কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে এরশাদুল (২৪) নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৩ জুন) বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে ওই আসামিকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাতে মৃত ঘোষণা করেন।
কুড়িগ্রাম
জেলা কারাগারের জেলার আবু ছায়েম হাজতি
মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা
যায়, গত বৃহস্পতিবার (১
জুন) মাদক পরিবহনের সন্দেহে
ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ তাকে
আটক করে। নিহতের পরিবারের
দাবি, ওইদিন আটকের পর পুলিশ এরশাদের
কাছে কিছু পায় নি।
পুলিশ তাকে ‘শারীরিক নির্যাতন’ করেছে। এ কারণে কারাগারে
থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
এরশাদুল
(২৪) ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের কামাত
আঙ্গারিয়া গ্রামের মৃত শওকত আলীর
ছেলে। এলাকায় তিনি চিহ্নিত মাদক
ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে।
তার নামে একাধিক
মাদক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে ভূরুঙ্গামারী
থানা পুলিশ।
নিহতের
বড় বোন শিউলি বেগম
অভিযোগ করে বলেন, নতুন
বউ নিয়ে সীমান্ত এলাকা
দেখতে গেছেন তারা। একটি অটোরিকশায় পরিবারের
অনেক ছিলেন। পথে পুলিশ তাদের
অটোরিকশার গতিরোধ করে তল্লাশি চালায়।
এ সময় তাদের কাছে
কিছু না পাওয়ায় তাদের
সাথে পুলিশের কথা কাটাকাটি হয়।
পুলিশ এসে তাকে ধরে
পেটাতে পেটাতে নিয়ে গেছে। আমার
ভাইয়ের কাছে কোনও কিছু
পায় নাই। থানায় নিয়ে
গিয়ে আবার পিটিয়েছে। আমার
ভাই তর্ক করেছে বলে
তার জীবন নষ্ট করে
দিতে চেয়েছে। আমার ভাইকে টর্চার
করার কারণে সে মারা গেছে।
আমরা এর বিচার চাই।’
এরশাদের
স্ত্রী আদুরি বেগম বলেন, ‘আমার
স্বামীর সাথে অন্যায় হইছে।
আমি এর বিচার চাই।’
ভূরুঙ্গামারী
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নজরুল
ইসলাম বলেন, ‘এরশাদকে আটকের সময় সে পুলিশের
সাথে ধস্তাধস্তি করে পড়ে গিয়ে
আঘাত পায়। এজন্য তাকে
হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া
হয়। পরে তাকে ১৫১
ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাকে কোন প্রকার
নির্যাতন করা হয়নি।
কুড়িগ্রাম
জেলা কারাগারের জেলার আবু সায়েম জানান,
ওই আসামিকে হাসপাতালের কাগজসহ (চিকিৎসাপত্র) কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। কাগজে ফিজিক্যাল এ্যাসল্ট লেখা ছিল। আমরা
তাকে কারা হাসপাতালে রেখেছিলাম।
শনিবার দুপুরে সে অসুস্থ্য হয়ে
পড়লে তাকে কুড়িগ্রাম জেনারেল
হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে দায়িত্বরত
চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা
করেন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সরকারি চাকরি জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন
মন্তব্য করুন
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রধানমন্ত্রী নসরুল হামিদ
মন্তব্য করুন
চাকরির বয়সসীমা শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জনপ্রশাসন মন্ত্রী
মন্তব্য করুন
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী গত ১৭ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রীকে দেওয়া এক ডিও লেটারে উল্লেখ করেছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। সরকার বিষয়টি উপলব্ধি করে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইস্তেহারে ৩৩ নং পৃষ্ঠায় শিক্ষা, দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি অনুচ্ছেদে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়। আর এ রকম একটি ডিও লেটারে শিক্ষামন্ত্রী বিভিন্ন দেশে চাকরির বয়সসীমা উল্লেখ করেছেন।