বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ২৫ হাজারের বেশি প্রবাসীকে
ফেরত পাঠিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েত। চলতি বছরের শুরু থেকে ১৯ আগস্ট পর্যন্ত এসব
প্রবাসীকে ফেরত পাঠানো হয়। হিসেব অনুযায়ী, প্রত্যেকদিন গড়ে প্রায় ১০৮ জন প্রবাসীকে
কুয়েত ছাড়তে হয়েছে। দেশটির কর্তৃপক্ষ বলছে, ওই প্রবাসীদের বেশিরভাগই বাসস্থান এবং শ্রম
আইন লঙ্ঘনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন।
নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো প্রবাসীদের মধ্যে ১০
হাজার নারী রয়েছেন; তাদের বিরুদ্ধে কুয়েতের বিভিন্ন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ ছিল। এছাড়াও
মাদকদ্রব্য পাচার ও বিতরণ, ভিক্ষাবৃত্তিতে লিপ্ত হওয়া এবং কুয়েতের জাতীয় নিরাপত্তার
জন্য ক্ষতিকর কাজের সাথে জড়িত থাকার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন ওই প্রবাসীরা।
কুয়েতের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
শেখ তালাল আল খালেদ একটি নির্দেশনা জারি করার পর দেশটিতে প্রবাসীদের বিরুদ্ধে এই অভিযান
পরিচালনা করা হয়েছে। এই অভিযানের লক্ষ্য ছিল আইন লঙ্ঘনকারী, বিশেষ করে অবৈধ কর্মকাণ্ডে
জড়িতদের থেকে দেশকে রক্ষা করা।
কুয়েতের জ্যেষ্ঠ এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন,
জাতীয় আইন লঙ্ঘন করে দেশে বসবাসকারী প্রায় ১ লাখ প্রবাসীর বিরুদ্ধে বিস্তৃত পরিসরে
অভিযান পরিচালনা পরিকল্পনা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, চলতি বছরের শেষের দিক নাগাদ আইন লঙ্ঘনের
দায়ে ফেরত পাঠানো প্রবাসীর সংখ্যা ৩৫ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
কুয়েত প্রবাসী ২৫ হাজার ফেরত পাঠালো
মন্তব্য করুন
দিনকে দিন বিশ্বব্যাপী ছোট হয়ে আসছে মাছের আকার। এর ফলে বর্তমানে যেসব দীর্ঘাকৃতির মাছ সাগরে পাওয়া যাচ্ছে, অদূর ভবিষ্যতে হয়তো তেমনটি আর পাওয়া যাবে না। বিশ্বজুড়ে মাছের আবাসস্থল নিয়ে এক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এমন চমক জাগানিয়া তথ্য উঠে এসেছে।
মেরুদণ্ডী প্রাণীর মধ্যে মাছ সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় প্রজাতি। এদের মধ্যে রয়েছে ক্ষুদ্র গবি ও জেব্রাফিশ থেকে শুরু করে বিশালাকার টুনা, তিমি ও হাঙর। মাছের মাধ্যমে অত্যাবশ্যক খাদ্য সরবরাহ হয় বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষের। স্বাভাবিকভাবেই মাছ জলজ বাস্তুতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সেই গুরুত্বপূর্ণ অংশটিই বিশ্বজুড়ে এখন হুমকির মুখে।
বিশ্বজুড়ে মাছের আবাসস্থল নিয়ে পরিচালিত এক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের ওপর উল্লেখযোগ্যহারে প্রভাব ফেলছে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন। এর ফলে ধীরে ধীরে বিশ্বজুড়ে উষ্ণ হয়ে আসছে মাছের আবাসস্থল। আর এতে দিনকে দিন ছোট হয়ে আসছে মাছের আকার। বলা হচ্ছে, গত ৪০ বছরে উত্তর সাগরের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক মাছের প্রজাতি আকারে ১৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। কারণ এই সময়ে সেখানে পানির তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গবেষণায় দেখা গেছে, মাছের ওপর উষ্ণ জল অত্যন্ত খারাপ ধরনের প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে, বড় মাছের ক্ষেত্রে এই প্রভাব খুবই উল্লেখযোগ্য। বড় মাছ আকারে ছোট হয়ে গেলে দ্রুত পরিপক্ব হয় এবং অল্প বয়সে প্রজননে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এতে আকারে ছোট হতে থাকে মাছের পরবর্তী প্রজন্ম।
তাড়াতাড়ি পরিপক্ব হওয়ার এই বৈশিষ্ট্যটি মাছের বর্তমান থেকে নতুন প্রজন্মে স্থানান্তরিত হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, এটি ‘মৎস্য-প্ররোচিত বিবর্তন‘ নামে পরিচিত। এর ফলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মাছ আকারে হ্রাস পেতে থাকে।
বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ছোট মাছ আনুপাতিকভাবে কম সন্তান উৎপাদন করে। মাছের আকার ছোট হওয়ার অর্থ হলো প্রতিটি মাছের কম সন্তান হবে এবং বেশি বেশি মাছ ধরা পড়বে। পরিবেশগত এবং বাণিজ্যিকভাবে এই প্রক্রিয়ার যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে এবং তা সরাসরি আঘাত করবে মানবজাতিকে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি
মন্তব্য করুন
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত ইরানের প্রেসিডেন্ট
মন্তব্য করুন