ইনসাইড বাংলাদেশ

দ্বৈত নাগরিকত্ব প্রত্যাহার নিয়ে শামীম হকের তথ্যে ধোঁয়াশা

প্রকাশ: ০৯:২০ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী দ্বৈত নাগরিক শামীম হক। নেদারল্যান্ডসের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন দাবি করে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নথি জমা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু তার জমা দেয়া নথিগুলো পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, নথিতে উল্লেখিত ঢাকার নেদারল্যান্ডসের দূতাবাসের কনস্যুলার সেবার ঠিকানা, দূতাবাসের লোগো, ফোন নম্বর, ই-মেইল ও ওয়েবসাইটের ঠিকানা জালিয়াতি করে ব্যবহার করা হয়েছে।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে শামীম হকের দ্বৈত নাগরিক হওয়ায় তার প্রার্থিতার বৈধতা নিয়ে শুনানি হয়। পরে শুনানি স্থগিত রেখে শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) রায়ের দিন ধার্য করা হয়। আইন অনুযায়ী  দ্বৈত নাগরিক হলে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না তিনি।

শামীম হক নেদারল্যান্ডসের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন দাবি করে যেসব নথিপত্র জমা দিয়েছেন, তা পর্যালোচনা করেছেন একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের আইনজীবী ব্যারিস্টার মুস্তাফিজুর রহমান খান।

এ আইনজীবী বলেন, শামীম হক যে নথিপত্র জমা দিয়েছেন সেসবের সত্যতা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। এ জন্য তার নাগরিকত্বের অবস্থা জানার জন্য আপিল মুলতবি করে ইতোমধ্যে ইসি নির্দেশনা দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে।

শামীম হকের নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, তার হয়ে বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করা ই-মেইল হচ্ছে আলী আজগর মানিক নামের এক ব্যক্তির। মানিকের এই hch_bd@yahoo.com ঠিকানা থেকে করা ই-মেইলে নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসে যোগাযোগ করে শামীম হকের নাগরিকত্ব বাতিলের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। আর ওই ই-মেইলে ঢাকার নেদারলান্ডস দূতাবাসের কনস্যুলার সেবার ঠিকানা, দূতাবাসের লোগো, ফোন নম্বর, ই-মেইল ও ওয়েবসাইটের ঠিকানা ব্যবহার করা হয়।

আজগর আলী মানিকের ওই ই-মেইলে ‘হল্যান্ড চিলড্রেন হাউস’ নামে একটি এতিমখানার ঠিকানা খুঁজে পাওয়া যায়। আর সেখান থেকেই এই মানিকের তথ্য পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে তার কাছে জানতে চাওয়া হলে বলেন, আমি কেন ডাচ দূতাবাসে কাজ করব। দূতাবাসের সঙ্গে আমাদের কিছু প্রকল্প রয়েছে যেমন, হল্যান্ড চিলড্রেন হাউস। এ কারণে দূতাবাসের সঙ্গে আমাদের ই-মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হয়। দূতাবাসের কোনো পদে নেই আমি।

এরপরই মানিকের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ইসিতে জমা দেয়া নথিতে ঢাকার নেদারল্যান্ডসের দূতাবাসের কনস্যুলার সেবার ঠিকানা, দূতাবাসের লোগো, ফোন নম্বর, ই-মেইল ও ওয়েবসাইটের ঠিকানা ব্যবহারের কারণ কী? জবাবে তিনি বলেন, দূতাবাসের কূটনীতিকসহ রাষ্ট্রদূত একাধিকবার আমাদের হল্যান্ড চিলড্রেন হাউজে এসেছেন। ফলে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো আমাদের। কিন্তু দূতাবাসের কিছু ব্যবহার করা হয়নি বলেও দাবি তার।

এদিকে শামীম হক ইসিতে দাবি করেছেন, গত ৯ নভেম্বর নেদারল্যান্ডসের নাগরিকত্ব বাতিলের জন্য আবেদন করেছেন তিনি। কিন্তু আবেদন কার বরাবর করা হয়েছে, সেটি উল্লেখ নেই নথিতে। আর নথি অনুযায়ী তার নাগরিকত্ব ত্যাগের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার দূতাবাস থেকে ফিরতি ই-মেইলে ‘হল্যান্ড পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে’ নির্দেশনার জন্য তাকে অপেক্ষার কথা জানানো হয়। প্রসঙ্গত, ‘হল্যান্ড পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়’ বলে কিছু নেই এবং ই-মেইলে ব্যবহার করা ইংরেজি ভাষা এতটাই দুর্বল, যা বিদেশি দূতাবাসের কাছ থেকে কখনো আশা করা যায় না। আর নথিতে এটা স্পষ্ট নয় যে, ই-মেইলটি দূতাবাস থেকে করা হয়েছে।

এছাড়া ইসিতে নাগরিকত্ব বাতিল চেয়ে ইসিতে যে নথি জমা দেয়া হয়েছে, তাতে বিভিন্ন স্থানে ই-মেইল যোগাযোগের বেশির ভাগ ৪ ডিসেম্বরের পরে। কিন্তু প্রতিটি ই-মেইলে ৯ নভেম্বর নেদারল্যান্সের নাগরিকত্ব বাতিলের বিষয়টি শামীম হকের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হয়েছে। নেদারল্যান্ডসের নাগরিকত্ব ত্যাগ করার আবেদন করা নথি দূতাবাসসহ দায়িত্বশীল কারও গ্রহণ করার কোনো প্রমাণ নেই।


দ্বৈত নাগরিক   শামীম হক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর বিষপানে মৃত্যু: তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ

প্রকাশ: ১০:২১ পিএম, ০২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

কুড়িগ্রামে ধারের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও পরে আত্মহত্যার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। রোববার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

কুড়িগ্রামের রাজীবপুরে ধারের ২০ হাজার টাকা সময়মতো পরিশোধ করতে না পারায় এক গৃহবধূকে দুই মাস ধরে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনার বিচার না পেয়ে দম্পতির বিষপানের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া পুলিশের বাধার কারণে মামলা করতে পারেননি ওই গৃহবধূ। বিষপানের পর ওই গৃহবধূ মারা গেছেন।

ধর্ষণসহ উল্লিখিত সব অভিযোগকে অত্যন্ত মর্মান্তিক ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছে মানবাধিকার কমিশন। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মামলা করতে না পারা এবং চিকিৎসার খরচের জন্য এক লাখ টাকা দাবি করে ফাঁকা স্ট্যাম্পে সই নেওয়া- সংক্রান্ত অভিযোগগুলো তদন্তে একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই কমিটির পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত প্রতিবেদন মানবাধিকার কমিশনে পাঠাতে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এই ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত নিবিড় পর্যবেক্ষণ করে জরুরি ভিত্তিতে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে জানাতে কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৬ জুলাই প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করা হয়েছে।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জলাবদ্ধতা নিরসনে মাঠে এমপি আওলাদ হোসেন

প্রকাশ: ০৯:৩৬ পিএম, ০২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে উপকূলীয় এলাকায় যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তেমনি জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করেছে রাজধানী ঢাকায়ও। এসব জলাবদ্ধতা নিরসনে সক্রিয় ভাবে মাঠে কাজ করছেন ঢাকা-৪ আসনের সাংসদ ড. আওলাদ হোসেন। গত কয়েকদিনে তিনি কদমতলী থানার জুরাইন, আলমবাগ, মেরাজনগর, মোহাম্মদবাগসহ বিভিন্ন স্থানে সৃষ্ট হওয়া জলাবদ্ধতা নিরসনে তাৎক্ষনিক  বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

রোববার (২ জুন) তিনি ছুটে যান শ্যামপুর থানার মিরহাজিরবাগ এলাকায়। আলমবাগ এলাকার জলাবদ্ধতার মাত্রা বেশি হওয়ায় সেখানে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন থেকে পাম্প বরাদ্ধ এনে সেই পাম্পের সাহায্যে পানি নিষ্কাষন করছেন ড. আওলাদ। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, অতিবৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা দ্রুত নিরসন করার জন্য এমপি আওলাদ নিজে পানিতে নেমে ডুবরী দিয়ে পানি নিষ্কাষন ব্যাবস্থা তদারকি করছেন। 

ড. আওলাদ হোসেন বলেন, এলাকার মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে এমপি নির্বাচিত করেছেন। তাই তাদের সমস্যা সমাধানে আমি আন্তরিক ভাবে কাজ করার চেষ্ঠা করি। দুর্যোগের কারণে এলাকায় কৃত্রিম ভাবে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিরসন করার জন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও ঢাকা দক্ষিণ সিটির মাননীয় মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস সাহেবের সহযোগীতায় ঢাকা-৪ এলাকায় উন্নয়ন কাজ চলমান রেখেছি। বিশেষ করে মাননীয় মেয়র তাপস সাহেব শ্যামপুর-কদমতলীর সকল ওয়ার্ডে ড্রেনেজ উন্নয়নে বরাদ্ধ দিয়ে কাজ চলমান রেখেছে। আশা করছি এই কাজ শেষ  হলে এলাকায় আর জলাবদ্ধতা থাকবে না।    

জলাবদ্ধতা   ঢাকা-৪   ড. আওলাদ হোসেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নওগাঁয় গৃহবধূর গলায় ফাঁস লাগানো মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ: ০৯:৪২ পিএম, ০২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

নওগাঁর বদলগাছীতে সাদিহা খানম তন্নী (২২) নামে এক গৃহবধূর ফাঁস লাগানো মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।

রোববার (২রা জুন) দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। তিনি ওই উপজেলার ভান্ডারপুর গ্রামের নুর আলম রিংকুর স্ত্রী এবং জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার বিহারপুর গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের মেয়ে বলে জানা যায়। তন্নীর পরকীয়ার বিষয়টি জানার কারণে সে আত্মহত্যা করতে পারে বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন।

থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্বামী নুর আলম সংসারে স্বচ্ছলতা আনতে অর্থ রোজগার করতে বিদেশে পাড়ি জমান। স্বামী বিদেশ যাওয়ার কিছুদিন পর স্ত্রী তন্নী শ্বশুরবাড়ি না থেকে ভান্ডারপুর বাজারে রাজুর তিন তলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেয়। সেখানে ২/৩ বছরের শিশু সন্তানকে নিয়ে থাকা শুরু করেন। এরই মাঝে জড়িয়ে যায় অনৈতিক কর্মকান্ডে।

স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে স্ত্রী তন্নী জড়িয়ে পরে পরকীয়া প্রেমে। এছাড়া ভাড়া নেওয়া বাসায় ছিল পরপুরুষের নিয়মিত যাতায়াত। গত ৪ মাস পূর্বে নুর আলম দেশে ফিরে আসে। এরপর স্থানীয় লোকজন ও বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারে তার স্ত্রী অন‍্য কারও সাথে পরকীয়া প্রেম করে এবং তার স্ত্রীর ফ্লাটে বিভিন্ন পরপুরুষের যাতায়াত ছিল। এছাড়া অনলাইনে বিভিন্ন জনের সাথে সম্পর্ক করে। এসব জানার পর স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কথা কাটাকাটি চলে। প্রায় এই বিষয়টি নিয়ে উভয়ের মধ‍্যে মনোমালিন‍্য হয়। স্ত্রীর মোবাইলটি নিতে চাইলে তা স্বামীকে দিতে অস্বীকার করে সাদিহা খানম তন্নী। ঘটনার দিন নানী শাশুড়ির জানাজা শেষে বাসায়  ফিরে এ নিয়ে আবারও মনোমালিন‍্য শুরু হয়। রাত ১০টায় যে যার মতো রাতের খাবার খেয়ে স্বামী ও স্ত্রী আলাদা রুমে ঘুমায়। রবিবার ভোর রাত আড়াই টার দিকে স্বামী নুর আলমের ঘুম ভেঙ্গে গেলে বেলকনিতে আসে। সেখানে দেখতে পায় তন্নী বেলকুনির গ্রীলের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। ঘটনাটি দেখে সাথে সাথে চিৎকার ও ডাকাডাকি করলে বাসার ও আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। এবং বিষয়টি থানা পুলিশকে অবগত করলে পুলিশের এসআই আতোয়ার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে আসে এবং বাজারের গ্রীলের কর্মচারীকে দিয়ে গ্রিল কেটে বেলকুনিতে প্রবেশ করে।

এ ব‍্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান বলেন, নিহতের লাশের সুরুতহাল রিপোর্ট করে পোস্টমর্টেমের জন‍্য নওগাঁ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব‍্যাপারে নিহতের পিতা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছে।


গৃহবধূ   গলাই ফাঁস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পাঁচ দিনেও প্রজ্ঞাপন হয়নি নাঈমুল ইসলাম খানের

প্রকাশ: ০৯:২২ পিএম, ০২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী নতুন প্রেস সচিব হিসেবে নাঈমুল ইসলাম খানের নিযুক্তির কথা চূড়ান্ত। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে গত ২৮ মে এ সংক্রান্ত একটি সারসংক্ষেপ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিষয়টি এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত করেনি।

নিয়ম অনুযায়ী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এই সারসংক্ষেপ অনুযায়ী একটি সারসংক্ষেপ অনুমোদন করবে এবং রাষ্ট্রপতির অনুমোদন সাপেক্ষে প্রজ্ঞাপন জারি করবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বঙ্গভবনের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, বঙ্গভবনে এই সংক্রান্ত কোন সার সংক্ষেপ পাঠানো হয়নি। কোথায় গিয়ে আটকে আছে- এ নিয়ে নানামুখী বক্তব্য পাওয়া গেছে। 


উল্লেখ্য যে, ২৮ মে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি সারসংক্ষেপ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। ওই সারসংক্ষেপে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হিসেবে নাঈমুল ইসলাম খানকে নিয়োগের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয় এবং তার জীবনবৃত্তান্ত সংযুক্ত করে সচিব পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল বা যতদিন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী অভিপ্রায় ব্যক্ত করবেন, ততদিন পর্যন্ত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনের আনুষ্ঠানিকতা চূড়ান্ত করে তা মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে প্রেরণ করার কথা। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করার কথা। 

সাধারণত এরকম ক্ষেত্রে একদিনেই প্রজ্ঞাপন জারি হয়। কোথাও কোথাও সর্বোচ্চ দুই দিন লাগে। কিন্তু নাঈমুল ইসলাম  খানের ক্ষেত্রে এটি ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটছে। এখন পর্যন্ত পাঁচ দিনেও এই প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি। 

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পরিচালক (প্রশাসন) যে সারসংক্ষেপটি পাঠিয়েছেন সেটি গণমাধ্যমে কীভাবে প্রকাশিত হল তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। 

তবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে, এটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ফাঁস হয়নি। তাহলে এটি কোথা থেকে ফাঁস হল? কে ফাঁস করল? এটি নিয়ে বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন উঠেছে। এটি বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর নাঈমুল ইসলাম খানের পক্ষে বিপক্ষে নানা রকম বক্তব্য এসেছে। কেউ কেউ নাঈমুল ইসলাম খানের অতীত কর্মকাণ্ড নিয়ে নানা রকম কথাবার্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিচ্ছে। অনেকে এই ব্যাপারটি সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক মহলের কাছেও পাঠিয়েছে। আবার অনেকেই তার প্রশংসা করেছে। 

এই ধরণের স্পর্শকাতর নিয়োগের ক্ষেত্রে যে গোপনীয়তা বজায় রাখা উচিত ছিল, সেই গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়নি বলেই অনেকে মনে করেন। নাঈমুল ইসলাম খানের পক্ষে যেমন একটি অংশ আছে তেমনি নাঈমুল ইসলাম খান যেন শেষ পর্যন্ত প্রেস সচিব হতে না পারেন, প্রজ্ঞাপন যেন জারি না হয় সেজন্য কোন কোন মহল সক্রিয়। আর তারা নাঈমুল ইসলাম খানের অতীত কর্মকাণ্ড, তার নানা রকম নেতিবাচক দিক নিয়ে বিভিন্ন মহলের কাছে তথ্য উপাত্ত নিয়ে ছুটাছুটি করছেন। সব কিছু মিলিয়ে পাঁচ দিনেও এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়াটাকে অনেকে একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা হিসেবে মনে করছেন। এখন দেখার বিসয় যে, শেষ পর্যন্ত বিষয়টি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়।

নাঈমুল ইসলাম খান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছে: ধর্মমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:৪৯ পিএম, ০২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য জেএমবি, হরকাতুল জিহাদ, আল্লাহর দল ইত্যাদি নাম ধারণ করে অপতৎতপরতা চালিয়েছে। হলি আর্টিজান, কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ, সিলেটের আতিয়া মহলসহ বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসবাদী হামলা চালিয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে তাদের বিরুদ্ধে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন জামালপুরে ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান এমপি বলেছেন ।

 

রোববার (২ মে) দুপুরে জামালপুরের ইসলামপুরে সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ, নারী নির্যাতন, যৌতুক, বাল্যবিবাহ ও মাদক প্রতিরোধে উলামা-মাশায়েখগণের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

এসময় মন্ত্রী বলেন, মা তার জঙ্গীবাদী সন্তানকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হতে তুলে দিয়েছেন। পরিবার বা কোন আত্মীয়-স্বজন জঙ্গীদের লাশ নিতে আসেনি। এই জঙ্গিবাদ যেন আর কখনই মাথাচারা দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য সবাই সচেতন থাকবেন।

 

তিনি আরও বলেন, ইমাম ও খতিবগণকে অনুরোধ জানাবো আপনারা মানুষের মাঝে ইসলামের মর্মবাণী প্রচার করবেন। ইসলাম শান্তিুর ধর্ম, ইসলাম মানব মুক্তির দিশারী, এখানে মানুষ হত্যা, খুনের কোন স্থান নেই। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ কখনই ইসলাম হতে পারে না।

 

একই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। এই সম্পর্ক শুধু জনশক্তি, হজ্জ, ওমরাহ পালনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। দুই দেশের ধর্মীয় সংস্কৃতি, ব্যবসা-বানিজ্য, বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, খেলাধুলাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত সম্পর্কের উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে।

 

তিনি আরও বলেন, সৌদি আরবে ৩২ লাখ বাংলাদেশী কাজ করছে, আর সরকারি হিসেবে প্রতি বছর কমপক্ষে ৫ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স অর্জন করে বাংলাদেশ। প্রতিদিন সৌদি দূতাবাসে ৫ হাজার ভিসার আবেদন জমা পড়ে, তবে আমরা চাই প্রশিক্ষিত জনশক্তি। কিন্তু এক্ষেত্রে বাংলাদেশী অনেক শ্রমিকই প্রশিক্ষিত না হওয়ায় বেতন-ভাতাসহ অনেক জটিলতায় পরেন।  

ইসলামপুর উপজেলার ফরিদুল হক খান দুলাল অডিটোরিয়ামে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক মো: শফিউর রহমানের সভাপতিত্বে সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ, সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু: আ: হামিদ জমাদ্দার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মহা: বশিরুল আলম, জামালপুরের পুলিশ সুপার মো: কামরুজ্জামান, ইসলামপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জামাল আব্দুন নাসের বাবুলসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।


জঙ্গীবাদ   ঐক্যবদ্ধ   ধর্মমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন