ইনসাইড বাংলাদেশ

সরকারের পাশে ভারত-চীন-রাশিয়া

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৮ জুন, ২০২৩


Thumbnail

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো যেন বাংলাদেশের ওপর প্রভুত্ব আধিপত্য বিস্তার করতে না পারে সেজন্য বিশ্বের একটি সম্প্রদায় এখন থেকেই সচেতন। তারা বাংলাদেশের পাশে থাকবে এমন ঘোষণা ইতিমধ্যে দিয়েছে। এছাড়াও তারা বাংলাদেশের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক বলয়েও তৎপরতা চালাচ্ছে। ভারত, রাশিয়া এবং চীন বর্তমান সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে এবং বাংলাদেশের নির্বাচনকে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এই তিনটি দেশ মনে করে যে, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ একটি দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর হুমকি এবং এটি সুস্পষ্ট ভাবে আন্তর্জাতিক রীতিনীতির লঙ্ঘন। এ ব্যাপারে তারা আন্তর্জাতিক ফোরামে সোচ্চার হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

কূটনীতিক সূত্রে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, যদি বাংলাদেশের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোন ধরনের হস্তক্ষেপ করে বা কোন ধরনের নিষেধাজ্ঞা করার চেষ্টা করে সেক্ষেত্রে তিনটি দেশ বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইতিমধ্যে ভারতের অবস্থান এবং বার্তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে দিয়ে এসেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কোনোরকম ভিন্ন অবস্থান গ্রহণ করে যা ভারতের পছন্দ নয় বা ভারতের অবস্থানের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয় সেক্ষেত্রে ভারত তার অবস্থানে অটল থাকবে। সে ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি অবস্থানে যেতে পারে বলে কূটনৈতিক মহল মনে করছেন।

ভারত বাংলাদেশে যেমন স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্র চায় তেমনি বাংলাদেশ জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাত থেকে মুক্ত থাকুক সেটাও চায়। আর এই কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি বাড়াবাড়ি রকমের চাপ দেয় এবং বাংলাদেশের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক মহলের কোনো নিষেধাজ্ঞা দিতে চায় যেমন; শান্তিরক্ষা বাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা বা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা সেক্ষেত্রে ভারত সেটি মেনে নেবে না এবং বাংলাদেশের পাশে থাকবে। একই অবস্থান ব্যক্ত করেছে চীনও। চীন ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে যে, বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বাড়াবাড়ি এবং তারা এই অবস্থানকে সমর্থন করেনা। চীনের পক্ষ থেকে এটিও জানানো হয়েছে যে, বাংলাদেশের নির্বাচন তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার এবং বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা, গণতন্ত্র, বিশ্বশান্তি এবং নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেটি করছে সেটি বাড়াবাড়ি এবং একটি দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের ওপর হস্তক্ষেপ। শেষ পর্যন্ত যদি বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোন ধরনের ইস্যু তৈরি করে জাতিসংঘ বা আন্তর্জাতিক ফোরামে সেক্ষেত্রে চীন বাংলাদেশের পাশে থাকবে এবং বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ রকমের সহযোগিতা করবে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বাংলাদেশ নিয়ে এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা যেটি করছে সেটি বাড়াবাড়ি। একই অবস্থান গ্রহণ করবে রাশিয়া। বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ইতিমধ্যে বলেছেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ  করা হচ্ছে। এটি একটি আন্তর্জাতিক রীতিনীতি লঙ্ঘনের শামিল। আন্তর্জাতিক ফোরামে যদি নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো রকম ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উদ্যোগী হয় সে ক্ষেত্রে ভারত ও চীনের মতো রাশিয়াও বাংলাদেশের পাশে থাকবে। বৈশ্বিক রাজনীতিতে যে বিভক্তি এবং মেরুকরণ শুরু হয়েছে তার প্রভাব আমাদের বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনে পড়বে বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। এক্ষেত্রে অন্যান্য সময় যে রকম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কথাই শেষ কথা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একক অবস্থানই শেষ অবস্থান সেটি বিশ্বে আর প্রযোজ্য হচ্ছে না। 

সাম্প্রতিক সময়ে যে দেশগুলোর ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল সেই দেশগুলোর সঙ্গেও নতুন করে সম্পর্ক স্থাপন করেছে চীন, রাশিয়া এবং ভারত। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের কূটনীতিতে যে পটপরিবর্তন হয়েছে সেই পটপরিবর্তনে চীন এবং রাশিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশে সে রকম পরিস্থিতিতে হবে না বলেই কূটনীতিক মহল মনে করেন। তবে যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শেষ পর্যন্ত কঠোর অবস্থানে যায় সেই অবস্থানটি বিশ্বকে বিভক্ত করবে।

ভারত   চীন   রাশিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সীমান্তে চোরাই পথে গরু প্রবেশের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৫:১৮ পিএম, ০২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

কুরবানী উপলক্ষ্যে সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে অবৈধভাবে কোনো গরু যেন দেশে ঢুকতে না পারে সে বিষয়টি খুব কঠোরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান।

রোববার (২ জুন ) রাজধানীর শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি সায়েন্স বিভাগ কর্তৃক বিশ্ব দুগ্ধ দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে মন্ত্রী একথা জানান।

শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এনিমেল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. কে বি এম সাইফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ-৫ আসনের সংসদ সদস্য কৃষিবিদ নজরুল ইসলাম, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া, কোষাধ্যক্ষ ড. মোঃ নজরুল ইসলাম ও বাংলাদেশ কৃষকলীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুর রহমান বলেন, কুরবানিকে সামনে রেখে কিছু দুষ্টু ও মতলববাজ লোক আমাদের দেশীয় খামারিদের নিরুৎসাহিত করার জন্য চোরাইপথে অবৈধভাবে কিছু কিছু গরু আনছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এব্যাপারে সরকার অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং বিষয়টি নিয়ে যথোপযোগী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করা হবে বলেও তিনি জানান। সুতরাং দেশীয় খামারিদের এ ব্যাপারে ভাবনার কোনো কারণ নেই। আসন্ন ইদ উল আযহা যাতে মুসলিম ধর্মাবলম্বী ভাই ও বোনেরা উৎসবের সাথে ও সুন্দরভাবে উদযাপন করতে পারে সে ব্যাপারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সার্বিকভাবে তত্ত্বাবধানে থাকবে বলে জানান প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী।

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অস্ট্রেলিয়া থেকে ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় আনয়নের মাধ্যমে গবাদিপশুর জাত উন্নয়নের মাধ্যমে দুধের উৎপাদন বাড়ানোর উৎদ্যোগ গ্রহণ করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু একটা স্বাধীন ভূখণ্ডই দিয়ে যান নি। বরং স্বাধীন ভূখণ্ডকে কিভাবে খাবারে, পুষ্টিতে, ভাতে, মাছে, উন্নয়নে সর্বাঙ্গীণভাবে উন্নত দেশে পরিনত করা যায়, সে ভাবনাটিও তিনি সঙ্গে সঙ্গে করেছেন। তিনি বলেন, জাতির পিতার দুরদৃষ্টি, তার মানবপ্রেম, শিশুদের প্রতি তার ভালোবাসা এবং পুষ্টিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে এই জাতিকে একটি সাবলম্বী জাতি হিসেবে গড়ে তোলার যে ভাবনা তা সত্যিই আমাদের সবাইকে অবাক করে দেয়। আজকে তারই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাবার আদর্শ বুকে ধারণ করে শত কষ্টের পাহাড় ডিঙিয়ে সব চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন বলে এসময় তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, দুধের উৎপাদন বাড়ালে দুধ খাওয়া বাড়বে এমনটি নয় বরং দুধ খাওয়ার প্রবনতা বাড়লেই দুধের উৎপাদন বাড়বে। কারণ চাহিদা বাড়লেই সরবরাহ বাড়ানোর বিষয়টি সামনে আসে। দুধের উৎপাদন বাড়িয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে বলে এসময় জানান মন্ত্রী। 

গ্রামে প্রান্তিক খামারিরা দামের অভাবে অনেক সময় দুধ উৎপাদনে উৎসাহ হারিয়ে ফেলে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দুধের দাম কম হলেও দুধ থেকে উৎপন্ন মিষ্টির দাম অনেক বেশি। দুগ্ধ শিল্পের সাথে যারা জড়িত তারা অনেক সময় ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না বলে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ পাওয়া যায়। তিনি বলেন, খামারিরা যাতে তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পায় সেরকম একটা ব্যবস্থা আমাদের তৈরি করতে হবে। 

শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি সায়েন্স এন্ড অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রীতে স্নাতক ডিগ্রীধারীদের বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউটে নিয়োগ না দেয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী বলেন, বিষয়টি নিয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পেলে গভীরভাবে পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী   মোঃ আব্দুর রহমান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সংসদ নির্বাচন কয়েক ধাপে হলে গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে: সিইসি

প্রকাশ: ০৩:১৮ পিএম, ০২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ধাপে ধাপে আয়োজন করতে পারলে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। 

রোববার (২ জুন) আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

সিইসি বলেন, আমরা টিআইবিকে বলেছি- জাতীয় নির্বাচন ধাপে ধাপে করা যায় কিনা, সে ব্যাপারে জনমত গড়ে তুলতে। কারণ ধাপে ধাপে নির্বাচন আয়োজন করতে পারলে নির্বাচনকে আরও বেশি সুষ্ঠু করা যাবে। কারণ, তখন আরও বেশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা যাবে। আরও বেশি পোলিং এজেন্ট মোতায়েন করা সম্ভব হবে। নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে কখনও নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ করা সম্ভব নয়। এটি করতে হলে সকল রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা প্রয়োজন।

এর আগে, বেলা সাড়ে ১১টায় আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাকক্ষে নির্বাচন কমিশনারদের সাথে বৈঠকে বসে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) একটি প্রতিনিধি দল।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব:), নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা, নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর, নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান, নির্বাচন কমিশন সচিব শফিউল আজিম অংশ নিয়েছেন।


সংসদ নির্বাচন   সিইসি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নওগাঁয় পুলিশের ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ কার্যক্রম

প্রকাশ: ০২:৫৯ পিএম, ০২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

দেশব্যাপী শুরু হয়েছে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ কার্যক্রম। পুলিশ কর্মকর্তারা বিভিন্ন পেট্রোল পাম্পে গিয়ে চালাচ্ছেন সচেতনতামূলক প্রচার। সারা দেশের মতো ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ কার্যক্রম বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে নওগাঁ জেলা পুলিশ।

 

রোববার (২ জুন) বেলা ১১টায় শহরের বিভিন্ন ফিলিং স্টেশনে ব্যানার টাঙিয়ে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক পিপিএম।

 

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) গাজিউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ফৌজিয়া হাবিব খান, সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) জাহিদুল হক, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আবজাল হোসেনসহ জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

এ সময় পুলিশ সুপার নিজ হাতে ‘হেলমেট নেই, জ্বালানি নেই’ এমন সচেতনতামূলক ব্যানার পেট্রোল পাম্পে লাগিয়ে দেন।

 

কার্যক্রম শুরুর পর তেল নিতে আসা হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালকদের ভ্রাম্যমান দোকান থেকে হেলমেট ক্রয় সাপেক্ষে ছেড়ে দেওয়া হয়। আর যাদের মাথায় হেলমেট ছিল তাদেরকে পরামর্শমূলক উপদেশসহ ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

 

এসময় পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক বলেন, যারা মোটরসাইকেল চালায়, হেলমেট তাদের জন্য খুব জরুরি। তাই পেট্রোল পাম্পগুলোতে জনসচেতনতামূলক লিফলেট ও স্টিকার টাঙানো হয়েছে। পাশাপাশি পাম্প কর্তৃপক্ষকে হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালকদের জ্বালানি না দিতে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আর জ্বালানি না পেলে কেউ মোটরসাইকেল চালাতে পারবে না। ফলে সরকারের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের পাশাপাশি দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা অনেকটা কমে যাবে। পাশাপাশি আমাদের এ অভিযান চলমান থাকবে। এ জন্য সবার মাঝে জনসচেতনতা খুবই জরুরি। একটি জীবনের মূল্য আছে। তাই সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।


পুলিশ   নো হেলমেট   নো ফুয়েল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আমরা দ্বিতীয় স্যাটেলাইটের প্রস্তুতি নিচ্ছি: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০১:৪৮ পিএম, ০২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট নিয়ে নতুন আভাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা এখন দ্বিতীয় স্যাটেলাইটের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

রোববার (২ জুন) সকাল ১০টায় গণভবনে 'আমার চোখে বঙ্গবন্ধু' শীর্ষক এক মিনিটব্যাপী ভিডিওচিত্র তৈরি প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচিতদের সম্মাননাপত্র, ক্রেস্ট ও আর্থিক পুরস্কার প্রদান শেষে এসব কথা বলেন তিনি। 

তিনি বলেন, আমরা যখন ১৯৯৬ সালে ক্ষমতা এলাম তখন কম্পিউটার শিক্ষার ওপর জোর দিলাম। তখন সব ছিল অ্যানালগ। দ্বিতীয়বার আমরা ক্ষমতায় এসে ঘোষণা দিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ করবো। এখন আমাদের স্যাটেলাইট আছে।

তিনি বলেন, অনেকে বলেন স্যাটেলাইটের কী দরকার ছিল! আমাদের দেশে কিছু মানুষ আছে, যাদের সবকিছুতে কিছু ভালো লাগে না। যেটাই করবো, তারা বলে এটা কী দরকার ছিল। মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ে এটার কী দরকার! খামাখা পয়সা নষ্ট! এরকম নেতিবাচক মনোভাব নিয়েই তারা চলে। আবার যখন তৈরি করি তখন খুব মজা করে ব্যবহার করে।

তিনি আরও বলেন, 'ভিক্ষুক জাতির কোনো ইজ্জত থাকে না। ১৯৭৫ এর পর আমরা ভিক্ষুক জাতিতে পরিণত হয়েছিলাম। বিদেশে যখন যেতাম, বাংলাদেশ শুনলে বলতো- তোমাদের ওখানে তো দুর্ভিক্ষ হয়, ঝড় হয়, জলোচ্ছ্বাস হয়, বন্যা হয়। খুব করুণার পাত্র। 

এছাড়াও তিনি বলেন, এয়ার এমিরেটসে উঠলে দেখতাম বাচ্চাদের জন্য চাঁদা তোলা হতো, সেখানে বাংলাদেশের নাম আছে। আমার আত্মমর্যাদায় লাগলো। আমি সরকারে আসার পর বললাম এই জিনিসটা যেন না থাকে। আমরা আসার পর খাদ্য নিরাপত্তা, লেখাপড়া নিশ্চিত করেছি। আমরা বলেছি আমরা কারও কাছে হাত পাতবো না।


স্যাটেলাইট   প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রি পেইড মিটার বিড়ম্বনার?

প্রকাশ: ০১:২৩ পিএম, ০২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ডিজিটাল থেকে স্মার্ট  হওয়ার পথে দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দেশে প্রি পেইড মিটার স্থাপনের উদ্দেশ্য ছিল বিদ্যুতের অপচয় নিয়ন্ত্রণ এবং ভুতুড়ে বিল নিয়ে গ্রাহকদের ভোগান্তি কমানো। বিদ্যুৎ খাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্রাহক সেবার মান উন্নয়নে সরকার ২০১৫ সালে প্রি পেইড মিটার সিস্টেম চালু করে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উপযুক্ত পরিকল্পনার অভাবে তা গ্রাহক ভোগান্তিতে রূপ নিয়েছে অনেক ক্ষেত্রে। 

প্রি পেইড মিটারে প্রতিমাসে একবার করে গ্রাহকের ডিমান্ড চার্জ, মিটারের ভাড়া এবং ভ্যাটের টাকা কেটে নেয়া হয়। মিটার ভাড়া ছাড়া বাকি দুটো চার্জ পোস্ট পেইডেও দিতে হতো। প্রি পেইড মিটারে ডিমান্ড চার্জ বাড়তি সংযুক্তি।

জানা গেছে, বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার রিচার্জের ক্ষেত্রে সাধারণত ২০ ডিজিটের একটি টোকেন নম্বর আসে গ্রাহকের মুঠোফোনে। সেই টোকেন নম্বরটি মিটারে প্রবেশ করালে রিচার্জ সম্পন্ন হয়। কোনো ধরনের ভুল হলে সেই রিচার্জ আর সফল হবে না। একাধিকবার ভুল হলে মিটারটি লক হয়ে যায়। তবে ২০ ডিজিটের নম্বরটি কিছুটা সহজ হলেও বর্তমানে বিপত্তি বেঁধেছে। সেই ২০ ডিজিটের নম্বরটি এখন স্বাভাবিকের চেয়ে ১০-১২ গুণ বেশি অর্থাৎ ২০০ থেকে ২২০ ডিজিট আসছে। এ নিয়ে ভোগান্তিতে গ্রাহকরা। লম্বা এ ডিজিট মিটারে প্রবেশ করাতে একদিকে যেমন ভোগান্তি, ভুলের কারণে কখনো কখনো লক হচ্ছে মিটার।

অন্যদিকে প্রিপেইড মিটারের প্রয়োজনীয় ও সর্বশেষ ব্যালেন্স সংকেত না পাওয়ায় হুট করে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হওয়ার ভোগান্তি আরও বেশি পীড়াদায়ক। অভিযোগ, প্রিপেইড মিটারে ব্যালেন্স শেষ হয়ে রাতে কোনো গ্রাহকের বিদ্যুৎ চলে গেলে গোটা রাত বিদ্যুৎবিহীন কাটাতে হয় ওই পরিবারকে। এ অবস্থার পরিত্রাণ চেয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ সংশ্লিষ্টদের বারবার অবহিত করেও গ্রাহকরা সুফল পাচ্ছেন না। সেইসঙ্গে বাড়তি ভোগান্তি হিসেবে যোগ হয় এই মিটারের বিল পরিশোধের বিষয়টি। কেননা এখনও এই সেবা সব জায়গায় না থাকায় বিল পেমেন্ট করা যায় হাতে গোনা কয়েকটি স্থানে।

এছাড়া কম্পিউটারের মাধ্যমে শুধু কার্ড রিচার্জ করলেই শেষ নয়, ফিরে এসে মিটারে ওই কার্ড পাঞ্চ করলে তবেই বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়। এভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার যেন রীতিমতো বিরক্তিকর একটি বিষয়ে পরিণত হয়েছে গ্রাহকদের জন্য।

ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) এর কর্তা ব্যক্তিরা বলছেন, মানুষ যেভাবে মোবাইলে ক্রেডিট রিচার্জ করে ঠিক সেভাবেই যেন বিদ্যুতের প্রি পেইড কার্ড রিচার্জ করা যায়, সেই ব্যবস্থাই করা হচ্ছে।

তবে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলোর খামখেয়ালিপনার ফলে গ্রাহকদের এ ভোগান্তি হচ্ছে বলে দাবি তথ্য প্রযুক্তিবিদদের। তাদের মতে বিকল্প আছে অনেক, প্রয়োজন কেবল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের সদিচ্ছা। সকল প্রস্তুতি যথাযথ ভাবে সম্পন্ন করে এরপর গ্রাহকের কাছে নির্বিঘ্নে প্রি পেইড সিস্টেমে বিদ্যুৎ সেবা পৌঁছে দেয়া যেত কিনা সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক গ্রাহক লিখেছেন, “বিড়ম্বনার আরেক নাম ডিজিটাল প্রি পেইড মিটার। এই মিটার ব্যবহার করতে গিয়ে ইতিমধ্যেই বিরক্তির সীমা ছাড়িয়ে গেছে। 

১. ধরুন আপনি ৫/৭ দিনের জন্য বাড়ির বাইরে আছেন, এখন টাকা শেষ হয়ে গেলো। তো আপনার ঘরের ফ্রিজে রাখা সমূহ দ্রব্য পচে যাবার সম্ভাবনা আছে। 

২. এমন সময়ে আপনার টাকা শেষ হয়ে গেল, তখন আপনার হাতে টাকা নেই। হয়তো দুই/তিন দিন পরে আপনার টাকা হবে। তাহলে এই দুই/তিন দিন কিভাবে চলবে? হয় আপনাকে বিদ্যুৎবিহীন থাকতে হবে, নতুবা অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে কারো কাছে টাকা ধার করতে হবে। 

৩. আপনার মিটারে মধ্যরাতে টাকা শেষ হয়ে গেল তখন আপনার বিকাশে/নগদে টাকা নেই। বাকি রাতে আপনি বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না। গরমে ঘুম হল না। পরের দিন আপনার ব্যক্তিগত বা অফিসিয়াল কাজের ব্যাঘাত ঘটবে। অন্ধকার রুমে আপনি কোথাও ধাক্কা খেয়ে আহতও হতে পারেন।

৪. বাড়িতে আপনার বৃদ্ধ বাবা-মা আছেন। তাদের বিকাশে বা দোকানে টাকা রিচার্জ করার অভিজ্ঞতা নেই বা সুযোগ কম। তাহলে তাদের মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়তে হবে।

৫. রিচার্জ করার সাথে সাথে একটা অংশ সার্ভিস চার্জ, ডিমান্ড চার্জ, মিটার ভাড়ার জন্য কেটে নেয়। এতো টাকা কেন একজন গ্রাহককে দিতে হবে?”

বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে মোট বিদ্যুৎ গ্রাহক ৪ কোটি ৭০ লাখ। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ৬০২ কিলোওয়াট ঘন্টা। আর এইসব গ্রাহকদের ধাপে ধাপে প্রি পেইড মিনারের আওতায় আনার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। দেশব্যাপী প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের কাজ করছে বিদ্যুৎ বিতরণকারী ছয়টি কোম্পানি।

এগুলো হল-বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি), বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি), ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি), ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো), ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো), এবং নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)। বর্তমানে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের ছয়টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।


প্রি পেইড   মিটার   পোস্ট পেইড  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন