ইনডোরে অনুশীলনের জন্য অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেন থেকে বিশেষ টার্ফ উইকেট এনেছে বিসিবি। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে চারটি ইনডোর টার্ফ। টার্ফ আনার প্রক্রিয়ায় যুক্ত আছেন বিসিবির হেড অব প্রোগ্রাম ডেভিড মুর।
বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির প্রধান মাহবুবুল আনাম বলেছেন, ‘টার্ফগুলো মিরপুরেও ব্যবহৃত হতে পারে আবার চট্টগ্রাম, খুলনা, বগুড়া বা রাজশাহীর ইনডোরেও ব্যবহৃত হতে পারে। মিরপুরে ব্যবহৃত হলে মিরপুরের টার্ফগুলো অন্য ইনডোরগুলোতে স্থাপন করা হবে।’ বিশেষ প্রযুক্তির এই টার্ফ অনেকটাই আসল উইকেটের মতো আচরণ করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ওদিকে মিরপুরের একাডেমি মাঠে ‘গ্রিনহাউস’ অনুশীলন–সুবিধা প্রস্তুত করার কাজও প্রায় শেষের পথে। সব মৌসুমে অনুশীলন করার জন্য আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে উইকেট তৈরির কাজ শেষ হবে, লাগানো হবে ঘাস। উদ্বোধনের সম্ভাব্য সময় এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহ।
মাহবুবুল আনাম বলেছেন, ‘গ্রিনহাউসে মোট ২৪টি ন্যাচারাল উইকেট থাকবে, তবে একসঙ্গে অনুশীলন করা যাবে ১২টি উইকেটে। এর ওপরে থাকবে দুই স্তরের রিমোট কন্ট্রোল শেড। এক স্তরে থাকবে সানস্ক্রিন ও আরেক স্তরে সানরুফ। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা—বছরের যেকোনো সময়ে এখানে অনুশীলন করা যাবে। লাইট জ্বালিয়ে অনুশীলন করা যাবে রাতেও।’
কানাডার ক্র্যাভো ইকুইপমেন্ট লিমিটেডের এই প্রযুক্তির অনুশীলন–সুবিধার ধারণা বিসিবি নিয়েছে নিউজিল্যান্ড থেকে।
টার্ফ বিসিবি গ্রিনহাউস অনুশীলন সানস্ক্রিন সানরুফ রিমোট কন্ট্রোল শেড ক্রিকেট
মন্তব্য করুন
সারা বিশ্বজুড়ে জমে উঠেছে টি-২০ বিশ্বকাপের আমেজ। এরই মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে কয়েকটি ম্যাচ। তবে এখনও শুরু হয়নি ভারতের বিশ্বকাপ যাত্রা। বুধবার (৫ জুন) আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে রোহিত-কোহলিদের মিশন।
চলমান বিশ্বকাপের ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে মাঠে নামছে ভারত ও আয়ারল্যান্ড। দীর্ঘ ১৫ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে এই দুই দল। সর্বশেষ ২০০৯ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেখা হয়েছিল ভারত ও আয়ারল্যান্ডের। আর তাই বিশ্বকাপের মঞ্চে দ্বিতীয় সাক্ষাতকে জয় দিয়ে উদযাপন করতে চায় উভয় দলই।
তবে শক্তিমত্তার দিক থেকে দেখতে গেলে ভারতের ধারে কাছেও নেই আয়ারল্যান্ড। কারণ সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স ও বিশ্বকাপের পরিসংখ্যানের দিকে দেখতে গেলে আয়ারল্যান্ডের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ অর্জন হল বৈশ্বিক এই আসরের ৮ম আসরে ২০২২ সালে তিন ম্যাচে জয়।
২০০৯ থেকে সবগুলো বিশ্বকাপে খেললেও এটাই আইরিশদের এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ অর্জন। সেবার গ্রুপ পর্বে দুই ম্যাচ ও সুপার টুয়েলভে একটি ম্যাচ জিতেছিল আইরিশরা। এর মধ্যে গ্রুপ পর্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৯ উইকেটে এবং সুপার টুয়েলভে ইংল্যান্ডকে বৃষ্টি আইনে ৫ রানে হারায় তারা।
* হেড টু হেড
আইরিশরা ২০০৯ সালে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবার সুযোগ পায় এবং সেবার তারা মুখোমুখি হয়েছিল ভারতের। শুধু বিশ্বকাপ নয়, বিশ্ব ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত এই ফরম্যাটে সেটি ছিল দু’দলের প্রথম মোকাবেলা। ইংল্যান্ডের নটিংহামে অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচে ভারত ৮ উইকেটে হারিয়েছিল আয়ারল্যান্ডকে।
এরপর ছয়টি বিশ্বকাপ চলে গেলেও সংক্ষিপ্ত ভার্সনের মেগা ইভেন্টে দেখা হয়নি তাদের। অবশেষে বিশ্বকাপের নবম আসরে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে একে অপরের বিপক্ষে মাঠে নামছে ভারত-আয়ারল্যান্ড।
২০০৯ সালের বিশ্বকাপের পর তিন দফায় আয়ারল্যান্ড সফরে ছয়টি টি-টোয়েন্টি খেলেছে ভারত। সবগুলোতেই জয় পেয়েছে টিম ইন্ডিয়া। তাই আইরিশদের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত সাত ম্যাচ খেলে শতভাগ জয় আছে ভারতের।
* জয়ের মিশন অব্যাহত রাখা
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শতভাগ জয়ের রেকর্ড অব্যাহত রাখার মিশনেই ফেবারিট হিসেবে মাঠে নামছে ভারত। এ বিষয়ে ভারতের প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড় বলেন, ‘আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আমাদের রেকর্ড ভালো। এমন রেকর্ডকে আরও শক্ত করতে চাই আমরা। জয়ের জন্য মাঠে নামবে দল। বিশ্বকাপে সবসময়ই ভালো ক্রিকেট খেলে আয়ারল্যান্ড। গত বিশ্বকাপের বড় দু’দলকে হারিয়েছে তারা। এ জন্য কালকের ম্যাচ নিয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। প্রতিপক্ষকে কোনো সুযোগ দেয়া যাবে না। পুরো ম্যাচেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে হবে ভারতকে।’
* অনুশীলন ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ
আয়ারল্যান্ড ম্যাচের আগে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ভারতের অনুশীলন ব্যবস্থা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন দ্রাবিড়। কোনো মাঠ বা ইনডোরে নয়, ভারতকে অনুশীলন করতে হচ্ছে পাবলিক পার্কে। বিশ্বকাপের আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের এমন আয়োজনে ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রাবিড় বলেন, ‘বিশ্বকাপের অবশ্যই আপনার বড় স্টেডিয়াম বা ক্রিকেট স্টেডিয়াম থাকতে হবে। কিন্তু আমাদের পাবলিক পার্কে অনুশীলন করতে হচ্ছে। পার্কে ক্রিকেটের অনুশীলন করাটা অদ্ভুত ব্যাপার। এটা বিশ্বকাপের মতো আসরে একেবারেই বেমানান।’
* সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স
বিশ্বকাপের আগে একটি অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে ভারত। বাংলাদেশের বিপক্ষে ওই ম্যাচে ব্যাটিং-বোলিং প্রস্তুতি বেশ ভালোভাবেই সেরেছে টিম ইন্ডিয়া। প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৮২ রান করে ভারত। জবাবে ৯ উইকেটে ১২২ রান করে বাংলাদেশ। ৬০ রানের জয়ে প্রস্তুতি পর্ব শেষ করে টিম ইন্ডিয়া। এর আগে গেল দু’মাস আইপিএল নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করেছে এ বছর মাত্র একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলা ভারত। গত জানুয়ারিতে ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতেছিল ভারত।
এদিকে চলতি বছর দু’টি দ্বি-পক্ষীয় ও একটি ত্রিদেশীয় সিরিজে অংশ নেয় আয়ারল্যান্ড। আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের কাছে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হারলেও, নেদারল্যান্ডস ও স্কটল্যান্ডকে নিয়ে হওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজে চ্যাম্পিয়ন হয় আইরিশরা।
আর আগের বিশ্বকাপের সাফল্যকে এবার ছাড়িয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে আয়ারল্যান্ড। এ বিষয়ে অধিনায়ক পল স্টার্লিং বলেন, ‘গত বিশ্বকাপে আমাদের পারফরমেন্স খুবই ভালো ছিল। দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিলাম আমরা। এবার আগের বিশ্বকাপের সাফল্যকে ছাড়িয়ে যেতে চাই। এই বিশ্বকাপেও আবারো বিশ্বকে চমকে দিতে চাই।’
উল্লেখ্য, নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিটে খেলতে নামবে দু’দল।
ভারত দল
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), হার্দিক পান্ডিয়া (সহ-অধিনায়ক), যশস্বী জয়সওয়াল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, ঋষভ পান্থ (উইকেটরক্ষক), সঞ্জু স্যামসন (উইকেটরক্ষক), শিবম দুবে, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, যুজবেন্দ্রা চাহাল, আর্শদীপ সিং, জসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ।
আয়ারল্যান্ড দল
পল স্টার্লিং (অধিনায়ক), মার্ক অ্যাডায়ার, রস অ্যাডায়ার, এন্ড্রু বলবির্নি, কার্টিস ক্যাম্ফার, গ্যারেথ ডেলানি, জর্জ ডকরেল, গ্রাহাম হিউম, জশ লিটল, ব্যারি ম্যাককার্থি, নেইল রক, হ্যারি টেক্টর, লরকান টাকার, বেন হোয়াইট, ক্রেইগ ইয়াং।
টি-২০ বিশ্বকাপ ভারত বিশ্বকাপ মিশন আয়ারল্যান্ড
মন্তব্য করুন
চলছে টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসরের খেলা। বৈশ্বিক এই আসরের সপ্তম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল নেপাল। যেখানে উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে ম্যাক্স ও'দাউদের দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে ৬ উইকেটের কষ্টার্জিত জয় পেয়েছে ডাচরা।
ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৯.২ ওভারে ১০৬ রানে গুটিয়ে যায় নেপাল। জবাবে ৮ বল বাকি থাকতে জয় পায় নেদারল্যান্ডস।
আজ টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক স্কট অ্যাডওয়ার্ডস। বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের চাইতে ৩০ মিনিট দেরিতে ম্যাচটি শুরু হয়। নেপালের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন কুশল ভুর্টেল ও আসিফ শেখ।
দলীয় ১৫ রানের মাঝেই দুই ওপেনার সাজঘরে ফেরেন। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ২৫ রান যোগ করেন আনিল শাহ ও রোহিত পাউডেল। তবে ১১ রানে অনিল ফিরলে আবার ধাক্কা খায় দলটি। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা নেপালের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন অধিনায়ক রোহিত। এছাড়া করন ১৭ ও গুলশান ১৪ রান করেন। ডাচদের হয়ে প্রিঙ্গল ও ভ্যান বিক তিনটি এবং ভ্যান মিকিরিন ও ডি লিড দুটি করে উইকেট নেন।
রান তাড়া করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় নেদারল্যান্ডস। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে দলকে এগিয়ে নেন ওপেন করতে নামা ম্যাক্স ও'দাউদ। মূলত তার ব্যাটে ভর করেই জয় পায় ডাচরা। শেষ পর্যন্ত ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
এছাড়া বিক্রমজিত সিং ২২, সিব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট ১৪ ও বাস ডি লিড অপরাজিত ১১ রান করেন। নেপালের হয়ে দিপেন্দ্র, সোমবাল ও বোহারা একটি করে উইকেট শিকার করেন।
টি-২০ বিশ্বকাপ নেদারল্যান্ডস নেপাল
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসর। টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল স্কটল্যান্ড। উত্তেজনার আভাস দিলেও এ ম্যাচে জয় পায়নি কোনো দল। বৃষ্টিতে ভেস্তে গেছে এ ম্যাচ।
মঙ্গলবার বিশ্বকাপের ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে খেলতে নামে ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড। টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন স্কটল্যান্ড অধিনায়ক রিচি বেরিংটন। টসের পরপরই বৃষ্টি নামায় ম্যাচ শুরু হতে দেরি হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বার্বাডোজে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ১০ ওভারে বিনা উইকেটে ৯০ রান সংগ্রহ করে স্কটল্যান্ড। ম্যাচ জিততে ডি/এল মেথডে ইংল্যান্ডের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১০৯ রান। তবে বৃষ্টির জন্য মাঠেই নামতে পারেনি জস বাটলারের দল।
এদিন স্কটল্যান্ডের হয়ে ইনিংস ইদ্বোধনে নামেন জর্জ মুন্সি ও মাইকেল জোনস। শুরু থেকেই দেখে খেলার পাশাপাশি আক্রমণাত্মক খেলতে থাকেন দুজন। সেই ধারাবাহিকতায় সপ্তম ওভারের শুরুতেই দলীয় ফিফটির দেখা পায় স্কটিশরা। এরপরই ফের বৃষ্টি নামে।
বৃষ্টি থামার পর নতুন করে ম্যাচ শুরুর সময় নির্ধারণ করা হয়। অনেকটা সময় চলে যাওয়ায় ম্যাচ অফিসিয়ালদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিটি ইনিংস ১০ ওভারে চূড়ান্ত করা হয়। এবারও যথারীতি আক্রমণাত্মক ব্যাটিং উপহার দেন মুন্সি-জোনস।
ইনিংস শেষে মুন্সি ৪১ ও জোনস ৪৫ রানে অপরাজিত থাকেন। ডি/এল মেথডে ইংলিশদের লক্ষ্য বেড়ে যায়। কিন্তু আবারও বৃষ্টি শুরু হলে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই তাই সন্তুষ্ট থাকতে হয় দুই দলকে।
টি-২০ বিশ্বকাপ ইংল্যান্ড স্কটল্যান্ড
মন্তব্য করুন
টি-২০ বিশ্বকাপ নেদারল্যান্ডস নেপাল
মন্তব্য করুন
ইউসুফ পাঠান এতদিন সবাই ভারতের
একজন প্রাক্তন ক্রিকেটার হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। কিন্তু এখন তার আরেকটি নতুন পরিচয় হয়েছে।
নতুন পরিচয়ের এই লড়াইয়ে নেমে প্রথমবারেই বাজিমাত করেছেন ভারতের সাবেক এই অলরাউন্ডার।
ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের
মধ্য দিয়ে রাজনীতির মাঠে নেমেছেন ইউছুফ পাঠান। এই নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে বহরমপুর
আসন থেকে দাড়িয়েছিলেন তিনি। আর নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেছে কংগ্রেসের হেভিওয়েট প্রার্থী
অধীর চৌধুরীকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন তিনি।
ইউসুফ পাঠান ৪ লাখ ৯৬ হাজার ৫৩৪ ভোট পেয়েছেন।
বিপরীতে অধীর চৌধুরী পেয়েছেন ৪ লাখ ১৮ হাজার ১৫৩ ভোট।
অধীর চৌধুরীর এই পরাজয়ের
মধ্য দিয়ে বহরমপুরে টানা ২৫ বছরের অধীর রাজত্বের অবসান ঘটেছে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে জয় পেতে বামদের সঙ্গে জোট বেঁধে ময়দানে নেমেছিলেন অধীর। কিন্তু সেই জোট সাফল্য পায়নি। বরং সাবেক ক্রিকেটার ইউসুফের কাছে ধরাশায়ী হলেন অভিজ্ঞ এই নেতা।
ইউসুফ পাঠান রাজনীতি ভারত লোকসভা নির্বাচন
মন্তব্য করুন