ইনসাইড গ্রাউন্ড

এবার কি পারবেন তাঁরা?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১:০৯ পিএম, ০৩ মার্চ, ২০১৮


Thumbnail

একটা সময় ফুটবলের ব্যক্তিগত শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইটা প্রায় প্রতি বছরই হাত বদল হতো। শ্রেষ্ঠত্বের আসনে আসীন হতেন তারকা ফুটবলাররা। কিন্তু বিগত এক দশক ধরে দুজন ফুটবলারই নিজদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন সেই আসন। কখনো সেটা মেসির দখলে আবার কখনো তা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর দখলে। বলা যায় প্রায় সব রেকর্ডই লুটিয়েছে তাঁদের বুটজোড়ার সামনে। চ্যাম্পিয়নস লিগ, লা লিগা কিংবা ব্যালন ডি’অর- এগুলো যেন তাঁদের কাছে ডাল-ভাতের বিষয়। কিন্তু একটা শিরোপা তাঁরা কখনো ছুঁতে পারেননি, বিশ্বকাপ। তাই ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে এসে তাদের আক্ষেপ এবং চাওয়ার নাম একটাই, বিশ্বকাপ ট্রফিটা জয় করা। কিন্তু হাতে কি সেই সময় বা সুযোগটা পর্যাপ্ত আছে? এবার কি পারবেন তাঁরা?

জুনে অনুষ্ঠিত রাশিয়া বিশ্বকাপই হতে পারে ৩০ বছর বয়সী মেসি ও ৩৩ বছর বয়সী রোনালদোর জন্য পেলে, দিয়াগো ম্যারাডোনা এবং জিনেদিন জিদানদের কাতারে ওঠার সুযোগ। তাই বিশ্বকাপকে সামনে রেখে মেসি ও রোনালদো ঘিরে একটাই প্রশ্ন ঘুরফিরে আসছে, এটাই কি শেষ সুযোগ এই দুই মহাতারকার? 

রোনালদো এবং মেসি দুজনেরই ২০০৬ সালের বিশ্বকাপ দিয়ে এই বিশ্বমঞ্চে অভিষেক। তখন থেকেই তাঁরা নিজ নিজ জাতীয় দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সৌম্যের সঙ্গে সঙ্গে আধুনিক ফুটবলে সবচেয়ে সফল খেলোয়াড়ে পরিণত হয়েছেন। তারপরও ফুটবলের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত ট্রফিটি জিততে না পারা তাদের সব অর্জনকে প্রায়ই ম্লান করে দেয়। কেননা শ্রেষ্ঠদের পাশে দাঁড়াতে বিশ্বকাপ সহ সবকিছুই জিততে হয়। তাদের ব্যর্থতা ট্র্যাজিক হলেও জিততে কারোরই চেষ্টার কোনো অভাব ছিল না।

২০০৬ সালে পর্তুগাল খুবই কঠিন গ্রুপ-ডি এর শীর্ষ দল হয়, সেমিফাইনালেও ওঠে কিন্তু ফ্রান্সের কাছে হারতে হয়। তৃতীয় স্থান নির্ধারনী ম্যাচে স্বাগতিক জার্মানির কাছে হেরে সেবার চতুর্থ স্থান নিয়েই খুশি থাকতে হয় পর্তুগালকে। ২০১০ সালে শেষ ষোলতেই তাদের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয় কেপ টাউনে স্পেনের কাছে শোচনীয় পরাজয়ে। ক্রিশ্চিয়ানোর অভিষেকের পর পর্তুগাল সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স করে ২০১৪ সালে। সেবার দলটি গ্রুপপর্বই পেরোতে পারেনি। অন্যদিকে আর্জেন্টিনার যাত্রা ছিল সম্পূর্ণ আলাদা। ২০০৬ বিশ্বকাপে জার্মানির কাছে ৪-০ গোলে হারের পর ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে একই দলের কাছে ফাইনালে হারে তারা।

ভক্ত সমর্থক থেকে খেলোয়াড়রা, সবাই ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আর নিঃসন্দেহে সবার দৃষ্টি থাকবে মেসি ও রোনালদোর ওপর। বিশ্ব অপেক্ষায় থাকবে নিজেদের চতুর্থ বিশ্বকাপে তাদের একজনের ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয় কিনা তা দেখার। ক্যারিয়ারের গ্রাফ নিম্নমুখী হওয়ার আগে হয়ত এটাই তাদের শেষ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। তাঁরওপর নেইমার, গ্রিজম্যানদের জ্বলে ওঠা। ঠিক যেমনটা তারা জ্বলে ওঠায় আগের প্রজন্মের তারকারা উজ্জ্বলতা হারিয়েছিলেন।

সূত্র: টাইমস অব ওমান


বাংলা ইনসাইডার/ডিআর/জেডএ   



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

২০২৩-২৪ মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় ফোডেন

প্রকাশ: ০৭:৩২ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ২০২৩-২৪ মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির ফিল ফোডেন। রোববার মৌসুমের শেষ দিনে ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে জিতলেই প্রথম দল হিসেবে টানা চতুর্থবার প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হবে ম্যানসিটি। এই যাত্রায় দুর্দান্ত পারফর্ম করে দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে আছেন ফোডেন।

২০২৩-২৪ আসরে সেরা খেলোয়াড় হিসেবে ফোডেনের নাম শনিবার (১৮ মে) ঘোষণা করেছে প্রিমিয়ার লিগ। সেরা হওয়ার পথে ফোডেন পেছনে ফেলেছেন ম্যানচেস্টার সিটি সতীর্থ আর্লিং হাল্যান্ড, নিউক্যাসলের আলেক্সান্দার ইসাক, আর্সেনালের মার্টিন ওডেগার্ড ও ডেকলান রাইস, চেলসির কোল পালমার, লিভারপুলের ভার্জিল ফন ডাইক ও অ্যাস্টন ভিলার ওলি ওয়াটকিন্সকে।

চলতি মৌসুমে পেপ গার্দিওলার আস্থাতেই ছিলেন ফোডেন। আস্থার প্রতিদানও দিয়েছেন। ৩৪ ম্যাচে সিটির জার্সিতে নেমে ২৫ গোলে সরাসরি অবদান রেখেছেন। নিজে গোল করেছেন ১৭টি, সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ৮টি। মনোমুগ্ধকর পারফরম্যান্সে চলতি মাসে দ্বিতীয়বার সেরার স্বীকৃতি পেলেন ফোডেন। মাসের শুরুতে ইংল্যান্ডের ফুটবল লেখক সমিতির বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার।

প্রিমিয়ার লিগের মৌসুম সেরার স্বীকৃতি পেয়ে গর্বিত ফোডেন। তিনি বলেন, এই পুরস্কার আমার কাছে এমন এক অর্জন, যা নিয়ে আমি খুবই গর্বিত। প্রিমিয়ার লিগ বিশ্বের সেরা লিগ হিসেবে সমাদৃত। অনেক দুর্দান্ত খেলোয়াড়ের সঙ্গে মনোনীত হতে পেরে আমি আনন্দিত। সব মিলিয়ে এই মৌসুমে আমি যেভাবে খেলেছি, তাতে খুব খুশি এবং এটা ভেবে খুব আনন্দিত যে মৌসুমজুড়ে গোল করা ও গোলে সহায়তায় অবদান রাখতে পেরেছি। আমি সিটির সব স্টাফ, কোচ এবং বিশেষ করে আমার সতীর্থদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কারণ, তাদের ছাড়া এটা সম্ভব হতো না। যারা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন, তাদেরও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

প্রিমিয়ার লিগের মৌসুম সেরার পুরস্কার এনিয়ে টানা পঞ্চমবার জিতলো সিটির খেলোয়াড়রা। ফোডেনের আগে একবার করে রুবেন দিয়াস ও আর্লিং হাল্যান্ড এবং ডি ব্রুইনে জিতেছেন দুইবার।


ফিল ফোডেন   ম্যানচেস্টার সিটি   ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

শিরোপার লড়াইয়ের মীমাংসায় মাঠে নামছে ম্যানসিটি ও আর্সেনাল

প্রকাশ: ০৬:২৭ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রিমিয়ার লিগ শেষ মুহূর্তে এসে জমে উঠলেও শিরোপার সমীকরণ এখনও মেলাতে পারেনি ম্যানচেস্টার সিটি ও আর্সেনাল। একে অপরকে রীতিমতো টেক্কা দিয়েই চলেছে এই দুই ক্লাব। যদিও গানারদের চেয়ে দুই পয়েন্ট এগিয়েই আছে সিটিজেনরা।

তবে আজ রাতেই এই লড়াইয়ের মীমাংসা হয়ে যাবে। শিরোপার লড়াইয়ে রাতে আলাদা আলাদা ম্যাচে মাঠে নামবে আর্সেনাল ও ম্যানচেস্টার সিটি। আজ (রোববার) রাত ৯টায় ওয়েস্ট হামের বিপক্ষে মাঠে নামবে ম্যানচেস্টার সিটি। আর অন্য ম্যাচে এভারটনকে চ্যালেঞ্জ জানাবে আর্সেনাল।

লিগে এখন ৩৭ ম্যাচে ৮৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার শীর্ষে ম্যানসিটি। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৮৬ পয়েন্ট আর্সেনালের। ৭৯ পয়েন্টের অধিকারী লিভারপুল শিরোপার দৌড় থেকে ছিটকে গেছে আগেই।

প্রায় দুই দশক পর লিগ শিরোপার স্বাদ নিতে এভারটনের বিপক্ষে আর্সেনালের জিততেই হবে, পাশাপাশি ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে হারতে হবে ম্যানচেস্টার সিটিকে। সে তুলনায় ম্যানসিটির সমীকরণটা সহজ, ৩৮তম ম্যাচে জিতলেই আর কিছুর হিসাব মেলাতে হবে না গার্দিওলার শিষ্যদের।

এদিকে চ্যাম্পিয়ন যেই হোক, কত টাকা পাবে তারা? রানার্সআপদের জন্যই বা বরাদ্দ কত? মার্কার এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চ্যাম্পিয়নরা পাবে ৫৭ মিলিয়ন ইউরো, টাকার হিসাবে যা প্রায় ৭২৩ কোটি।

অপরদিকে আর্সেনাল যদি হোঁচট খায়, তবে তারা পাবে ৫২ মিলিয়ন ইউরো। লিভারপুল এরই মধ্যে তৃতীয় স্থান নিশ্চিত করে ফেলেছে। তারা পাবে ৫০ মিলিয়ন ইউরো। চতুর্থ স্থানে থাকা অ্যাস্টন ভিলা পাবে ৪৭ মিলিয়ন ইউরো।


ম্যানচেস্টার সিটি   আর্সেনাল   প্রিমিয়ার লিগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফিরল মেসি, জিতল মায়ামি

প্রকাশ: ০৫:২১ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত ম্যাচে চোটের কারণে দলের সাথে ছিলেন না লিও মেসি। যার জন্য হেরেছিল তার দল। তবে পরের ম্যাচে যেমনি তিনি দলে ফিরলেন তেমনই জিতল ফ্লোরিডার ক্লাবটি। যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের ১৪ তম ম্যাচডে তে ডিসি ইউনাইটেডের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছে মেসির দল।

রোববার (১৯ মে) সকাল সাড়ে ৮টায় (বাংলাদেশ সময়) নিজেদের মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে ডিসি ইউনাইটেডকে আতিথ্য দেয় মায়ামি। ইস্টার্ন কনফারেন্স স্লটের এই ম্যাচ জিতে টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে মেসি-সুয়ারেজরা।

ম্যাচের শুরু থেকেই দলগতভাবে ইন্টার মায়ামি দাপট দেখালেও জালে বল পাঠাতে পারছিলেন না কেউই। একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল ম্যাচটা হয়তো গোলশূন্য ড্রয়েই শেষ হবে। তবে নির্ধারিত সময়ের শেষে যোগ করা অতিরিক্ত সময়ের চতুর্থ মিনিটে গোল করে চমক দেখান কাম্পানা। মাঝমাঠ থেকে বুসকেতসের বাড়ানো বলকে দুর্দান্ত ভলিতে জালে জড়ান ইকুয়েডরিয়ান এ ফরোয়ার্ড।

উল্লেখ্য, লিগে ১৫ ম্যাচে ৯ জয় ৪ ড্র ও ২ হারে মায়ামির পয়েন্ট ৩১। এক ম্যাচ কম খেলা সিনসিনাটির পয়েন্ট ৩০। মায়ামির পরবর্তী ম্যাচ আগামী রোববার (২৬ মে) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায়। সেই ম্যাচে ভ্যাঙ্কুভারের বিপক্ষে মাঠে নামবে মেসিরা।


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   ইন্টার মায়ামি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মে রোহিতের মত কোহলিরও ‘না’

প্রকাশ: ০৪:৪৭ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ম্যাচের মাঝে যেকোনো সময় একজন ক্রিকেটারকে বদলে ফেলতে পারবে দু’টি দল। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের গত আসর থেকে শুরু হয়েছে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ নামে এই নিয়ম। এই নিয়ম আসার পর আইপিএলে বদলেছে অনেক কিছুই। যেমন- এখন আর প্রথম একাদশ বেছে নিলেই হয় না। বেছে নিতে হয় একজন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারকেও। তাই এখন ১১ জন নয়, বরং ১২ জনের খেলা হয়ে গেছে। যেদিন থেকে আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম এসেছে, সেদিন থেকে অলরাউন্ডারের প্রয়োজন কমে যাবে কি না সবার মনে এই একটাই প্রশ্ন ছিলো।

তবে এখন  প্রশ্ন উঠছে ভারতীয় দলে এই নিয়মের কোন প্রভাব পড়ছে কি না, সেই নিয়ম কি বিপদে ফেলছে ভারতীয় দলকেই, নাকি হচ্ছে সুবিধা? আইপিএলের এই নিয়মটা পছন্দ না ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মার। সম্প্রতি রোহিত ক্লাব ফ্রেইরে পডকাস্টে বলেছিলেন তার ভাবনার কথা। এবার রোহিতের সঙ্গেই ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার ইস্যুতে নিজের সুর মিলিয়েছেন ভিরাট কোহলি।

কোহলি বলেন, চার-ছক্কা হলেই ম্যাচ জমে না। ব্যাটসম্যান ও বোলারের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জায়গা থাকলেই ক্রিকেট হয়ে ওঠে আনন্দদায়ক। জিও সিনেমায় দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন ভিরাট। রোহিতের কথায় সমর্থন জানিয়ে কোহলি বলেন, আমি রোহিতের সঙ্গে একমত। খেলার একটা দিক হচ্ছে বিনোদন, কিন্তু সেটা করতে গিয়ে কোনো সমতা থাকছে না। এ অবস্থায় বোলারদের খারাপ লাগারই কথা। আমি আগে কখনো এমন পরিস্থিতি দেখিনি, যেখানে একজন বোলারকে প্রতিটি বলে চার বা ছয় হজমের কথা ভাবতে হচ্ছে। সব দলে তো আর বুমরাহ কিংবা রশিদ খান নেই।

কোহলি আরও বলেন, একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে নিয়মটা আমি ভালো বলতে পারি। কিন্তু ম্যাচ তো জমজমাট হতে হবে। ক্রিকেটে চার-ছক্কা হলেই যে ম্যাচ জমে ব্যাপারটা এমন না। ১৬০ রান ডিফেন্ড করতে পারলেও কিন্তু ম্যাচ জমে, সেখানেও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আবহ দর্শকরা উপভোগ করতে পারে।

উল্লেখ্য, ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়মে আছে, কোনো খেলোয়াড় আউট হয়ে গেলে তার পরিবর্তে নামা কেউ ব্যাট করতে পারবেন। তবে ১১ জনের বেশি ব্যাট করতে পারবেন না। আবার বোলিংয়ের ক্ষেত্রেও যদি কোনো প্লেয়ারের কোটা শেষ হয়ে যায়, তাহলে বদলি হিসেবে নামা একজন পূর্ণ ৪ ওভার বল করতে পারবেন। মূলত, এই সিস্টেমে ক্রিকেটে অলরাউন্ডারদের ভূমিকা কমছে। সুবিধামত সময়ে অতিরিক্ত একজন পূর্ণ ব্যাটার কিংবা বোলার ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন অধিনায়করা।


ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার   আইপিএল   রোহিত শর্মা   ভিরাট কোহলি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

একবছরেই অনুষ্ঠিত হবে দুই বিপিএল!

প্রকাশ: ০৪:০৪ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ঘরোয়া আসর হচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। প্রতিবারই বেশ জাকজমকপূর্ণভাবে আয়োজন করা হয় ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই টুর্নামেন্টটির। শুধু তাই নয়, নানা জটিলতা ও নানা কারণে প্রতি আসরেই টুর্নামেন্টটির সময়-সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়।

২০২৪ সালে জাতীয় নির্বাচনের কারণে বিপিএল পিছিয়ে শুরু হয়েছিল ১৯ জানুয়ারি। টুর্নামেন্টটির আগামী আসর শুরু হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ ঠিক হয়ে আছে ২০২৫ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। তবে এবারও পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে পূর্বে নির্ধারিত তারিখে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কারণে ২০২৫ সালের বিপিএলের সময় এগিয়ে আনতে হতে পারে। এতে বিপিএলের একাদশ আসর মাঠে গড়াতে পারে চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে। যদি তাই হয় তবে এক বছরে দুইবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে টুর্নামেন্টটি।

অবশ্য এর জন্য আয়োজক কমিটি দায়ী নয়। ২০২৫ সালের শুরুতেই হতে যাচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। জানা গেছে, আগামী বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ মার্চ আইসিসির এই ওয়ানডে টুর্নামেন্টের সময় ঠিক হয়ে আছে। ৫০ ওভারের ক্রিকেটের প্রস্তুতির জন্য হলেও বাংলাদেশ দলের কিছুটা সময় প্রয়োজন হবে।

এ কারণে ২৫ ডিসেম্বর থেকে টুর্নামেন্ট শুরুর সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করতে পারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। জাতীয় দলের আন্তর্জাতিক সূচির সঙ্গে সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী।

সাত দলের বিপিএল ডাবল লিগ ভিত্তিতে ৪৪টি ম্যাচ খেলা হয়। টুর্নামেন্ট শেষ করতে সময় লাগে ৪০ দিনেরও বেশি। একাদশ আসর ২০২৫ সালের জানুয়ারির প্রথম দিন থেকে শুরু হলে শেষ হবে ১০ ফেব্রুয়ারি। সে ক্ষেত্রে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ওয়ানডে প্রস্তুতি নেয়ার সময় থাকবে না।

এ অবস্থায় টুর্নামেন্ট শেষ করেই পাকিস্তানের বিমান ধরতে হবে। ৫০ ওভারের ম্যাচের প্রস্তুতি নেয়ারও সুযোগ পাবে না খুব একটা। এই বিষয়ে বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতির সময় ধরে আমরা বিপিএল স্লট ঠিক করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ জন্য ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তারা কবে থেকে অনুশীলন শুরু করতে চায়। আমার মনে হয় না যে স্লট দেওয়া আছে, সেখানে খুব একটা পরিবর্তন করতে হবে। এক-দুই দিন এদিক-ওদিক করতে হতে পারে।’

ডিসেম্বরের শেষদিকে বিপিএলের একাদশ আসর শুরু হলে আসরকে বিদেশি ক্রিকেটারের জন্য তিনটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট- আরব আমিরাতের আইএল, দক্ষিণ আফ্রিকার এসএটি২০ ও বিগ ব্যাশের সঙ্গে পাল্লা দিতে হবে।


বিপিএল   বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন