চতুর্থ দফা অবরোধের প্রথম দিন আজ রোববার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করেছেন বিএনপিসহ দলটির অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এ সময় তাঁরা কোথাও কোথাও সংক্ষিপ্ত সমাবেশও করেন। বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনগুলোর দেওয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
আজ
রাজধানীর মতিঝিলে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে কাঁচাবাজার মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল
করেছেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা। এতে নেতৃত্ব দেন
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সকাল
সাতটায় নেতা–কর্মীরা বিক্ষোভ
ও সড়কে পিকেটিং করেন।
আজ
চতুর্থ দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ
কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি বিভিন্ন সমমনা দল ও সংগঠনগুলো।
বিএনপির পক্ষ থেকে বলা
হয়, গত ২৮ অক্টোবর
ঢাকায় মহাসমাবেশে হামলা, বিভিন্ন দলের সহস্রাধিক নেতা–কর্মী গ্রেপ্তার ও হত্যা, সরকারের
পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের
অধীন নির্বাচনসহ এক দফা দাবি
আদায়ের লক্ষ্যেই তাদের এই অবরোধ।
আজ
সকালে মতিঝিলে মিছিলের সময় রুহুল কবির
রিজভী বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে ও মানুষের অধিকার
প্রতিষ্ঠায় বিএনপির অবরোধে সর্বস্তরের জনগণ সমর্থন জানিয়েছে।
জনগণের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দিয়ে শক্তি প্রয়োগ
করে, গ্রেপ্তার নির্যাতন করে লাভ হবে
না।
বিএনপি
নেতা রিজভী বলেন, ‘দেশের ৯০ ভাগ জনগোষ্ঠীকে
বাইরে রেখে এ দেশে
আর কোনো পাতানো নির্বাচন
হতে দেওয়া হবে না। জনগণের
সামনে আর কোনো অপশক্তিই
টিকবে না। বাংলাদেশের মানুষের
ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেই বিএনপির নেতা–কর্মীরা ঘরে ফিরবেন।’
এ
সময় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম,
সহস্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা,
নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহবুবুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ
শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক
আনোয়ার হোসেন খান প্রমুখ উপস্থিত
ছিলেন।
রাজধানীর
বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে সোয়ারীঘাটে
‘নৌপথ অবরোধ ও পিকেটিং’ করেছেন
ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা। ছাত্রদলের
কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান আউয়ালের নেতৃত্বে ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা এ
কর্মসূচি পালন করেন।
এ
সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আউয়াল বলেন, ‘জনগণ আর ৫৭
সেকেন্ডে ৪৩ ভোট মডেলের
নির্বাচন দেখতে চায় না। নির্দলীয়,
নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচনের দাবি
আদায়ের লক্ষ্যেই আমাদের এই অবরোধ।’
এ
সময় আরও উপস্থিত ছিলেন
কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা মহিউদ্দিন মাহি,
রংপুর মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের সাবেক
সভাপতি ডা. রুদ্র, রংপুর
মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক
ডা. নাজেম প্রমুখ।
অবরোধের
সমর্থনে পল্লবী থানা বিএনপি ও
অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা মিছিল
করেন।
আজ
সকাল সাতটায় কাঁটাবন থেকে নীলক্ষেত রাস্তা
অবরোধ করে শান্তিপূর্ণ অবরোধ
কর্মসূচি পালন করে ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। এতে নেতৃত্ব দেন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি মো. খোরশেদ আলম
ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম।
অবরোধের
সমর্থনে ধানমন্ডি বিএনপি এবং তেজগাঁও রেলগেটে
ছাত্রদল মিছিল করে।
অবরোধ রাজধানী বিভিন্ন বিএনপির ঝটিকা মিছিল
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
নাশকতা মামলা বিএনপি ইশরাক হোসেন
মন্তব্য করুন
‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?
রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।
রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
‘ব্যাংক মাফিয়া মাস্তান ঋণখেলাপি
মন্তব্য করুন
সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত।
রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের ও পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা এ যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।
তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।
জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। নির্বাচন পরবর্তী কোন্দল বন্ধে বিভিন্ন রকম উদ্যোগও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একাধিক বার দলীয় কোন্দল বন্ধের জন্য তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাংগঠনিক অবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। এই কোন্দল এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বা অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। দলের এই কোন্দল এতদিন তৃণমূল পর্যায় থাকলেও সেটি এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও শুরু হয়েছে।