ইনসাইড গ্রাউন্ড

দশম বিপিএলের টুর্নামেন্ট সেরার খেতাব পাবে কে?

প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ০১ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

অবশেষে পর্দা নামতে চলেছে প্রায় দেড়মাস ধরে চলা বিপিএলের দশম আসরের। কারণ এখন বাকি কেবলই ফাইনাল। আর এই ফাইনালকে ঘিরে দর্শকের মাঝে ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। ফাইনালে কে জিতবে শিরোপা তা নিয়ে যেমন মাতামাতি চলছে দুই দলের ভক্তদের মাঝে, ঠিক তেমনই টুর্নামেন্ট সেরার খেতাব কে পাবে তা নিয়েও চলছে সমানে সমান উত্তেজনা।

বিপিএলের প্রতিটি আসরে দেখা যায় বিদেশি খেলোয়াড়ের আগমন। তাদের মাঠে চার-ছক্কার প্রদর্শনীও থাকে চোখে পড়ার মতো। তবে আগের আসরের মতো বিপিএলের দশম আসরেও বিদেশিদের আসা-যাওয়ার মাঝে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের উজ্জ্বলতায় এগিয়ে দেশীয়রা।

কারণ এবারও ব্যাটিংয়ে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করেছেন তামিম-হৃদয়রা। আর বোলিংয়ের সেরা পাঁচে জায়গা পেয়েছেন শুধু একজন বিদেশি ক্রিকেটার। বিপিএলের টুর্নামেন্ট সেরার দৌঁড়ে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন তামিম, হৃদয়, লিটন, মুশফিক। আর ফাইনালের পারফরম্যান্সের মধ্য দিয়ে তাদের একজন পাবেন সেরার খেতাব।

অপরদিকে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কারটা যেন সাকিব আল হাসানের নিজস্ব সম্পত্তি। আগের নয় আসরে ৪ বার তার শ্রেষ্ঠত্ব। সাকিব এবারও ছিলেন সে পথেই। ১৭ উইকেট আর দুইশোর বেশি রান নিয়ে টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার দৌঁড়ে এগিয়ে ছিলেন তিনি। তবে প্লে-অফে বাজে পারফরম্যান্সের পর অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছেন তিনি।

এদিকে ম্যান অব দ্যা টুর্নামেন্টের দৌঁড়ে এগিয়ে থাকা ব্যাটারদের সেরা ৫ জনের চারজনই ফাইনালিস্ট দুই দলের।  ব্যতিক্রম শুধু চট্টগ্রামের তানজিদ হাসান তামিম।

তবে সেরার তালিকায় সবার উপরে রয়েছেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ১৪ ইনিংসে ১২৫ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৪৫৩ রান। ফিফটি হাঁকিয়েছেন তিনটি। তামিমের চেয়ে ৬ রান কম হলেও সব হিসাবেই এগিয়ে কুমিল্লার তাওহীদ হৃদয়। প্রায় ১৫০ স্ট্রাইক রেট, দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি, ম্যাচ জেতানো দুই ফিফটি।

বিপিএলে দুজনের পারফরম্যান্স দারুণ এবং নিজেদের দলকে ফাইনালে তুলতে তাদের পারফরম্যান্স বড় ভূমিকা রেখেছে। তাই টুর্নামেন্ট সেরার দৌঁড়ে যে দুটি নাম সবচেয়ে বেশি আলোচনায় তারা হলেন তামিম ইকবাল ও তাওহীদ হৃদয়।

কিন্তু সকল হিসেব মিলিয়ে কে হবেন এবারের বিপিএলের টুর্নামেন্ট সেরা, তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না মোটেও। ফাইনালের পারফরম্যান্স এখানে বড় ভূমিকা রাখবে।

হৃদয়-তামিম ছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বীতা জমিয়ে দিতে পারেন দুই উইকেটকিপার ব্যাটার লিটন দাস আর মুশফিকুর রহিম। কুমিল্লা অধিনায়ক লিটন দাসের রান ৩৭৫। সঙ্গে ২১ ডিসমিসালে এগিয়ে লিটন। ৮ রান কম মুশফিকের। লিটনের মত তিন হাফ সেঞ্চুরি তারও। তাই বলা বাহুল্য সহজ হিসেবটা বদলে দিতে পারে ফাইনালের পারফরম্যান্স।

প্রথম দুই আসরে গাড়ি পুরস্কার দেয়া হয়েছিল। এরপর বিপিএল ‘বাস্তব’ অবস্থায় এসে পুরস্কারের মান কমিয়ে দিয়েছে। গত আসরে এই পুরস্কারকে একটি স্ট্যান্ডার্ড জায়গায় নিয়ে গেছেন আয়োজকরা।

গত বছর টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার পেয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আকর্ষণীয় ট্রফির সঙ্গে ১০ লাখ টাকা পেয়েছিলেন তিনি। এবারও টুর্নামেন্ট সেরার জন্য থাকছে ১০ লাখ টাকা।

আসর শুরুর পর থেকে নানা সমীকরণ, সাকিব-তামিম দ্বৈরথ এমন নানা বিষয়ে চলেছে আলোচনা-সমালোচনা। তবে এবার সব হিসাব-নিকাশ শেষে ফাইনালে ব্যক্তিগত সাফল্যেে কার হাতে উঠবে সেরার শিরোপা তা দেখার অপেক্ষায় ক্রিকেটপ্রেমীরা।


বিপিএল   টুর্নামেন্ট সেরা   দশম আসর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

লংকানদের হারাল ডাচরা, টাইগারদের জন্য সতর্কবার্তা

প্রকাশ: ০১:২৮ পিএম, ২৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আর মাত্র ৪ দিন পরই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাঠে গড়াবে টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসর। যার জন্য ইতোমধ্যেই অংশগ্রহণকারী ২০ দল ধীরে ধীরে পাড়ি জমাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে। আর সেই সাথে শুরু হয়েছে অফিসিয়াল ওয়ার্ম আপ ম্যাচও।

গতকাল টর্নেডোতে লন্ডভন্ড হয়েছে টেক্সাসের ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়াম। এতে বাতিল হয় যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের আইসিসির অফিসিয়াল প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ। তবে ঠিকই ওয়ার্ম আপ ম্যাচ খেলেছে টাইগারদের গ্রুপের দুই প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস-শ্রীলঙ্কা।

যুক্তরাষ্ট্রের আরেক শহর ফ্লোরিডায় হওয়া সেই ম্যাচে সাবেক চ্যাম্পিয়ন লঙ্কানদের বিপক্ষে ২০ রানের জয় পেয়েছে ডাচরা। যা বাংলাদেশ দলের জন্য একপ্রকার সর্তকবার্তা।

প্রস্তুতি ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৮১ রান করে নেদারল্যান্ডস। জবাবে ১৮.৩ ওভারে ১৬১ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ-ডিতে রয়েছে বাংলাদেশ দল। প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে নেপাল, নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা।

ডালাসে ৮ জুন লঙ্কানদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ দল। ১০ জুন দ্বিতীয় ম্যাচে টাইগারদের প্রতিপক্ষ প্রোটিয়ারা। এরপর বাংলাদেশ যাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে ১৩ জুন নেদারল্যান্ডস ও ১৭ জুন নেপালের মুখোমুখি হবে টাইগাররা।

নেপাল ও নেদারল্যান্ডস, শক্তির বিচারের বাংলাদেশের জন্য কিছুটা সহজ প্রতিপক্ষ। তবে প্রস্তুতি ম্যাচ লঙ্কানদের এভাবে রুখে দেওয়া, টাইগারদের জন্য অনেকটা ‘ওয়েক আপ কলে’র মতো। তবে টি-টোয়েন্টির পরিসংখ্যান শান্তদের পক্ষে কথা বলছে। ডাচদের বিপক্ষে ৪ টি-টোয়েন্টি ৩টিতে জয় বাংলাদেশের।

তবে গত বছর ভারতের মাটিতে হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরে যায় টাইগাররা। এ ছাড়া ডাচদের বিপক্ষে খেলা ৩ ওয়ানডের ২টিতে হেরেছে বাংলাদেশ দল। এ ছাড়া র‌্যাঙ্কিংয়ে ১০ ধাপ পিছিয়ে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ২-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছে শান্তবাহিনী।

সব মিলিয়ে বাংলাদেশ দলের বর্তমান পারফরম্যান্স এবং প্রস্তুতি ম্যাচে লঙ্কানদের বিপক্ষে ডাচদের সাফল্য, ভাবনায় ফেলেছে সমর্থকদের। সঙ্গে তৈরি হয়েছে একটি প্রশ্ন, ওয়ানডে বিশ্বকাপে হারলেও এবার ডাচদের বিপক্ষে জয় পারবে তো টাইগাররা?


নেদারল্যান্ডস   ক্রিকেট   টি-২০ বিশ্বকাপ   শ্রীলংকা   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আমেরিকায় হুমকিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

প্রকাশ: ১১:১৪ এএম, ২৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

টর্নেডোর প্রভাবে বজ্রঝড়ের কারণে ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কারণে বাতিল করা হয় যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের মধ্যকার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচ।

এই ভেন্যুতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ হওয়ার কথা। ডেইলি মিরর শ্রীলঙ্কার একটি প্রতিবেদন বলছে, ঝড়ে ভেঙে গেছে স্টেডিয়ামের এক পাশ। ঘণ্টায় ৮০ মাইল বেগের ঝড়ে দুমড়ে-মুচড়ে গেছে স্টেডিয়ামে অস্থায়ীভাবে স্থাপন করা জায়ান্ট স্ক্রিন।

অল্প কয়েকদিনের মধ্যে স্টেডিয়ামটি পূর্ণনির্মাণ করার বড় চ্যালেঞ্জ আয়োজকদের সামনে। এর মধ্যে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে এসেছে ডালাসের বন্যা পরিস্থিতি। ডালাসসহ নর্থ টেক্সাসের ৯টি শহরের জন্য বন্যা সতর্কতা জারি করে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।

সতর্ক বার্তায় আরও বলা হয়েছে চলমান সপ্তাহে প্রতিদিন ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। কিছু ঝড় ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। ছাড়া নর্থ টেক্সারবাসীর দুর্দশা বাড়াবে ভারি বৃষ্টিপাত এবং রোববার পর্যন্ত এই বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।

স্বাভাবিকভাবে এর প্রভাব পড়বে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। আগামী জুন (বাংলাদেশ সময় জুন) যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়ানোর কথা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের। টর্নেডোতে ক্ষতিগ্রস্ত ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে হওয়ার কথা ম্যাচটি।

প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ আয়োজন করছে যুক্তরাষ্ট্র। সহআয়োজক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রেকর্ডসংখক ২০টি দল অংশ নিচ্ছে এবারের আসরে। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে আইসিসির আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচ। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে বাতিল হয় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তুতি ম্যাচ।


আমেরিকা   টি-টোয়েন্টি   বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বাংলাদেশের ক্রিকেট ২৫ বছরেও এগোয়নি: সাবেক কোচ স্টুয়ার্ট ল

প্রকাশ: ০৯:০৯ এএম, ২৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাফল্য দ্বিতীয় রাউন্ড। এবারও একই লক্ষ্যে তারা বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দিয়েছে। কিন্তু আইসিসির এই মেগা আসরে বিশ্ব ক্রিকেটের নবীন দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল সিরিজ হেরেছে - ব্যবধানে। প্রতিপক্ষ দলের দায়িত্বে আছেন টাইগারদের সাবেক কোচ স্টুয়ার্ট ল। এমন বিপর্যয়ের পর বাংলাদেশকে নিয়ে তিনি বিধ্বংসী মন্তব্য করেছেন।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার কাছে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে নিজের পর্যবেক্ষণ জানিয়েছেন ল। সেখানে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেট ২৫ বছরেও এগোয়নি। তারা যত কিছুই করুক না কেন, সেসব কাজে লাগেনি। কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পেতে কী করতে হবে, তাদের সেটি খুঁজে বের করতে হবে।

১৯৯৯ সালে পাকিস্তানকে হারিয়ে আইসিসির ৫০ ওভারের টুর্নামেন্টে অভিষেক হয়েছিল বাংলাদেশ। অথচ এখনও নকআউট পর্ব পেরোতে টাইগার ক্রিকেটকে সংগ্রাম করতে হচ্ছে বলে মত বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের এই কোচের।

সর্বশেষ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের দায়িত্বে ছিলেন ল। এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান কোচ হিসেবে যোগ দেন। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ঘাটতি কোথায় সেটিও দেখিয়ে দিয়েছেন সাবেক এই অস্ট্রেলিয়ান, ‘তারা (বাংলাদেশিরা) শারীরিকভাবে শক্তিশালী নন, কিন্তু তারা নমনীয় বলে জোরে বল করতে পারে এবং স্পিন বোলিং পারে, এটা আমরা সবাই জানি। তারা কখনোই পাওয়ারফুল খেলোয়াড় হবে না ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান অথবা অস্ট্রেলিয়ানদের মতো, যারা ভিন্নভাবে বেড়ে ওঠে খাওয়াদাওয়া- ভিন্ন।

বাংলাদেশের কিছু বিশেষ জায়গায় ঘাটতি থাকলেও, প্রতিভার অভাব দেখেন না ২০১১ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধান কোচ , ‘সেখানে অনেক প্রতিভা আছে, ১৭ কোটি মানুষ বাংলাদেশের এবং তারা ক্রিকেটপাগল। শুধু তাদের বের করে আনতে হবে এবং তাদের সামাজিক অবস্থান কীভাবে বেড়ে উঠল সেসব ভুলে যেতে হবে। যদি তারা সঠিক প্রতিভা খুঁজে পায় (তাহলে সাফল্য আসবে), সেটাই করা দরকার এখন।


বাংলাদেশ   ক্রিকেট   কোচ স্টুয়ার্ট ল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টি-২০ বিশ্বকাপ: স্মার্ট ক্রিকেটে ভাগ্য পরিবর্তন চায় কিউইরা

প্রকাশ: ০৯:০১ এএম, ২৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আর মাত্র ৪ দিন। এরপরই মাঠে গড়াতে যাচ্ছে বিশ্ব ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণের লড়াই। যেখানে চার-ছক্কার জোর যার বেশি, মাঠের লড়াইয়ে দাপটটাও তাদেরই বেশি। আর এজন্যই অংশগ্রহণকারী প্রায় প্রতিটি দলই নিজেদের সেরা সৈন্যদের নিয়েই সাজিয়েছে দল।

আগামী ২ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসরে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যৌথভাবে আয়োজক দেশ দুইবারের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইডিন্জও। আর এই দুই দেশের ৯ ভেন্যুতে চলবে বৈশ্বিক ক্রিকেটের এই মেগা ইভেন্ট।

অন্যান্যবার কুড়ি ওভারের এই বিশ্বযজ্ঞে ১০টি দল অংশগ্রহণ করলেও এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে ২০ দল। যেখানে সেরা আট দল বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছিল আগেই। এর সঙ্গে অটোমেটিক চয়েজে বিশ্বকাপের টিকিট পায় সেরা র‌্যাংকিংয়ে অবস্থান করা দুদল এবং আয়োজকরা। বাকি ৮ দলকে বিশ্বকাপের টিকিট পেতে আঞ্চলিক পর্যায়ে লড়াই করতে হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় আফ্রিকা, ইউরোপা, এশিয়া থেকে দুটি করে দল সুযোগ পেয়েছে। সেইসঙ্গে আমেরিকা এবং ইস্ট-এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে একটি করে দল বিশ্বকাপে খেলবে।

আর দল বেশি হওয়ায় এবারের সমীকরণটাও কিছুটা ভিন্ন। নতুন আদলের এবারের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে ভাগ করা হবে চার গ্রুপে। যার মধ্যে প্রতিটি গ্রুপে থাকবে ৫টি করে দল।

রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে প্রতি গ্রুপের প্রতিটি দল একে অপরের মোকাবিলা করবে। সেখান থেকে প্রতি গ্রুপের সেরা দুটি দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে সুপার এইট। সেখান থেকে সেমিফাইনাল এবং ফাইনালসহ টুর্নামেন্টে মাঠে গড়াবে মোট ৫৫টি ম্যাচ। বৈশ্বিক এই আসরকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই স্কোয়াড ঘোষণা করেছে প্রতিটি দল।

তবে বৈশ্বিক এই মেগা ইভেন্টে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দলের মধ্যে ফেবারিটের তালিকার কথা কাউকে জিজ্ঞাসা করা হলে যে কেউ নিশ্চিতভাবেই দৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে বাজি ধরে নিউজিল্যান্ডকে শীর্ষেই রাখবে। কিন্তু এটা যেমন কিউইদের সৌভাগ্য, তেমনি দুর্ভাগ্যও বটে।

কারণ আইসিসির সাদা বলের বিশ্বকাপে সেরা চারে উঠে ভক্তদের স্বপ্ন দেখালেও ঘরে তুলতে পারেনি শিরোপা। যেকোন টুর্নামেন্টেরই সেমি কিংবা ফাইনালে কিউইদের শিরোপার স্বপ্ন রূপ নেয় দুঃস্বপ্নে। আর এই স্বপ্ন-দুঃস্বপ্নের এমন মিশ্র আবেগে অভাগার আরেক নাম নিউজিল্যান্ড।

নিউজিল্যান্ড ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি, দুই ফরম্যাটের বিশ্বকাপে ফাইনাল খেলেছে একাধিকবার। কিন্তু তবুও শিরোপা নেই তাদের। কিউইরা সীমিত ওভারের বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলেছে ১০ বার এবং ফাইনাল হেরেছে ৩ বার।

সাদা বলে নিউজিল্যান্ডের মেজর টুর্নামেন্ট জয় বলতে কেবল ২০০০ আইসিসি ট্রফিতে। দ্বিতীয় আইসিসি শিরোপা এসেছে ২১ বছর পর। ২০২১ সালে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতকে হারানোর মধ্য দিয়ে।

সীমিত ওভারে দুই বিশ্বকাপের প্রথম সংস্করণে সেমিফাইনালে বাদ পড়েছিল নিউজিল্যান্ড। একই দুর্ভাগ্যের শিকার হয়েছে টুর্নামেন্টে দুটি সবশেষ সংস্করণে! সবশেষ ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপে সপ্তমবারের মতো সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেয় শান্তির দেশের ক্রিকেটাররা। এর আগে সেরা চার থেকে বিদায় নিয়েছিল ১৯৭৫, ১৯৭৯, ১৯৯২, ১৯৯৯, ২০০৭ এবং ২০১১ সংস্করণে। টুর্নামেন্টে এমনকি ব্যাক-টু-ব্যাক ফাইনাল হারের কষ্টও রয়েছে কিউইদের।

বহু চেষ্টার পর, ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রথমবারের ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল নিউজিল্যান্ড। শিরোপা লড়াইয়ে হেরে যায় অস্ট্রেলিয়ার কাছে। পরের সংস্করণে সুপার ওভার রোমাঞ্চে ফাইনাল হেরে যায় ইংল্যান্ডের কাছে।

ফরম্যাট বদলালেও ভাগ্য বদলায়নি নিউজিল্যান্ডের। ২০২১ সালে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল কিউইরা। প্রতিপক্ষ হিসেবে পায় অস্ট্রেলিয়াকে। ফল একই। আরেকটি ফাইনাল হারের গল্প। সবশেষ অস্ট্রেলিয়া পর্দা উঠা টুর্নামেন্টে তারা বিদায় নেয় সেমিফাইনাল থেকে।

সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবশেষ তিন আসরে সেমিফাইনাল খেলেছে নিউজিল্যান্ড। যারা এখনো প্রথম সীমিত ওভারের বিশ্বকাপ জয়ের অপেক্ষায়। তাই এবার কিউই এবং ভক্তরা নতুন করে স্বপ্ন বুনেছেন। তার বাস্তব প্রতিফলন হয় কি না সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।

এবার নিউজিল্যান্ডের টি-২০ বিশ্বকাপ নিয়ে স্বপ্ন বুনার পেছনে অবশ্য কিছু কারণও রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-

১.অভিজ্ঞতাই মূল শক্তি

টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসরে ২০ দল অংশগ্রহণ করলেও সবার আগে দল ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (এনজেডসি)। ১৫ সদস্যের এই স্কোয়াডে নতুন কিছু চমক থাকলেও বিশেষত অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের উপরই ভরসা রেখেছে বোর্ড। 

বৈশ্বিক এই আসরের সিংহভাগ খেলা যেহেতু এবার হবে ক্যারিবীয় দ্বীপে, সেহেতু ২০২২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর করা ১৫ কিউই ক্রিকেটারের ১৩ জনকেই রাখা হয়েছে এবারের বিশ্বকাপ পরিকল্পনায়। শুধু তাই নয়, ব্যাটিং-বোলিং সবদিক থেকেই এবার নিউজিল্যান্ড শিরোপা জেতার মিশনে নামতে যাচ্ছে। 

আর কিউইদের প্রথম আইসিসি টুর্নামেন্ট জেতানোর মিশনে নেতৃত্বে থাকছেন কেন উইলিয়ামসন। যা হবে তার ষষ্ঠ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এছাড়াও নিউজিল্যান্ডের হয়ে এর আগে মাঠ কাপানো লুকি ফার্গুসন এবং ম্যাট হেনরিও থাকছেন দলে। 

এছাড়াওবিশ্বকাপ দলে ঠাঁই পেয়েছেন ডেভন কনওয়ে, যিনি আঙুলের চোট থেকে সেরে ওঠার প্রক্রিয়ায় আছেন। রাখা হয়েছে পার্ট টাইম কিপার ফিন অ্যালেনকে। পাকিস্তান সিরিজে নেতৃত্বে থাকা মাইকেল ব্রেসওয়েল টিকে গেছে দলে। নিউজিল্যান্ড শিবিরে আছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার জিমি নিশাম এবং ড্যারিল মিচেল। ব্যাটিং বিভাগে উইলিয়ামসন, কনওয়ে এবং অ্যালেন ছাড়াও আছেন গ্লেন ফিলিপস, রাচিন রবীন্দ্র এবং মার্ক চাপম্যান। স্পিন বিভাগ সামলাবেন মিচেল সান্তনার এবং ইশ সোধি। হেনরি এবং রাচিন প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবেন।

২. বিশ্বকাপের পূর্বে প্রস্তুতি নেই

বিশ্বকাপের বছরে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ব্যস্ত সময় পার করেছে নিউজিল্যান্ড। ৩ সিরিজে খেলেছে ১৩টি ম্যাচ। জানুয়ারিতে ঘরের মাটিতে পাকিস্তানকে ৫ ম্যাচের সিরিজে হারিয়েছে ৪-১ ব্যবধানে। সবশেষ এপ্রিলে পাকিস্তানে ফিরতি সফরে সিরিজ ড্র করে ২-২ ব্যবধানে (একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়)। এর মাঝে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩ ম্যাচের হোম সিরিজে ধবলধোলাইয়ের লজ্জা পায়। তবে বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে আড়াল উইলিয়ামসনরা। ওয়ার্ম-আপ ম্যাচের সূচিতে নেই তাদের কোনো খেলা।

৩. অভিযান শুরু ৮ জুন

এবার টি-২০ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে অচেনা প্রতিপক্ষদের মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড। আগামী ৮ জুন আফগানিস্তান ম্যাচ দিয়ে অভিযান শুরু করবে নিউজিল্যান্ড। ম্যাচের ভেন্যুর গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়াম। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে মাত্র এক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের। 

‘সি’ গ্রুপে কিউইদের দ্বিতীয় ম্যাচ ১৩ জুন, ত্রিনিদাদে ব্রায়ান লারা একাডেমিতে। প্রতিপক্ষ বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ১৯ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের জয় ১০টি এবং হার ৪টি। টাই হয়েছিল ৩ ম্যাচ। যার মধ্যে সুপার ওভারে ১টিতে জয় এসেছে, অপর ২টিতে ছিল হার। ফল হয়নি অবশিষ্ট ২ ম্যাচে।

বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে নিউজিল্যান্ডের শেষ দুই ম্যাচের প্রতিপক্ষ উগান্ডা এবং পাপুয়া নিউগিনি। যাদের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে কিউইরা।

শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ, বৈচিত্রময় বোলিং- সবমিলিয়ে যেন স্মার্ট ক্রিকেট খেলার মাধ্যমে কিউইরা এবার মুখিয়ে রয়েছে তাদের ভাগ্য বদলানোর জন্য। এখন সময়ই বলে দেবে এবার তাদের ভাগ্যে কি রয়েছে। 

টি-২০ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড স্কোয়াড

কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), ফিন অ্যালেন, ডেভন কনওয়ে, মাইকেল ব্রেসওয়েল, মার্ক চাপম্যান, ড্যারিল মিচেল, জিমি নিশাম, গ্লেন ফিলিপস, রাচিন রবীন্দ্র, মিচেল সান্তনার, ট্রেন্ট বোল্ড, লুকি ফার্গুসন, ম্যাট হেনরি, ইশ সোধি ও সাউদি।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টেবিল টেনিসে রুপা জিতল বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৯:১৪ পিএম, ২৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

দক্ষিণ এশিয়ান ইয়ুথ টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপে রৌপ্য জিতেছে বাংলাদেশের ছেলেরা। শ্রীলংকায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ ক্যাটাগরির এ প্রতিযোগিতায় রৌপ্য পদক অর্জন করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এমন সাফল্যে তারা সুযোগ পেয়েছে ২৮তম এশিয়ান ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার।

আগামী ৩০ জুন থেকে শুরু হবে টেবিল টেনিসের ২৮তম এশিয়ান ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপের আসর। চায়নার চংকুইঙ্গ শহরে অনুষ্ঠেয় এই আসর চলবে ৬ জুলাই পর্যন্ত।

এশিয়াতে ৪৩টি দেশকে পাঁচটি রিজিয়নে ভাগ করে প্রতিটি রিজিয়ন থেকে দুটি করে মোট দশটি টিম চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল রাউন্ডে খেলবে। এছাড়াও থাকবে গতবারের চার সেমিফাইনালিস্ট চীন জাপান, কোরিয়া ও ভারত।

ক্যান্ডিতে সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম দুই সেটে এগিয়ে থাকলেও পরে ২-৩ হেরে যায় বাংলাদেশের বালক টিম। 

তবে পরের ম্যাচগুলোতে পাকিস্তান, মালয়েশিয়া ও নেপালকে ৩-০ সেটে হারায় বাংলাদেশ। এতেই আসরে রৌপ্য পদক ও এশিয়ান ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত হয়। শ্রীলংকা হয় চ্যাম্পিয়ন।

টেবিল টেনিস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন