ইনসাইড বাংলাদেশ

নির্বাচনকালীন সরকার: ছোট মন্ত্রিসভা, নিরপেক্ষ উপদেষ্টা?

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail

নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়, বর্তমান সরকারও নয় বরং নির্বাচনকালীন একটি সরকারের কাঠামো কি হতে পারে সেটা নিয়ে কূটনৈতিক মহল এবং রাজনীতিবিদদের মধ্যে পর্দার আড়ালে চলছে নানামুখী আলাপ-আলোচনা। বিএনপি বলেছে তারা নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না। কিন্তু এই নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আর এ কারণেই কূটনীতিকরা সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে দুইজনের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি আপোষ ফর্মুলা নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছে। আর এই কাজ করতে গিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিকল্প একটি নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে বিভিন্ন রকম আলোচনা চলছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই আলাপ-আলোচনায় নেতৃত্ব দিচ্ছে বলে একাধিক সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছে। আর এই আলাপ-আলোচনায় পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা ছাড়াও রাজনীতিবিদরা নিয়মিত অংশগ্রহণ করছেন। 

নির্বাচনকালীন সরকারের একটি রূপ কাঠামো তৈরি করা হয়েছে এবং এই রূপ কাঠামোটি নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা শুরু করেছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রিসভা অপেক্ষাকৃত ছোট হবে এবং মন্ত্রিসভার দায়িত্ব হবে রুটিন কাজ করা। ১০ বা ১২ সদস্যের বেশি মন্ত্রিসভা না থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার নেতৃত্ব দিলেও তিনি রুটিন কাজের মধ্যে দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি তাঁর নির্বাচনী এলাকার বাইরে গেলে কোনো সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করবেন না। এমনকি নির্বাচনকালীন সময়ে তিনি কোনো রকম অনুদান, উন্নয়ন প্রকল্প ইত্যাদি গ্রহণ করবেন না। যেটি পাশ্চাত্য গণতন্ত্র এবং ভারতীয় গণতন্ত্রে লক্ষ্য করা যায়। সেটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। 

ছোট মন্ত্রিসভায় বিএনপির পক্ষ থেকে অন্তত একজন অন্তর্ভুক্ত থাকবে, মন্ত্রিসভায় জাতীয় পার্টির সদস্য থাকবেন এবং সংসদে যে রাজনৈতিক দলগুলো আছে তাদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হবে। ছোট মন্ত্রিসভার বাইরে এই নির্বাচনকালীন সরকারের একটি বড় চমক থাকতে পারে একটি শক্তিশালী নিরপেক্ষ উপদেষ্টামন্ডলী। আওয়ামী লীগ-বিএনপি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মনোনীত এই নিরপেক্ষ উপদেষ্টামন্ডলী মূলত নির্বাচনকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তারা সরকারকে বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা দিবেন এবং নির্বাচন পরিচালনার কাজের জন্য যে ধরনের পরামর্শ ও নির্দেশনা দিতে হয় সেটি দেবেন। 

বর্তমান সরকারের আমলে প্রধানমন্ত্রীর একটি উপদেষ্টা মন্ডলীর রয়েছে। এই উপদেষ্টামন্ডলী ২০০৯ সালে অন্তত শক্তিশালী ছিল। বিশেষ করে প্রয়াত এইচটি ইমাম, ড. আলাউদ্দিন সহ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী উপদেষ্টা সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারক এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী হিসেবে বিবেচিত হতেন। সেরকম একটি শক্তিশালী নিরপেক্ষ উপদেষ্টামণ্ডলীর কথা বলা হচ্ছে, যারা প্রধানমন্ত্রীকে উপদেশ দিবেন। এই ধরনের উপদেশ যদি গ্রহণ না করা হয় সেক্ষেত্রে করণীয় কি তা নিয়েও আলোচনা করা হচ্ছে। একটি মহল থেকে প্রস্তাব এসেছে যে উপদেষ্টামন্ডলী প্রধানমন্ত্রীকে যে পরামর্শ দিবেন নির্বাচনকালীন সময়ে সেই পরামর্শই প্রধানমন্ত্রী গ্রহণ করবেন। মূলত মন্ত্রীরা থাকবেন ওএসডি, উপদেষ্টারাই সমস্ত কর্মকাণ্ড করবেন এবং উপদেষ্টাদের পরামর্শ ছাড়া মন্ত্রীরা কোন ফাইল অনুমোদন করবেন না। এই উপদেষ্টামন্ডলী মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন এবং নির্বাচনের ব্যাপারে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে নির্বাচনকালীন সরকারের নিরপেক্ষ উপদেষ্টাদের কার্য পরিধি কতটুকু পর্যন্ত বিস্তৃত হবে, কারা কারা উপদেষ্টা হবে ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত আলোচনা হয়নি। বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, আলাপ-আলোচনা খুবই প্রাথমিক পর্যায়ে। তবে সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনী ফর্মুলা নিয়ে দূতাবাসগুলো কাজ করছে এবং রাজনৈতিক দলগুলো এই সমস্ত কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হচ্ছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

নির্বাচনকালীন সরকার   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে নতুন সচিব সাঈদ মাহমুদ

প্রকাশ: ০৮:৫৪ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দারকে পদোন্নতি দিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

অন্যদিকে আরেক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিনকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়েছে। 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়   সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শেখ হাসিনাকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী এন্থনি এলবানিজের অভিনন্দন

প্রকাশ: ০৮:৩৭ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী এন্থনি এলবানিজ। সম্প্রতি এক শুভেচ্ছা বার্তায় এ অভিনন্দন জানান তিনি।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানান, আগামী বছরগুলোতে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য উন্মুখ।

বাংলাদেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার মাধ্যমে আঞ্চলিক শান্তি, উন্নয়ন ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে কাজ করতে চান উল্লেখ করেন এন্থনি এলবানিজ।

প্রধানমন্ত্রী এন্থনি এলবানিজ চিঠিতে আরও উল্লেখ করেন, ভারত মহাসাগরের দেশ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উভয় দেশের একই ধরনের স্বার্থ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করতে অস্ট্রেলিয়া প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।


অস্ট্রেলিয়া   এন্থনি এলবানিজ   বাংলাদেশ   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শেখ হাসিনা ডিপ্লোমেসি এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইউটার্ন

প্রকাশ: ০৭:০৩ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লু’র সফর আর নির্বাচনের পরে তার সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফর, দুটোর মধ্যে আকাশ পাতাল তফাত। ডোনাল্ড লু নিজেই স্বীকার করেছেন। বাংলাদেশ সফর শেষে যাওয়ার পথে তিনি তার বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে পরিষ্কার বলেছেন, অতীতের মতপার্থক্যকে সরিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। আর এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে আগের অবস্থানে নেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

কীভাবে সম্ভব হল, কীভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউটার্ন নিল? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার পার্সোনাল ডিপ্লোমেসির কারণে। এটি ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর আরেকটি অংশ। ২০১৮ সালের পর থেকেই বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি নেতিবাচক অবস্থান গ্রহণ করতে শুরু করে। বিশেষ করে জো বাইডেন প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ নীতি বদলাতে থাকে। এসময় একের পর এক চাপ প্রয়োগ করা হতে থাকে বাংলাদেশের উপর।

বিশেষ করে ২০২২ সালের ১৫ মার্চ পিটার ডি হাস বাংলাদেশে আসার পর সরকারের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রায় মুখোমুখি একটি অবস্থানে চলে যায়। দুই দেশের মধ্যে নানা রকম ভুল বোঝাবোঝি সৃষ্টি হয়েছিল। এর একটি বড় কারণ ছিল যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে বাংলাদেশ সম্পর্কে ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছিল। আর এই সমস্ত ভুল তথ্যের কারণেই যুক্তরাষ্ট্র একটি ভিন্নরকম অবস্থান গ্রহণ করেছিল বাংলাদেশের ব্যাপারে।

কিন্তু ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর আস্তে আস্তে পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে। কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা অবশ্য মনে করেন যে, নির্বাচনের আগে থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পরিবর্তন ঘটে থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবস্থান পরিবর্তনের ক্ষেত্রে একাধিক ভূমিকা কাজ করেছে বলেই অনেকে মনে করে যেটি ডোনাল্ড লু’র সফরে স্পষ্ট প্রতিভাত হয়েছে।

প্রথমত ভারতের প্রভাব। ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের ব্যাপারে নেতিবাচক অবস্থান থেকে সরে আসার জন্য চেষ্টা করেছে এবং সফল হয়েছে। ভারতের এই অবস্থানের প্রধান কারণ ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত বিশ্বাস করে তার উপর আস্থা রাখে এবং শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প বাংলাদেশে নেই, এই উপলব্ধি থেকেই নরেন্দ্র মোদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলেছেন বলে কূটনৈতিক মহল মনে করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত কারণে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে চাইনি।

দ্বিতীয়ত, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে ব্যক্তিগত উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার পর তিনি সেখানে নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এছাড়াও ভারত সফরের সময় তিনি অ্যান্থনি ব্লিনকেন এবং জো বাইডেনের সঙ্গেও কথা বলেন। সবকিছু মিলিয়ে তার উদ্যোগ সফল হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য সালমান এফ রহমানকেও দায়িত্ব দিয়েছিলেন এবং সালমান এফ রহমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছেন।

তৃতীয়ত, বিরোধী দলের ভুল রাজনীতি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাশা করেছিল যে, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং এই কারণেই নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লু শর্তহীন সংলাপের উপর জোর দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যখন বিএনপি নির্বাচনে যায়নি, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেনি। আর সবকিছু মিলিয়ে এখন নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ আছে, মার্কিন স্বার্থ আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে ব্যবসার পরিধি বাড়াতে চায়, চীনের আগ্রাসন কমাতে চায়। সবকিছু মিলিয়ে তাদের সামনে বর্তমান সরকারই একমাত্র বিকল্প। আর তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান পরিবর্তন করেছে, রীতিমতো ইউটার্ন নিয়েছে।


বাংলাদেশ   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   জো বাইডেন   ডোনাল্ড লু   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ছাগলনাইয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের বেতন-ভাতা ফেরতের নির্দেশ

প্রকাশ: ০৬:৪১ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফেনীর ছাগলনাইয়ায় ২০১৯ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেলের উপজেলা চেয়ারম্যান পদ অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে ২০১৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে যত বেতন-ভাতা ও সুবিধাদি গ্রহণ করেছেন তা ৩০ দিনের মধ্যে ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এই সময়ের মধ্যে ফেরত না দিলে ফেনীর জেলা প্রশাসককে তার থেকে আদায় করতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। 

রায়ে ওই সময়ের উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল হালিমের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেছেন আদালত। অপর প্রার্থী এ এস এম শহিদুল্লাহ মজুমদারের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

আদালতে আব্দুল হালিম ও শহিদুল্লাহ মজুমদারের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার এস এম কফিল উদ্দিন। সোহেল চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ ও মো. অজি উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান বলেন, ‘২০১৯ সালে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আব্দুল হালিম ও শহিদুল্লাহ মজুমদারের প্রার্থিতা বাতিল হয়। এর ফলে মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছাগলনাইয়ার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এর মধ্যে প্রার্থিতা ফেরত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন বাতিল হওয়া দুই প্রার্থী। একইসঙ্গে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সোহেলকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত ঘোষণার বৈধতা চ্যা্লেঞ্জ করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালেই হাইকোর্ট এসব বিষয়ে রুল জারি করেন। একইসঙ্গে ছাগলনাইয়ার উপজেলা চেয়ারম্যানের গেজেট স্থগিত করেন। পরে চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। তবে আইনি জটিলতায় মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নিতে পারেননি। শপথ না নিয়ে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।’

ছাগলনাইয়া উপজেলা   মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গোপালগঞ্জ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় জেরে মহাসড়ক অবরোধ

প্রকাশ: ০৬:৪২ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দদিঘলিয়া গ্রামে বিজয়ী প্রার্থী কামরুজ্জামান ভূইয়ার সমর্থকদের ছোড়া গুলিতে ওসিকুর ভূইয়া নামে এক যুবক নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর থেকে গোপালগঞ্জ জেলা সদর সহ উপজেলার সর্বত্র উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দোষীদের ফাঁসির দাবীতে মাঠে নামে হাজার হাজার লোক।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া বাজার এলাকায় গাছের গুড়ি ফেলে, টায়ারে আগুন ধরিয়ে রাস্তার উপর বসে আন্দোলন করতে থাকে। এতে রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।ড়ক অবরোধ চলাকালে রাস্তার উভয় পাশে ৫শতাধিক বাস, ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন আটকা পড়ে।

পরে পুলিশের অনুরোধে বেলা ১টায় যানবাহন চলাচল শুরু হয়।এলাকায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি নামানো হয়েছে।

আগামী রোববার (১৯ মে) ডিসি অফিস ঘেরাও কর্মসূচী গ্রহন ও চলমান আন্দোলন অব্যাহতের ঘোষনার মধ্য দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (১৫ মে) মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচী প্রত্যাহার করেছেন আন্দোলনকারীরা।

গতকাল মঙ্গলবারও (১৪ মে) তারা নিহতের লাশ নিয়ে জেলা সদরের চেচানিয়াকান্দি এলাকায় ঘন্টাব্যাপী ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।


নির্বাচনী সহিংসতা   সড়ক অবরোধ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন