আমীর খসরু মাহমুদকে ইতিবাচকভাবে দেখেছেন। তবে বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতারাই মনে করছেন যে, তারেক জিয়া যদি নেতৃত্বে থাকেন তাহলে কে মহাসচিব হলেন সেটি বড় বিষয় নয়। তারা জিয়া পরিবারের বাইরে যেন নেতৃত্ব না যায় সে ব্যাপারেও তারেক জিয়ার কাছে অনুরোধ করেছেন।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, মির্জা ফখরুল মহাসচিব হিসেবে থাকতে চান না। তিনি কয়েক দফা এই বিষয়টি নিয়ে তারেক জিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখন এমন একটি অবস্থানে গেছেন শেষ পর্যন্ত যদি তাতে মহাসচিব পদে রাখার জন্য বাধ্য করা হয় তাহলে তিনি পদত্যাগ করতে পারেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে। তাছাড়া ইদানিং তিনি দলের কার্যক্রম থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। এ রকম অবস্থায় নতুন মহাসচিব অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তারেক জিয়া বিভিন্ন জেলায় বৈঠক করছেন বলে অনেকের ধারণা।

বিএনপি   আমির খসরু   মির্জা ফখরুল   রুহুল কবির রিজভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ শনিবার

প্রকাশ: ০৮:৫২ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে শনিবার (১১ মে)। বিকেল সাড়ে ৩টায় মোহাম্মদপুর আড়ংয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

শুক্রবার (১০ মে) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের এক যৌথসভায় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ কথা জানান।

তিনি বলেন, অনেকে বলে আমরা পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করছি, আসলে আমরা কোনো সমাবেশ করছি না। আজকে আমরা এখানে যৌথসভা করছি। আগামীকাল শনিবার আমাদের মন্ত্রিসভার সদস্য আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সংসদীয় এলাকায় আমরা একটি শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করব। সেখানে আজকের সকলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

এর আগে, দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভা আজ (১০ মে) অনুষ্ঠিত হয়।

আওয়ামী লীগ   শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সূচনা বক্তব্যেই শেষ হলো আওয়ামী লীগের যৌথ সভা!

প্রকাশ: ০৭:২৬ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, উত্তর, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনকে দলের কর্মসূচি অবহিত করতে যৌথ সভা ডেকেছিল ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। তবে সেই যৌথ সভা সূচনা বক্তব্যেই শেষ হয়ে যায়।

শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এ যৌথ সভা ডাকা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা।


জানা যায়, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ৪টা ১২ মিনিটে সূচনা বক্তব্য শুরু করে প্রায় ৩৬ মিনিট বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে সাধারণ সম্পাদক দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. রাজ্জাক ও জাহাঙ্গীর কবির নানককে উদ্দেশ্য করে বলেন, আর কেউ কিছু বলবেন? বলেন... এসময় আওয়ামী লীগের এই দুই সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ‘না’ বলেন। এর মধ্য দিয়ে শেষ হয়ে যায় যৌথ সভা। পরে কেন্দ্রীয় নেতারা কার্যালয় থেকে বের হয়ে যান। আর সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কার্যালয়ে নিজ অফিসে চলে যান।


যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাড. কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাশ, আইন বিষয় সম্পাদক নাজিবুল্লাহ হিরু প্রমুখ।

আওয়ামী লীগ   যৌথ সভা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ভারতের কাঁটাতারে ঝুলছে: গয়েশ্বর

প্রকাশ: ০৭:০২ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফেলানীর মতো বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ভারতের কাঁটাতারে ঝুলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন সারাবিশ্বের মানুষ ষড়যন্ত্র করছিল, তখন ভারত যদি আমাদের পাশে না থাকত এই নির্বাচন করতে পারতাম না। তার মানে আওয়ামী লীগের কাছে গণতন্ত্র হচ্ছে অব দ্য ভারত, বাই দ্য ভারত, ফর দ্য ভারত। এর বেশি কিছু বলে মনে হয় না।

বাংলাদেশ আজ কাঁটাতারে ঝুলছে দাবি করে তিনি বলেন, অনেক বছর আগে প্রতীক ছিল ফেলানী। ফেলানী যেমন কাঁটাতারে ঝুলছিল, আজ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব কাঁটাতারে ঝুলছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, অনেকে বলেন শেখ হাসিনার জনসমর্থন শূন্যের কোটায়। পায়ের নিচে মাটি নেই। আসলে তো মাটি নেই। উনি তো পাথরের ওপর হাঁটেন। সাধারণ মর্ম তিনি বোঝেন না।

এসময় প্রধানমন্ত্রীর জনসমর্থনের দরকার নেই বলে মন্তব্য করেন গয়েশ্বর। আওয়ামী লীগ জোড়াতালির সরকার মন্তব্য করে তিনি বলেন, এদের ক্ষমতায় বসিয়ে রাখলে বছরের পর বছর মিছিল করবেন, মিটিং করবেন, লাখ লাখ লোক হবে, কিন্তু তার (শেখ হাসিনা) জায়গায় সে থাকবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আরও উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, আব্দুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ।

সমাবেশে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় সামনে থেকে মিছিল বের করে নাইটেঙ্গেল মোড় ঘুরে ফকিরাপুল হয়ে আবার নয়াপল্টনে এসে শেষ হয়।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন