বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৭টার দিকে চীনের শানসি প্রদেশের লুলিয়াং শহরের একটি বহুতল অফিস ভবনে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুর্ঘটনায় আগুন লেগে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে শানসি প্রদেশের লুলিয়াং শহরে একটি বহুতল অফিস ভবনে আগুন লাগে। আগুনের সূত্রপাত ওই ভবনের চতুর্থতলায় অবস্থিত ইয়ংজু কয়লা কোম্পানির অফিস থেকে হয়েছে। আগুন লাগার পর সেখান থেকে ৬৩ জনকে সরিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরইমধ্যে দুর্ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, খবর পেয়ে সাথে সাথে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। এখন আগুন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তবে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি চীনে একাধিক শিল্প প্রতিষ্ঠান ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বলা হচ্ছে, ভবনগুলোর দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থাই এর জন্য দায়ী।
গত এপ্রিলে রাজধানী বেইজিংয়ে একটি হাসপাতালে আগুন লাগে। এতে প্রাণ হারান ২৯ জন। এছাড়া, গত অক্টোবরে একটি রেস্টুরেন্টে হওয়া ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত হন ৩১ জন।
চীন অগ্নিকাণ্ড মৃত্যু শানসি প্রদেশ কয়লা কোম্পান বিশ্ব সংবাদ
মন্তব্য করুন
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইরনার খবর বলছে, এখনো প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজ করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
ফলে ঘটনাস্থলে আরও কয়েকটি উদ্ধারকারী দলকে পাঠানো হয়েছে। তাই সময় যতো যাচ্ছে রাইসিকে জীবিত উদ্ধার করা নিয়েও ততো উদ্বেগ বাড়ছে।
খবরে বলা হয়েছে দুর্ঘটনা কিংবা হার্ড ল্যান্ডিংয়ে বাধ্য হওয়া রাইসির হেলিকপ্টারটির নির্দিষ্ট অবস্থান জানা যায়নি।
ইরানিদের রাইসির জন্য প্রার্থনা করার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।
বৈরি আবহাওয়ার কারণে আকাশপথে রাইসির অবস্থা শনাক্ত করার কাজও বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে ইরান কর্তৃপক্ষ। ফলে স্থলপথে অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
তিন বছর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া ইব্রাহিম রাইসিকে (৬৩) মনে করা হয় একদিন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির উত্তরসূরি হবেন তিনি। রোববার (১৯ মে) আজারবাইজান সীমান্তবর্তী এলাকায় জলাধার প্রকল্প উদ্বোধন শেষে ফেরার পথে তাঁকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে।
এই দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যু হলে তা হবে ইরানের জন্য বিরাট এক ধাক্কা। দীর্ঘ দিন ধরে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক চলে আসছে ইরানের। ইব্রাহিম রাইসি ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা মোকাবিলায় প্রতিবেশীদের পাশাপাশি চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষভাবে মনোযোগ দিয়েছিলেন।
ইব্রাহিম রাইসির জন্ম ১৯৬০ সালে উত্তর-পূর্ব ইরানের পবিত্র শহর মাশহাদে। মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি তেহরানের পার্শ্ববর্তী শহর কারাজের প্রসিকিউটর-জেনারেল নিযুক্ত হন।
১৯৮৯ থাকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত রাইসি তেহরানের প্রসিকিউটর-জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ সাল থেকে তিনি এক দশক জুডিশিয়াল অথোরিটির উপপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালে তাকে বিচার বিভাগের প্রধান নিযুক্ত করেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি।
কট্টরপন্থী হিসেবে পরিচিত রাইসি পরবর্তীতে ৮৮ সদস্যের বিশেষজ্ঞ সভার উপচেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।। সর্বোচ্চ ধর্মী নেতা নির্বাচনসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে এ সভা। ২০২১ সালে দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন করে ইরানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ইব্রাহিম রাইসি।
মন্তব্য করুন
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর ইরানের প্রেসিডেন্ট
ইবরাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ানসহ অন্যদের এখনো খোঁজ মেলেনি।
এখনপর্যন্ত জানা যায়নি হেলিকপ্টারটির কী হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর
সর্ব শক্তি প্রয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে অনুযায়ী উদ্ধারকাজে
সহযোগিতার জন্য তুরস্ক বিশেষজ্ঞ একটি দল পাঠাচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারের জরুরি সহায়তা
সংস্থা এএফএডি জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের সন্ধানে ইরানকে
সাহায্য করার জন্য তুরস্ক পাহাড়ে উদ্ধারকাজে বিশেষজ্ঞ ৩২ জনকে পাঠাচ্ছে।
এর আগে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়,
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অফ স্টাফ মোহাম্মদ বাগেরি এক নির্দেশ জারি করেছেন। তিনি
সেনাবাহিনী, ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) এবং আইন প্রয়োগকারী অন্যান্য
বাহিনীকে হেলিকপ্টারটি খুঁজে বের করার জন্য সব সরঞ্জাম এবং সক্ষমতা ব্যবহার করতে বলেছেন।
রোববার (১৯ মে) ইরানের প্রেসিডেন্ট
ইবরাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা
সংস্থা ইরনা এ তথ্য জানায়। এরপর তাদের সন্ধানে নামে অনুসন্ধান দল।
হেলিকপ্টারটিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন
আমিরাবদুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, তাবরিজ জুমার
নামাজের খতিব হোজ্জাতোলেস্লাম আল হাশেম এবং আরও কয়েকজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তি রাইসির সঙ্গে
হেলিকপ্টারে ছিলেন।
ইবরাহিম রাইসি ইরানের প্রেসিডেন্ট
মন্তব্য করুন
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে নিয়ে দুর্ঘটনা কবলিত হেলিকপ্টারটির
খোঁজ পাওয়া গেছে। রেড ক্রিসেন্টের বরাত দিয়ে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমগুলো এ খবর প্রকাশ
করেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আল জাজিরা।
তবে প্রেসিডেন্ট রাইসি ও তার সফরসঙ্গীরা বেঁচে আছেন কিনা, সে বিষয়ে
গণমাধ্যমকে কোনো তথ্য দেয়নি রেড ক্রিসেন্ট।
এর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসিকে নিয়ে বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার
থেকে এক ফ্লাইট ক্রুর মোবাইল ফোনের সংকেত শনাক্ত করে উদ্ধারকারী দল। ওই সংকেতের সূত্র
ধরেই উদ্ধারকারী দলটি দুর্ঘটনাকবলিত স্থানটি খুঁজে পায়।
ইরানের সংবাদমাধ্যম তাসনিম নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বিষয়ে
পূর্ব আজারবাইজানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পস এর কমান্ডার আসগর আব্বাসগোলিজাদেহ
বলেন, আমরা এখন সমস্ত সামরিক বাহিনী নিয়ে ওই এলাকার দিকে অগ্রসর হচ্ছি। আমি আশা করি
আমরা জনগণকে খুব দ্রুত সুসংবাদ দিতে পারব।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের সীমান্তবর্তী
এলাকায় হেলিকপ্টারটি জরুরিভিত্তিতে ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ করে। এতে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির
বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। ওই অঞ্চলে একটি বাঁধের উদ্বোধন শেষে রাইসি ফিরছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান
প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, তাবরিজ জুমার নামাজের খতিব হোজ্জাতোলেস্লাম আল হাশেম
এবং আরও কয়েকজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তি রাইসির সঙ্গে হেলিকপ্টারে ছিলেন।
দুর্ঘটনাকে রাষ্ট্রীয় বর্ণনায় ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ বলা হচ্ছে। কিন্তু
এতে হেলিকপ্টারটির অবস্থা কী হয়েছে তা বলা হয়নি। এ পরিভাষায় কী বোঝানো হয়েছে তাও স্পষ্ট
নয়। দেশটির ফারস নিউজ এজেন্সি প্রেসিডেন্টের জন্য দোয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উদ্ধার অভিযানের সর্বেশেষ তথ্য
নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, প্রতিকূল আবহাওয়া সত্ত্বেও, দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর
জন্য উদ্ধারকারী দলগুলো আন্তরিক চেষ্টা করে যাচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, রাশিয়াও দুর্ঘটনার পরপর এর কারণ অনুসন্ধানে সহায়তার
প্রস্তাব দিয়েছে। অপরদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতও সমর্থন দিয়েছে এবং বলেছে যে তারা ইরানের
পাশে আছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, উদ্ধারকাজে সহযোগিতার জন্য তুরস্ক বিশেষজ্ঞ
একটি দল পাঠাচ্ছে। দেশটির সরকারের জরুরি সহায়তা সংস্থা এএফএডি জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট
রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের সন্ধানে ইরানকে সাহায্য করার জন্য তুরস্ক পাহাড়ে উদ্ধারকাজে
বিশেষজ্ঞ ৩২ জনকে পাঠিয়েছে।
অন্যদিকে এই দুর্ঘটনা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একধরনের উচ্ছ্বাস করতে
দেখা গেছে একজন মার্কিন সিনেটরকে।
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর সোমবার (২০ মে) রিক স্কট নামে এক রিপাবলিকান
আইন প্রণেতা ইরানের প্রেসিডেন্টের দুর্ঘটনাকে স্বাগত জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট
করেছেন।
পোস্টে তিনি বলেন, ‘তাকে (রাইসি) ভালোবাসা বা সম্মান নয়, এমনকি কেউ তাকে মিসও করবে না। যদি তিনি মারা যান, আমি সত্যিই আশা করি ইরানি জনগণ তাদের দেশকে খুনি স্বৈরশাসকের হাত থেকে ফিরিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবে।’
ইরান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি
মন্তব্য করুন
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। নিখোঁজ হওয়া ইরানের এই প্রেসিডেন্টের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।
এমন অবস্থায় ব্যাপক ঘন কুয়াশার মধ্যেই রাইসিকে উদ্ধারে তৎপরতা চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। সোমবার (২০ মে) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার মুখে পড়ার পর তাদের উদ্ধারের জন্য উদ্ধারকর্মীরা ঘন কুয়াশাসহ কঠিন পরিস্থিতিতে অনুসন্ধান কাজ পরিচালনা করছেন।
এছাড়া প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারের সম্ভাব্য দুর্ঘটনাস্থলে ৭৩টি উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে বলে ইরানি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে। সংস্থাটি আরও বলেছে, উদ্ধারকারীরা তুর্কি ড্রোনের মাধ্যমে চিহ্নিত এলাকার দিকে অগ্রসর হচ্ছে, যেখানে রাইসির হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
ইরানি রেড ক্রিসেন্ট বলেছে, ডিটেক্টর কুকুর-সহ ৭৩ টি দল এই উদ্ধার প্রচেষ্টায় জড়িত রয়েছে। তবে বৃষ্টি এবং কুয়াশার জেরে দৃশ্যমানতা হ্রাসের কারণে আবহাওয়ার পরিস্থিতি সেখানে বেশ প্রতিকূল রয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ানসহ অন্যদের এখনো খোঁজ মেলেনি। এখনপর্যন্ত জানা যায়নি হেলিকপ্টারটির কী হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর সর্ব শক্তি প্রয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে অনুযায়ী উদ্ধারকাজে সহযোগিতার জন্য তুরস্ক বিশেষজ্ঞ একটি দল পাঠাচ্ছে।