ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়া এখন সময়ের দাবি: শেখ পরশ

প্রকাশ: ০৮:২২ পিএম, ০৫ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়া এখন সময়ের দাবি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। তিনি বলেন, বিএনপির উদ্দেশ্য দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা। স্বাধীনতাকামী জনগণের ওপর প্রতিশোধ নেবে এটাই তাদের উদ্দেশ্য। এটা বার বার প্রমাণিত যে, এই সংগঠন স্বাধীনতাবিরোধী সংগঠন। সুতরাং আজকে তাদের নিষিদ্ধ হওয়া সময়ের দাবি হয়ে পড়েছে। 

রোববার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর ধানমণ্ডি-৩২ নম্বরে এক প্রতিবাদ কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন। গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ হত্যা, কাকরাইল মসজিদ ও রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে অগ্নিসংযোগ, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ যুবলীগ এ প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করে।

শেখ পরশ বলেন, আমরা গুরুত্বপূর্ণ একটা সময়ে এসে অবস্থান কর্মসূচি করছি। কারণ যারা এদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটায়। সেই সংগঠন আজকে ২ দিনের অবরোধ দিয়েছে তারা এর আগেও অবরোধ দিয়েছিল। আপনারা দেখেছেন ২৫ অক্টোবরে তারা তাদের পুরোনো সন্ত্রাসী চেহারা দেখিয়েছে। কী ন্যাক্কারজনকভাবে, নির্মমভাবে পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে, তারা লালমনিরহাটে যুবলীগের নেতাকে হত্যা করেছে, সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করেছে, হাসপাতালে অগ্নিসংযোগ করেছে। এভাবে তাদের মুখোশ উন্মোচিত হচ্ছে। 

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে মোকাবিলা করার মতো ক্ষমতা বিএনপির নেই। এ কারণেই তারা সাধারণ জনগণের ওপর চড়াও হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ এদেশের মানুষের অধিকার আদায়ের মাধ্যমেই সৃষ্টি। আমরা কোনো কিছুতে ভয় পাই না। এদেশের মাটির অনেক গভীরে আমাদের শেকড়। সুতরাং আমরা ভয় পাই না। এদেশের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা রাজপথে আছে এবং রাজপথে থেকেই রাজনৈতিক ভূমিকা রাখবে। 

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, সামনে নির্বাচন তাদের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ আরও বাড়বে। কারণ তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। তাদের আর পেছনে ফেরার পথ নাই। তাই তারা চড়াও হবে। আমাদের সাংবাদিক ভাইদের ওপর তারা চড়াও হয়েছে। ২০০১ সালের পর থেকেই তারা সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে, আজও চালাচ্ছে। তারা বিচার বিভাগে আঘাত হানতে চায়। যারা তাদের অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়ন, হত্যার শিকার তাদের পরিবার যেন বিচারালয়ে যেয়ে বিচার চাইতে না পারে সেজন্য বিচার বিভাগের ওপর হামলা চালিয়েছে। তারা সাংবাদিকদের কণ্ঠ রোধ করার জন্য প্রেস ক্লাবে বোমা মেরেছে। 

তিনি বলেন, বিএনপি তো তিনবার ক্ষমতায় ছিল। দেশের উন্নয়ন করার সুযোগ তাদেরও ছিল্ কিন্তু কেন তারা তা করে নাই। কারণ তাদের উদ্দেশ্যই ছিল এদেশের যুবসমাজ এই দাবিতে ঐক্যবদ্ধ। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মুখোশও উন্মোচন হওয়া উচিত। কীভাবে বিএনপি সৃষ্টি হয়েছিল তা জানার অধিকার এদেশের তরুণসমাজের আছে। সে যে গুপ্তচর, সে যে স্বাধীনতাবিরোধী ভূমিকা রেখেছে এবং স্বাধীনতার সপক্ষের সকল শক্তিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে। তা জানার অধিকার সবার রয়েছে।

এছাড়াও ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের অন্তর্গত ঢাকা-১১ সংসদীয় আসনে সুবাস্তু টাওয়ার, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২ সংসদীয় আসনে যুবলীগ চত্বর, ফার্মগেইট, ঢাকা-১৩ সংসদীয় আসনে শ্যামলী, ঢাকা-১৫ সংসদীয় আসনে মিরপুর-১০ গোল চত্বর, ঢাকা-১৬ সংসদীয় আসনে মিরপুর-১১ বাস স্ট্যান্ড, ঢাকা-১৭ সংসদীয় আসনে মহাখালী কাঁচা বাজার ও ঢাকা-১৮ সংসদীয় আসনে আজমপুর, উত্তরায় এবং ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের অন্তর্গত ঢাকা-২ সংসদীয় আসনে ৫৭নং ওয়ার্ড, কামরাঙ্গীরচর লোহার ব্রীজ, ঢাকা-৪ সংসদীয় আসনে শ্যামপুর ইকো পার্কের সামনে, ঢাকা-৫ সংসদীয় আসনে শনিরআখড়া দনিয়া কলেজের সামনে, ঢাকা-৬ সংসদীয় আসনে ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে, ঢাকা-৭ সংসদীয় আসনে চকবাজার মোড়, ঢাকা-৮ সংসদীয় আসনে ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ও ঢাকা-৯ সংসদীয় আসনে কমলাপুর স্কুল এন্ড কলেজ বৌদ্ধ মন্দির সংলগ্নে সংসদীয় আসন ভিত্তিক অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে ঢাকা-১৪ সংসদীয় আসনে গাবতলীতে অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল। ঢাকা-১০ আসনের ধানমণ্ডি-৩২ নম্বরে অবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা ও সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা।

অন্যান্য সংসদীয় আসন ভিত্তিক কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. এনামুল হক খান, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, মো. রফিকুল আরম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মো. জহির উদ্দিন খসরু, আবু মুনির মো. শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, মশিউর রহমান চপল, অ্যাডভোকেট ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. হারিছ মিয়া শেখ সাগর, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার সম্পাদক কাজী খালিদ আল মাহমুদ টুকু, উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. রাশেদুল হাসান সুপ্ত, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. গোলাম কিবরিয়া শামীম, উপ-ধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্যসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতারা।

বিএনপির রাজনীতি   নিষিদ্ধ   শেখ ফজলে শামস্ পরশ   আওয়ামী যুবলীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে যা বললেন ড. মোশাররফ

প্রকাশ: ১১:৫৯ এএম, ১৭ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিয়ম করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। সোমবার রাতে খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় এই শুভেচ্ছা বিনিয়ম হয়।

বেগম জিয়ার সাক্ষাৎ শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘আমাদের নেত্রীর সঙ্গে আজকে কোনো রাজনৈতিক আলাপ হয়নি।’

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘আমরা ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য গিয়েছিলাম। প্রতি বছরই আমরা ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে একত্রিত হই। কিন্তু এখানে রাজনীতি নিয়ে আলাপ করি না। আমাদের নেত্রীও রাজনীতি আলাপ করেন না। আজকেও তাই হয়েছে।’

দেশের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজকে যে ঈদ, তা দেশবাসী আনন্দের সঙ্গে পালন করতে পারেনি। সবাই কষ্টে আছে। আমরা সবাই কষ্টে আছি। আমাদের নেত্রীও এই নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।’

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। দলের নেতাকর্মীদেরও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।’

বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘ভবিষ্যতে বাংলাদেশের মানুষ যেভাবে চায়, সেভাবে যাতে অর্থনৈতিক, সামাজিক উন্নতি হয়ে সবাই যেন আনন্দের সঙ্গে ঈদ পালন করতে পারে, তার জন্য দোয়া করেছেন আমাদের নেত্রী।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও সেলিমা রহমান।

বেগম জিয়া   বিএনপি   ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপি নেতারা কে কোথায় ঈদ করছেন?

প্রকাশ: ০৫:১২ পিএম, ১৭ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ঈদুল আজহার সময়টিতে দেশে-বিদেশে অবস্থান করছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। দলের উচ্চপর্যায়ের বেশ কয়েকজন নেতা এবার দেশের বাইরে আছেন, যাদের ঈদও কাটছে বাইরে। যথারীতি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশেই ঈদ পালন করছেন।

বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, ঈদের দিন রাত সাড়ে ৮টায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।

জানা গেছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে ঈদের নামাজ আদায় করে দলের নেতাকর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঠাকুরগাঁও নিজ এলাকায় ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। সেখানে স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ঈদের পর দিন ঢাকায় আসবেন।

বিএনপি স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান ঢাকায় ঈদ করছেন। ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া অসুস্থ, তিনি বাসায় চিকিৎসাধীন। বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঈদের দিন নিজ এলাকায় যাবেন। ড. আব্দুল মঈন খান ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু দেশের বাইরে, সালাউদ্দিন আহমেদ ভারতে আছেন।

এদিকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঢাকায় ঈদ করছেন। 

বিএনপি   ঈদ   কোরবানি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

এবারের ঈদে আনন্দ উপভোগের সুযোগ নেই: ফখরুল

প্রকাশ: ০১:২৭ পিএম, ১৭ জুন, ২০২৪


Thumbnail

দলের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, আমাদের দেশে এই ঈদুল আজহা একটি কষ্টকর দিন। কারণ, এবার মুদ্রাস্ফীতির কারণে ক্রয় ক্ষমতার ঊর্ধ্বে কোরবানির পশু কিনতে অনেকেই আর্থিকভাবে আক্রান্ত হয়েছেন।

মির্জা ফখরুল সোমবার সকালে ঈদের নামাজ শেষে ঠাকুরগাঁওয়ের তাতীপাড়াস্থ বাসভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে দেশবাসীর উদ্দেশে এসব কথা বলেন। এর আগে ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে তিনি ঈদের নামাজ আদায় করেন।

তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। কোরবানির মাংস রান্না করতে যে মসলা উপকরণ প্রয়োজন হয় তাও সংগ্রহ করতে হিমসিম খেতে হয়েছে। তাই এবারের ঈদে আনন্দ উপভোগ করার সুযোগ নেই।

সময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকেও দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান মির্জা ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে জীবনের অশুভ ইন্দ্রিয়কে বিসর্জন দিয়ে জীবনকে সুন্দর করার আহ্বান জানান। মির্জা ফখরুল আরও জানান, সারাদেশে যেভাবে দুর্নীতির আগ্রাসন ছড়িয়ে পড়েছে ত্যাগের মধ্য দিয়ে সেই অশুভ আকাঙ্খা ত্যাগ করতে হবে।


মির্জা ফখরুল   ঈদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘সংযম ও ত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হতে হবে’

প্রকাশ: ১২:৪৮ পিএম, ১৭ জুন, ২০২৪


Thumbnail

কুরবানির তাৎপর্য এবং মর্মার্থ অনুধাবন করে সমাজে শান্তি কল্যাণের পথ রচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সোমবার (১৭ জুন) সকালে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেয়া এক শুভেচ্ছা (ভিডিও) বার্তায় আহ্বান জানান তিনি।

শুভেচ্ছা বার্তায় ওবায়দুল কাদের বলেন, বছর ঘুরে আবার এল ঈদুল আজহা। ত্যাগের মহিমায় সমুজ্জ্বল। মহান আল্লাহ পাকের প্রতি গভীর আনুগত্য সর্বোচ্চ ত্যাগের নিদর্শনে ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আজহা। আমাদেরকে কুরবানির তাৎপর্য এবং মর্মার্থ অনুধাবন করে সমাজে শান্তি কল্যাণের পথ রচনা করতে হবে। আর জন্য সকলকে সংযম ত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, অর্জনের ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ভারসাম্যপূর্ণ, শোষণহীন, ন্যায়নিষ্ঠ এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন- তা সফল করতে প্রয়োজন নিষ্ঠা, সততা এবং ত্যাগ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, অকৃত্রিম ভালোবাসা ত্যাগের আদর্শ আমাদের ব্যক্তি সমাজ জীবনে প্রতিফলিত হলে, প্রতিষ্ঠিত হবে প্রত্যাশিত শান্তি সৌহার্দ্য। আমি দল-মত নির্বিশেষে সকলকে একটি অসাম্প্রদায়িক, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে কর্ম চিন্তায় ত্যাগ, আনুগত্য এবং সততা চর্চায় নিবেদিত হওয়ার আহ্বান জানাই। আহ্বান জানাই, ঐক্যের মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা অভিমুখে এগিয়ে যাওয়ার।

প্রত্যাশা ব্যক্ত করে পবিত্র ঈদে তিনি দেশবাসী, প্রবাসে অবস্থানরত বাংলাদেশি সকলকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক জানিয়েছেন।


ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের ইতিহাস: বাংলাদেশের ইতিহাস

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১৭ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের অভ্যুদয়, বাংলাদেশের বিকাশ এবং আজকে বাংলাদেশের অবস্থান সবই হলো আওয়ামী লীগের অবদান। কাজেই আওয়ামী লীগের ইতিহাস আর বাংলাদেশের ইতিহাস শেষ পর্যন্ত এক মোহনায় মিলিত হয়েছে। আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং আগামী ২৩ জুন ‘প্লাটিনাম জয়ন্তী’ পালন করতে যাচ্ছে দেশের প্রাচীন ও বৃহত্তম রাজনৈতিক এই সংগঠনটি। এই উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক দিন ক্ষণগুলো ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলা ইনসাইডার। আজ তুলে ধরা হলো দশম পর্ব।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ২০০৯-১৩ মেয়াদে অর্থাৎ পাঁচ বছরে সরকারি ও বেসরকারি খাতে প্রায় দেড় কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণে সংশোধিত শ্রমনীতি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি দুই দফায় বৃদ্ধি করা হয়েছে। জিডিপিতে শিল্প ও সেবা খাতের অবদান বেড়েছে।

সফলভাবে ক্রিকেট বিশ্বকাপ অনুষ্ঠান। ক্রীড়াক্ষেত্রে সাফল্যের সূচনা। পরপর দুই বছরে বাংলাদেশের দুই তরুণের এভারেস্ট জয়।

নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বিশ্বের শীর্ষ দশে উঠে এসেছে বাংলাদেশ।

- নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ শুরু। ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসনে একাধিক উড়াল সেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ দ্রুতগতিতে অগ্রসরমান।

ডিজিটাল দুনিয়ায় বাংলাদেশের অভিযাত্রা আজ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৫ হাজার ২৭৫টি ডিজিটাল কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশে এখন মোবাইল সিম গ্রাহকের সংখ্যা ১৩ কোটির বেশি। ইন্টারনেট গ্রাহক ৫ কোটি ৭ লাখ ৭ হাজারের বেশি।

- বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের ভূমিকা পালন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ পুরস্কার লাভ।

পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে বিপুল সাফল্য অর্জিত। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি। ৪২ বছরের অমীমাংসিত মিয়ানমার ও ভারতের সাথে সমুদ্রসীমানা বিরোধ নিষ্পত্তির মধ্য দিয়ে নতুন সমুদ্রসীমা জয় করেছে বাংলাদেশ।

ভারতের সাথে স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন ও ছিটমহল বিনিময়ের ফলে দীর্ঘ ৬৮ বছরের মানবিক লাঞ্ছনা থেকে মুক্তি পেয়েছে ছিটমহলবাসী।

- বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি। ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর। জাতি কলঙ্কমুক্ত।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু। ইতোমধ্যে কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লা, কামারুজ্জামান, সাকা চৌধুরী, মুজাহিদের ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়েছে। বিচার প্রক্রিয়া অব্যাহত। বিডিআর বিদ্রোহের শান্তিপূর্ণ সমাধান। সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ব্যর্থ।

সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক ১৯৭৫ পরবর্তী সামরিক আইন জারি, সামরিক ফরমান বলে সংবিধান সংশোধন ও জিয়া-এরশাদের সামরিক শাসনকে অবৈধ ঘোষণা। ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী গৃহীত। দু-একটি ব্যতিক্রম ছাড়া ১৯৭২-এর সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতা ও বাঙালি জাতীয়তাবাদসহ মৌলিক রাষ্ট্রীয় নীতিমালা পুনর্বহাল। সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ সংযোজিত।

২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার লক্ষ্যে বিএনপি-জামাত জোট সরকার উৎখাতের লক্ষ্যে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালায়। আন্দোলনের নামে হিংসাশ্রয়ী ঘটনায় বহুপ্রাণহানি ঘটে। বিএনপি-জামাতের প্ররোচনায় হেফাজতে ইসলাম নামে একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানও সারাদেশে ভয়াবহ তাণ্ডব চালায়। আওয়ামী লীগ ও সরকার এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়।

বিএনপি-জামাত জোট ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচন বর্জন এবং নির্বাচন বানচালের জন্য একই কায়দায় চেষ্টা চালায়। অসাংবিধানিক ধারা সৃষ্টির এই চেষ্টা ও ব্যর্থ হয়।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১২ জানুয়ারি তৃতীয় মেয়াদের জন্য শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ইতোমধ্যে এই মন্ত্রিসভার দুই বছর অতিক্রান্ত হয়েছে।

২০১৫ সালে খালেদা জিয়া ৯০ দিনব্যাপী অবরোধ চালিয়ে সরকার পতনের ঘোষণা দেয়। কিন্তু তার

অবরোধের ডাকে মানুষ সাড়া দেয়নি। আন্দোলন ব্যর্থ হলে খালেদা ঘরে ফিরে যান।


আওয়ামী লীগ   বাংলাদেশ   ইতিহাস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন