নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:১৯ পিএম, ১৩ মার্চ, ২০১৮
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে রেক্স টেলারসনকে বরখাস্ত করলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে সিআইএ-র ডিরেক্টর মাইক পম্পেকে নিযুক্ত করা হয়েছে।
রেক্স টেলারসন এই পদে মাত্র এক বছর আগেই নিযুক্ত হয়েছিলেন। তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় বলেছেন, নতুন স্টেট সেক্রেটারিও চমৎকার কাজ করবে।
অন্যদিকে গিনা হ্যাসপেলকে সিআইএর নতুন ডিরেক্টর হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। হ্যাসপেলকে নিযুক্ত করা হলে তিনিই প্রথম নারী হিসেবে এই পদে বসবেন। ট্রাম্প সবাইকেই অভিনন্দন জানিয়েছেন।
হোয়াইট হাউসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘প্রেসিডেন্ট উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আসন্ন বৈঠক ও বিভিন্ন ব্যবসায় চুক্তিকে সামনে রেখে নতুন দল গঠন করতে চাইছেন। ’
বাংলা ইনসাইডার/ডিজি/জেডএ
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নুসেইরাত শরণার্থী ক্যাম্পে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। শনিবারের এই হামলায় অন্তত ২১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামলা চালিয়ে চার জিম্মিকে উদ্ধারের দাবি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী আকাশ, স্থল ও সমুদ্রপথে গাজা উপত্যকায় তীব্র হামলা চালাচ্ছে। এই হামলা যুদ্ধক্লান্ত বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।
শনিবার রাফাহ শহরের পশ্চিমে এবং উত্তরে গাজা সিটির একাধিক এলাকাতে হামলা করেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিহত ও আহতদের 'বিপুল সংখ্যক' কে আল-আকসা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে যাদের বেশিরভাগই শিশু ও নারী।
এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, কয়েক ডজন আহত মানুষ মাটিতে পড়ে আছেন এবং মেডিকেল টিম তাদের কাছে থাকা প্রাথমিক চিকিৎসার সক্ষমতা দিয়ে আহতদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। ওষুধ ও খাদ্যের ঘাটতি রয়েছে এবং জ্বালানির অভাবে হাসপাতালের প্রধান জেনারেটরটি কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে।
এদিকে হামাস বলেছে, ইসরায়েলের কাছে তারা আত্মসমর্পণ করবে না। হামাসের পলিটব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়া বলেন, ইসরায়েল তাদের ইচ্ছা হামাসের ওপর চাপিয়ে দিতে পারবে না এবং ফিলিস্তিনিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হচ্ছে না এমন কোনো চুক্তিও মানা হবে না। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, আমাদের সাধারণ মানুষ আত্মসমর্পণ করবে না এবং এই অপরাধী শত্রুদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে আবারও বৈঠকে বসতে যাচ্ছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। এবারের লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি। ফলে অন্যবার শরিকদের তেমন পাত্তা না দিলেও এবার তাদের বেশ গুরুত্ব দিতে হচ্ছে। সুযোগ বুঝে দরকষাকষি করতেও ছাড়ছেন না শরিক দলের নেতারা। ইতোমধ্যে নতুন মন্ত্রিপরিষদে কোন দল কত মন্ত্রণালয় পাচ্ছে, বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে সে খবর দেয়া শুরু করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, অন্ধ্রপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর দল টিডিপিকে মোদির নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভায় চারটি পদ দেয়া হবে। অন্যদিকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দলকে দুটি পদ দেয়া হবে।
মোদির নতুন সরকারে দায়িত্ব পেতে পারেন এমন চার টিডিপি নেতার মধ্যে তিনজন হলেন- রাম মোহন নাইডু, হরিশ বালাযোগী ও দগ্গুমাল্লা প্রসাদ। অন্যদিকে মন্ত্রী হিসেবে নীতিশ কুমারের জনতা পার্টি (জেডিইউ) দুই সিনিয়র নেতা লালন সিং ও রামনাথ ঠাকুরের নাম প্রস্তাব করেছে। লালন সিং বিহারের মুঙ্গের থেকে লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছেন। আর রামনাথ ঠাকুর রাজ্যসভার এমপি। তিনি ভারতরত্ন পুরস্কারপ্রাপ্ত কর্পুরী ঠাকুরের ছেলে।
রোববার (৯ জুন) টানা তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন মোদি। একই দিন ভারতীয় নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরাও শপথ নেবেন। তাদের এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আগে এনডিএ জোটের এক বৈঠকে মন্ত্রণালয় ভাগাভাগির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সূত্রের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, নতুন সরকারে চারটি মন্ত্রণালয় এবং সংসদের স্পিকার পদ দাবি করেছে টিডিপি। অন্যদিকে দুটি মন্ত্রণালয় চেয়েছে জেডিইউ। তবে দুই দলই নিজ নিজ প্রদেশের জন্য বিশেষ মর্যাদা দাবি করেছে। একই সঙ্গে রাজ্যের জন্য বরাদ্দ বাড়ানোর কথাও বলেছেন তারা।
সূত্রের বরাতে এনডিটিভির আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংসদের স্পিকার পদ শরিকদের দেবে না বিজেপি। তার বদলে টিডিপিকে ডেপুটি স্পিকার পদের প্রস্তাব দেয়া হতে পারে। এ ছাড়া নিরাপত্তা, অর্থ, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতো চারটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে শরিকদের রাখতে আগ্রহী না বিজেপি। তাই এই চার মন্ত্রণালয় যেভাবেই হোক নিজেদের দখলে রাখবে দলটি।
এর আগে গেল মঙ্গলবার ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়। সেখানে দেখা যায়, বিজেপি এককভাবে ২৪০টি আসন পেয়েছে। তবে কংগ্রেসের ইন্ডিয়া জোট ২৩২ আসনে জিতেছে। এ ছাড়া বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জেডিইউ ১২টি এবং অন্ধ্রপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলুগু দেশম পার্টি বা টিডিপি ১৬টি আসন পেয়েছে।
অন্য বারের মতো সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ২৭২টি আসন পায়নি মোদির বিজেপি। ফলে নির্বাচন পরবর্তী হিসাব-নিকাষে কিংমেকার হিসেবে আবির্ভূত হন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং অন্ধ্রপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। তাই এই দুই নেতার সঙ্গে জোট গড়ে সরকারে আসতে হচ্ছে মোদিকে। অবশ্য দল দুটিই বিজেপির এনডিএ জোটের শরিক দল। শরিকদের আসনসহ নির্বাচনে মোট ২৯৩টি আসন পায় এনডিএ জোট।
ভারত লোকসভা নির্বাচন নরেন্দ্র মোদি বিজেপি নাইডু
মন্তব্য করুন
চীনের শিক্ষার্থীদের
জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার নাম ‘গাওকাও’। এই পরীক্ষা ‘বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন
পরীক্ষা’ বা ‘সব পরীক্ষার মা’ হিসেবেও পরিচিত। এটা মূলত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা।
১২ বছরের পড়াশোনা শেষে উচ্চবিদ্যালয় পাশ করা শিক্ষার্থীরা এই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন।
এ বছর এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিয়েছেন ১ কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থী।
‘গাওকাও’
পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের মান্দারিন, ইংরেজি ও গণিত এই
তিন বিষয়ে বাধ্যতামূলক পরীক্ষা দিতে হয়। এছাড়াও পদার্থ, ইতিহাস ও রাজনীতিসহ বিভিন্ন
বিষয় থেকেও প্রশ্ন করা হয় এই পরীক্ষায়।
বিষয়ের
ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীদের এক থেকে আড়াই
ঘণ্টা পর্যন্ত পরীক্ষা দিতে হয়। এ সময়ের মধ্যে
তাদের কয়েকটি রচনা, এমসিকিউ ও শূন্যস্থান পূরণ
বিষয়ক প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়।
এ
পরীক্ষা মোট ৭৫০ নম্বরের । ভর্তির ক্ষেত্রে
এই নম্বর বেশ গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। চীনের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তিতে ৬০০-এর বেশি নম্বর
দরকার হয়।
গত
বছরের রেকর্ড ভেঙে চলতি বছর এ পরীক্ষার জন্য
১৩.৪ মিলিয়নের বেশি
শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছে। অর্থাৎ চীনে এর আগে এত
বড় 'গাওকাও' আর কখনোই আয়োজিত হয়নি। গত বছর ১২.৯ মিলিয়ন শিক্ষার্থী
এ পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করেছিল।
শুক্রবার
(৭ জুন) পরীক্ষার প্রথম দিনে পরীক্ষার হলের বাইরে ছাত্রছাত্রীদের বাবা-মাকে উদ্বিগ্ন চেহারায় অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
মন্তব্য করুন
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির প্রায় আট দশক পেরিয়ে গেছে। অক্ষশক্তির দেশ জার্মানি যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। কয়েক দশকের অবিশ্বাস্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দেশটিকে ইউরোপের অন্যতম ধনী দেশে পরিণত করেছে।
এবার জার্মানির নজর পড়েছে সামরিক খাতে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে। জার্মানির শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারাও প্রকাশ্যে যুদ্ধ প্রস্তুতির কথা বলছেন।
বিশ্ব শাসনের স্বপ্ন থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা করেছিল জার্মানি। যুদ্ধের পর জার্মানির অর্থনীতির কোমর ভেঙে যায়। উল্টো ক্ষতিপূরণের বোঝা বয়ে চলতে হচ্ছে এখনও।
তবে এবার কোনো রকম রাখঢাক না রেখেই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতির ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি। বুধবার দেশটির পার্লামেন্টে জার্মান প্রতিরক্ষমন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস বলেন, রাশিয়ার হুমকি বৃদ্ধি পাওয়ায় তার দেশের অবশ্যই যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।
সংবাদমাধ্যম পলিটিকো জানিয়েছে, ২০২৯ সালের মধ্যে আমাদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। ইউরোপের দেশগুলো বিশেষে করে পূর্ব ইউরোপে এই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে, রাশিয়া ইউক্রেন ছাপিয়ে অন্য দেশেও আক্রমণ করতে পারে। এরপরই ইউরোপের দেশগুলো সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে।
জার্মানিতে সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যকতামূলক করার বিষয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। দেশটির বিরোধী দল সিডিইউ বলছে, ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গেলে এক বছরের জন্য তরুণদের সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে আইন করার চেষ্টা করবে তারা। জার্মানিতে ২০১১ সাল পর্যন্ত এ ব্যবস্থা চালু ছিল। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা ও জার্মান সামরিক বাহিনীতে কর্মীর অভাবের কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিডিইউ।
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নুসেইরাত শরণার্থী ক্যাম্পে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। শনিবারের এই হামলায় অন্তত ২১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামলা চালিয়ে চার জিম্মিকে উদ্ধারের দাবি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী আকাশ, স্থল ও সমুদ্রপথে গাজা উপত্যকায় তীব্র হামলা চালাচ্ছে। এই হামলা যুদ্ধক্লান্ত বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।
নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে আবারও বৈঠকে বসতে যাচ্ছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। এবারের লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি। ফলে অন্যবার শরিকদের তেমন পাত্তা না দিলেও এবার তাদের বেশ গুরুত্ব দিতে হচ্ছে। সুযোগ বুঝে দরকষাকষি করতেও ছাড়ছেন না শরিক দলের নেতারা। ইতোমধ্যে নতুন মন্ত্রিপরিষদে কোন দল কত মন্ত্রণালয় পাচ্ছে, বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে সে খবর দেয়া শুরু করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
চীনের শিক্ষার্থীদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার নাম ‘গাওকাও’। এই পরীক্ষা ‘বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা’ বা ’সব পরীক্ষার মা’ হিসেবেও পরিচিত। এটা মূলত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা। ১২ বছরের পড়াশোনা শেষে উচ্চবিদ্যালয় পাশ করা শিক্ষার্থীরা এই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন। এ বছর এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিয়েছেন ১ কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থী।