ইনসাইড পলিটিক্স

১৪ দলের পরিণতি কি হবে?

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

গতকাল সংরক্ষিত ৪৮ টি আসনের মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। এদের অধিকাংশই স্থানীয় রাজনীতির সাথে সরাসরি ভাবে জড়িত। তবে সবচেয়ে বড় চমকের ব্যাপার হলো এই তালিকায় আওয়ামী লীগের শরিক ১৪ দল থেকে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। যদিও ১৪ দলের অন্যতম শরিক দল জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতারকে সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন দেওয়া হবে এমন একটি গুঞ্জন ছিলো। উল্লেখ্য যে, ফেনীর একটি আসন থেকে সরাসরি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন শিরীন আখতার। তবে শেষ পর্যন্ত সেখানে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। তবে সংরক্ষিত আসনে তিনি মনোনয়ন পাবেন এমন একটি আশ্বাস দেওয়া হয়েছিলো আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। কিন্তু বাস্তবতা হলো শেষ পর্যন্ত শিরীন আখতারকে সংরক্ষিত আসনেও মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।

শিরীন আখতারের মনোনয়ন না পাওয়া নিয়ে এখন পর্যন্ত দুই ধরনের বক্তব্য পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগের একটি মহল বলছে যে, সংরক্ষিত আসনে এমপি না হতে শিরীন আখতার নিজেই অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ১৪ দলের শরিক দলগুলো পরাজয় বিশেষ করে জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুর পরাজয় এবং সার্বিক প্রেক্ষাপটে শিরীন আখতার নিজেই সংরক্ষিত আসনে এমপি না হওয়ার জন্য বলেছেন। অন্য আরেকটি মহল বলছে যে, আওয়ামী লীগই এখন ১৪ দলকে আগের মতো গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে না। এ কারণেই শিরীন আখতারের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। তবে শিরীন আখতারকে বাদ দেওয়ার মধ্য দিয়ে ১৪ দলের আনুষ্ঠানিক ভাঙন শুরু হলো কিনা এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলাপ আলোচনা চলছে। কারণ নির্বাচনের পর থেকেই ১৪ দলের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। নির্বাচনের পর এখন পর্যন্ত ১৪ দলের কোন আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয়নি। ১৪ দল থাকবে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। নির্বাচনে ১৪ দলের শরিকদের শোচনীয় পরাজয়ের পর অনেকেই এখন নিজেদের গুটিয়ে রেখেছেন। রাজনীতির মাঠেও তাদের কোন তৎপরতা নেই। অনেকেই আওয়ামী লীগের ওপর একরাশ অভিমান নিয়ে বসে আছেন। এরকম পরিস্থিতিতে একটি বড় প্রশ্ন সামনে এসেছে। আর সেটি হলো ১৪ দলের পরিণতি কি হবে? ১৪ দলের সদস্যরা কি মন্ত্রিসভায় আসবেন? সংসদে ১৪ দলের ভূমিকা কি হবে? ইত্যাদি নানা প্রশ্ন সামনে এসেছে। 

তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, ১৪ দলের ঐতিহাসিক প্রয়োজন আওয়ামী লীগের কাছে ফুরিয়ে গেছে। কারণ আওয়ামী লীগ ২০০১ সালে নির্বাচনে বিপর্যয়ের পর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে ১৪ দল গঠন করেছিল। ১৪ দল গঠনের পেছনে প্রধান কারণ ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধরে রাখা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে সমস্ত রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করা। আর এটি করার জন্য ১৪ দলের যারা বাম প্রগতিশীল এবং উদার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, তাদেরকে নিয়েই এই আদর্শিক জোট গঠিত হয়েছিল। কিন্তু এখন বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভিন্ন। এখন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তি অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছে। বিএনপি এবং উগ্র মৌলবাদী কিছু গোষ্ঠী ছাড়া কেউই এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে নয়, বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে না। এমনকি অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতা গর্ভে গড়ে ওঠা জাতীয় পার্টিও জাতির পিতাকে স্বীকার করে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা প্রকাশ্যে বলে। আওয়ামী লীগ এ রকম একটি রাজনৈতিক আবহ ছিল, যেখানে সবাই বঙ্গবন্ধুর কথাটা স্বীকার করবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলবে। যে যে মতের রাজনৈতিক দলই করুক না কেন সকলের মূল আদর্শের জায়গাটা অভিন্ন থাকবে। আর সে রকম একটি পরিস্থিতি বাংলাদেশে এখন সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে এবারের জাতীয় সংসদে যে রাজনৈতিক দলগুলো অবস্থান করছেন সবগুলো রাজনৈতিক দলই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে এবং একাত্তর এবং পঁচাত্তরের পরাজিত শক্তিকে প্রত্যাখান করে। এই বাস্তবতায় বাস্তবতায় ১৪ দলের ঐতিহাসিক প্রয়োজন আছে কি না সেটি প্রশ্নসাপেক্ষ ব্যাপার।

আওয়ামী লীগও মনে করে, যে প্রয়োজনে ১৪ দল গঠিত হয়েছিল সেই লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে। ১৪ দলের ঐতিহাসিক প্রয়োজন ফুরিয়ে যাওয়ার আরেকটি বড় কারণ হল ১৪ দলের শরিক রাজনৈতিক দলগুলোর সাংগঠনিক দুর্বলতা। ১৪ দল দীর্ঘ ১৪ বছর ক্ষমতায় থেকেও তাদের সংগঠনগুলোকে গোছাতে পারেনি। রাজনৈতিক ভাবে অত্যন্ত দুর্বল এবং প্রায় দেউলিয়া হয়ে থাকা এই জোটের দলগুলো বাংলাদেশের রাজনীতিতে মোটেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এখন আর পালন করতে পারে না। কাজেই গুরুত্বহীন এই সমস্ত রাজনৈতিক দলকে নিয়ে আওয়ামী লীগ কতটুকু লাভবান হবে, সেটি একটি বিবেচনার বিষয়। এই কারণেই আওয়ামী লীগ ১৪ দলের ব্যাপারে আগের মতো এখন আর আগ্রহী নয়। 

১৪ দলের ঐতিহাসিক প্রয়োজন ফুরিয়ে যাওয়ার আরেকটি কারণ হল যে, শরিকদের মধ্যে আওয়ামী লীগ বিরোধী মনোভাব। সরকারের নীতি নির্ধারণে বা কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের পক্ষে তারা কথা বললেও মাঠে ১৪ দলের অধিকাংশ শরিক দলগুলো রাজনীতি করে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এবং আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাদের নানারকম মতবিরোধের কথা প্রায় প্রকাশ্য হয়। এরকম একটি বাস্তবতায় আওয়ামী লীগ তার নিজের সংগঠনের স্বার্থে ১৪ দলের সঙ্গে একটি দূরত্ব সৃষ্টি করেছে। সবকিছু মিলিয়ে আওয়ামী লীগ এখন মনে করে না যে, ১৪ দল আগের মতো গুরুত্বপূর্ণ বা এরকম একটি জোটের অর্থবহ তাৎপর্য রয়েছে। আর এ কারণেই আনুষ্ঠানিক ভাবে না হলেও ১৪ দল যে আস্তে আস্তে বিলুপ্তির পথে যাবে সেটি বিশ্বাস করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।


১৪ দল   আওয়ামী লীগ   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

চীনে প্রশিক্ষণ নিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের ৫০ সদস্যের দল

প্রকাশ: ০৩:২৩ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে দেশটিতে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের সহযোগী ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। চলতি মাসের শেষের দিকে ৫০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল চীনে যাবে। 

গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছরপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। এই সফর কর্মসূচির লক্ষ্য আওয়ামী লীগের সঙ্গে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়ন এবং মতবিনিময়।

দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গত ১৪ এপ্রিল এক চিঠিতে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কাছে ৫০ সদস্যের একটি তালিকা পাঠিয়েছেন। এতে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ মহিলা শ্রমিক লীগ এবং আওয়ামী লীগের ডেটাবেজ টিমের সদস্যরা রয়েছেন।

দলীয় একাধিক সূত্র মতে, আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলটিকে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি সংগঠন গড়ে তোলা, সুশাসন, ইতিহাসসহ নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে।

৫০ সদস্যের প্রতিনিধি টিমে রয়েছেন:

আওয়ামী যুব লীগ:

সহ সভাপতি মৃনাল কান্তি জোয়ারদার তাজউদ্দীন আহমদ; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বদিউল আলম; সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, মো জহির উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, উপ আন্তর্জাতিক সম্পাদক মো সাফেড আসফাক আকন্দ।

আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ:

স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান, সহ সভাপতি আব্দুল রাজ্জাক, তানভীর শাকিল জয় এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধুরী, একেএম আজিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল ফজল মো নাফিউল করিম, আবদুল্লাহ আল সায়েম৷

 বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ:

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিরিন রোকসানা, মিনা মালেক, সুলতানা রেজা, মিসেস রোজিনা নাসরিন, নীলিমা আক্তার লিলি, সাংগঠনিক সম্পাদক ঝর্না বাড়ুই, মরিয়ম বিনতে হোসেন, প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক মেহেনিগার হোসেন।

বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ:

সভাপতি আলেয়া সারোয়ার, সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা, সহ সভাপতি বিনা চৌধুরী, রাফিয়া আক্তার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিউটি কানিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন।

মহিলা শ্রমিক লীগ:

সভাপতি সুরাইয়া আক্তার, সাধারণ সম্পাদক কাজী রহিমা আক্তার, কার্যকরী সভাপতি শামসুর নাহার, সহ সভাপতি মেহেরুন নেসা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিনাত রেহেনা নাসরিন।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ:

সহ সভাপতি মো. রাকিবুল হাসান, কুহিনূর আক্তার, খাদেমুল বাশার জয়, খন্দকার মো আহসান হাবিব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো হোসাইন আহমেদ, মো আবদুল্লাহ হিল বারী, এসডিজি বিষয়ক সম্পাদক রাইসা নাহার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক জান্নাতুল হাওয়া আখি।

ডেটাবেজ টিম মেম্বার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ:

মো নুরুল আলম প্রধান, সাজ্জাদ সাকিব বাদশা, কাজী নাসিম আল মমিন, জাফরুল শাহরিয়ার জুয়েল, অদিত্য নন্দী, মো. সাদিকুর রহমান চৌধুরী, সাব্বির আহমেদ।


চীন   প্রশিক্ষণ   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছে আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। নির্বাচন পরবর্তী কোন্দল বন্ধে বিভিন্ন রকম উদ্যোগও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একাধিক বার দলীয় কোন্দল বন্ধের জন্য তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাংগঠনিক অবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। এই কোন্দল এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বা অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। দলের এই কোন্দল এতদিন তৃণমূল পর্যায় থাকলেও সেটি এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও শুরু হয়েছে।

সাম্প্রিতক সময়ে আবারও মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন এবং বর্তমান মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। যদিও এটিই তাদের প্রথম নয়। এর আগে এই দুই নেতার মধ্যে মার্কেট, অনিয়ম-দুর্নীতি ও সিটি করপোরেশনের টাকা রাখা নিয়ে বাকযুদ্ধ হয়েছিল। এবার তারা মুখোমুখি হয়েছেন ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে। গত বুধবার মেয়র তাপস দাবি করেন, ২০১৯ সালের তুলনায় গত বছর ঢাকায় ডেঙ্গু রোগী কমেছে। এর পাল্টা প্রতিউত্তরে শনিবার মিট দ্য প্রেসে সাংবাদিকদের ডেকে খোকন বলেন, বর্তমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ২০১৯ এর তুলনায় ২০২৩ সালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৪১ হাজার কম। আমি ভদ্রতার জন্য কারো নাম উল্লেখ করছি না। তবে এ ধরনের অপপ্রচার করা হলে আমি কষ্ট পাই, ব্যথিত হই। আমি এই দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, আমি আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য, আমার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। পাবলিকলি আমি যে কোন বক্তব্য দিতে পারি না, আমার জবাবদিহিতা রয়েছে। সাবেক এবং বর্তমান মেয়রের এই বাকযুদ্ধ সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, আওয়ামী লীগ এখন ফ্রি স্টাইলে চলছে। দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙে গেছে।

তৃণমূলের কোন্দল আরও ভয়ঙ্কর। এই মুহূর্তে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মন্ত্রী-এমপিদের পরিবারের সদস্যদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী না হতে নির্দেশনা দেওয়া হলেও প্রথম ধাপের মতোই এবার এই নির্দেশনা উপেক্ষিত। সামনে উপজেলা নির্বাচনের পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

বিভিন্ন স্থানে যেখানে জাতীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন সেখানে তাদের মাইম্যানদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করছেন। আবার যারা স্বতন্ত্রদের কাছে পরাজিত হয়েছেন তারা তাদের প্রভাবপত্তি ধরে রাখার জন্য তাদের মাইম্যানদের প্রার্থী করছেন। এলাকায় নিজেদের হারানো অবস্থান পুনরুদ্ধারের জন্য উপজেলা নির্বাচনকে বেছে নিয়েছেন। এটা করতে গিয়ে লাগামহীন ভাবে একে অন্যের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো থেকে শুরু করে সহিংসতার ঘটনাও ঘটাচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে একটি লেজেগোবরে অবস্থা তৈরি হয়েছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো যে, আওয়ামী লীগের যে অঙ্গ সহযোগী সংগঠন আছে তারাও এখন ক্রমশ বিভক্ত হয়ে পড়ছে। সবকিছু মিলিয়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের কোন্দল। আওয়ামী লীগ সরকারের অর্জন এখন প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন আওয়ামী লীগেরই নেতাকর্মীদের দিয়ে। এ অবস্থা পরিত্রাণ পেতে আওয়ামী লীগ কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।

আওয়ামী লীগ   মোহাম্মদ সাঈদ খোকন   ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ওবায়দুল কাদেরকে রিজভীর পাল্টা প্রশ্ন

প্রকাশ: ০৪:৩৩ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে এবার পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’— ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে রিজভী বলেন, এক মর্মান্তিক পরিস্থিতির মধ্যে দেশের মানুষ দিন অতিক্রম করছে। এখানে জীবন ও সম্পদের কোনো নিরাপত্তা নেই। জনগণের মনোভাব ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য সরকার একের পর এক পন্থা অবলম্বন করছে। মধুখালীতে শ্রমিকদের পিটিয়ে হত্যা এটি একটি পন্থা। এরা মানুষকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে না। এরা মানুষের লাশ ও রক্তপাতের ওপর দিয়ে হেঁটে যেতে ভালোবাসেন।

আওয়ামী লীগ গোটা জাতিকে একটি গোরস্তান বানানোর প্রক্রিয়ায় লিপ্ত উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আজ লাশ হচ্ছে জীবন্ত মানুষ। তার একটি ঘটনা মধুখালীতে। সরকার তার বহুমুখী ব্যর্থতা ঢাকতেই একের পর নাটক করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, শুধু ব্যাংক থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। এটা আমার বক্তব্য না। এটা সিডিপির বক্তব্য। আমাদের জিডিপি ১২ শতাংশ নাই হয়ে গেছে। ৯২ হাজার কোটি টাকা শুধু ব্যাংক থেকে লোপাট হয়ে গেছে। লোপাটকারী সবাই ক্ষমতাসীন দলের লোক ও আত্মীয়-স্বজন।

রিজার্ভ থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার উধাও করে দেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, এখন তলানিতে রিজার্ভ। সরকার বলছে, ১৩ বিলিয়ন ডলার আছে। অথচ যারা সচেতন মানুষ তারা বলছেন ৭ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার আছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতের ঋণ পরিশোধ করতে ৪ বিলিয়ন ডলার যাবে।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

আওয়ামী লীগ   সাধারণ সম্পাদক   ওবায়দুল কাদের   রুহুল কবির রিজভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতা ইশরাক কারাগারে

প্রকাশ: ০৪:০৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন আদেশ দেন।

মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।


নাশকতা   মামলা   বিএনপি   ইশরাক হোসেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘‌‌‌‍‍‍‍ব্যাংকে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?’

প্রকাশ: ০৩:৫৭ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।


‘‌‌‌ব্যাংক   মাফিয়া   মাস্তান   ঋণখেলাপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন