ইনসাইড পলিটিক্স

কোন্দল বন্ধ করতে আওয়ামী লীগের পাঁচ কৌশল

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৯ জানুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের এখন প্রধান সমস্যা হল দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল মেটানো। নির্বাচনের সময়ে আওয়ামী লীগের যে কৌশল সেই কৌশলের কারণে সারাদেশে কোন্দল ছড়িয়ে পড়েছে। এখন মারামারি হানাহানি নিত্যকার ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক মহল মনে করছে, দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙে গেছে এবং দলের ঐক্য টিকিয়ে রাখাই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ। কারণ সামনের দিনগুলোতে বিএনপি আবার নতুন করে আন্দোলন করব। দল যদি ঐক্যবদ্ধ না থাকে, দলের মধ্যে যদি প্রকাশ্য বিভক্তি থাকে সে ক্ষেত্রে এর সুযোগ নেবে বিরোধী পক্ষরা। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগ তাদের দলের অনৈক্য এবং বিরোধ বন্ধের জন্য ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। 

পাঁচটি কৌশল গ্রহণ করেছে আওয়ামী লীগ তার অভ্যন্তরীণ কোন্দল থামানোর জন্য। এর মধ্যে রয়েছে;

১. স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বার্তা: গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন এবং সেখানে তিনি অভ্যন্তরীণ কোন্দল আজকে থেকে বন্ধ করার জন্য নির্দেশনা দেন। এর আগে তিনি আওয়ামী লীগের এমপিদেরকে একই রকম নির্দেশনা দিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এই নির্দেশনার ফলে দুই পক্ষ অর্থাৎ যারা আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন এবং যারা স্বতন্ত্র ছিলেন তাদের বিরোধের অবসান ঘটবে এবং শান্তিপূর্ণ সহবস্থানে তারা আসার চেষ্টা করবে।

২. সাংগঠনিক সম্পাদকদেরকে নির্দেশনা: আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যে দলের সব সাংগঠনিক সম্পাদকদের প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় কোন্দল বন্ধের জন্য তারা যেন উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং কোন্দলরত নেতাদের দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে, আলাপ আলোচনা করে সে ব্যাপারে নির্দেশনা প্রদান করেছেন। সাংগঠনিক সম্পাদকরা ইতোমধ্যেই কোন্দলে জর্জরিত এলাকাগুলোর নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলছেন। তারা স্থানীয় পর্যায়ে সফরে যাবেন বলেও নির্ধারিত হয়েছে। তবে সাংগঠনিক সম্পাদক তাদের নিজ নিজ বিবেচনায় এবং সুবিধা অনুযায়ী কোন্দলরত নির্বাচন এলাকাগুলো সফর করবেন। 

৩. দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী: যে সমস্ত নির্বাচনী এলাকাগুলোতে অধিক কোন্দল, যেখানে সন্ত্রাস সহিংসতা বেশি, সেখানে বিজয়ী এবং পরাজিত উভয় পক্ষকেই আমন্ত্রণ জানানো হবে এবং প্রধানমন্ত্রীর দুই পক্ষের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলে একটি সমঝোতার উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। তবে একাধিক সূত্র বলছেন, প্রধানমন্ত্রী নেবেন শেষ উদ্যোগ। আর আগেই দলের সাধারণ সম্পাদক উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলার উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারেন বলে জানা গেছে। 

৪. সতর্কবার্তা দেওয়া হবে: নির্বাচনে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিল, তাদের কারো বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না। গতকালও গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আওয়ামী লীগে যারা যে পদে ছিলেন সেই পদে থাকবে। কিন্তু এরপরও যদি কেউ কোন্দল করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

৫. উপজেলা নির্বাচনে সহিংসতা না করা: উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক তুলে নিয়েছে। দলীয় প্রতীক ছাড়া এই নির্বাচন আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কমাতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। কোন্দল কমানোর মধ্য দিয়ে উভয় পক্ষকেই একটি সুষ্পষ্ট বার্তা দেয়া হয়েছে। এটির ফলে আওয়ামী লীগ নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকবে এবং যে ব্যক্তি সংগঠন বিরোধী তৎপরতা করবে, সন্ত্রাস, সহিংসতার সাথে জড়িত থাকবে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই পাঁচ কৌশল করে আওয়ামী লীগ যত দ্রুত সম্ভব দলের নির্বাচন কেন্দ্রিক কোন্দল কমাতে চায়। এখন দেখার বিষয় এই কোন্দল শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ কমাতে পারে কিনা।

আওয়ামী লীগ   উপজেলা নির্বাচন   রাজনীতির খবর   কোন্দল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপিতে হঠাৎ আলোচনায় সিঁথি

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

শর্মিলা রহমান সিঁথি প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী। তিনি থাকেন লন্ডনে। তার দুই সন্তান সেখানেই লেখাপড়া করেন। তারেক জিয়ার সাথে তার সম্পর্ক খুব একটা ভালো না। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া তাকে অত্যন্ত পছন্দ করেন। বিভিন্ন সময়ে বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার সময় তিনি লন্ডন থেকে ঢাকায় ছুটে এসেছেন। এবার ঈদেও তিনি ঢাকায় আসছেন এবং রাজনীতিতে তার মনোযোগ বাড়ছে—এমন গুঞ্জন উঠেছে বিএনপির মধ্যে। বিএনপিতে এখন নতুন করে সিঁথিকে নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। 

তারেক জিয়াকে নিয়ে যখন বিএনপিতে তীব্র সমালোচনা এবং তার নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সে সময় বেগম খালেদা জিয়ার আগ্রহেই সিঁথিকে সামনে আনা হয়েছে কি না তা নিয়ে গুঞ্জন চলছে বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গনে। সাম্প্রতিক সময়ে শর্মিলা রহমান সিঁথি বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলছেন। গত দুই দিনে তিনি স্থায়ী কমিটির অন্তত পাঁচ জন সদস্যের সাথে কথা বলেছেন। যদিও স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য শর্মিলা রহমান সিঁথির সঙ্গে কথা বলার বিষয়টি স্বীকার করে বলেছেন এটি বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা এবং চিকিৎসা বিষয়ে, রাজনৈতিক বিষয়ে নয়। 


তবে বিভিন্ন সূত্র বলছে, রাজনীতিতে শর্মিলা সিঁথির যেমন আগ্রহ বাড়ছে তেমনি বেগম খালেদা জিয়াও তাকে রাজনৈতিক বিষয়ে মনোযোগ দেয়ার ব্যাপারে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে অন্তত দুটি কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে শর্মিলা সিঁথিকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। এছাড়াও শর্মিলা সিঁথি এখন সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন এবং দলের কর্মসূচি কি ধরনের হওয়া উচিত তা নিয়ে বার্তা দিচ্ছেন। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, সিঁথি ঈদের ছুটিতে ঢাকায় আসছেন এবং বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঈদুল আজহা পালন করবেন। এসময় তিনি রাজনীতিতে আরও মনোযোগী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য যে, তারেক জিয়ার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান একজন চিকিৎসক। তিনি চিকিৎসক হলেও বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘ কারাবাস এবং অসুস্থতার মধ্যে একবারও আসেননি। এমনকি তারেক জিয়ার পরিণত কন্যা জাইমা রহমানও এসময় দাদির কাছে আসেননি। দাদির খোঁজ খবরও খুব একটা নেননি। এই পুরো সময়ে একমাত্র শর্মিলা সিঁথি নানারকম ঝুঁকি নিয়ে দেশে এসেছেন এবং বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল হাসপাতালে এমনকি এভারকেয়ার হাসপাতালে থেকেছেন, সেবা করেছেন। 

 
বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, শাশুড়ির প্রতি সিঁথির এই ভালোবাসা এবং দায়িত্ববোধ বেগম জিয়াকে মুগ্ধ করেছে। বিএনপি নেতাদের মধ্যেও সিঁথি নতুন করে সম্মান কুঁড়িয়েছেন। আর একারণেই তার গ্রহণযোগ্যতা এখন তারেক জিয়ার চেয়ে কোন অংশে কম না বলে মনে করছে অনেকে।
 
উল্লেখ্য, শর্মিলা সিঁথি বিএনপির রাজনীতিতে নতুন নন। তার বাবা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। আর একারণেই শেষ পর্যন্ত যদি সিঁথি বিএনপির নেতৃত্বের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করেন তবে অবাক হওয়ার কিছু থাকবেনা। তবে বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে শর্মিলা সিঁথির সঙ্গে তারেক জিয়ার সম্পর্ক ভালো নয়। বিশেষ করে আর্থিক বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। আর এই বিরোধের কারণেই সিঁথি এখন বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হতে চাচ্ছেন। এটি তারেক জিয়ার সঙ্গে তার দেনা পাওনার জন্য একটি মনস্তাত্বিক চাপ বলে অনেকে মনে করছেন। 

শর্মিলা রহমান সিঁথি   বিএনপি   খালেদা জিয়া   তারেক জিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে: নানক

প্রকাশ: ০৪:০৮ পিএম, ১৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। যেই দুর্নীতি করেছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন। কিন্তু বিএনপির নেতারা এই নজির সৃষ্টি করতে পারেননি।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নানক বলেন, হাওয়া ভবনের তারেক রহমান হাজার হাজার কোটি টাকা অর্থ পাচার করেছেন। লন্ডনে বসে রাজপ্রাসাদ থেকে দেশের টাকা লুটপাট করে উপভোগ করছেন।

বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, ফখরুল সাহেবের ভেতরের কথা বের হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের সরকার বিএনপির প্রধান শত্রু। কারণ এই সরকার জনগণের সরকার , এই সরকার অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের সরকার, এ সরকার দেশের উন্নয়নের সরকার। কারণ এই সরকার আপনাদের (বিএনপি) বন্ধু একাত্তরের মানবতাবিরোধী ওই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছে, বিচারের রায় কার্যকর করেছে।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের শুধু ঢেকুর দিলে চলবে না। আমরা পঞ্চমবারের মতো সরকার গঠন করেছি। সতর্ক থাকতে হবে। বিএনপি-জামায়াত জনগণের সমর্থন না পেয়ে আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে। এখন তারা নতুন করে ষড়যন্ত্রের পথ খুঁজছে।

আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো থেমে নেই। সেই পরাজিত শক্তি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তাদেরকে মোকাবিলা করতে গেলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুন। এ সময় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


দুর্নীতি   জাহাঙ্গীর নানক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আজ মোহাম্মদ নাসিমের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী

প্রকাশ: ০৩:২০ পিএম, ১৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সাবেক সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সাবেক সমন্বয়ক ও সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ বৃহস্পতিবার। ২০২০ সালের ১৩ জুন ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। 

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে-প্রয়াতের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা, গরিবদের মাঝে খাবার বিতরণ।

১৯৪৮ সালের ২ এপ্রিল সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন মো. নাসিম। তার পিতা শহীদ ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে গঠিত বাংলাদেশ সরকারে অর্থ, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এবং স্বাধীনতা পরবর্তী বঙ্গবন্ধু সরকারের মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। জাতীয় চার নেতার অন্যতম এম. মনসুর আলী ৩ নভেম্বর জেলখানায় ঘাতকদের হাতে নিহত হন। 

মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তার জন্মস্থান সিরাজগঞ্জের কাজিপুর থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। বিকেল ৩টায় সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে। 

মোহাম্মদ নাসিম ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বিভিন্ন সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, স্বরাষ্ট্র, গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। তিনি ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্রও ছিলেন।


রাজনীতিবিদ   নাসিম   মৃত্যুবার্ষিকী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগ আমাদের প্রধান শত্রু: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০৭:২৩ পিএম, ১২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকার (আওয়ামী লীগ) আমাদের প্রধান শত্রু। তারা দেশের সবকিছু ধ্বংস করে ফেলেছে। আমাদের সুর একটাই, এই সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা। আন্দোলন চলছে, আন্দোলন চলবে। শিগগিরই আমাদের আন্দোলন আরও বেগবান হবে। আমরা সব দল (সমমনা) একত্রিত হতে পেরেছি। কিভাবে এই সরকারকে সরাতে পারি, কিভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে পারি, সেই লক্ষ্যেই আমরা সংগ্রাম করছি। 

বুধবার (১২ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশে সর্বগ্রাসী সংকট চলছে। একদিকে রাজনৈতিক সংকট আরেকদিকে অর্থনৈতিক সংকট। গণতন্ত্রের লেবাসে রাজনীতির কাঠামো শেষ করে একদলীয় শাসন তৈরি করেছে সরকার। এ অবস্থার পরিবর্তনের জন্য তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে।

এই সরকারের অপকীর্তি স্বল্প সময়ে বলে শেষ করা যাবে না উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার প্রথম সর্বনাশ করেছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করে। আগেও করেছিল, এবার করেছে একটু ভিন্ন কায়দায়। এখন একটু শিক্ষিত হয়েছে, ছদ্মবেশী আবরণ দিয়ে, গণতন্ত্রের লেবাস পরিয়ে দিয়ে দেশের রাজনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করেছে। ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ একটি একদলীয় ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে।

তিনি বলেন, এখন কিন্তু দেশের প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদরাও কথা বলতে শুরু করেছেন। তারা দেখছেন, যদি আওয়ামী লীগের এরকম ফ্যাসিবাদ চলতেই থাকে তাহলে এই দেশের আর কোনো অস্তিত্ব থাকবে না।

আওয়ামী লীগ   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

যেভাবে জেলায় জেলায় প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে পরিবারতন্ত্র, তার একটি উদাহরণ

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

সদ্য সমাপ্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিলো যে, আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের সন্তান, পরিবারের সদস্য, নিকটাত্মীয় ও নিজস্ব লোক উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এমনকি তারা কারও পক্ষে কাজও করতে পারবেন না। উদ্দেশ্য ছিলো তৃণমূলে দলের মধ্যে নেতৃত্বের বিকেন্দ্রীকরণ করা। যা গণতন্ত্রের চর্চা, গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। বিশেষ করে গত কয়েক বছর ধরে তৃণমূল পর্যায়ে যেভাবে পারিবারিক কায়েম করা হচ্ছে সেটা থেকে বেরিয়ে আসার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলো আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। কিন্তু দলের এই নির্দেশ অমান্য করেই বিভিন্ন উপজেলাগুলোতে মন্ত্রী, এমপিরা তাদের পরিবারের সদস্যদের নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছেন শুধুমাত্র পরিবারতন্ত্র কায়েম করার জন্যে। কিন্তু এর ফলে তৃণমূল আওয়ামী লীগ একটি নির্দিষ্ট পরিবারের কাছে জিম্মি হয়ে যায়। সেখানে গণতন্ত্রের চর্চা রুদ্ধ হয়ে পড়ে। একটি রাজনৈতিক দলের প্রাণশক্তি তৃণমূলের কর্মীরাই তখন বিভিন্ন ভাবে নির্যাতনের শিকার হয়, হয়রানির শিকার হয়। 

মুন্সিগঞ্জ জেলার কথাই ধরা যাক। মুন্সিগঞ্জ সদর এবং গজারিয়া নিয়ে মুন্সিগঞ্জ-৩ আসন। এই মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হলেন মো. মহিউদ্দিন। তিনি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানও বটে। তার ভাই আনিসুজ্জামান জেলা আওয়ামী লীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং একই সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান। তার ছেলে ফয়সাল বিপ্লব জাতীয় সংসদ সদস্য। ফয়সাল বিপ্লবের স্ত্রী চৌধুরী ফারিয়া আফরিন পৌরসভার মেয়র। মো. মহিউদ্দিন চতুর্থ স্ত্রী জেলা আওয়ামী লীগের এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এর ফলে পুরো জেলায় একক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছেন মো. মহিউদ্দিন পরিবার। এর মধ্য দিয়ে মহিউদ্দিন পরিবার জেলা সহ দুই উপজেলার টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

স্থানীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ, জেলায় এমন কোন সেক্টর নাই যেখানে এই মহিউদ্দিন পরিবারের খবরদারি নেই। বালু উত্তোলন থেকে শুরু করে গরুর হাট ইজারা সব কিছুই এখন মহিউদ্দিন পরিবারের দখলে। পদ্মা-মেঘনায় যে বালু দুস্যতা এর পুরো নিয়ন্ত্রণ এই মহিউদ্দিন পরিবারের হাতে। এভাবে মুন্সিগঞ্জে একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে এই পরিবার। তাদের বিরুদ্ধে যারাই প্রতিবাদী হয় কিংবা অভিযোগ করে তাদের ওপর নেমে আসে অকথ্য নির্যাতন।

শুধু তাই নয়, মহিউদ্দিন পুত্র ফয়সাল বিপ্লবের বিরুদ্ধে গত বছর অক্টোবরে সাম্প্রদায়িক উস্কানিও অভিযোগ উঠে। এছাড়া ২০২২ সালে আওয়ামী লীগের কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী দিয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর থানা ঘেরাও করার অভিযোগও উঠেছিলো ফয়সাল বিপ্লবের বিরুদ্ধে। ২০২২ সালে চাঁদাবাজদের পৃষ্ঠপোষকতা করার অভিযোগ আছে ফয়সাল বিপ্লবের বিরুদ্ধে। তৎকালীন আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ওয়াহিদুজ্জামান বাবুল নিজেই এক সংবাদ সন্মেলন করে এই অভিযোগ করেন।

শুধু এক মহিউদ্দিন পরিবার নয়, এভাবে জেলা কমিটি সহ অন্যান্য কমিটি, স্থানীয় নির্বাচনে নিজেদের লোকদের নির্বাচিত করে এনে পরিবারতন্ত্র কায়েম করা হচ্ছে। আর এর ফলে উপেক্ষিতই থাকছে তৃণমূলের পরীক্ষিত ত্যাগী নেতাকর্মীরা।

পরিবারতন্ত্র   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন