বাজেটের আগেই যে চড়া দামে নিত্যপণ্য কিনতে হয়েছে এখন তা বিক্রি হচ্ছে আরও বেশি দরে। গতকাল রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারগুলোতে বেশির ভাগ পণ্যের দামই ছিল ঊর্ধ্বমুখী। যদিও ক্রেতাদের দাবি, বাজেট ঘোষণার কয়েক মাস আগে থেকেই নিত্যপণ্যের বাজার চড়া।
রাজধানীর রায়েরবাগ শনিরআখড়া কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজেট ঘোষণার পরের দিন গতকাল নিত্যপণ্যের বাজার আগের চেয়ে আরও অস্থিতিশীল।
সম্প্রতি উত্তাপ ছড়ানো মসলাজাতীয় পণ্য পিঁয়াজ ও আদার দাম এখনো চড়া। বাজারে প্রতি কেজি পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা এবং আদা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা দরে। তাছাড়া প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকায়। একই সঙ্গে আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরেই।
মানভেদে প্রতি কেজি সবজি কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত। বাজারে প্রতি কেজি টমেটো ৪০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পটোল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধন্দুল ৬০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়শ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া লাউ প্রতি পিস আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। এদিকে সরকার চিনির দাম বেঁধে দিলেও এখনো তার প্রভাব নেই বাজারে। বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা।
বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বেশি হওয়ায় নির্ধারিত দামে চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। ডিমের দাম আগের মতোই চড়া। প্রতি হালি ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। ডজন ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। এ ছাড়া সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩০০ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগেও বিক্রি হয়েছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকায়।
অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা। আর প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকায়।
মাছের বাজারে দেখা যায়, আকারভেদে প্রতি কেজি শিং মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, টেংরা ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৭০-২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, রুই ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজেট ঘোষণায় বাজারে নিত্যপণ্যের দামে কেমন প্রভাব পড়তে পারে জানতে চাইলে শনিরআখড়া কাঁচাবাজারের বিক্রেতা হানিফ মাহমুদ বলেন, নিত্য জিনিসের দাম যা বাড়ার আগেই বেড়েছে। বাজেট এখানে কোনো বিষয় নয়। তবে মনে হচ্ছে দফায় দফায় দাম আরও বাড়বে।
চট্টগ্রামে স্থিতিশীল কাঁচাবাজার : বাজেট ঘোষণা হওয়ার আগে থেকেই বাজার স্থিতিশীল। মুরগির দাম ১০ টাকা বাড়লেও অন্যান্য পণ্যের দাম রয়েছে স্বাভাবিক। নগরের কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি মুরগি কেজি ৬৩০ টাকা, ব্রয়লার ২১০ টাকা ও সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা করে। আশপাশে কয়েকটি দোকানে ঘুরে মিলল একই চিত্র। এ ছাড়াও ব্রয়লার মুরগির ডিম ডজন ১৪০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকায়।
কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, পেঁপে কেজি ৭০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৪০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, পটোল ৫০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, শিম ১৮০ টাকা, ঢেঁড়শ ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ফুলকপি ১৪০ টাকা ও শসা ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বাল্যবিবাহ সামাজিক আন্দোলন ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।