আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল ভারত সফর করে এলেন। তিন দিনের এই ভারত সফরে তারা ভারত সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বিজেপি নেতৃবৃন্দের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি’র সভাপতি এবং নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের বৈঠক। আর এই বৈঠকে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির সভাপতি সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা চান তারা। আওয়ামী লীগ যেন ক্ষমতায় আবার আসতে পারে, এই বার্তাটি কোনো রাখঢাক ছাড়াই বিজেপি’র সভাপতি জেপি নাড্ডা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছেন। এর ফলে আগামী নির্বাচনেও যে ভারত-বাংলাদেশে অসম্প্রদায়িক রাজনৈতিক চেতনা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকারকে ক্ষমতায় চায়- এটি সুস্পষ্ট করল। এ নিয়ে ভারত এখন আর কোনো লুকোচুরি করেনি।
আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতার সফর ভারতে ছিল এক তাৎপর্যপূর্ণ সময়ে। যে সময়ে বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে হঠাতে কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলো মিলে ইন্ডিয়া জোট গঠন করেছে। যখন ড. রাজ্জাকের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল ভারতে ছিলেন, সেই সময়ে ভারতের পার্লামেন্টে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। এ রকম একটি উত্তেজনাময় রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেও বিজেপি’র সভাপতি আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন দীর্ঘ সময় ধরে। এটি বাংলাদেশের ব্যাপারে ভারতের আগ্রহের বার্তা দেয়। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের যে কোনো বিকল্প এখন ভারতের কাছে এখন নেই- সেই মনোভাবটি সুস্পষ্ট করে। প্রশ্ন উঠেছে, ভারত কেন আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় দেখতে চায়?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পাঁচটি কারণে আওয়ামী লীগের কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করে ভারত সরকার। শুধু বিজেপি নয়, এমনকি ভারতে যদি ক্ষমতার পট পরিবর্তন হয়, যারাই ক্ষমতায় আসুক না কেন, তারাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকেই প্রথম পছন্দ হিসেবে বেছে নেবে। এর কারণগুলো হচ্ছে:-
১. শেখ হাসিনার নেতৃত্ব: আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় চাওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হলো শেখ হাসিনার নেতৃত্ব। শেখ হাসিনা গত ১৫ বছর বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। শেখ হাসিনা এখন শুধু বাংলাদেশের সরকারপ্রধান বা নেতা নন, তিনি এখন একজন বিশ্বনেতা এবং উপমহাদেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তার নেতৃত্বেই বিশ্বে মৌলবাদ এবং সন্ত্রাসমুক্ত রাজনীতির একটি আবহাওয়া তৈরি হচ্ছে। এ কারণেই ভারত মনে করে, শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেতৃত্ব এখন বাংলাদেশে নেই।
২. বিচ্ছিন্নতাবাদী দমন: আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিপুলভোটে বিজয়ী হয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের সময় আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে, তারা কোনোভাবেই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেবে না। বাংলাদেশের মাটি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ সরকার সেই কথা রেখেছে। এটি ভারতের জন্য সবচেয়ে বড় স্বস্তির কারণ। এর ফলে ভারত একটা স্থিতিশীল অবস্থায় এসেছে। বিচ্ছিন্নতাবাদের তাণ্ডব থেকে রক্ষা পেয়েছে। আর একারণেই ভারত সব সময় আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায়। ভারত এখনো মনে করে, আওয়ামী লীগ সরকার যদি ক্ষমতায় না থাকে, তাহলে যারা ক্ষমতায় আসবে- তারা এ ধরনের বিচ্ছিন্নতাবাদীদেরকে লালন-পালন এবং প্রশ্রয় দিতে পারে। ফলে ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা বিপন্ন হতে পারে।
৩. সাম্প্রদায়িক শক্তি এবং মৌলবাদীদের উত্থান: ভারত মনে করে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক শক্তি, মৌলবাদ এবং জঙ্গিদের বিস্তার ঘটবে। তারা বাংলাদেশকে একটি অস্থিতিশীল অবস্থার দিকে নিয়ে যাবে। এই বাস্তবতাতেই তারা আওয়ামী লীগের কোনো বিকল্প ভাবতে পারছে না।
৪. বিএনপির রাজনীতি: ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি ক্ষমতায় ছিল এবং সেই সময়ে বিএনপি ভারতের সঙ্গে যা করেছে, সেটি ভারতের নেতারা ভুলতে পারেন নাই। ভারতের অধিকাংশ থিঙ্কট্যাঙ্ক মনে করেন, বিএনপি আইএসআই দ্বারা পরিচালিত একটি রাজনৈতিক দল এবং তারা ক্ষমতায় এলে, আবার এই অঞ্চলে পাকিস্তান নানা রকম কর্মকাণ্ড শুরু করবে, যেটি হবে ভারতের স্বার্থবিরোধী। এ কারণেই তারা আওয়ামী লীগের কোনো বিকল্প ভাবতে পারেন না।
৫.সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা: বিজেপি এবং ভারত মনে করে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের এখনো অনেক অধিকার বাকি আছে। এখনো সংখ্যালঘুরা নানাভাবে নির্যাতিত হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারই সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষায় সবচেয়ে ভালো পছন্দ এবং তাদের কোনো বিকল্প নেই। অন্যরা এলে সংখ্যালঘু নিধন এবং সংখ্যালঘুদের মৌলিক মানবাধিকার হরণ প্রক্রিয়া আরো বাড়বে। এ কারণেই ভারত মনে করে, আওয়ামী লীগের কোনো বিকল্প এই মুহূর্তে নাই এবং আগামী নির্বাচনে তারা ক্ষমতার ধারাবাহিকতা দেখতে চায়।
ভারত আওয়ামী লীগ ক্ষমতা সরকার বিএনপি নির্বাচন
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের একটি বক্তব্যকে নিয়ে বিএনপির উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সাম্প্রতিক সময়ে আম আদমি পার্টির জামিনে মুক্তি পাওয়া এই নেতার একটি বক্তব্য বিএনপি তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে শেয়ার করেছে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বক্তার বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলেছেন। তিনি রাশিয়ার উদাহরণ দিয়েছেন। রাশিয়া নির্বাচনে পুতিন একচ্ছত্রভাবে বিরোধী দল দমন করে বিজয়ী হয়েছেন বলে অরবিন্দ কেজরিওয়াল উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের নির্বাচনে শেখ হাসিনা সকল বিরোধী দলের নেতাদেরকে গ্রেপ্তার করে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বলেও অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেছেন। তিনি পাকিস্তানে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে তার দলের প্রতীক কেড়ে নিয়ে নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা বিজয়ী হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল আসলে সমালোচনার তীর ছুড়েছেন নরেন্দ্র মোদীর দিকে। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশকে অনুসরণ করে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চান বলেও আম আদমি পার্টির এই নেতা তার বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন। আর এই বক্তব্য নিয়েই বিএনপির মধ্যে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে। বিএনপির নেতারা শুধু ইউটিউবেই এটি রিপোস্ট করেনি, তারা তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক এবং টুইটারেও এই বক্তব্যের ভিডিও ছড়িয়ে দিয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষ করে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বিএনপির মধ্যে এক ধরনের ভারত বিরোধী প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। ভারতের সমালোচনা করা এবং ভারত এই সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে এমন বক্তব্য বিএনপি নেতাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছিল। যদিও ইন্ডিয়া জোটের প্রধান শরিক কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইস্তাহারে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন এবং সম্পর্ক আরও গভীর করার বার্তা দিয়েছেন। ভারতের অন্য একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেসও আওয়ামী লীগ এবং বর্তমান সরকারের সমর্থক। বিজেপি গত এক দশকে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। এরকম অবস্থায় ভারতের নির্বাচনে যে ফলাফলই হোক না কেন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে তেমন কোন ব্যত্যয় হবে না বলেই কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
এর মধ্যে আম আদমি পার্টির বক্তব্য নিয়ে বিএনপির উচ্ছ্বাস নিয়ে অনেকেই নানারকম টীকা-টিপ্পনি কেটেছেন। কেউ কেউ মনে করেন যে, এর আগে যখন কংগ্রেসকে হারিয়ে নরেন্দ্র মোদী প্রথমবার ক্ষমতায় এসেছিলেন তখনও বিএনপির মধ্যে উৎসব উৎসব ভাব সৃষ্টি হয়েছিল। বিএনপি নেতারা মিষ্টিমুখ করিয়েছিলেন। তাদের ধারণা ছিল যে, কংগ্রেস চলে গেলেই আওয়ামী লীগের উপর চাপ সৃষ্টি হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, বিজেপির সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করার পর দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। এখন কেজরিওয়ালের নির্বাচনের মাঠের বক্তব্যকে নিয়ে বিএনপি আশায় বুক বেঁধে আছে। মুখে মুখে ভারত বিরোধীতা করলেও ভারতের অনুগত এবং ভারতের আস্থাভাজন হওয়ার জন্য বিএনপি কম চেষ্টা করেনি।
আর এখনও বিএনপি যে ভারতের সাথে ঘনিষ্ঠ হতে চায় তার প্রমাণ পাওয়া গেল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বক্তব্যকে নিজেদের দলের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করে। কিন্তু বিএনপি নেতারা ভুলে গেলেন যে, একজন রাজনৈতিক নেতার রাজনৈতিক বক্তব্য, আর ক্ষমতায় এসে তার প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড- দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। দেউলিয়া রাজনীতির কারণে বিএনপি সবসময় অন্যের দিকে তাকিয়ে থাকে আওয়ামী লীগকে কোণঠাসা করার জন্য। সাম্প্রতিক সময়ে কেজরিওয়ালের বক্তব্য বিএনপির ইউটিউবে ছাড়ার মধ্য দিয়ে সেই দেউলিয়াত্ব আরেকবার প্রকাশিত হল বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অরবিন্দ কেজরিওয়াল রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে দেশটিতে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। চলতি মাসের শেষের দিকে ৫০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল চীনে যাবে।
গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছরপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। এই সফর কর্মসূচির লক্ষ্য আওয়ামী লীগের সঙ্গে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়ন এবং মতবিনিময়।
দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গত ১৪ এপ্রিল এক চিঠিতে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কাছে ৫০ সদস্যের একটি তালিকা পাঠিয়েছেন। এতে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ ও মহিলা শ্রমিক লীগ এবং আওয়ামী লীগের ডেটাবেজ টিমের সদস্যরা রয়েছেন।
দলীয় একাধিক সূত্র মতে, আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলটিকে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি সংগঠন গড়ে তোলা, সুশাসন, ইতিহাসসহ নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে।
৫০ সদস্যের প্রতিনিধি টিমে রয়েছেন:
আওয়ামী যুব লীগ:
সহ সভাপতি মৃনাল কান্তি জোয়ারদার ও তাজউদ্দীন আহমদ; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বদিউল আলম; সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, মো জহির উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, উপ আন্তর্জাতিক সম্পাদক মো সাফেড আসফাক আকন্দ।
আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ:
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান, সহ সভাপতি আব্দুল রাজ্জাক, তানভীর শাকিল জয় এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধুরী, একেএম আজিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল ফজল মো নাফিউল করিম, আবদুল্লাহ আল সায়েম৷
বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ:
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিরিন রোকসানা, মিনা মালেক, সুলতানা রেজা, মিসেস রোজিনা নাসরিন, নীলিমা আক্তার লিলি, সাংগঠনিক সম্পাদক ঝর্না বাড়ুই, মরিয়ম বিনতে হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহেনিগার হোসেন।
বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ:
সভাপতি আলেয়া সারোয়ার, সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা, সহ সভাপতি বিনা চৌধুরী, রাফিয়া আক্তার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিউটি কানিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন।
মহিলা শ্রমিক লীগ:
সভাপতি সুরাইয়া আক্তার, সাধারণ সম্পাদক কাজী রহিমা আক্তার, কার্যকরী সভাপতি শামসুর নাহার, সহ সভাপতি মেহেরুন নেসা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিনাত রেহেনা নাসরিন।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ:
সহ সভাপতি মো. রাকিবুল হাসান, কুহিনূর আক্তার, খাদেমুল বাশার জয়, খন্দকার মো আহসান হাবিব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো হোসাইন আহমেদ, মো আবদুল্লাহ হিল বারী, এসডিজি বিষয়ক সম্পাদক রাইসা নাহার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক জান্নাতুল হাওয়া আখি।
ডেটাবেজ টিম মেম্বার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ:
মো নুরুল আলম প্রধান, সাজ্জাদ সাকিব বাদশা, কাজী নাসিম আল মমিন, জাফরুল শাহরিয়ার জুয়েল, অদিত্য নন্দী, মো. সাদিকুর রহমান চৌধুরী, সাব্বির আহমেদ।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ইতোমধ্যে তিনি একটি হ্যাটট্রিক করেছেন। টানা তিন তিনবার আওয়ামী লীগের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই একমাত্র যিনি আওয়ামী লীগের তিনবার বা তার বেশি সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। এখন ওবায়দুল কাদেরও আওয়ামী লীগের টানা তিনবারের সাধারণ সম্পাদক। এবার তিনি আরেক রকম হ্যাটট্রিক করলেন।
আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের একটি বক্তব্যকে নিয়ে বিএনপির উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সাম্প্রতিক সময়ে আম আদমি পার্টির জামিনে মুক্তি পাওয়া এই নেতার একটি বক্তব্য বিএনপি তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে শেয়ার করেছে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বক্তার বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলেছেন। তিনি রাশিয়ার উদাহরণ দিয়েছেন। রাশিয়া নির্বাচনে পুতিন একচ্ছত্রভাবে বিরোধী দল দমন করে বিজয়ী হয়েছেন বলে অরবিন্দ কেজরিওয়াল উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের নির্বাচনে শেখ হাসিনা সকল বিরোধী দলের নেতাদেরকে গ্রেপ্তার করে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বলেও অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেছেন। তিনি পাকিস্তানে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে তার দলের প্রতীক কেড়ে নিয়ে নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা বিজয়ী হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। নির্বাচন পরবর্তী কোন্দল বন্ধে বিভিন্ন রকম উদ্যোগও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একাধিক বার দলীয় কোন্দল বন্ধের জন্য তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাংগঠনিক অবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। এই কোন্দল এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বা অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। দলের এই কোন্দল এতদিন তৃণমূল পর্যায় থাকলেও সেটি এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও শুরু হয়েছে।