ইনসাইড বাংলাদেশ

ভিসা নিষেধাজ্ঞাই শেষ না, আরও নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নজরদারি এবং দৃশ্যমান ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রেখেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে, তাদের বিশেষ নজরের কারণেই বাংলাদেশের শেষ পর্যন্ত একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব হবে। আর এই নজরদারি এবং সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যে ব্যবস্থা তা শুধুমাত্র ভিসা নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বিভিন্ন সূত্রগুলো এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। বরং তারা ধাপে ধাপে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। তাদের মূল পরিকল্পনা হলো শেষ পর্যন্ত একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগামীতে আর কি কি পদক্ষেপ নিতে পারে?

১. আরও ভিসা নিষেধাজ্ঞা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথম পর্যায়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর কয়েকজনের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এই সংখ্যা কত তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী এটি চার শতাধিক। তবে এটি অনুমিত একটি তথ্য। সঠিক তথ্য হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়েই বসে থাকবেন না। এখনো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত নজরদারি বাংলাদেশের ওপর আছে। যেখানেই অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন বিরোধী কর্মকান্ড লক্ষ্য করা যাবে এবং যেখানে কোনো ঘটনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নজরে আসবে যাতে প্রমাণিত হয় যে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার পক্ষে এটি বাধা সেখানেই যুক্তরাষ্ট্র ভিসার নীতি প্রয়োগ করবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, সামনের দিনগুলোতে অর্থাৎ আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সহ আরও একাধিক ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। এমনকি নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধেও ভিসা নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

২. বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা: ভিসা নিষেধাজ্ঞার বাইরেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্য ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে। সেই সমস্ত নিষেধাজ্ঞা গুলো কি হবে বা কোন ধরনের নিষেধাজ্ঞা হবে তা পর্যায়ক্রমে জানানো হতে পারে বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। 

৩. সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত: যে সমস্ত বাংলাদেশির মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সম্পদ রয়েছে তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় পদক্ষেপ। বিশেষ করে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বা যারা সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে বাধাগ্রস্ত হবে তাদের মধ্যে থেকে যদি কারো আত্মীয়স্বজন, পরিজনের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সম্পদ থাকে সেই সম্পদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাজেয়াপ্ত করতে পারে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে। 

৪. বাণিজ্য সংকোচন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সবচেয়ে বড় বাজার। প্রায় নয়শো কোটি ডলারের রপ্তানি হয় প্রতি বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি এই ব্যবসা-বাণিজ্য সংকোচনের নীতি ঘোষণা করতে পারে। তবে একটি সূত্র বলছে, এটি হবে নির্বাচনের পর। বাংলাদেশের নির্বাচন যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গ্রহণযোগ্য না হয় সেক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে কোনো পণ্য না কেনার মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এটি বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে।

৫. সামরিক সহায়তা বন্ধ: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি নির্বাচনের আগে সামরিক সহায়তা হ্রাস করা বা বন্ধ করার পদক্ষেপও নিতে পারে এবং এই সহায়তা বন্ধ করলে মার্কিন অর্থায়নে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর জন্য যে অস্ত্র গোলাবারুদ ইত্যাদি কেনা হয় তা রোহিত করা হবে। 

৬. অর্থনৈতিক অবরোধ: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ এবং সবচেয়ে ভয়ঙ্কর নিষেধাজ্ঞার অস্ত্র হলো অর্থনৈতিক অবরোধ। এটি অবরোধের শেষ ধাপ। তবে মার্কিন সূত্রগুলো বলছে, তারা ধাপে ধাপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। একবারেই সব কিছু করতে চায় না। ভিসা নিষেধাজ্ঞার পর তারা পরিস্থিতির কতটুকু উন্নতি হয়, অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে কিনা সেটা পর্যবেক্ষণের পরই পরবর্তী ধাপের ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করবে।

ভিসা নিষেধাজ্ঞা   ভিসা নীতি   বাংলাদেশের নির্বাচন   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চলতি মাসেই দি‌ল্লি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ১০:৩২ পিএম, ১৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগদানের পর চলতি মাসেই দ্বিপক্ষীয় সফরে দিল্লি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ২১ জুন এই সফরের কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে কূটনৈ‌তিক সূত্র। 

সূত্র জানিয়েছে, দ্বিপক্ষীয় সফরে আগামী ২১ জুন দিল্লি সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হা‌সিনা। তবে এবারের সফরটি হবে দুই দিনের। সফরকালে তিনি তৃতীয়বারের মতো ভার‌তের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়া নরেন্দ্র মোদির স‌ঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক কর‌বেন।

এর আগে গত শনিবার (৮ জুন) নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য ভারতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন পালাম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব (সিপিভি ও ওআইএ) মুক্তেশ পরদেশী, বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান স্বাগত জানান।

রোববার (৯ জুন) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগদানের পর নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক আয়োজিত রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে যোগ দেন।

দি‌ল্লি সফর   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এক-এগারোর কুশীলব হয়েও তিনি বড় আওয়ামী লীগার!

প্রকাশ: ১০:১৬ পিএম, ১৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

২০০৭ সালের ১৩ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় ৩ কোটি টাকা চাঁদাবাজির মামলা করেছিলেন ইস্টকোস্ট গ্রুপ এবং তৎকালীন প্রাইম ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজম জে চৌধুরী। এই মামলার কারণে ১৬ জুলাই শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। অথচ মামলাটি ছিলো সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।এই মামলায় অন্য আসামীদের মধ্যে ছিলেন শেখ হাসিনার ফুপাতো ভাই আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও বোন শেখ রেহানা।

কিন্তু অবাক করার বিষয় যে আজ এতদিন অতিবাহিত হলেও বহাল তবিয়তে আছেন সেই ব্যবসায়ী আজম জে চৌধুরী। রবং এ সময় তার ব্যবসার পরিধি আরও বেড়েছে বলেই জানা যায়। আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গেও এখন তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা শোনা যায়। ব্যবসায়ী আজম জে চৌধুরী নিজেও এখন বড় আওয়ামী লীগার বনে গেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যার শেখ হাসিনার মতো একজন সৎ রাজনীতিবিদের সুনাম ক্ষুণ্ন করেছেন তিনি কীভাবে আজ এত ক্ষমতাবান হলেন, তার ব্যবসারই বা এত স্ফীতি হলো কি করে? এক-এগারোর একজন কুশীলব হয়েও কীভাবে তিনি বড় আওয়ামী লীগার হলেন সেটি একটি রহস্যময় প্রশ্ন।  

এক-এগারো   আজম জে চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দুর্দিনের নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করুন: সংসদে এমপি নাসিম

প্রকাশ: ০৯:৪১ পিএম, ১৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের দুর্দিনে পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করার জন্য সকল সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রটোকল অফিসার আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনের আলোচনায় অংশ নিয়ে এ আহ্বান জানান তিনি। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, আমরা যারা আজকে এই সংসদে আছি এখানে আমরা তিন শ্রেণির মানুষ আছি। যারা প্রথম থেকে রাজপথে আন্দোলন করে এসেছি এবং রাজপথের নেতাদের সন্তানেরা এবং আরেকটি গ্রুপ হলেন বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত যারা। যারা বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে আওয়ামী লীগকে সমৃদ্ধ করেছেন। এই তিনি ভাগের সমস্ত সংসদ সদস্যদের প্রতি আমি আহ্বান জানাব আপনারা দুর্দিনের নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করুন। তাদেরকে হয়তো বাস্তবতার কারণে চালকের আসনে অধিষ্ঠিত করবেন না কিন্তু সন্মানের আসনে তাদেরকে অধিষ্ঠিত করুন।

এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, ৭৫ থেকে ৮১; ৭৫ থেকে ৮১; ৮১ থেকে ৯৬; ২০০১ থেকে ২০০৬ এবং ২০০৭-০৮ এই সময়ের আন্দোলন সংগ্রাম নিয়ে গবেষণা করার জন্য একটি কমিশন গঠনের প্রস্তাব করছি। এই সময় যারা আন্দোলন সংগ্রামে শহীদ হয়েছেন তাদেরকে অফিসিয়ালি শহীদের মর্যাদা দান করা হোক। 

দুর্দিনের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মাসে অন্তত দুইদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে নাসিম বলেন, এই সমস্ত নেতাকর্মীদের জীবনে আর চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। তারা শুধু শেষ বারের মতো সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে চায়, তার মুখ থেকে সরাসরি কথা শুনতে চায়। তাদের একজন শেখ হাসিনা আছেন এই আশায় তারা আছেন। 

সংসদে প্রধানমন্ত্রীর আন্দোলন সংগ্রামের জীবন তুলে ধরে এই সাংসদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী লন্ডনে বসে খুনী তারেক রহমানের মত শুধু নির্দেশ দেননি, আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেননি, আন্দোলনের কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য রাজপথে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। যে কারণে ২১ বার প্রধানমন্ত্রীর ওপর হামলা করা হয়েছে।

ফেনী-১ আসন থেকে বেগম খালেদা জিয়া চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন উল্লেখ্য করে আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম বলেন, এই নির্বাচনী এলাকা থেকেই খালেদা জিয়া দুবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েও এলাকার উন্নয়নের দিকে দৃষ্টিপাত করেননি। খালেদা জিয়ার শাসনামলে ফেনী-১ নির্বাচনী এলাকা উন্নয়ন বঞ্চিত ছিলো বলেও দাবি করেন এই সংসদ সদস্য।

আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের যানজট নিরসনে সমন্বয় সভা

প্রকাশ: ০৮:৫৭ পিএম, ১৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের ওপরের ঈদুল আজহায় যানজটকে সহনীয় পর্যায়ে আনার জন্য সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) যাত্রাবাড়ী জনপদ মোড়স্থ ফ্লাইওভার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন গ্রুপের অফিস কক্ষে ঢাকা-৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব মোঃ আওলাদ হোসেন এর সভাপতিত্বে ফ্লাইওভার ও পাশ্ববর্তী এলাকা সমূহের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে এক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

এতে অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মইনুল হাসান পিপিএম, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-মতিঝিল) হিসেবে কর্মরত, মোহাম্মদ আশরাফ ইমাম, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-ওয়ারী), অতিঃ-উপ পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-ওয়ারী) সুলতানা ইশরাত জাহান, সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক লালবাগ জোন) মোঃ গোলাম মোর্শেদ এবং  ফ্লাইওভার কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। 

সভায় ফ্লাইওভার ও পাশ্ববর্তী এলাকা সমূহের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আরো গতিশীলতা বাড়ানোর জন্য গুলিস্তান সহ অন্য ১০টি র‍্যাম্প এলাকায় বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার লক্ষ্যে সকলের সার্বিক সহযোগিতা ও ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠা অব্যাহত রাখবে মর্মে প্রতীতি ব্যক্ত করা হয়। ফ্লাইওভার কর্তৃপক্ষ সর্বমোট ০৭ টি টোল প্লাজায় টোলের গতি বাড়ানোর জন্য অধিকতর কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণসহ প্রতিটি র‍্যাম্প এলাকায়  আরো বেশি সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করবেন মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

উল্লেখ্য, মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার বাংলাদেশের প্রথম পিপিপি প্রজেক্টভুক্ত ফ্লাইওভার যা দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের যানবাহনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। অত্র ফ্লাইওভারে ১১টি র‍্যাম্প রয়েছে। তন্মধ্যে ৬টি স্থান থেকে যানবাহন উঠা এবং ৫টি স্থান থেকে নামার সুযোগ রয়েছে। এর সিংহভাগ ওয়ারী ট্রাফিক বিভাগের অন্তর্গত এবং মতিঝিল ট্রাফিক বিভাগে মাত্র ১ টি অথচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ র‍্যাম্প ব্যস্ততম গুলিস্তানে অবস্থিত। 

মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার   ঢাকা-৪   ড. মোঃ আওলাদ হোসেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বেনজীরের বিজনেস পার্টনারদের সম্পদ খুঁজছে দুদক

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশিদ আলম আজ বলেছেন যে, সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীরের বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগগুলো দাখিল করা হয়েছিল সেই অভিযোগগুলোর সত্যতা মিলেছে, খুব শীঘ্রই তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। দুর্নীতি দমন কমিশন সাবেক পুলিশপ্রধানের বিভিন্ন অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত করছে হাইকোর্টের নির্দেশে। ইতোমধ্যে বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি জব্দ করা হয়েছে। আর এখন বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করারও প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন। 

দুর্নীতি দমন কমিশনের সূত্রগুলো বলছে যে, বেনজীর আহমেদের বিপুল সম্পদের খোঁজ নিতে গিয়ে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। সাবেক এই পুলিশপ্রধান কেবল নামে বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ করেননি, অনেক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও তিনি বাণিজ্যিক এবং ব্যবসায়িক সম্পর্ক করেছেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ তার বিজনেস পার্টনার হিসেবেও পরিচিত ছিল। এখন এই সমস্ত বিজনেস পার্টনারদের ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশন খোঁজ খবর নিচ্ছে। বেনজীর আহমেদ কীভাবে তাদেরকে টাকা হস্তান্তর করেছেন এবং এই টাকা পেয়ে তারা কীভাবে বেনজীর আহমেদের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক করেছেন সে ব্যাপারেও খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। 

ইতোমধ্যে একজন সংসদ সদস্য অভিযোগ করেছেন যে, তার মালিকানাধীন টেলিভিশন চ্যানেল বেনজীর আহমেদ অস্ত্রের জোরে লিখে নেন এবং সেখানে তিনি একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করেছেন। একজন ব্যবসায়ীর নামও উল্লেখ করেছেন। শুধু এই ব্যবসায়ী নয়, সাম্প্রতিক সময়ে ফুলেফেঁপে ওঠা বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী বেনজীর আহমেদের ঘনিষ্ঠ বিজনেস পার্টনার ছিলেন, যাদেরকে বেনজীর আহমেদ বিভিন্ন সময়ে সুযোগ সুবিধা দিয়েছেন। বেনজীর আহমেদের লুন্ঠিত অর্থ যাদের কাছে গচ্ছিত রাখা হয়েছে এবং ঐ অর্থ যারা বিনিয়োগ করেছেন এরকম অন্তত ১০ জন ব্যবসায়ীর প্রাথমিক তথ্য দুর্নীতি দমন কমিশন পেয়েছে বলে জানা গেছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, ব্যাংকিং সেক্টরে রকম একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি, একজন এখন ফার্নিচার ব্যবসায়ী সহ বেশ কিছু ব্যবসায়ীর পরিচয় পাওয়া গেছে যে সমস্ত ব্যবসায়ীরা বেনজীর আহমেদের কাছ থেকে বিভিন্ন রকম সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন এবং বেনজীর আহমেদকে তাদের পার্টনার হিসেবে গ্রহণ করেছেন। 

দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়িত্ব সূত্রগুলো বলছে, এই সমস্ত তথ্যগুলো তারা এখন বিচার বিশ্লেষণ এবং যাচাই বাছাই করেছেন। যাচাই বাছাই শেষ হওয়ার পরই এ ব্যাপারে তারা চূড়ান্তভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। যারা বেনজীরের বিজনেস পার্টনার রয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে দুর্নীতি দমন কমিশনের সূত্রগুলো বলছে যে, যে সমস্ত ব্যবসায়ীরা বেনজীর আহমেদকে অবৈধ সুযোগ সুবিধা দিয়েছেন আর অন্যদিকে যাদেরকে বেনজীর আহমেদ তার লুণ্ঠিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দিয়েছেন তারা সবাই অভিযুক্ত। তবে দুদক প্রথম ধাপে বেনজীর আহমেদের দুর্নীতি তদন্ত করছে। পরবর্তী ধাপে তারা এ ধরনের অনিয়ম এবং দুর্নীতির সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকেও আইনের আওতায় আনবে।

বেনজীর আহমেদ   দুদক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন