ক্লাব ইনসাইড

জাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা, প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

প্রকাশ: ০৮:৩০ এএম, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা ও মানবিকী অনুষদের দেয়ালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি মুছে ধর্ষণ ও স্বৈরাচার বিরোধী গ্রাফিতি আঁকার ঘটনায় ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি অমর্ত্য রায় জন এবং সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইনে মামলা দায়ের করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মামলা দায়েরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এক অফিস আদেশের প্রেক্ষিতে বিকেল ৫ টায় এ মামলা করা হয় বলে জানা যায়। মামলার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে রাত ১২ টায় বটতলা থেকে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর বিক্ষোভ-মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা, প্রশাসনিক ভবন, মুরাদ চত্ত্বর, ট্রান্সপোর্ট চত্ত্বর হয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সম্মুখে অবস্থান নেয়। সমাবেশ শেষে আগামীকাল বিকেল ৩ টায় ট্রান্সপোর্ট চত্ত্বর থেকে এক বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দেয়া হয়।

এসময় শিক্ষার্থীরা, ‘বহিষ্কার-মামলা-হুলিয়া, নিতে হবে তুলিয়া’, ‘মামলাবাজি যেখানে, লড়াই হবে সেখানে’, ‘অমর্ত্যর বিরুদ্ধে মামলা কেনো, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘ঋদ্ধর বিরুদ্ধে মামলা কেনো, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘জবাব তোমায় দিতেই হবে, নইলে গদি ছাড়তে হবে’, ‘হয়রানিমূলক মামলা তুলে নাও নিতে হবে’, ‘অবিলম্বে মিথ্যা মামলা, তুলে নাও নিতে হবে’, ‘অবিলম্বে বহিষ্কার, তুলে নাও নিতে হবে’, ‘মামলাভিসির বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘একই বৃন্তে দুটি ফুল, ফারজানা আর নুরুল’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

মিছিল শেষে নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নূর-এ-তামিম স্রোতের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গণকৃষ্টির কর্মী ফাইজা মেহজাবিন প্রিয়ন্তী। তিনি বলেন, এই ক্যাম্পাসে কত অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে, অহরহ যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটে তার কোনো বিচার হয় না। গনরুম নির্যাতনের এর বিরুদ্ধে তারা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না।

তাদের যত জোর শুভবুদ্ধির বিরুদ্ধে। প্রশাসনের এই হঠকারী সিদ্ধান্তের প্রতিফলন দেখা যায় অমর্ত্য রায় জন ও ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলীর বিরুদ্ধে করা মামলার মধ্যে। প্রশাসনের প্রতি ধিক্কার জানিয়ে বলতে হয় আপনারা আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে ফেলেছেন। আপনারা আমাদের আরো হার্ড লাইনে যেতে বাধ্য করে ফেলেছেন।

মামলা তুলে নেয়া না হলে খেসারত দিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়কে মন্তব্য করে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাবি শাখার কর্মী সজীব আহমেদ জেনিচ বলেন, ছাত্রলীগের অছাত্র এনাম অনশন করেছে তাকে ডাবের পানি খাইয়ে অনশন ভাঙিয়েছেন ভিসি। এরপরে করে দেয়া হয়েছে প্রহসন মূলক মামলা। এটাই প্রমাণ করে এই প্রশাসন কাদের পক্ষে। আমি এই ভিসিকে বলে দিতে চাই, আপনি অযোগ্য।

প্রশাসনের স্বেচ্ছাচারিতার সর্বশেষ বহিঃপ্রকাশ এই মামলা মন্তব্য করে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সহ-সভাপতি আশফার রহমান নবীন বলেন, ক্যাম্পাসে গ্রাফিতি অঙ্কনকে কেন্দ্র করে জল ঘোলা করে সেই ঘোলা জলে মাছ ধরার পাঁয়তারা করছে। এই প্রশাসন ডিসিপ্লিনারি বোর্ড কে পাশ কাটিয়ে বহিষ্কারাদেশ ও মামলা করে দিয়েছে। আমরা সবাই জানি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যে অরাজকতা চলছে, যে অনিয়ম চলছে এর প্রভাব আমরা বর্তমান শিক্ষার্থীরা হারে হারে টের পাচ্ছি। আমরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছি মাস্টারপ্ল্যান। বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশিজনদের এই প্রাণের দাবিকে আমলেই নিচ্ছে না এই স্বেচ্ছাচারী প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতার গলা টিপে ধরেছে এই প্রশাসন।’

তিনি আরো বলেন, অমর্ত্য রায় জন ও ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলীর বিরুদ্ধে সালামি চাওয়া ছিনতাই চাঁদাবাজির কোনো অভিযোগ নেই। তাদেরকে সালামি দিয়ে বশ করা যায় না। প্রশাসন সে জন্যেই অমর্ত্য-ঋদ্ধর বিরুদ্ধে মামলা করে দিয়েছে। এই বহিষ্কারাদেশের পিছনে যেসব শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের যে অংশ মদদ দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলমান থাকবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়   ছাত্র ইউনিয়ন  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

চাঁদা না দেওয়ায় জবি ছাত্রলীগের সম্পাদকের বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগ

প্রকাশ: ০৩:৩৩ পিএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ঈদের আগে চাঁদা না দেওয়ায় সুমনা হাসপাতালের পরিচালক ইমাদুল উদ্দিন আহমেদকে গালিগালাজসহ হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন ফোন করে পরিচালককে এ গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।

শনিবার (১৫ জুন) সুমনা মেডিকেলের পরিচালক ইমাদুল উদ্দিন আহমেদ মুঠোফোনে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, হাসপাতাল থেকে চাঁদা নেওয়ার জন্য সুমনা হাসপাতালে জবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মেহেদী বাবুকে পাঠান সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন ও রবিউল ইসলাম রবিকে পাঠান সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি। এরপর হাসপাতালের পরিচালক ইমাদুল উদ্দিন তাদের চাঁদা না দিলে পরে ফোনে সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসাইন গালিগালাজসহ হুমকি প্রদান করেন। এ বিষয়টি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 

সুমনা হাসপাতালের পরিচালক ইমাদুল উদ্দিন আহমেদ বলেন, আগে এতো (চাঁদাবাজি) হয়নি। কমিটিতে আসার প্রথম থেকেই ওরা ডিস্টার্ব করে যাচ্ছে। মেহেদী বাবু ও কালো করে একটি ছেলেকে পাঠিয়েছিল। আকতারও ফোন দিয়ে গালিগালাজ করেছে। তাকে (আকতার) হয়তো অন্যভাবে বলেছে (বাবু)। এটা হিট ওফ মোমেন্টে করেছে হয়তো। আমরা এমনিই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চিকিৎসায় ছাড় দিই। তার ওপর এসব খারাপই হয়।

কত টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছিল জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, এমাউন্ট বলে নাই। চাঁদা চাইছিল। না দেওয়ায় আকতার ফোন করে গালি দিয়েছে। পরে জবি ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজি আমাকে ফোন দিয়ে কথা বলেছে, ওরা একটু নরম হয়েছে। মীমাংসার কথা বলেছে। এমনটা হতেই থাকে প্রায় প্রায়। 

এ ঘটনায় কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ইমাদুল উদ্দিন আহমেদ শঙ্কা জানিয়ে আরও বলেন, এটা করলে হবে কি, এখানে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তো। দেখা যাবে পরে ঝামেলা করবে অন্য পোলাপান। এবিষয়ে জানতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানকে একাধিকবার ফোন করলেও পাওয়া যায়নি।

এবিষয়ে জবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন বলেন, মেহেদী বাবু ঢাকাতে নেই। সে বাড়িতে। ইমাদ সাহেবের নম্বর আমার কাছে নাই। কোন যোগাযোগও নাই। আমি ওনাকে ফোন করিনি। আমি এক-দেড় বছর সুমনাতে যাই না। 

জবি ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী বলেন, এবিষয়ে আমি কিছু জানি না। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগে চাঁদার কোন স্থান নাই। আমরা এগুলোর প্রশ্রয় দিই না। হয়তো আমাদের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ যেতে পারে। 

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি জবি ছাত্রলীগের কমিটির ঘোষণা করা হয়। ৬ মাস পর পুরান ঢাকায় চাঁদাবাজি, ক্যাম্পাসের সকল টেন্ডারে নিয়ন্ত্রণ নেওয়া, শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণ ও নারী কর্মীদের রিসোর্টে নেওয়ার মতো কেলেঙ্কারির ঘটনায় ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করা হয়। পরে কমিটির স্থগিত আদেশ তুলে নেয়া হয়। এরপর দেড় বছর আগে জবি শাখা ছাত্রলীগের কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও এবং নানা অভিযোগ উঠলেও নতুন কমিটি হয়নি রাজধানীতে ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ এই ইউনিটে।

জবি ছাত্রলীগ   চাঁদাবাজি  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

১ম ধাপের ভর্তি শেষে কুবিতে ফাঁকা ৭২ আসন

প্রকাশ: ০১:৪০ পিএম, ১১ জুন, ২০২৪


Thumbnail

গুচ্ছ অধিভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতকের (সম্মান) ১ম ধাপের ভর্তি শেষে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ৭২ টি আসন ফাঁকা রয়েছে।

সোমবার (১০ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের ডিন এবং ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান . মো. সাইফুর রহমান।

. মোঃ সাইফুর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত ১০৩০ টি আসনের মধ্যে ৯৫৮ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন। ১ম ধাপের ভর্তি শেষে ৭২ টি আসন ফাঁকা রয়েছে। তবে কোন ইউনিটে কতটি আসন ফাঁকা রয়েছে তা জানা যায়নি। 

এর আগে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্য থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮ হাজার ৯৮০ জন ভর্তিচ্ছু অনলাইনে আবেদন করেছিল। প্রতি আসনের বিপরীতে ১৮ জন আবেদন করেন।


কুবি   ভর্তি   গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি   আসন  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

হলের বারান্দায় ববি ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ: ০৩:৫৬ পিএম, ১০ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) আবাসিক হলের রিডিংরুমের বারান্দায় ঝুলন্ত অবস্থায় শেফা নূর ইবাদী নামের এক আবাসিক ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (১০ জুন) রাত ১২টা ০৫ মিনিটের দিকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে এ ঘটনা ঘটে। রাত দেড়টায় এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হলের প্রভোস্ট হেনা রাণী বিশ্বাস।

নিহত শেফা নূর ইবাদী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বঙ্গমাতা হলের ১৪১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলায়।

নিহতের সহপাঠী সূত্রে জানা যায়, প্রেম ঘটিত কারণে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বঙ্গমাতা হলের একটি সূত্র বলছে, আত্মহত্যার সময় প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখেছিলেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. আবদুল কাইউম বরিশালটাইমসকে জানান, ঘটনা শোনার পর আমি, সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, হল প্রভোস্ট ও শিক্ষকরা মেডিকেলে ছুটে এসেছি। এ ধরণের ঘটনা আসলেই মর্মান্তিক ও বেদনাদায়ক। বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এইচ এম আবদুর রহমান মুকুল জানান, এ বিষয়টিকে তদন্তের অধীনে এনে আসল ঘটনা জানা যাবে। পরবর্তীতে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


ববি   আবাসিক হল   আত্মহত্যা  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

সম্মেলনের ১৫ মাস পরেও হয়নি কুবি ছাত্রলীগের কমিটি

প্রকাশ: ০১:৪২ পিএম, ১০ জুন, ২০২৪


Thumbnail

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তির ঘোষণার ১৫ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো গঠিত হয়নি নতুন কমিটি। ২০২৩ সালের ৬ই মার্চ কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়। একই বছরের ৯ অক্টোবর কর্মীসভার আয়োজন করা হলেও এখনো নতুন কমিটির ঘোষণা হয়নি। কবে নাগাদ আসতে পারে সে বিষয়েও নেই কোন সঠিক ধারণা। 

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের নির্দেশনা অনুসারে গতবছরের ৯ই অক্টোবর কর্মীসভা আয়োজন শেষে পদ-প্রত্যাশীদের জীবনবৃত্তান্ত নেওয়া হয়। জাতীয় নির্বাচন ইস্যুকে কেন্দ্র করে কমিটি না দেওয়ার কারণ দর্শায় কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়করা। জাতীয় নির্বাচনের পর সরকার গঠন হলেও আলোর মুখ দেখেনি কুবি শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি। কবে আসবে নতুন কমিটি, তা জানে না ছাত্রলীগের নেতাকর্মী এবং পদপ্রত্যাশীরা।  

বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিটি না থাকায় ছাত্রলীগের কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে । জাতীয় কোনো কর্মসূচী ব্যতীত পদপ্রত্যাশীদের দেখা মিলছে না ক্যাম্পাসে। 

এই বিষয়ে আগামী কমিটিতে পদপ্রত্যাশী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান পলাশ বলেন, 'আমরা আশাবাদী খুব শীঘ্রই ছাত্রলীগের কমিটির অনুমোদন দিবে। অনেকদিন হয়ে গেল আমাদের কর্মীসভা হয়েছে। কমিটি বসতে বিলম্ব হওয়ায় আমরাও ব্যথিত। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্যদের সাথে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। আশাকরি খুব শীঘ্রই নতুন কমিটি আসবে। ছাত্রলীগের নতুন কমিটি হলে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কাজ করতে পারব।'

শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পদপ্রত্যাশী এনায়েত উল্লাহ বলেন, 'ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তির পর কর্মীসভা হয়ে গেছে নয়-মাস হয়ে গেছে। পদ-প্রত্যাশী যারা আছেন, সবাই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহীর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন। অতিদ্রুত নতুন কমিটি দিবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।'

কুবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কমিটির পদপ্রত্যাশী রেজা-ই-এলাহী বলেন, 'ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্যদের সাথে আমরা কথা বলেছি। দ্রুতই নতুন কমিটির ঘোষণা দিবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। তবে নিশ্চিত করে বলতে পারছি না কবে আসবে নতুন কমিটি। বর্তমানে ক্যাম্পাসে কমিটি না থাকায় পদ-প্রত্যাশীসহ সাধারণ কর্মীদের কার্যক্রম জাতীয় দিবসগুলো ছাড়া খুব একটা নেই। হয়তো কমিটি না থাকাই বড় কারণ। যদি কমিটি থাকত ছাত্রলীগের সমস্ত কার্যক্রম বৃদ্ধি পেত।'

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ম. রকিবুল ইসলাম রকি বলেন, 

ছাত্রলীগ সবসময় শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ে সচেষ্ট থাকে। কিন্তু বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো কমিটি না থাকায় ছাত্রলীগের কর্মীরা বিভিন্নভাবে বিভক্ত হয়ে পরাতে যথাযথভাবে শিক্ষার্থীদের দাবি আদায় সম্ভব হচ্ছে না। তাও আমরা চেষ্টা করছি শিক্ষার্থীদের সাথে থাকার। আশা করি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ থেকে শীঘ্রই একটি কমিটি দিয়ে ছাত্রলীগের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটকে আবারো স্বক্রিয় করবে।'

সার্বিক বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, 'আমরা অতি শীঘ্রই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের  কমিটি প্রদান করব।  যা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধি করবে।'


কুবি   ছাত্রলীগ   কমিটি   সম্মেলন  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

ইবি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নজিরবিহীন দখলদারিত্ব


Thumbnail

দুই বছর আগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বসবাসের জন্য ডরমেটরি-২ ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়। তবে দুই বছর পেরোলেও নিয়মতান্ত্রিকভাবে ডরমেটরিতে কাউকে বাসা বরাদ্দ দিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেও বাসা বরাদ্দ পাননি শিক্ষক-কর্মকর্তারা। যে কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে অবৈধভাবে ভবনের ১৬টি বাসা দখল করেছেন তারা। বরাদ্দ ছাড়াই এক বছর ধরে তারা ডরমেটরিতে অবস্থান করছেন, তবে কোনো ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেননি। ফলে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা বকেয়া বিল পড়ে আছে বলে জানিয়েছে সূত্র। তবে এই ব্যাপারে কোনো হেল-দোল নেই প্রশাসনের।

প্রকৌশল অফিস সূত্রে, ২০২২ সালের জুনে ডরমেটরি-২ ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয়। পরে প্রকৌশল অফিসের কাছে ভবনটি হস্তান্তর করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এরপর সেটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বুঝিয়ে দেয় প্রকৌশল অফিস। এদিকে নির্মাণকাজ শেষের পর ভবনে কক্ষ বরাদ্দ পেতে বাসা বরাদ্দ কমিটির কাছে আবেদন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশকিছু শিক্ষক ও কর্মকর্তা। তবে নির্মাণকাজ শেষের এক বছরেও কক্ষ বরাদ্দ না দেয়ায় ২০২৩ সালের ২১শে জুন তালা ভেঙে ওই ভবনের চতুর্থ ও পঞ্চম তলার ১৬টি বাসা দখল করেন শিক্ষক-কর্মকর্তারা।

কক্ষ দখলকারী শিক্ষক-কর্মকর্তারা জানান, ভবনটি হস্তান্তরের পর দীর্ঘদিন বাসা ফাঁকা পড়ে ছিলো। বরাদ্দ পেতে আবেদন করা হয়, কিন্তু কক্ষ বরাদ্দে কর্তৃপক্ষের ঢিলেমির কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।

প্রকৌশল অফিস সূত্র জানায়, অবৈধভাবে বাসা দখলের পর শিক্ষক-কর্মকর্তারা লক্ষাধিক টাকার বিদ্যুৎ ব্যবহার করেছেন। তবে অনুমোদিত কোনো শিক্ষক-কর্মকর্তা সেখানে না থাকায় সে বিল তুলতে পারছে না দপ্তরটি। এ বিষয়ে প্রকৌশল দফতর থেকে প্রশাসনের কাছে নোট দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান মেলেনি বলে জানা গেছে। এদিকে এক বছরে অবৈধভাবে দখলকৃত দুই কক্ষবিশিষ্ট ১৬টি বাসার কোনো ভাড়া তুলতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এস্টেট দপ্তর সূত্রে, এসব বাসার মাসিক ভাড়া ১৭৫০ টাকা। সে হিসাবে এক বছরে ৩ লাখ ৩৬ হাজার টাকা ভাড়া বকেয়া পড়েছে এসব বাসায়। কিন্তু, এক বছরেও এসব বাসার ভাড়া উত্তোলন ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে বাসা বরাদ্দের বিষয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। ফলে অবৈধ পন্থায় বাসাগুলোতে বাধাহীনভাবে অবস্থান করছেন শিক্ষক-কর্মকর্তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অবৈধভাবে বাসা দখলকারী একাধিক কর্মকর্তা বাংলা ইনসাইডারকে  জানান, ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল নেয়ার জন্য কোনো নির্দেশনা দেয়নি প্রশাসন। আমরা অবৈধভাবে এখানে থাকতেও চাই না, কিন্তু এ বিষয়ে প্রশাসন কর্তৃক বাসা বরাদ্দের জন্য কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে না। তারা আমাদের নামে বাসা বরাদ্দ না দিলে আমরা বাসা ছেড়ে চলে যাব। কিন্তু ওই সিদ্ধান্তটা তো প্রশাসনকে দিতে হবে।

এস্টেট দপ্তরের প্রধান শামসুল ইসলাম জোহা বাংলা ইনসাইডারকে  বলেন, তালা ভেঙে ডরমেটরিতে বাসা দখলের পরই এস্টেট শাখা থেকে প্রশাসনকে অবহিত করা হয়। তিনি আরো জানান, বিভিন্ন সংগঠনের ভূমিকার কারণে প্রশাসন থেকে এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। ভিসি স্যার কয়েকদিন আগে প্রধান প্রকৌশলী ও এস্টেট প্রধানকে ডেকেছিলেন। তিনি আমাদেরকে ওই শিক্ষক-কর্মকর্তাদের লিস্ট দিতে বলেছেন। আমরা তা জমাও দিয়েছি।

প্রো-ভিসি ও বাসা বরাদ্দ কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বাংলা ইনসাইডারকে  বলেন, প্রকৌশল দপ্তর বা এস্টেট শাখা থেকে আমাদের কাছে লিখিতভাবে এই ভবন হস্তান্তর করা হয়নি। ওখানে কে উঠেছে বা অবস্থান করতেছে তা আমাকে লিখিতভাবে জানানো হয়নি। এস্টেট অফিস লিখিতভাবে জানালে এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।


ইবি   শিক্ষক-কর্মচারী   ডরমিটরি   অবৈধ বসবাস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন