ইনসাইড বাংলাদেশ

কারা থাকতে পারেন নির্বাচনকালীন সরকারে

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ০৪ মে, ২০২৩


Thumbnail

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে যে আগামী অক্টোবর নাগাদ তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারেন। ডিসেম্বর বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে পারে এমন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন থেকে। সেই লক্ষ্যেই নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি শুরু করেছে এবং সেই কাজ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদও সম্প্রতি এক বক্তৃতায় ইঙ্গিত দিয়েছেন যে আগামী অক্টোবর নাগাদ নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করতে পারে। 

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, যে মুহূর্তে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করবেন সঙ্গে সঙ্গে সরকার একটি নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করবে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এই নির্বাচনকালীন সরকার হবে আকারে ছোট। জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলের অন্তর্ভুক্ত থাকবে নির্বাচনকালীন সরকারে। নির্বাচনকালীন সরকার রুটিন কাজের বাইরে কোন কাজ করবে না। যারা মন্ত্রী হবেন তারা নির্বাচন পরিচালনায় অংশগ্রহণ করলে কোন সরকারি প্রটোকল পাবেন না ইত্যাদি একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত সমেত এই নির্বাচনকালীন সরকারের একটি আনুষ্ঠানিক রূপরেখা আওয়ামী লীগ আগামী কিছুদিনের মধ্যেই ঘোষণা করতে পারে করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক নেতা বলছেন যে বিএনপি আসুক না আসুক আওয়ামী লীগ অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে জনগণের কাছে অঙ্গীকারবদ্ধ। আগামী নির্বাচনে এমন একটি অবস্থা দৃশ্যমান করতে চায় যা সকলের কাছে একটি অনুকরণীয় উদাহরণ হিসেবে থাকবে এবং এই নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে কোন প্রশ্ন উত্থাপিত হবে না। আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং তিনি বারবার এই নির্দেশনা দিয়েছেন। নির্বাচনে কোনো ধরনের অনিয়ম, বিশৃংখলাকে তিনি প্রশ্রয় দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। এ রকম পরিস্থিতিতে সরকার বিএনপির দিকে তাকিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না। বরং জনগণের স্বার্থের জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন করতে যা যা করা দরকার সবকিছু করবে। তার একটি বড় অংশ হলো নির্বাচনকালীন সরকার। নির্বাচনকালীন সরকার অনেকটাই ২০১৪ নির্বাচনকালীন সরকারের আদলে হবে বলেই একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার কাছে এ ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছেন বলেও বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে। নির্বাচনকালীন সরকারের  মন্ত্রিসভার সদস্য ১০ থেকে ২০ জনের বেশি হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। একেক জন মন্ত্রী একাধিক মন্ত্রণালয়ের রুটিন কাজের দায়িত্ব পালন করবেন। তবে নির্বাচনকালীন সময় সরকার নতুন কোনো উপদেষ্টামন্ডলী নেবে কিনা এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। 

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে নির্বাচনকালীন সরকারে যারা থাকতে পারেন বলে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্র মনে করছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু। আমির হোসেন আমু ২০১৪ নির্বাচনকালীন সরকারেরও মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তোফায়েল আহমেদ এ নির্বাচনকালীন সরকারে থাকবেন কি থাকবেন না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ তোফায়েল আহমেদ শারীরিকভাবে অসুস্থ। শেষ পর্যন্ত অসুস্থতার কারণে তিনি নির্বাচনকালীন সরকারের নাও থাকতে পারেন। সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী নির্বাচনকালীন সরকারে থাকবেন বলে মোটামুটি নিশ্চিত হওয়া গেছে। কারণ তার একটি স্বচ্ছ ইমেজ রয়েছে এবং নির্বাচনের সময় মন্ত্রিসভায় তার অন্তর্ভুক্ত সরকারি ইমেজকে বাড়াবে বলেই সরকারের একাধিক নীতিনির্ধারক মনে করছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে অন্তত তিনজন নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারেন ধারণা করা হচ্ছে। এদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। 

যেহেতু তারা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতা একারণেই তারা নির্বাচনকালীন সরকারে থাকতে পারেন বলে কেউ কেউ ধারণা করছেন। আওয়ামী লীগের বাইরেও বেশ কয়েকজন নির্বাচনকালীন সরকারে থাকতে পারেন এমন ধারণা করা হচ্ছে। এদের মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন অন্যতম। রাশেদ খান মেনন ২০১৪ নির্বাচনকালীন সরকারের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। জাসদের হাসানুল হক ইনু। তিনিও ২০১৪ নির্বাচনকালীন সরকারে ছিলেন। এছাড়াও জাতীয় পার্টির নেতা এবং জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ নির্বাচনকালীন সরকারে থাকতে পারেন বলে কেউ কেউ ইঙ্গিত দিচ্ছেন। রওশন এরশাদ ২০১৪ তেও নির্বাচনকালীন সরকারে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ছিলেন। তিনি ছাড়াও জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ বা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এর মধ্যে কেউ নির্বাচনকালীন সরকারে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। 

সম্প্রতি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করা উকিল আব্দুস সাত্তারও নির্বাচনকালীন সরকারে থাকতে পারেন বলে কেউ কেউ মনে করছেন। এই সবই হলো আলাপ-আলোচনা এবং অনুমান। আসলে নির্বাচনকালীন সরকারের কাঠামো কি হবে এবং কে কে থাকবেন তা চূড়ান্ত করবেন প্রধানমন্ত্রী। শোকের মাস আগস্ট পেরোনোর পরেই এ সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করছে। 

নির্বাচনকালীন সরকার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নওগাঁয় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রকাশ: ০৬:০৩ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার ভেড়ম সোনাদিঘী আদিবাসী পাড়া এলাকায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

 

রোববার (১৯ মে) দুপুরে নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ এ রায় দেন।

 

দণ্ডপ্রাপ্ত লুবিন বাস্কে (৭৫) ধামইরহাট উপজেলার ভেড়ম সোনদিঘী আদিবাসী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভেড়ম সোনাদিঘী আদিবাসী পাড়া গ্রামের লুবিন বাস্কের সঙ্গে তার স্ত্রী মালতী রানীর (৫৫) প্রায় পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো। ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিকেল ৫ টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে লুবিন বাস্কে তার স্ত্রী মালতী রানীকে বাঁশের লাঠি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই মালতী রানীর মৃত্যু হয়।

 

এ ঘটনায় পরদিন লুবিন বাস্কের বড় ভাইয়ের স্ত্রী শ্যামলী মর্মু বাদী হয়ে ধামইরহাট থানায় মামলা করেন। ২০২২ সালের ২৪ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করে লুবিন বাস্কের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

 

অভিযোগপত্রে রাষ্ট্রপক্ষের ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জন সাক্ষী আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেন। রাষ্ট্রপক্ষের উপস্থাপিত সাক্ষ্য-প্রমানে আসামী লুবিন বাস্কের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হওয়ায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দন্ডিত করেন নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ। একই সঙ্গে এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ২ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেন আদালত। 

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন নওগাঁ জজ কোর্টের সরকারি কৌসুলি (পি.পি) আব্দুল খালেক। আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী এস এম মর্তুজা মহাতাব উদ্দিন। 


স্ত্রী হত্যা   যাবজ্জীবন   কারাদন্ড   স্বামী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জয়পুরহাটে হিমাগারে আলুর বস্তার ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে কৃষকদের মানববন্ধন

প্রকাশ: ০৫:৫৫ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

জয়পুরহাটের কালাইয়ে হিমাগারে সংরক্ষিত আলুর বস্তার ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় কৃষকরা।

রোববার (১৯ মে) সকাল ১২টায় কালাই পৌর শহরের সরাইল এলাকার আর.বি কোল্ড স্টোরেজের সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।

এসময় কৃষকরা জানায়, কালাই উপজেলার ১১টি হিমাগারে ৬৫ কেজি আলুর প্রতি বস্তা ভাড়া ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে হিমাগারের মালিকরা। যা গত বছরে ছিল ২৭০ টাকা থেকে ২৯০ টাকা। এভাবে এত টাকা বৃদ্ধি করায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষক। অন্যদিকে, এতে বাজারে আলুর দামও বেড়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন কৃষকরা।

এ ব্যাপারে হিমাগারের মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও ভাড়া না কমিয়ে উল্টো জোর করে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। একারণে আন্দোলন করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানান তারা।

মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুকূলে একটি স্মারকলিপি পেশ প্রদান করেন।


আলু   হিমাগার   মানববন্ধন   দাম বৃদ্ধি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কালশীতে পুলিশ বক্সে আগুন, গুলিবিদ্ধ ১

প্রকাশ: ০৫:১৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের প্রতিবাদে এবার রাজধানীর মিরপুরের কালশীতে পুলিশের সঙ্গে অটোরিকশা চালকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। একই সময় কালশী মোড়ের ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এতে ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

রোববার (১৯ মে) বিকেল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে কালশী মোড়ে অবস্থিত ট্রাফিক পুলিশের বক্সে আগুন দেয় আন্দোলনকারীরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেসুর রহমান বলেন, কালশীতে আন্দোলনকারীরা সহিংস আন্দোলন করছে। তারা কালশী মোড়ে অবস্থিত একটি পুলিশ বক্সে আগুন দিয়েছে। এটি ট্রাফিক পুলিশের একটি বক্স। আমরা ঘটনাস্থলে আছি, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি।

এর আগে অটোরিকশা চালকরা এ সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া মিরপুর বেনারসি পল্লীর ৪ নম্বর সড়কে অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সেখানে কয়েকট গাড়িও ভাঙচুর করে অটোরিকশা চালকরা। এ সময় বাসে থাকা যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে বাস থেকে নেমে পড়েন।

দুপুর সোয়া একটার দিকে অটোরিকশা চালকরা কালশী সড়ক আটকে দিয়ে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় অনেকের হাতে লাঠি দেখা যায়। তারা গাড়ি ভাঙচুর করতেও উদ্যত হয়। তারা সড়কের মাঝখানে রশি টানিয়ে দিয়ে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সড়কে তারা গাড়ি আড়াআড়িভাবে রাখতে বাস চালকদের বাধ্য করেন। এতে ওই সড়ক ব্যবহারকারী হাজার হাজার যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েন। গন্তব্যে যেতে মানুষজনকে পায়ে হেঁটে রওনা দিতে দেখা যায়।

কালশীপুলিশ বক্সে  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এনবিআরের চেয়ারম্যান কী ওবায়দুল কাদেরের চেয়েও বেশি ক্ষমতাধর?

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেড় মাসেরও বেশি সময় পর আবার মেট্রোরেলের ওপর ভ্যাট বসানোর বিষয়টি সামনে এসেছে। এ নিয়ে সরকারের দুটি সংস্থা  রীতিমতো মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। আগামী ১লা জুলাই থেকে এনবিআর বা জাতীয় রাজস্ব উন্নয়ন বোর্ড মেট্রোরেলের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসাতে চায়। অন্যদিকে এতে সায় নেই মেট্রোরেল কৃর্তপক্ষের। আরও স্পষ্ট করে বললে বলা যায় যে, এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মুখোমুখি অবস্থান গ্রহণ করেছেন। 

উল্লেখ্য, মেট্রোরেলে ভ্যাট মওকুফের সুবিধা ৩০ জুন পর্যন্ত রয়েছে। এসময় সীমা বৃদ্ধির জন্য মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এনবিআরের কাছে আবেদন করেছিল কিন্তু এনবিআর তা নাকচ করে দিয়েছে। এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ভ্যাট আরোপ নিয়ে এনবিআর ও মেট্রোরেল কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে নতুন করে একটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে টিকিটের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ তখন সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি। পরে মেট্রোরেলে কর্তৃপক্ষ টিকিটের ওপর ভ্যাট না বসানোর যুক্তি দেখিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের কাছে চিঠি দেয়। বিষয়টি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পর্যন্ত গড়ায় এবং মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট বসানো সরকারের কোন পরিকল্পনা নেই বলে সাফ জানিয়ে দেন সরকারের এই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী।

কেন মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট বসানো যৌক্তিক হবে সেটির ব্যাখ্যা তিনি দিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট বসানোর ব্যাপারে এনবিআরের তৎপরতা থেমে থাকেনি। টিকিটের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করতে সংস্থা বেশ তৎপরতা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। 

মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট বসানোর বিষয়টি আপাতত সরকারের নীতি নিধারণী নেই বলে যখন ওবায়দুল কাদের স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন তখন এনবিআরের তৎপরতা নিয়ে নানা রকম প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে এনবিআরের চেয়ারম্যান রহমাতুল মুনিমের ওবায়দুল কাদেরের চেয়েও বেশি ক্ষমতাধর ব্যক্তি হয়ে উঠলেন কিনা? একজন সরকারি কর্মকর্তা তিনি কীভাবে সরকারের একজন নীতি নির্ধারকের বিপক্ষে অবস্থান নিলেন বা সরকারের অবস্থান পরিষষ্কার করার পরও কেন এনবিআর চেয়ারম্যান বিষয়টি এখনও সুরাহা করলেন না সেই প্রশ্নটি সামনে এসেছে। 

উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারি জনগণের ভোটের দ্বারা নির্বাচিত আওয়ামী লীগ ১১ জানুয়ারি সরকার গঠন করে টানা চতুর্থবারের মতো দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করছে। কতগুলো সুনির্দিষ্ট ইশতেহার নিয়ে দেশ পরিচালনা করছে আওয়ামী লীগ। বর্তমান সরকারের শীর্ষ ক্ষমতাবান ব্যক্তি ধরা হয় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে। তিনি একাধারে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং সরকারের অন্যতম নীতি নির্ধারক বটে। তিনি যখন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট বসানো সরকারের কোন পরিকল্পনা নেই এবং এটি উচিত নয় তখন এনবিআরের তৎপরতা সবাইকে বিস্মিত করেছে। কোন কোন মহল এনবিআরের এই তৎপরতাকে স্বেচ্ছাচারী বলেও অভিহিত করেছেন। আবার কোন কোন মহল ওবায়দুল কাদের সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করার পরও এনবিআরের এই তৎপরতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। 

প্রশ্ন উঠেছে, মেট্রোরেল ব্যবস্থা জনপ্রিয় হয়ে ওঠার আগেই এর ওপর ভ্যাট বসানো কতটুকু যৌক্তিক? এনিয়ে সাধারণ মানুষ মধ্যে তীব্র নেতিবাচক মনোভাব দেখা দিয়েছে। মেট্রোরেলের ওপর ভ্যাট বসানোর সিদ্ধান্তটি এনবিআরের একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলে প্রকাশ্যে সমালোচনা করা হচ্ছে। এখন দেখার বিষয় সরকারের অবস্থান জানা পরও এনবিআর মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট বসানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে কিনা। 

এনবিআর চেয়ারম্যান   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে নিখোঁজ এমপি আনার

প্রকাশ: ০৪:৫২ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ ও সদরের আংশিক) আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার চিকিৎসার জন্য চলতি মাসে ভারতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন।  সেখানে গিয়ে তিনি গত ৩ দিন ধরে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছেন।

শনিবার (১৮ মে) রাতে সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) আব্দুর রউফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করানো হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা বিভাগ বিষয়টি তদারকি করছে।

সংসদ সদস্যের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বলেন, গত দুদিন ধরে বাবার সঙ্গে যোগাযোগ নেই। আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। তবে সব উপায়ে চেষ্টা করছি।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিণ্টু বলেন, বিষয়টি তার পরিবার আজকেই আমাকে জানিয়েছে। তিনি এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে জানাবেন।

এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবু আজিফ জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্য নিখোঁজ থাকার খবর লোকমুখে শুনেছি। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি।

চিকিৎসা   ঝিনাইদহ-৪   আনোয়ারুল আজিম আনা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন