প্রেস ইনসাইড

জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়নই কি প্রথম আলোর উদ্দেশ্য?

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ০৩ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়নই কি প্রথম আলোর উদ্দেশ্য?

গতকাল ২ এপ্রিল (রোববার) দৈনিক প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরীফ ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই আমাদের সম্পাদকীয় নীতির ভিত্তি’- শিরোনামে একটি উপ-সম্পাদকীয় লিখেছেন। ওই উপ-সম্পাদকীয়তে তিনি দাবি করেছেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনাই দেশের বহুল প্রচারিত দৈনিকটির সম্পাদকীয় নীতি। উপ-সম্পাদকীর শুরুতেই তিনি লিখেছেন, ‘গত ২৩ মার্চ প্রথম আলোর ২৭ জন নতুন কর্মীকে নিয়ে জ্যেষ্ঠ সহকর্মীরা অফিসের বড় সভাকক্ষটিতে বসেছিলাম। বসেছিলাম প্রথম আলোয় চর্চিত সম্পাদকীয় নীতি, মূল্যবোধ আর সংস্কৃতি তাঁদের বুঝিয়ে বলতে। সেখানে খুব সুনির্দিষ্টভাবে আমরা বলেছিলাম, মুক্তিযুদ্ধের যেটা চেতনা, এক কথায় সেটাই প্রথম আলোর সম্পাদকীয় নীতির মূল ভিত্তি।’ 

তবে এই উপ সম্পাদকীয় প্রকাশিত হবার পর সংবাদ মাধ্যম সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞ মহল মনে করছেন, গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে ২৯ মার্চ রাতে প্রথম আলো সম্পাদক এবং প্রতিবেদক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর- এই সময়ে একটু নরম হয়েছে প্রথম আলোর সুর। বিজ্ঞ মহল বলছেন, কিন্তু প্রশ্ন হলো, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সম্পাদকীয় নীতির একটি জাতীয় দৈনিক মহান স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে কেন এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে? দৈনিকটি একজন দিনমজুর জাকির হোসেনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছিল, ‘পেটে ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়া কি করুম। বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগবো’। কিন্তু পরে জানা গেছে, প্রথম আলোর এই প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ ভুয়া। শিশুটির নাম সবুজ এবং সে প্রথম শ্রেণির একজন ছাত্র। সে মোটেও দিনমজুর নয়। বরং সে পরিবারকে সাহায্য করার জন্য স্কুল শেষ করে বিকেল বেলায় মায়ের সাথে ফুল বিক্রি করে থাকে।

প্রশ্ন হচ্ছে, যে ছবিটি ছাপা হয়েছে, সে ছবির মানুষটি দিনমজুর জাকির হোসেনই হোক বা শিশু সবজুই হোক, সেটা না হয় বাদই থাকলো। কিন্তু স্বাধীনতা নিয়ে যে কটুক্তি ‘পেটে ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়া কি করুম’- এ ধরনের একটি উদ্ধৃতি একটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দৈনিক কিভাবে প্রকাশ করে?- বলছিলেন সংবাদপত্র সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞ মহল।              

বিজ্ঞ মহল আরও বলছেন, তারা (প্রথম আলো) মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে বলে, এজন্যই কি তারা বিভিন্ন সময়ে জামায়াত-বিএনপিকে তোষামোদ করেছিল? আবার জামায়াতের হাত থেকে যখন ইসলামী ব্যাংককে মুক্ত করা হয়েছে, তার প্রতিশোধ নেয়ার জন্যই কি - ইসলামী ব্যাংকে ‘ভয়ঙ্কর নভেম্বর’- শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল এই প্রথম আলো? তার জন্যই কি তারা আবার জামায়াতের হাতে ইসলামী ব্যাংককে তুলে দেয়ার পায়তারা করেছে? এটাই কি তাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা? যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সংগঠনের সময়ে গণজাগরণ মঞ্চের লাকির চরিত্র হনন করে গল্পও ছেপেছিল প্রথম আলো! এই কি তাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা? মুক্তিযুদ্ধের চেতনার জন্যই কি তাদের স্বাধীনতা দিবসে দেশের স্বাধীনতাকে এমন কটাক্ষ? এসব কর্মকান্ড থেকে সহজেই প্রতীয়মাণ হয় যে, জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়নই প্রথম আলোর উদ্দেশ্য!



সাজ্জাদ শরীফ ওই উপ-সম্পাদকীয়তে আরও লিখেছেন, ‘পাকিস্তান রাষ্ট্রের ভেতরে গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িকতা, সম–অধিকার, সাম্য ও বাঙালিত্বসহ যেসব আদর্শের অভাব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নেতা এবং কোটি মানুষকে পীড়িত করেছিল এবং মুক্তিযুদ্ধকে অনিবার্য করে তুলেছিল, সেই চেতনাই আমাদের সাংবাদিকতা–চর্চার ভিত্তি। কারণ, এই আদর্শের চর্চার মধ্যেই আছে নাগরিক ও দেশের উন্নয়ন। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আমাদের সাংবাদিকতার অন্তরে লালন করি। কারণ, আমরা সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জয় চাই।’

কিন্তু বিজ্ঞ মহল বলছেন, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং তার সম্পাদিত পত্রিকাটি সব সময়ই গণতন্ত্র বিরোধী। এই গণতন্ত্রবিরোধী অবস্থানের চিত্র বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে প্রকাশিত হয়েছে। ১/১১ এর সময়ে তার অবস্থান এবং তার আসল চেহারা প্রস্ফুটিত হয়েছিল। সেই সময়ে তিনি দুই নেত্রীর বিরুদ্ধে একটি লেখা লিখেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন ‘দুই নেত্রীকে সরে যেতে হবে’। অর্থাৎ ১/১১- এর সময়ে তিনি ‘মাইনাস টু ফর্মুলা’র সপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়া বিরাজনীতিকরণের অন্যতম একজন উদ্যোক্তা। 

এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে প্রথম আলো এবং এর সম্পাদক মতিউর রহমান জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তায়নে কাজ করেছেন। এসব বিষয়ে বেশ কিছু যুক্তি এবং উদাহরণ তুলে ধরা হচ্ছে।  

এক. ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত জামায়াতের কোনো নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ করেনি প্রথম আলো। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল। বাংলাদেশের জন্য এক অন্ধকার সময়। ২০০১ সালের ১ অক্টোবর নির্বাচনে ভোট কারচুপি করে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ভোট কারচুপির হীন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়। নির্বাচনের আগেই বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা প্রশাসনের মদদে প্রায় তিন শতাধিক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা করে। মিথ্যা অজুহাতে গ্রেফতার করা হয় হাজার হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে। সংখ্যালঘু ভোটারসহ নারী ভোটাররা যাতে ভোট কেন্দ্রে না আসে তার জন্য ভয়ভীতি দেখায় বিএনপি - জামায়াত ক্যাডাররা। নির্বাচনের পর পরই শুরু হয় দেশজুড়ে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী, সমর্থক আর সংখ্যালঘুদের উপর বর্বরোচিত হামলা, নির্যাতন। নির্বিশেষে হামলা চালায় অসহায় সহজ সরল মানুষের ওপর। হত্যা, ধর্ষন, নির্যাতনে আত্মহারা হয়ে যায় সমগ্র জাতি। শিশু, মহিলা, বৃদ্ধ কেউ বাদ যায়নি বিএনপি-জামায়াতের হায়েনাদের অত্যাচার, নির্যাতন থেকে। হাজার হাজার সংখ্যালঘু মানুষ বাস্তুভিটা থেকে আশ্রয়হীন অবস্থায় পাড়ি জমায় পার্শ্ববর্তী গ্রামে, শহরে, মহল্লায়, পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে। তারপরও জীবন রক্ষা হয়নি। অনেকে পাঁচ বছর ধরে বাস্তুভিটায় ফিরেও আসতে পারেননি। মানবতার এত বড় অসম্মান এদেশে স্বাধীনতার পর আর কখনও হয়নি। লুণ্ঠিত হয় মানবতা। কিন্তু সেই সময়ে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত এই পত্রিকা জামায়াতের কোনো নেতার বিরুদ্ধে একটিও সংবাদ প্রকাশ করেছে বলে দেখা যায়নি।  

দুই. ১/১১ এর সময়ে তারা (প্রথম আলো) ‘মাইনাস টু ফর্মুলা’র কথা বলেছে। কিন্তু এ সময় তারা কখনই জামায়াতের কোনো নেতার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অসদাচরণ বা জামায়াতের অগণতান্ত্রিকভাবে দল পরিচালনার কথা বলেনি। বরং পরোক্ষভাবে জামায়াতের প্রশংসা করেছে। সামরিক সমর্থিত মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের সরকারের সময়ে এই প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান লিখেছিলেন, ‘দুই নেত্রীকে সরে যেতে হবে’- শিরোনামে একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দেশের বিরাজনীতিকরণের উস্কানি। অথচ ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোটের যেসব অপকর্ম হয়েছিল, তা নিয়ে জামায়াতের কোনো নেতাকে কটাক্ষ করে বা জামায়াতের কোনো নেতার বিরুদ্ধে একটি প্রতিবেদনও লেখেনি এই প্রথম আলো। জোট সরকারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করা, নির্বাচনকে কলঙ্কিত করা ইত্যাদি অভিযোগে বিএনপি ও জামায়াতের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ ছিল দেশবাসীর। ১/১১ এর সময়ে সেনা সমর্থিত সরকার ক্ষমতায় থাকার ফলে প্রথম আলো দুই নেত্রীকে সরে দাঁড়ানোর লেখা প্রকাশ করতে পারলো, অথচ জামায়াতের কোনো নেতার বিরুদ্ধে একটি লেখা বা প্রতিবেদনও প্রকাশ করতে পারলো না? সরকারি দল বিএনপি-জামায়াত ২০০১ সাল থেকে যেসব অপরাধ ও অপকর্ম সংঘটিত করেছিল সেসবের কারণে তীব্র ক্ষোভও ছিল দেশের সাধারণ মানুষের। কিন্তু প্রশ্ন হলো, তখন কি করেছিল দৈনিক প্রথম  আলো এবং এর সম্পাদক মিতিউর রহমান? প্রসঙ্গতই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, তবে কি জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়নই প্রথম আলোর উদ্দেশ্য?  

তিন. যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময় বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে তারা (প্রথম আলো) উপ-সম্পাদকীয় লিখেছে। ডেভিড বার্গম্যানসহ বিভিন্ন গোষ্ঠী যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছে, তাদেরকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছে এবং তাদের বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণভাবে ছেপেছে এই পত্রিকা প্রথম আলো। ‘ক-তে কাদের মোল্লা, ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই’- স্লোগানগুলো দিয়ে সে সময়ে দেশব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন লাকি আক্তার। সে সময় যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে সংগঠিত শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের স্লোগানকন্যা হিসেবেই বেশ পরিচিত পান লাকি। সে সময় গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারের পরেই উচ্চারিত হতো লাকি আক্তারের নাম। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সংগঠনের সময়ে গণজাগরণ মঞ্চের লাকির চরিত্র হনন করে গল্প ছেপেছিলে এই প্রথম আলো! এই কি তাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা? প্রসঙ্গতই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, তবে কি জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়নই প্রথম আলোর উদ্দেশ্য?
 


চার. ইসলামী ব্যাংক যখন জামায়াতমুক্ত করা হয়। সরকার যখন জামায়াতের হাত থেকে ইসলামী ব্যাংক মুক্ত করার ঐতিহাসিক উদ্যোগ নেয় এবং ইসলামী ব্যাংককে জামায়াতের হাত থেকে মুক্ত করে। তখন সেই উদ্যোগের বিরোধীতা করেছিল প্রথম আলো। আবার যেন জামায়াতের হাতে ইসলামী ব্যাংক ফেরত যায়, সেজন্যে- ইসলামী ব্যাংকে ‘ভয়ঙ্কর নভেম্বর’- শিরোনামে ইসলামী ব্যাংকের বিরুদ্ধে মনগড়া, বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশন করে প্রথম আলো। এই ব্যাংকটির উপর থেকে যেন গ্রাহকদের আস্থা নষ্ট হয়ে যায়, সেই ষড়যন্ত্র করেছিল এই প্রথম আলো। এছাড়া অতি সম্প্রতি ইসলামী ব্যাংকে টাকা নেই বলে গুজব ছড়ায় এই দৈনিকটি। যে গুজব ছড়ানোর ফলশ্রুতিতে ইসলামী ব্যাংকের অবস্থা খানিকটা নড়বড়ে হয়ে গেল। যে কোনো ব্যাংকের বিরুদ্ধে যদি এরকম একটা নেতিবাচক সংবাদ করা হয়, তাহলে আমানতকারী লোকজন যদি ব্যাংক থেকে টাকা তোলে নেয়া শুরু করেন, তাহলে যে কোনো ব্যাংক অর্থাৎ সবচেয়ে ভালো ব্যাংকও দেউলিয়া হয়ে যাবে। প্রসঙ্গতই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, তবে কি জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়নই প্রথম আলোর উদ্দেশ্য?    

এবং সর্বশেষ স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বকে কটাক্ষ করে সংবাদ প্রকাশ করে প্রথম আলো। এই কি তাহলে তাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা? এই কি তবে তাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনা? তবে কি জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়নই প্রথম আলোর উদ্দেশ্য?

জামায়াত   প্রথম আলো   ইসলামী ব্যাংক   গণজাগরণ মঞ্চ  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

ভুয়া খবর প্রকাশের তালিকায় প্রথম আলো!

প্রকাশ: ০৩:৩১ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশের মূলধারার গণমাধ্যমে ২০২৩ সালে ছড়ানো ভুয়া খবর পরিসংখ্যানের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বুম বাংলাদেশ। প্রতিবেদনে প্রকাশিত খবরের মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক ৪৪টি ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর খবর চিহ্নিত হয়েছে এবং গণমাধ্যমগুলো তাদের ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে রেটিংয়ের মুখে পড়েছে। আগের তিন বছরের তুলনায় এই সংখ্যা অনেক বেশি।

বুম বাংলাদেশের পরিসংখ্যানে সর্বোচ্চসংখ্যক ভুয়া খবর প্রচার করেছে সময় টিভি, দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে আরটিভি ও বাংলানিউজ। তবে সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো তালিকায় স্থান পেয়েছে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং আস্থাভাজন দৈনিক গণমাধ্যম প্রথম আলো।

বুম বাংলাদেশের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভুয়া খবর প্রচারে টানা চতুর্থবারের মতো শীর্ষে রয়েছে বেসরকারি টেলিভিশন ‘সময় টিভি’। ২০২৩ সালে গণমাধ্যমটি এককভাবে সর্বোচ্চ ৯টি ভুয়া খবর প্রচার করেছে। এ ছাড়া ৭টি ভুয়া খবর প্রচার করে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে আরেক বেসরকারি টেলিভিশন আরটিভি এবং ৬টি ভুয়া খবর প্রকাশ করে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে অনলাইন সংবাদমাধ্যম বাংলানিউজ২৪।

এ ছাড়া ৫টি করে ভুয়া খবর প্রচার করেছে ঢাকা পোস্ট, আজকের পত্রিকা, সমকাল, আমাদের সময় ও দৈনিক ইত্তেফাক। ৪টি করে ভুয়া খবর প্রচার করেছে চ্যানেল ২৪, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, বাংলা ট্রিবিউন ও প্রথম আলো। ৩টি করে ভুয়া খবর প্রচার করেছে ডিবিসি নিউজ, বিডিনিউজ২৪, জাগোনিউজ২৪, জুম বাংলা, ডেইলি বাংলাদেশ, যমুনা টিভি, রাইজিং বিডি, একাত্তর টিভি ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন। ২টি করে ভুয়া খবর প্রচার করেছে চ্যানেল আই, নাগরিক টিভি, ইনকিলাব, নয়া দিগন্ত, মানবকণ্ঠ, কালবেলা, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, নিউজ ২৪, মানবজমিন, বাংলা ভিশন, সংবাদ প্রকাশ, সারাবাংলা ডট নেট ও বাংলাদেশ জার্নাল। ১টি করে ভুয়া খবর প্রচার করেছে বৈশাখী টিভি, দৈনিক আমাদের সময়, সাম্প্রতিক দেশকাল, ঢাকা মেইল, দেশ টিভি, নিউ ন্যাশন, দেশ রুপান্তর, বাংলাদেশ টুডে, ভোরের কাগজ, সময়ের আলো, নিউজবাংলা, দৈনিক বাংলা, যায়যায়দিন, দৈনিক সংগ্রাম, ভোরের ডাক, প্রতিদিনের বাংলাদেশ, এনটিভি, নয়া শতাব্দী, বায়ান্ন টিভি ও বিবিএস বাংলা।

বুম বাংলাদেশের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে দেশীয় মূলধারার গণমাধ্যমে মোট ৪৪টি ঘটনায় ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর খবর প্রচার হতে দেখা গেছে। এই ৪৪টি ঘটনার মধ্যে কোনো ঘটনায় একটি গণমাধ্যমে ভুয়া খবরটি প্রচার হয়েছে, আবার কোনো কোনো ঘটনায় একটি ভুয়া খবর একাধিক গণমাধ্যমে জায়গা করে নিয়েছে। এমনও দেখা গেছে, তথ্য যাচাই না করে অন্যের খবর কপি করে প্রকাশের কারণে কোনো কোনো ঘটনায় ১৫ এর অধিক মূলধারার গণমাধ্যম একই ভুয়া খবরের ফাঁদে পা দিয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ফেসবুকের ফ্যাক্ট চেক পার্টনার হিসেবে বুম বাংলাদেশ দেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত সেসব ভুয়া খবর নিয়ে কাজ করেছে, যেসব ভুয়া খবর গণমাধ্যমগুলো তাদের ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে প্রচার করেছে। পরিসংখ্যানে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সেসব ভুয়া খবরের হিসেবই উঠে এসেছে, যেসব ভুয়া খবরকে খণ্ডন করে বুম বাংলাদেশ প্রতিবেদন তৈরি করেছে এবং গণমাধ্যমগুলোর সংশ্লিষ্ট ফেসবুক পোস্টকে রেট করেছে। তাই এই পরিসংখ্যানে বাংলাদেশে গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভুয়া খবরের পুরো চিত্র ফুটে উঠবে না বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

বুম বাংলাদেশ   প্রথম আলো   ভুয়া খবর  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

সাব এডিটরস কাউন্সিলের সভাপতি অনিক, সম্পাদক জাওহার

প্রকাশ: ০৮:৫২ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিলের নির্বাচনে সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন ডিবিসি নিউজের মুক্তাদির অনিক। আর সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশের আলোর জাওহার ইকবাল।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। রাতে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল।

ঘোষিত ফলাফলে সভাপতি পদে ৩৫৯ ভোট পেয়ে মুক্তাদির অনিক বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কে এম শহীদুল হক ২৩২ ভোট এবং আবুল কালাম আজাদ পান ২২৮ ভোট।

আর সাধারণ সম্পাদক পদে জাওহার ইকবাল খান ৪৯৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কবীর আলমগীর পেয়েছেন ৩১৬ ভোট। 

সাংগঠনিক সম্পাদক পদে শহীদ রান ৪৬৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৌফিক অপু পেয়েছেন ৩২৯ ভোট।

নির্বাচনে সহসভাপতি পদে আলী ইমাম সুমন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে মনির আহমাদ জারিফ, কোষাধ্যক্ষ পদে নাজিম উদ-দৌলা সাদি, দফতর সম্পাদক পদে জাফরুল আলম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে আরিফ আহমেদ, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক পদে তারেক হোসেন বাপ্পি, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নাহিদ হাসান, কল্যাণ সম্পাদক পদে মীম ওয়ালী উল্লাহ এবং নারী বিষয়ক সম্পাদক পদে ফারজানা নাজনীন ফ্লোরা বিজয়ী হয়েছেন।

এছাড়া কার্যনির্বাহী সদস্য পদে শামসুল আলম সেতু, আনজুমান আরা শিল্পী, আজুমান আরা মুন, জেসমিন জাহান, তানজিমুল নয়ন, মাশরেকা জাহান ও মোহাম্মদ আবু ইউসুফ বিজয়ী হয়েছেন।

সাব এডিটরস কাউন্সিল  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

বিডিনিউজ সম্পাদক খালিদীর বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট দাখিল

প্রকাশ: ০৬:৪৯ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় অনলাইন সংবাদমাধ্যম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে দুদক।

রোববার (২৮ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে এই অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। আদালত আগামী ১০ জুন অভিযোগপত্র গ্রহণ বিষয়ে শুনানির জন্য দিন রেখেছেন। দুদকের উপপরিদর্শক আক্কাস আলী এ তথ্য জানান।

গত ১৮ এপ্রিল তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচার মামলার চার্জশিটে অনুমোদন দেয় দুদক। 

অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে ২০২০ সালের ৩০ জুলাই দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ ওই মামলা করেন। 

এতে বলা হয়েছে, কোনো ধরনের বৈধ উপার্জন ছাড়াই তৌফিক ইমরোজ খালিদী এইচএসবিসি, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, সাউথ ইস্ট ব্যাংক লিমিটেড এবং মিউচুয়াল ট্রাস্ট্র ব্যাংক লিমিটেডের চারটি ব্যাংকের বিভিন্ন হিসাবে ৪২ কোটি টাকা জমা রেখেছেন। ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে প্রতারণার মাধ্যমে তিনি এসব টাকা অর্জন করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

এর আগে, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত বিডিনিউজের ৯টি ও তৌফিক ইমরোজ খালিদীর নিজ নামে ১৩টি স্থায়ী আমানতের মোট ৪২ কোটি টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছিলেন। তার আগে একই বছরের ২৬ নভেম্বর খালিদীকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।

নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিডিনিউজ প্রধান সম্পাদক। অভিযোগপত্র অনুমোদনের পর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘এ অভিযোগ এতটাই হাস্যকর, যুক্তিহীন ও ভিত্তিহীন যে দুর্নীতি দমন কমিশন এবং সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতাকে এটা গভীরভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। এক্ষেত্রে তদন্তের যে দীর্ঘসূত্রতা হলো, আর তার যে ফল এ পর্যন্ত এল, তাতে কার্যত ন্যায়বিচার থেকেই বঞ্চিত রাখা হলো। এ ধরনের প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে সাধারণ মানুষের মনে আস্থার সংকট তৈরি করতে পারে। তারপরও আমরা এর নিষ্পত্তিতে বিচার ব্যবস্থা এবং বিচারকদের ওপর পূর্ণ আস্থা রাখতে চাই। আমি আত্মবিশ্বাসী, ন্যায়বিচার আমি পাব।’

বিডিনিউজ   দুদক   তৌফিক ইমরোজ খালিদী  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

শেরপুর প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি ঘোষণা

প্রকাশ: ০৩:২২ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিটিভি ও দৈনিক সমকাল পত্রিকার শেরপুর জেলা প্রতিনিধি দেবাশীষ ভট্রাচার্যকে সভাপতি ও বাংলা ইনসাইডারের স্টাফ রিপোর্টার প্রতিনিধি মোঃ মেরাজ উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করে শেরপুর প্রেসক্লাবের ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি নির্বাচন করা হয়েছে।

 

এর আগে ক্লাবের বিপুল সংখ্যক সদস্যসহ জেলার প্রায় পৌনে দুইশ সাংবাদিকের উপস্থিতিতে ইতিপূর্বে সম্পূর্ন অনিয়মতান্ত্রিকভাবে গঠিত শেরপুর প্রেসক্লাবের কমিটি ক্লাবের স্বার্থ পরিপন্থী কার্যক্রম ও ব্যর্থতার অভিযোগে ক্লাবের সদস্যদের দাবীর মুখে শেরপুর প্রেসক্লাবের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করা হয়। এতে ক্লাবের দুই তৃতীয়াংশ সদস্য সর্বসম্মত সমর্থন প্রদান করেন।   

 

এর আগে বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে শেরপুরের প্রবীন সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযুদ্ধা আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় ভার্চুয়ালী যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখেন সংসদ উপ নেতা ও শেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেরপুর-১ সদর আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব ছানুয়ার হোসেন, শেরপুর-৩ আসনের এমপি এডিএম শহিদুল ইসলাম, শেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান, শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ রফিকুল ইসলাম, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুন্নাহার কামাল, জেলা জাসদের সভাপতি শেরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন, শেরপুর সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবিহা জামান শাপলা, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বায়েযীদ হাসানসহ আরো অনেকে।

 

এসময় বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান সরকার সাংবাদিকদের কল্যাণে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। স্বাধীনভাবে খবর প্রচার করে আসছে। আমরা শেরপুরের সাংবাদিকদের কল্যাণে সব ধরনের সহযোগিতা করবো। আমি নতুন নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানাই।’ 

 

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সদস্যরা উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করে। পরে সর্বসম্মতিক্রমে উপদেষ্টা পরিষদের কাছে দায়িত্ব অর্পন করা হয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করার জন্য। উপদেষ্টা পরিষদ সভাপতি হিসেবে বিটিভি ও দৈনিক সমকালের শেরপুর জেলা প্রতিনিধি দেবাশীষ ভট্রাচার্যকে সভাপতি ও ইনডিপেনডেন্ট টিভির স্টাফ রিপোর্টার মেরাজ উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচন করার জন্য প্রস্তাব করলে তা সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত করা হয়। 


প্রেসক্লাব   নতুন কমিটি  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

প্রথম আলো বিক্রি: দর কষাকষিতে চারটি শিল্প গ্রুপ

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মিডিয়া স্টার লিমিটেডের মালিকানাধীন প্রথম আলো বিক্রির জন্য মালিকপক্ষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তারা প্রথম আলো বিক্রি করার জন্য বিভিন্ন শিল্প গ্রুপের সাথে কথাবার্তা বলছেন। প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমান নিজেই দু একটি শিল্প গ্রুপের সাথে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেছেন বলে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়াও মালিকপক্ষের অন্যরা সিমিন রহমান শাজরেহ হক দুজনই প্রথম আলো বিক্রির জন্য বিভিন্ন শিল্প গ্রুপের নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে আলাপ করছেন বলে জানা গেছে। 

বিষয়ে বিভিন্ন সূত্র বলছে যে, প্রথম আলো বিক্রির জন্য যে দর হাঁকা হয়েছে সেটি অনেক বেশি এবং একারণে আলাপ আলোচনা শুরু হলেও দর কষাকষি চলছে বেশ ভালোভাবেই। সাবের হোসেন চৌধুরীর মালিকানাধীন কর্ণফুলী গ্রুপ প্রথম আলো কিনতে আগ্রহী ছিল। কিন্তু প্রথম আলোর পক্ষ থেকে যে দাম চাওয়া হয়েছে সেই দামে কর্ণফুলী গ্রুপ প্রথম আলো কিনতে রাজি নয় বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। 


বিভিন্ন সূত্রগুলো জানিয়েছে, কর্ণফুলী গ্রুপের দর কষাকষির প্রেক্ষাপটে আরও কয়েকটি বড় বড় শিল্প পরিবার প্রথম আলো কেনার জন্য আগ্রহী হয়ে উঠেছে এবং তারাও মিডিয়া স্টারের পরিচালকদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা শুরু করেছে। 

যে সমস্ত শিল্প গ্রুপ প্রথম আলো কেনার ব্যাপারে আগ্রহ উঠেছে তাদের মধ্যে এখন সবার শীর্ষে রয়েছে এস আলম গ্রুপ। এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি টেলিভিশন চ্যানেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এক সময় প্রথম আলোতে কর্মরত ছিলেন এবং তিনি মতিউর রহমানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ প্রিয় ভজন হিসেবে পরিচিত। রাজনৈতিক ভাবেও তারা এক সময়ে কমিউনিস্ট রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার মাধ্যমেই এস আলম গ্রুপ এখন প্রথম আলো গ্রুপের সঙ্গে পত্রিকা বিক্রির বিষয়টি নিয়ে আলাপ আলোচনা শুরু করেছেন। 

প্রথম আলোর বেশ কয়েকজন সাংবাদিক এখন এস আলম গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। তারা এই বিষয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে দর কষাকষি করছে বলে বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। দর কষাকষিতে পিছিয়ে নেই দেশের অন্যতম শিল্প গ্রুপ স্কয়ারও। স্কয়ার গ্রুপের সঙ্গে প্রথম আলোর একটি আলাদা সম্পর্ক রয়েছে। মতিউর রহমানের সঙ্গে স্কয়ার গ্রুপের মালিক দুই ভাইয়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষ করে স্কয়ার গ্রুপের অর্থায়নে প্রতি বছর প্রথম আলো মেরিল প্রথম-আলো উৎসব করে থাকে, যেখানে তারকাদেরকে পুরস্কার দিয়ে প্রথম আলোর একান্ত অনুগত করে রাখা হয়। স্কয়ার গ্রুপের পক্ষ থেকেও পত্রিকাটি কেনার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে বলে বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। 


উল্লেখ্য, স্কয়ারের মালিকানাধীন মাছরাঙা টেলিভিশন রয়েছে। এ ক্ষেত্রে স্কয়ার গ্রুপের অন্যতম কর্ণধার অঞ্জন চৌধুরী পত্রিকা কেনার ব্যাপারে প্রথম আলোর মালিকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছেন বলে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে। এছাড়াও একাত্তর টেলিভিশনের মালিক প্রতিষ্ঠান এমজিআই বা মেঘনা মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজও প্রথম আলো কিনতে আগ্রহী। এমজিআই অন্যতম দেশের শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং একাত্তর টেলিভিশনের মালিকানায় রয়েছে। তারা প্রথম আলো কেনার ব্যাপারে ইতোমধ্যে কথাবার্তা বলছে বলে বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।

একাধিক সূত্র বলছে, প্রথম আলো বিক্রির জন্য যে দাম চাওয়া হচ্ছে সেটি অনেক বেশি। আর এ কারণেই এখন দর দামের বিষয়টি মূখ্য হয়ে উঠেছে। তবে প্রথম আলো যে শেষ পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে সেটি এখন পর্যন্ত মোটামুটি নিশ্চিত।

প্রথম আলো   স্কয়ার গ্রুপ   মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ   একাত্তর টিভি   মিডিয়া স্টার লিমিটেড  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন