নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৪৫ পিএম, ২০ মার্চ, ২০১৮
ব্যবহারকারীদের তথ্য অন্যের কাছে বিক্রি করা নিয়ে বহুদিন ধরেই জায়ান্ট সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক সমালোচনার মুখে আছে। তথ্য অপব্যবহারের অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে জন্য নতুন কিছু না। বিভিন্ন সময় এদের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এ থেকেই ধারণা করা হচ্ছে যে এবার হয়তো ফেসবুক তদন্তের মুখে পড়বে।
ব্যবহারকারীর তথ্য নিয়ে ফেসবুক কী করছে, সে প্রশ্ন ইতিমধ্যেই আসতে শুরু করেছে। এর ব্যবসায় প্রণালী নিয়েও দ্বন্দ্ব আর মতভেদ আছে। আর তাই ফেসবুকের বিরুদ্ধে তদন্ত আশা করছেন ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন পক্ষ রাজনীতিবিদেরা।
২০১৪ সাল থেকে একটি রাজনৈতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ফেসবুকের পাঁচ কোটির মতো গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য পেয়েছে। তবে গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশের আগেই গত শুক্রবার ফেসবুক এক ব্লগ পোস্টে জানায়, ট্রাম্প শিবিরের প্রচারণার জন্য পরিচিত একটি ডাটা কোম্পানিকে তাদের বেশকিছু গ্রাহকের তথ্যে প্রবেশাধিকার দিয়েছিল। প্রতিষ্ঠানটি এসব তথ্য এখনো মুছে ফেলেনি। এর আগে ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়া প্রভাব বিস্তারে ফেসবুকের প্লাটফর্ম ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে ফেসবুকের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
মার্কিন ডেমোক্রেটিক দলের সিনেটর অ্যামি ক্লোবুচর এক টুইট বার্তায় লিখেছেন— এটা স্পষ্ট যে, ইন্টারনেট প্লাটফর্মগুলো তাদের সুরক্ষা দিতে পারবে না। ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গের বক্তব্য তুলে ধরে অ্যামি ক্লোবুচর বলেন, তাদের বিশ্বাস করতে বলা হয়েছে। মার্ক জাকারবার্গকে সিনেট বিচার বিভাগীয় কমিটির সামনে সাক্ষ্য দিতে হাজির করা উচিত।
ফেসবুকের তথ্যমতে, গ্রাহক তথ্যের অপব্যবহার নিয়ে সমস্যার মূলে রয়েছে গবেষক ও ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা। এতে তাদের নীতিমালার অপব্যবহার করা হয়েছে। তবে এ ঘটনার জন্য ফেসবুকের সমালোচকরা সোস্যাল মিডিয়া জায়ান্টটিকে দায়ী করেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের পক্ষে তারা ফেসবুকের কাছে এ বিষয়ে জবাব চেয়েছেন ও প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে নতুন নিয়ন্ত্রণ আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন।
ফেসবুক জানায়, তথ্যের অপব্যবহারের ঘটনা ঘটেছে, তবে তথ্য চুরি হয়নি। কারণ ফেসবুক ব্যবহারকারীরা এতে অনুমতি দিয়েছিল।
অভিযোগ উঠেছে, কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা নামের একটি প্রতিষ্ঠানের অ্যাপ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিল ফেসবুক। ওই অ্যাপের মাধ্যমেই কোটি কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা। সেই তথ্য পরে ব্যবহার করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারের কাজে। এ কাজের সঙ্গে জড়িত এক অধ্যাপক সম্প্রতি মুখ খোলায় প্রকাশ্যে এসেছে সবকিছু। এখন পুরো বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদেরা।
কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা তাদের তথ্য বেহাত হওয়ার খবরগুলো পুরোপুরি অস্বীকার করেছে। তারা বলছে, থার্ড পার্টি অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ২০১৪ সালে ফেসবুক থেকে সংগ্রহ করা সব তথ্য তারা মুছে ফেলেছিল। তথ্য সুরক্ষা নিয়মের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়, এ বিষয়টি জানার পর তারা এই পদক্ষেপ নেয়।
২ লাখ ৭০ হাজার গ্রাহক এক গবেষককে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিল। তবে গবেষক এসব তথ্য ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার কাছে বিক্রি করেছে, যা ফেসবুকের নীতিমালার পরিপন্থী।
গত শুক্রবার ফেসবুক জানায়, ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা ও গবেষক উভয়ই তাদের নীতি ভেঙেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। আবার ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা জানায়, তারা সব তথ্য মুছে ফেলেছে। যারা এসব তথ্য সরবরাহ করেছে, তারাই মূলত এর জন্য দায়ী।
এদিকে আবার অভিযোগ আছে যে ফেসবুক ২০১৫ সাল থেকে গ্রাহক তথ্যের অপব্যবহার সম্পর্কে জানলেও গত শুক্রবারের আগ পর্যন্ত তা প্রকাশ পর্যন্ত করেনি!
এতে করে ফেসবুকের সম্পদ আর শেয়ারের লোকসানের পরিমাণ ক্রমেই কমতির দিকে যাচ্ছে। এই বিতর্ক আর আইনি লড়াই চালিয়ে জাকারবার্গ আর তার ফেসবুককে কোন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয় তা এখন দেখার বিষয়।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
কয়েক দিন আগেই দেশে এসএসসি
ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে দেখা গেছে ছেলেদের থেকে পাসের হারে
মেয়েরা এগিয়ে। শুধু এখানেই না, দিন দিন বিভিন্ন সেক্টরে নারীরা দক্ষতার সঙ্গে এগিয়ে
যাচ্ছেন।
তবে মুঠোফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারে পিছিয়ে রয়েছে নারীরা। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পিছিয়ে আমাদের দেশের নারীরা। মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর বৈশ্বিক সংগঠন গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশনস অ্যাসোসিয়েশন (জিএসএমএ) চলতি মাসে ‘দ্য মোবাইল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট ২০২৪’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনটি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোয় মুঠোফোনের মালিকানায় নারীরা পিছিয়ে আছেন। বিশেষ করে অস্বচ্ছল, পড়াশোনা না জানা, গ্রামাঞ্চলে বসবাস করা বা বিশেষভাবে সক্ষম নারীরা আরও বেশি পিছিয়ে আছেন।
সংস্থাটি প্রতিবেদন তৈরিতে ১২টি দেশের তথ্য প্রকাশ করেছে। দেশগুলো হলো- মিসর, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, সেনেগাল, নাইজেরিয়া, উগান্ডা, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো ও গুয়াতেমালা।
জরিপ থেকে নেওয়া তথ্য অনুযায়ী মুঠোফোনে ইন্টারনেট সেবা গ্রহণে নারী-পুরুষের ব্যবধান বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি, ৪০ শতাংশ। ভারতে এ ব্যবধান ৩০ শতাংশ, পাকিস্তানে ৩৮ শতাংশ ও ইন্দোনেশিয়ায় ৮ শতাংশ। যদিও বাংলাদেশে মুঠোফোনের মালিকানা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে নারী-পুরুষের ব্যবধান সামান্য কমেছে।
মন্তব্য করুন
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে প্রায়শই বিপদে পড়তে হয় ব্যবহারকারীদের। হ্যাকারদের উদ্ভট কাণ্ডে বন্ধু তালিকায় থাকাদের কাছে পড়তে হয় প্রশ্নের মুখোমুখি। এর জন্য প্রয়োজন বাড়তি নিরাপত্তার। এর জন্য সম্প্রতি নতুন কয়েকটি নিরাপত্তা ফিচার যুক্ত করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেওয়ার পরও অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে যায়। এমন হ্যাকের কবলে পড়লে, জানাতে হবে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে। তাহলেই ফিরে পাওয়া যাবে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট।
হ্যাক হলে যা করবেন:
ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হলে প্রথমেই ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বন্ধু তালিকায় থাকাদের জানাতে হবে। এতে বিড়ম্বনা এড়ানো যাবে। এ ছাড়াও থানায় জিডি করে রাখতে পারেন। হ্যাকারের যদি কোনো অসৎ উদ্দেশ্য থেকে থাকে তাহলে আপনার আইডি দিয়ে অপরাধমূলক কাজ করতে পারে।
অ্যাকাউন্ট হ্যাকের বিষয়টি ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে জানাতে প্রথমে Facebook.com/hacked সাইটে যেতে হবে। অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত ইমেইল অ্যাড্রেস বা ফোন নম্বর লিখতে হবে। এরপর বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। যেসব তথ্য চাওয়া হবে তা দিতে হবে। কারণ এটি প্রমাণ করবে যে আপনিই ওই অ্যাকাউন্টের প্রকৃত মালিক। এরপর রিপোর্ট করলে ফেসবুক ওই অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সংযুক্ত ইমেইল অ্যাড্রেস বা ফোন নম্বর ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট রিকভার করতে সহায়তা করবে।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। বন্ধুদের আপনার হ্যাক হওয়া অ্যাকাউন্টটিতে রিপোর্ট করতে বলুন। কারণ ওই অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার বিষয়ে ফেসবুকে যত বেশি রিপোর্ট পড়বে, তত দ্রুত অ্যাকাউন্ট ফেরত পাওয়া যাবে।
মন্তব্য করুন
বর্তমান
সময়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মধ্যে অন্যতম ইনস্টাগ্রাম। তাইতো প্রতিনিয়ত নতুন ফিচার এনে
চমকে দেয় মেটার মালিকানাধীন
এই প্লাটফর্মটি। এবার ইনস্টাগ্রামে স্টোরি
দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন অভিজ্ঞতা হবে
ব্যবহারকারীদের। জানা গেছে, ইনস্টাগ্রামে
যুক্ত হচ্ছে রিভিল নামের একটি ফিচার।
যার
মাধ্যমে স্টোরি আপলোড করেও লুকিয়ে রাখা
যাবে। সেই স্টোরি দেখতে
হলে ফলোয়ারকে ডিএম অর্থাৎ ডিরেক্ট
মেসেজ করতে হবে। আপনি
অনুমতি দিলে তবেই সেই
স্টোরিটি দেখতে পাবেন ফলোয়াররা। অর্থাৎ আপনার স্টোরি কে দেখবে না
দেখবে, তা সম্পূর্ণ ভাবে
আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
যেভাবে এই স্টোরি আপলোড করতে হবে-
স্টোরি
তৈরি করার সময় সবার
আগে ক্লিক করতে হবে স্টিকার
আইকনে। সেখানেই খুঁজে পাবেন রিভিল নামের আইকনটি। সেটি সিলেক্ট করে
নিলে স্টোরি সংক্রান্ত বিষয়টি সেখানে উল্লেখ করতে পারবেন। যাতে
আপনার ব্লার স্টোরির আড়ালে কী লুকিয়ে রয়েছে,
তার একটা ইঙ্গিত পাবেন
আপনার ফলোয়াররা।
এই
স্টোরি ইউজাররা কীভাবে দেখতে পাবেন, তা জানা যাবে
স্ক্রিনের বাঁদিকের নিচে একটি প্রিভিউ
আইকন থেকে। আপনি সেই প্রিভিউতে
ক্লিক করে দেখে নিতে
পারবেন ইউজারদের কাছে আপনার স্টোরিটি
কীভাবে শো করবে। তবে
স্টোরিটি দেখতে ইউজারদের ডিএম করতে হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন