কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে চিকিৎসকের দায়িত্বহীনতায় এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার রাতে সিজারের কিছু সময় পরই ওই নবজাতক মারা যায়। এ সময় নবজাতকের পরিবারের সদস্যরা ক্লিনিকের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
জানা গেছে, শুক্রবার (১০ নভেম্বর) দিবাগত রাতে, ভূরুঙ্গামারীর মাহবুব ক্লিনিকে নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের আজমাতা কম্পেরহাট এলাকার আশরাফুল আলমের স্ত্রীর সিজার করেন ডা: নাসিমা খাতুন। সিজার শেষে তিনি জানান অন্তঃসত্ত্বার গর্ভে থাকা শিশুটি অপরিপূর্ণ ছিল। শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যায় সিজারের কিছু সময় পর মারা যায়।
প্রসূতি নারীর চাচা আব্দুল মান্নান সরকার বলেন, আমার ভাতিজী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় মাহবুব ক্লিনিকে ডা: নাসিমা খাতুনের চিকিৎসা নিচ্ছিল। গত ২৭ অক্টোবর গর্ভে থাকা শিশুর অবস্থা জানতে ওই ক্লিনিকে আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার ডা: নাসিমার স্মরণাপন্ন হলে তিনি সিজার করার পরামর্শ দেন এবং রাতে সিজার করেন। সিজারের আগে চিকিৎসক কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে সিজার করায় নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসক নসিমা খাতুনের বিরুদ্ধে দায়িত্বহীনতার অভিযোগ তুলে হানিফ নামের এক ব্যক্তি বলেন, ডা: নাসিমা আমার খালার সিজার করে পেটে সুতা রেখে দিয়েছিলেন। পরে পেটে ব্যথা অনুভব করায় পুনরায় অপারেশন করে তা বের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে চিকিৎসক নাসিমার বক্তব্য জানতে তার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। মাহবুব ক্লিনিকের পরিচালক রবিউল আলম রঞ্জু বলেন, সিজারের পর নবজাতকের মৃত্যুর বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা: মন্জুর-এ-মুর্শেদ বলেন, চিকিৎসকের দায়িত্বহীনতায় নবজাতকের মৃত্যুর বিষয়ে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন