আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর কোন্দল
মন্তব্য করুন
শর্মিলা রহমান সিঁথি বিএনপি খালেদা জিয়া তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। যেই দুর্নীতি করেছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন। কিন্তু বিএনপির নেতারা এই নজির সৃষ্টি করতে পারেননি।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ঢাকা
জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নানক বলেন, হাওয়া ভবনের তারেক
রহমান হাজার হাজার কোটি টাকা অর্থ পাচার করেছেন। লন্ডনে বসে রাজপ্রাসাদ থেকে দেশের
টাকা লুটপাট করে উপভোগ করছেন।
বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, ফখরুল
সাহেবের ভেতরের কথা বের হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের সরকার বিএনপির প্রধান শত্রু। কারণ
এই সরকার জনগণের সরকার , এই সরকার অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের সরকার, এ সরকার দেশের
উন্নয়নের সরকার। কারণ এই সরকার আপনাদের (বিএনপি) বন্ধু একাত্তরের মানবতাবিরোধী ওই
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছে, বিচারের রায় কার্যকর করেছে।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের শুধু ঢেকুর দিলে চলবে না। আমরা পঞ্চমবারের মতো সরকার গঠন করেছি। সতর্ক থাকতে হবে। বিএনপি-জামায়াত জনগণের সমর্থন না পেয়ে আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে। এখন তারা নতুন করে ষড়যন্ত্রের পথ খুঁজছে।
আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো থেমে নেই। সেই পরাজিত শক্তি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তাদেরকে মোকাবিলা করতে গেলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুন।
এ সময় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, আওয়ামী
লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সাবেক সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সাবেক সমন্বয়ক ও সাবেক মন্ত্রী
মোহাম্মদ নাসিমের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ বৃহস্পতিবার। ২০২০ সালের ১৩ জুন ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিভিন্ন
সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে
রয়েছে-প্রয়াতের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা, গরিবদের
মাঝে খাবার বিতরণ।
১৯৪৮ সালের ২ এপ্রিল সিরাজগঞ্জ
জেলার কাজীপুর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন মো. নাসিম। তার পিতা শহীদ ক্যাপ্টেন এম. মনসুর
আলী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ
সহচর ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে
গঠিত বাংলাদেশ সরকারে অর্থ, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এবং স্বাধীনতা পরবর্তী বঙ্গবন্ধু
সরকারের মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। জাতীয় চার নেতার অন্যতম এম.
মনসুর আলী ৩ নভেম্বর জেলখানায় ঘাতকদের হাতে নিহত হন।
মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুবার্ষিকী
উপলক্ষ্যে তার জন্মস্থান সিরাজগঞ্জের কাজিপুর থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত মিলাদ মাহফিল
ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। বিকেল ৩টায় সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ আলোচনা সভা ও
মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে।
মোহাম্মদ নাসিম ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বিভিন্ন সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, স্বরাষ্ট্র, গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। তিনি ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্রও ছিলেন।
রাজনীতিবিদ নাসিম মৃত্যুবার্ষিকী
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শর্মিলা রহমান সিঁথি প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী। তিনি থাকেন লন্ডনে। তার দুই সন্তান সেখানেই লেখাপড়া করেন। তারেক জিয়ার সাথে তার সম্পর্ক খুব একটা ভালো না। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া তাকে অত্যন্ত পছন্দ করেন। বিভিন্ন সময়ে বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার সময় তিনি লন্ডন থেকে ঢাকায় ছুটে এসেছেন। এবার ঈদেও তিনি ঢাকায় আসছেন এবং রাজনীতিতে তার মনোযোগ বাড়ছে—এমন গুঞ্জন উঠেছে বিএনপির মধ্যে। বিএনপিতে এখন নতুন করে সিঁথিকে নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকার (আওয়ামী লীগ) আমাদের প্রধান শত্রু। তারা দেশের সবকিছু ধ্বংস করে ফেলেছে। আমাদের সুর একটাই, এই সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা। আন্দোলন চলছে, আন্দোলন চলবে। শিগগিরই আমাদের আন্দোলন আরও বেগবান হবে। আমরা সব দল (সমমনা) একত্রিত হতে পেরেছি। কিভাবে এই সরকারকে সরাতে পারি, কিভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে পারি, সেই লক্ষ্যেই আমরা সংগ্রাম করছি।
সদ্য সমাপ্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিলো যে, আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের সন্তান, পরিবারের সদস্য, নিকটাত্মীয় ও নিজস্ব লোক উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এমনকি তারা কারও পক্ষে কাজও করতে পারবেন না। উদ্দেশ্য ছিলো তৃণমূলে দলের মধ্যে নেতৃত্বের বিকেন্দ্রীকরণ করা। যা গণতন্ত্রের চর্চা, গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। বিশেষ করে গত কয়েক বছর ধরে তৃণমূল পর্যায়ে যেভাবে পারিবারিক কায়েম করা হচ্ছে সেটা থেকে বেরিয়ে আসার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলো আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। কিন্তু দলের এই নির্দেশ অমান্য করেই বিভিন্ন উপজেলাগুলোতে মন্ত্রী, এমপিরা তাদের পরিবারের সদস্যদের নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছেন শুধুমাত্র পরিবারতন্ত্র কায়েম করার জন্যে। কিন্তু এর ফলে তৃণমূল আওয়ামী লীগ একটি নির্দিষ্ট পরিবারের কাছে জিম্মি হয়ে যায়। সেখানে গণতন্ত্রের চর্চা রুদ্ধ হয়ে পড়ে। একটি রাজনৈতিক দলের প্রাণশক্তি তৃণমূলের কর্মীরাই তখন বিভিন্ন ভাবে নির্যাতনের শিকার হয়, হয়রানির শিকার হয়।