ইনসাইড গ্রাউন্ড

র‍্যাংকিংয়ে শীর্ষে উঠার হাতছানি আর্জেন্টিনার

প্রকাশ: ০৩:৫৩ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর এখনও উৎসবের আমেজ চলছে আর্জেন্টিনায়। ৩৬ বছর পর শিরোপা জয়ের পর প্রীতি ম্যাচে আরো একবার উৎসবে মেতে উঠেছে আর্জেন্টিনাবাসী। বিশ্বকাপ জয়ের আক্ষেপ ঘুচিয়ে উঠতে পারলেও এখন শুধু আক্ষেপ থাকছে র‍্যাংকিংয়ে। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বাদ পড়ার পর প্রীতি ম্যাচে মরক্কোর কাছেও হেরেছে ব্রাজিল। তবে হারলেও এখনো ফিফা র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষেই রয়েছে সেলেসাওরা। তবে এপ্রিলের শুরুতেই ফিফার পরবর্তী হালনাগাদ র‍্যাংকিংয়ে ব্রাজিলকে টপকে শীর্ষে ওঠে আসবে আর্জেন্টিনা। এমনটাই দাবি করেছে আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ‘ক্লারিন’। 

আন্তর্জাতিক বিরতির পর পানামার বিপক্ষে মাঠে নেমে ২-০ গোলে জয় দিয়ে সূচনা করে আর্জেন্টিনা। সেই ম্যাচে ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে ৮০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন মেসি। পানামার পর কুরাসাওয়ের বিপক্ষে ৭-০ গোলের বড় ব্যবধানে জয় পায় চ্যাম্পিয়নরা। সেই ম্যাচেও আরও একটি মাইলফলকের দেখা পান এই মহাতারকা। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের ১০০ দিনে নীল-সাদা জার্সি গায়ে মেসি ১০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন।

ফিফার র‍্যাংকিং স্কোরিং সিস্টেম অন্যান্য র‍্যাংকিংদের তুলনায় অনেকটাই জটিল। অতীতের পারফরম্যান্সের ইতিহাস, র‍্যাংকিংয়ে অবস্থানসব আরও কিছু বিবেচনা করা হয় র‍্যাংকিং স্কোরে। বর্তমানে ১৮৪০.৭৭ পয়েন্ট নিয়ে ফিফা র‍্যাংকিংয়ে শীর্ষে সেলেসাওরা। তবে মরক্কোর সাথে হেরে ব্রাজিল র‍্যাংকিংয়ে ৬.৫পয়েন্ট হারিয়েছে। তাই পরবর্তী র‍্যাংকিং হালনাগাদের ব্রাজিল ১৮৩৪.২ পয়েন্ট নিয়ে ফিফা র‍্যাংকিং তালিকায় সারির তিনে নেমে যাবে বলে জানায় আর্জেন্টাইন গণমাধ্যমটি। ১৮২৩.৩৯ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয়তে থাকা ফ্রান্স ১৮৩৮.৪৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়তে চলে আসবে। আর্জেন্টিনা রয়েছে র‍্যাংকিং সারির দ্বিতীয়তে ১৮৩৮.৩৮ পয়েন্ট নিয়ে। পানামা ও কুরাসাওয়ের সাথে জয়ে আর্জন্টিনার ২.৫৬ বৃদ্ধি পেয়েছে। পরবর্তী র‍্যাংকিংয়ে মোট ১৮৪০.৯৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে আসার কথা জানায় ক্লারিন। এর আগে সর্বশেষ ২০১৬ সালে আর্জেন্টিনা ফিফা র‍্যাংকিংয়ে শীর্ষ ছিল। 


ব্রাজিল   আর্জেন্টিনা   ফিফা   র‍্যাংকিং  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

যেভাবে বাংলাদেশের 'হৃদয়' হয়ে উঠলেন তাওহীদ

প্রকাশ: ০৭:২৫ পিএম, ১৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ধৈর্যের ফল মিষ্টি হয়’ প্রবাদ বাক্যটা এখন যেন শুধুই তাওহীদ হৃদয়ময়। আমেরিকা ও ওয়েট ইন্ডিজে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অপ্রতিরোধ্য হৃদয় ছুটে চলেছেন, সাধ্য এমন কার আছে যে আটকায় তাকে? হৃদয় নিজেই নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত, তাওহীদের ব্যাট যেন চলছে নিখুঁত। রাজ্যের বিস্ময় নিয়ে টিম টাইগার্সদের প্রধান ভরসার নামই এখন তাওহীদ হৃদয়। 

যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি ম্যাচে ভালো সময় কাটায়নি লাল-লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। খর্বশক্তির যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরে যায় টিম টাইগার্স। আর হেরে যাওয়া সিরিজে টাইগার্স প্রতিনিধিদের মধ্যে অনেকেই যেখানে ব্যর্থ ছিলেন, হৃদয় সেখানেও এগিয়ে ছিলেন। ২ ইনিংসে ব্যাট করে তুলে নেন ১ ফিফটি। 

তাওহীদের সেই ফর্ম চলছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০ বলে ৪০ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩৪ বলে ৩৭ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় ম্যাচে আম্পায়ার্স কলে সাজঘরে না ফিরলে দলকে উপহার দিতে পারতেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টাইগারদের প্রথম জয়।

চলমান বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের সেরা পারফরমার এই হৃদয়ই। আর তাতেই চারিদিকে 'হৃদয় হৃদয়’ জয়ধ্বনি উঠেছে। অথচ বছরখানেক আগের কথা কিংবা এর চেয়েও একটু আগের কথা ভেবে দেখুন তো? কোথায় ছিলেন এই হৃদয় কিংবা আপনি কোথায় ভেবেছিলেন? তবে কতটা, সেটা হয়তো জানা নেই। কিন্তু এই হৃদয় যে নিজের সাথে নিজেই লড়াইটা করে গেছেন প্রতিনিয়ত। নিজেকে ভেঙেছেন, নতুন করে গড়েছেন, পুড়ে পুড়ে নিজেকে খাঁটি করেছেন তাওহীদ হৃদয়।

সফলতার পথ কখনোই মসৃণ হয় না, দরকার সাহসের সাথে লড়াই করে এগিয়ে যাওয়া। তাহলেই তো বিজয়ের পথ মসৃণ হয়। হৃদয় হয়তো সেটা খুব ভালো করেই জানেন। সেকারণেই হয়তো দৃঢ় প্রতিজ্ঞ তাওহীদ নিজেকে প্রমাণ করে যাচ্ছেন।

নিজেকে ভেঙে নতুন করে গড়ার গল্পটা এই তাওহীদ হৃদয়ের কাছে নতুন নয়। ক্রিকেটের ব্যাটিং কৌশলে ফিরে গিয়ে ‘হার্ড হিটার’ হৃদয় নিজেকে খুঁজে বের করেছেন, আর সেকারণেই কিনা এখন এই দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স?

বাংলাদেশের হৃদয়, তাওহীদ হৃদয়। কি খানিকটা খটকা লেগে গেল? অনেকেই বলতেই পারেন এত প্রশংসার কি আছে, কি এমন করে ফেলল তাওহীদ হৃদয়! তাহলে চলমান বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পারফর্ম্যান্স আগে দেখে আসুন! 

জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টি জার্সিটা হৃদয়ের গায়ে উঠেছিল এই ফরম্যাটের সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। আর এই সময়টাতে ২১ ইনিংসে ৩১ এর বেশি এভারেজ ও ১৩৩ প্লাস স্ট্রাইক রেটে ৫৩১ রান করেছেন এই হার্ডহিটার এই ব্যাটার।

তাওহীদ হৃদয়ের চলমান ফর্ম প্রতিফলিত হয়েছে তার র‍্যাংকিংয়েও। এর আগে ৫৯ নম্বরে থাকা তাওহীদ হৃদয় টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের তালিকায় ৩২ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ২৭ নম্বরে। 

বাংলাদেশের অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী টিমের অন্যতম কারিগর তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে সাবেক ক্রিকেটার খালেদ মাহমুদ সুজন তো একবার বলেছিলেন ‘হৃদয় আমার দলের “হৃদয়”। আজ ২০২৪ সালে সেই হৃদয় এখন বাংলাদেশ দলেরও হৃদয়। 

চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলে সবাই যেভাবে রান খরায় ভুগছে সেখানে রানে আছে শুধু হৃদয় আর টাইগার দলের বিপদে ভরসা হয়ে সামনে দাড়িয়ে যাওয়া মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ। 

চলতি বছরও দারুণ ফর্মে থাকা হৃদয় ১১ ইনিংসে ব্যাট করে ৩৭ গড়ে রান করেছেন ৩০৩, যা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ। আর স্ট্রাইক রেট ১৪১ যার ধারেকাছে নেই কোনো বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান। হৃদয়কে এই মুহুর্তে টি-টোয়েন্টি দলের ‘হৃদয়’ না বলে কি উপায় আছে।


তাওহীদ হৃদয়   বাংলাদেশ ক্রিকেট   টি-২০ বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

সুপার এইটের সমীকরণ সহজ করতে নামছে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৫:২৬ পিএম, ১৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

জয় দিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ দল। তবে আসরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হেরেছে টাইগাররা। জয়ের ধারায় ফেরার লক্ষ্যে আজ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মাঠে নামবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

বৃহস্পতিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেন্ট ভিনসেন্টে গ্রুপ পর্বে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিটে।

সুপার এইটের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে ডাচদের বিপক্ষে জয় পেতে হবে বাংলাদেশকে। শ্রীলংকার বিপক্ষে রোমাঞ্চকর ২ উইকেটে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল টাইগাররা। কিন্তু নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মাত্র ১১৩ রান তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৪ রানের হারে হৃদয় ভাঙ্গে বাংলাদেশের।

এবারের টুর্নামেন্টে ফর্ম বিবেচনায় ধারণা করা হচ্ছে, নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বাংলাদেশ। যদিও টি-২০ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের চেয়ে এগিয়ে টাইগাররা। টি-২০ বিশ্বকাপের মঞ্চে ডাচদের দু’বার হারিয়েছে লাল-সবুজরা।

২০১৬ সালে ধর্মশালায় এবং ২০২২ সালে হোবার্টে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয় পেয়েছিলো বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে চারবারের সাক্ষাতে ডাচদের বিপক্ষে তিন ম্যাচ জিতেছে টাইগাররা।

ভারতে অনুষ্ঠিত ২০২৩  ওয়ানডে বিশ্বকাপে ডাচদের কাছে অবশ্য ৮৭ রানের হারের লজ্জা পেয়েছিলো বাংলাদেশ। ঐ হারের কারণে সমালোচনার মুখে পড়েছিলো টাইগাররা। আবারও অন্য এক বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে দেখা হচ্ছে বাংলাদেশের।

বাংলাদেশ দল: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাসকিন আহমেদ (সহ-অধিনায়ক), লিটন দাস, সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম, সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলি অনিক, তানভীর ইসলাম, মাহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব।

নেদারল্যান্ডস দল: স্কট এডওয়ার্ডস (আধিনায়ক), ম্যাক্স ও’দৌদ, বিক্রম সিং, মাইকেল লেভিট, ওয়েসলি বারেসি, সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখ্ট, তেজা নিদামানুরু, বাস ডি লিড, লোগান ফন বেক, টিম প্রিংগেল, আরিয়ান দত্ত, ড্যানিয়েল ডোরাম, ফ্রেদেরিক ক্লাসেন, পল ফন মিকেরেন ও ভিভিয়ান কিংমা।


বাংলাদেশ   সুপার এইট   টি-২০ বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ওয়ানডে বিশ্বকাপের হারের প্রতিশোধ নিতে পারবে বাংলাদেশ?

প্রকাশ: ০২:১৬ পিএম, ১৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

গত বছর ভারতে অনুষ্ঠেয় ওয়ানডে বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের কাছে অবিশ্বাস্য ভাবে ৮৭ রানে লজ্জার হার উপহার পেয়েছিল বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সহযোগী দেশ নেদারল্যান্ডসের কাছে ওই হারে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিল টিম টাইগার্স। এবার আবারও নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে দেখা হচ্ছে বাংলাদেশের। তবে এবার ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ নয়, এবার ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট সংস্করণ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের বিশ্বকাপে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস।

বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮ আটটায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেন্ট ভিসেন্টে মুখোমুখি হবে দুই দল। তার আগে ঘুরে ফিরে আসছে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টাইগারদের হারের কথা। আজ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেসেই হারের প্রতিশোধ নিতে পারবে তো টাইগাররা?

সুপার এইটের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে আজ টাইগারদের জয় ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই। আর যদি হেরে যায় টিম টাইগার্স তাহলে যেতে হবে নানা সমীকরণের মধ্য দিয়ে। এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রোমাঞ্চকর এক জয় দিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করেছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। কিন্তু নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৪ রানের হেরে যায় সাকিব-মাহমুদউল্লাহরা।

২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরেই দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছিল বাংলাদেশ। পরের সাতটি বিশ্বকাপ আসরে যা আর করে দেখাতে পারেনি টাইগার বাহিনী। এবার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আবার সেই সম্ভাবনার সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। যেখানে নাম লেখাতে বাংলাদেশের সামনে দুটি বাধা নেদার‍ল্যান্ডস ও নেপাল। সব হিসেব নিকেশ ঠিক রেখে আইসিসির দুই সহযোগী সদস্য নেদারল্যান্ডস ও নেপালকে হারালেই যে সুপার এইটের স্বপ্নপূরণ হবে লাল-সবুজ জার্সীধারীদের।

নেপাল ও নেদারল্যান্ডস এই দুই টিমের মধ্যে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাধা যে নেদারল্যান্ডস সেটা অনুমেয়। কারণ ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে এই নেদারল্যান্ডসের কাছেই যে হেরেছিল বাংলাদেশ

টিম টাইগারদের মতোই ২ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নেদারল্যান্ডসের। সুপার এইটে ওঠার হিসাবটাও তাই দুই দলেরই এক রকম। এই দুই টিমের মধ্যে বাকি দুই ম্যাচে যে টিম জয় লাভ করবে স্বাভাবিক ভাবেই সেই টিমই উঠে যাবে সুপার এইটে। তবে চাপটা কোন দলের ওপর বেশি, তা মনে হয় না বলার দরকার আছে।

আবার চলমান বিশ্বকাপে ফর্ম বিবেচনায় ধারনা করা হচ্ছে, নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখেই টাইগার বাহীনিকে। যদিও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের তুলনায় বেশ এগিয়ে বাংলাদেশ।

এর আগে ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট সংস্করণ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে নেদারল্যান্ডসকে দুই বার হারিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ২০১৬ সালে ধর্মশালায় এবং ২০২২ সালে হোবার্টে ডাচদের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে চারবারের সাক্ষাতে ডাচদের বিপক্ষে তিন ম্যাচ জিতেছে টাইগাররা।


টি-২০ বিশ্বকাপ   বাংলাদেশে   নেদারল্যান্ড   সুপার এইট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সুপার এইটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

প্রকাশ: ১১:২৩ এএম, ১৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে সেমিফাইনালে খেলা সম্ভাব্য চার দলের একটি হিসেবে ধরা হচ্ছিল নিউজিল্যান্ডকে। তবে ২০২১ সালের আসরের রানার্সআপ দলটি সেমিফাইনাল দূরে থাক এখন পরের রাউন্ডে যাওয়া নিয়ে শঙ্কায় পড়েছে। গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে এখন অলৌকিক কিছুর আশায় বসে আছে কেইন উইলিয়ামসনের দল।

অন্যদিকে টানা তিন ম্যাচ জিতে চতুর্থ দল হিসেবে শেষ আট নিশ্চিত করল স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ত্রিনিদাদ এবং টোবাগোর ব্রায়ান লারা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডকে ১৩ রানে হারিয়েছে ক্যারিবীয়রা। এই হারের ফলে কিউইদের বিদায় একপ্রকার নিশ্চিত।

প্রথমে ব্যাট করে উইন্ডিজদের দেওয়া ১৫০ রানের লক্ষ্যে নির্ধারিত ২০ ওভারে উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রানে থামে কিউইদের ইনিংস। তাতে ১৩ রানের জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ভারতের পর চতুর্থ দল হিসেবে সুপার এইটে উঠেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।


নিউজিল্যান্ড   ওয়েস্ট ইন্ডিজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ইংল্যান্ডকে বিদায় করতে স্কটল্যান্ডের সঙ্গে 'কৌশলী' হবে অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশ: ০৯:৩০ এএম, ১৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া ম্যাচে স্কটল্যান্ডের কাছে পয়েন্ট হারানোর পর অস্ট্রেলিয়ার কাছে দ্বিতীয় ম্যাচে হেরে ইংল্যান্ড এখন বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায়।  পরের দুই ম্যাচ জিতে ৫ পয়েন্ট পেলেও সমান পয়েন্ট পাওয়া স্কটল্যান্ড শেষ আটে উঠে যেতে পারে।  শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে স্কটল্যান্ড হারলেও, নেটরানরেট খুব খারাপ না হলে স্কটিশরা এগিয়ে থাকবে ইংল্যান্ডের।  আর নেট রানরেটে স্কটিশদের সহায়তা করতে পারে অস্ট্রেলিয়া।  এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন জশ হ্যাজলউড। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে এমন কিছু করলে নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারেন দলটির অধিনায়ক মিচেল মার্শ।

গ্রুপ বি-তে ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে এরই মধ্যে সুপার এইটে যাওয়া নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া। ৩ ম্যাচে সমান হার নিয়ে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে ওমানের, সুযোগ নেই নামিবিয়ারও। এর ফলে দ্বিতীয় স্থানের জন্য লড়াইটা এখন স্কটল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের। স্কটল্যান্ডের পয়েন্ট ৫, পরের দুই ম্যাচে জিতলে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ পয়েন্টও হতে পারে পাঁচই। তখন পার্থক্য গড়ে দেবে নেট রান রেট।

রান রেটে স্কটল্যান্ড (২.১৬৪) ইংল্যান্ডের (-১.৮০০) চেয়ে এখন বেশ এগিয়ে। এর ফলে পরের দুটি ম্যাচই বড় ব্যবধানে জিততে হবে এখনকার চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে। তেমন কিছু হলেও শেষ ম্যাচে স্কটল্যান্ড নেট রান রেটে ইংল্যান্ডকে টপকে যেতে প্রয়োজনীয় সমীকরণ জেনেই মাঠে নামবে। মানে এমন হতে পারে, স্কটল্যান্ড একটি নির্দিষ্ট ব্যবধানে হারলেই পরের রাউন্ডে যাবে।

এবারের ফরম্যাট অনুযায়ী গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বা রানার্সআপের ব্যাপার নেই। মানে সুপার এইটে একটি নির্দিষ্ট দল উঠলে কোন গ্রুপে পড়বে, সেটি নিশ্চিত আগে থেকেই। এর ফলে কার্যত এ ম্যাচে কোনো প্রাপ্তি বা হারানোর কিছু নেই অস্ট্রেলিয়ার।

সে ম্যাচে শীর্ষ সারির ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে, অস্ট্রেলিয়া কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড সেটি বলেছেন আগেই। নামিবিয়াকে উড়িয়ে দেওয়ার পর পেসার হ্যাজলউড বলেন, ‘এই টুর্নামেন্টের কোনো না কোনো পর্যায়ে হয়তো ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হতে হবে...নিজেদের দিনে তারা অন্যতম সেরা দলগুলোর একটি। টি–টোয়েন্টিতে তাদের বিপক্ষে আমরা ভুগেছিও। তাই টুর্নামেন্ট থেকে তাদের বিদায় করাটা আমাদের জন্য তো ভালো বটেই, সম্ভবত অন্যদের জন্যও।’

হ্যাজলউড আরও বলেন, ‘ব্যাপারটা মজার হবে। দল হিসেবে আমরা মনে হয় না এর আগে এমন অবস্থানে পড়েছি। তাই ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা হোক বা না–হোক, আমরা আজ রাতের (অ্যান্টিগার স্থানীয় সময়) মতোই খেলার চেষ্টা করব। এটা অবশ্য আমার ওপর নয়, বাকিদের ওপর নির্ভর করছে।’

তবে এমন কিছু করলে আইসিসির কোড অব কন্ডাক্ট ভঙ্গের অভিযোগ আসতে পারে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ২.১১ নম্বর ধারা অনুযায়ী, আইসিসির কোনো ইভেন্টে কোনো দল যদি ইচ্ছাকৃতভাবে এমন কৌশল গ্রহণ করে, যেটি অন্য দলের অবস্থান বদলানোর ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে—তাহলে সেটি অসদাচরণ হিসেবে বিবেচিত হবে। জোর করে নেট রান রেটের ওপর প্রভাব ফেললেও সেটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। যদিও আম্পায়াররা ঠিক কী দেখে এমন অভিযোগ আনবেন, সেটি নিশ্চিত নয়।

বিশ্বকাপে ইচ্ছাকৃতভাবে ধীরগতির খেলা অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার জন্য নতুন কিছু নয়। ১৯৯৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওল্ড ট্রাফোর্ডে ১১১ রানের লক্ষ্যে ২৫ ওভারে ৮৩ রান তুলে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। পরের ২৮ রান তুলতে তারা খেলে আরও ১৫.৪ ওভার। সুপার সিক্সে যেতে ৪৭.২ ওভারের মধ্যে জিততে হতো অস্ট্রেলিয়াকে। অস্ট্রেলিয়া ধীরগতিতে খেলেছিল মূলত নিউজিল্যান্ডকে বিদায় করে দিতে, যাদের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে হেরেছিল তারা। সেবারের নিয়ম অনুযায়ী, সুপার সিক্সে ওঠা দলগুলোর একে অন্যের বিপক্ষে পাওয়া পয়েন্ট যুক্ত হতো। মানে নিউজিল্যান্ড উঠলে কোনো পয়েন্ট পেত না অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ উঠলে পেত। অবশ্য পরে স্কটল্যান্ডকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে ঠিকই সুপার সিক্সে যায় নিউজিল্যান্ড।


ইংল্যান্ড   অস্ট্রেলিয়া   কৌশলী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন