ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

‘মস্কোর অংশগ্রহণ ছাড়া ইউক্রেন নিয়ে আলোচনা অসম্ভব’

প্রকাশ: ১২:৫৯ পিএম, ০৩ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ইউক্রেন নিয়ে নিষ্পত্তিমূলক যেকোনো আলোচনা রাশিয়ার অংশগ্রহণ ছাড়া সম্ভব হবে না। আর এ বিষয়ে একমত হয়েছে রাশিয়া ও চীন। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (৩ মার্চ) রোববার এ তথ্য জানিয়েছেন।

রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী মিখাইল গালুজিন ও চীনের ইউরেশিয়ান অ্যাফেয়ার্স–বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি লি হুইয়ের মধ্যকার বৈঠকে এ ঐকমত্য হয়।

ইউক্রেন নিয়ে আলোচনা করতে দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোপ সফর করছেন লি হুই। এ সফরে তিনি বৈঠক করেন মিখাইল গালুজিনের সঙ্গে। পোল্যান্ড, ইউক্রেন ও জার্মানিতে সফর করবেন লি হুই।
নিজেদের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বৈঠক নিয়ে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ইউক্রেন নিয়ে দুপক্ষের (রাশিয়া ও চীন) মধ্যে অংশগ্রহণমূলক ও চিন্তাশীল মনোভাব বিনিময় হয়েছে। একমত হওয়া গেছে যে ইউক্রেন নিয়ে কোনো নিষ্পত্তিমূলক রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক আলোচনা রাশিয়ার অংশগ্রহণ ছাড়া কখনোই সম্ভব হবে না।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করে রাশিয়া। যদিও এ যুদ্ধকে প্রতিবেশী দেশকে ‘নাৎসিমুক্ত’ করার জন্য একটি ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বলে আসছে মস্কো।
তবে কিয়েভ ও তার পশ্চিমা মিত্রদের কাছে এটা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ‘রুশ আগ্রাসন’। দুই বছর পেরোলেও এখনো যুদ্ধ চলছে। প্রায় প্রতিদিনই বেসামরিক মানুষের হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।



ইউক্রেন   রাশিয়া   চীন   পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বুথফেরত জরিপ: হ্যাটট্রিক করতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি

প্রকাশ: ০৯:৫৮ পিএম, ০১ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে লোকসভা নির্বাচেনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। শনিবার (০১ জুন) সপ্তম ধাপে ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে এ নির্বাচন সমাপ্ত হয়েছে। আগামী ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করবে দেশটির নির্বাচন কমিশন। তবে এরইমধ্যে বুথফেরত ফলাফল ঘোষণা করেছে ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। এতে বলা হয়েছে, এবার হ্যাটট্রিক করতে চলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নির্বাচনে দেশটির বড় দুটি জোটের মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। এ দুটি হলো ভারতের ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ এবং কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট।

শনিবার ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরপরই দেশটির সংবাদমাধ্যমে বুথফেরত জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। তবে জরিপের ফলাফল অনেক সময় উল্টো দেখা যায়। এর আগে ২০১৯ সালের নির্বাচনে এনডিএ জোট ৩৫৩ আসন পেয়েছিল।

দেশটির অন্তত ৪টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত বুথফেরত জরিপের ফলাফলে বলা হয়েছে, বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট লোকসভা নির্বাচনে ৩৫০টিরও বেশি আসন পেতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে হ্যাটট্রিক করতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি।

এনডিটিভি জানিয়েছে, এবারের নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভারতের ৪টি সংবাদমাধ্যম ও সংস্থার বুথফেরত জরিপের তথ্যানুসারে, এবারের নির্বাচনে লোকসভার ৫৪৩ আসনের মধ্যে ৩৫০টির বেশি আসনে এনডিএ জয় পেতে পারে। ভারতের সংবিধানের তথ্যানুসারে, নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ২৭১ আসনের প্রয়োজন।


বুথফেরত জরিপ   হ্যাটট্রিক   নরেন্দ্র মোদি   ভারত নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বুথফেরত জরিপ চূড়ান্ত ফলের পূর্বাভাস

প্রকাশ: ০৯:৩১ পিএম, ০১ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার ভোট গ্রহণ শেষ হয়ে গেছে। তবে শেষ দফার ভোট শেষ হওয়ার আগেই বুথফেরত জরিপ নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। নির্বাচনের ফলের আভাস পেতে বুথফেরত জরিপ গুরুত্বপূর্ণ।

ভারতে লোকসভা নির্বাচনে ৫৪৩ আসনে সরাসরি ভোট হয়। আগামী মঙ্গলবার ( জুন) নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করার কথা। তবে বুথফেরতের জরিপের ফলাফল আসতে শুরু করেছে।

ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার আধা ঘণ্টা পর; অর্থাৎ স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে বুথফেরত জরিপের ফলাফল দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার শুরু হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির জরিপে বলা হচ্ছে এনডিএ ৩৬১, আইএনডিআইএ ১৪৫, অন্যান্য দল ৩৭ টি আসন পেতে পারে।

ভোট দেওয়ার পর কেন্দ্রের সামনেই ভোটারদের সঙ্গে কথা বলার মাধ্যমে জরিপ চালানো হয়। এটাকেই বলা হয় বুথফেরত জরিপ। নির্বাচন চলার সময়ে ভারতে বুথফেরত জরিপের ফলাফল প্রকাশ নিষিদ্ধ। তবে পুরো ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আধা ঘণ্টা পর ফলাফল প্রকাশ করা যায়। সেই হিসাবে আজ সন্ধ্যা ছয়টার পর বুথফেরত জরিপের ফলাফল আসতে শুরু হয়েছে।

২০১৪ সালের বেশির ভাগ বুথফেরত জরিপে পূর্বাভাস পাওয়া গিয়েছিল বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ক্ষমতায় আসছে। কিন্তু এনডিএ যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যাচ্ছে, সেই পূর্বাভাস ছিল না।

ওই বছর ইন্ডিয়া টুডে-সিসেরোর জরিপে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, এনডিএ জোট ২৭২ আসন পেতে যাচ্ছে। ছাড়া নিউজ টোয়েন্টিফোর-চাণক্য ৩৪০ আসন, সিএনএন-আইবিএন-সিএসডিএস ২৮০, টাইমস নাউ-ওআরজি ২৪৯, এবিপি নিউজ-নিয়েলসেন ২৭৪, এনডিটিভি-হানসা রিসার্চ পূর্বাভাস দিয়েছিল এনডিএ ২৭৯ আসন পাবে। প্রকৃতপক্ষে এনডিএ জোট ওই নির্বাচনে জিতেছিল ৩৩৬ আসনে। এর মধ্যে ২৮২টি আসন পেয়েছিল বিজেপি।

২০১৪ সালে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোটের বিপুলসংখ্যক আসন হারানোর পূর্বাভাসও দিতে পারেনি কোনো বুথফেরত জরিপ। সেই নির্বাচনে ইন্ডিয়া টুডে-সিসেরোর জরিপে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, ইউপিএ জোট ১১৫ আসন পেতে যাচ্ছে। ছাড়া নিউজ টোয়েন্টিফোর-চাণক্য ১০১ আসন, সিএনএন-আইবিএন-সিএসডিএস ৯৭, টাইমস নাউ-ওআরজি ১৪৮, এবিপি নিউজ-নিয়েলসেন ৯৭, এনডিটিভি-হানসা রিসার্চ পূর্বাভাস দিয়েছিল, ১০৩ আসন ইউপিএ পেতে পারে। প্রকৃতপক্ষে ইউপিএ জোট ওই নির্বাচনে জিতেছিল মাত্র ৬০টি আসনে। এর মধ্যে ৪৪টি আসন পেয়েছিল কংগ্রেস।

২০১৯ সাল; অর্থাৎ গত লোকসভা নির্বাচনেও বুথফেরত জরিপে বিজেপির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। বুথফেরত জরিপের পূর্বাভাসই শেষ পর্যন্ত সত্যি হয়েছিল সেবার। গত নির্বাচনে বুথফেরত জরিপে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোটের আবারও পরাজয়ের পূর্বাভাস পাওয়া গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত হয়েছিলও তা-ই।

গত নির্বাচনের পর ইন্ডিয়া টুডে-এক্সিসের বুথফেরত জরিপে দেখা গিয়েছিল, ইউপিএ জোট ৭৭ থেকে ১০৮টি আসন পেতে পারে। ছাড়া  নিউজ টোয়েন্টিফোর-চাণক্য ৯৫ আসনে, নিউজ এইটিন-ইপসোস ৮২, টাইমস নাউ ভিএমআর ১৩২, ইন্ডিয়া টিভি-সিএনএক্স ১২০, সুদর্শন নিউজ পূর্বাভাস দিয়েছিল, ইউপিএ ১২৪ আসন পাচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত ইউপিএ জোট পেয়েছিল ৯১টি আসন। এর মধ্যে কংগ্রেস ৫২ আসনে জিতেছিল।


জরিপ   ফল   পূর্বাভাস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জয়ের পথে আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস

প্রকাশ: ০৬:৩৭ পিএম, ০১ জুন, ২০২৪


Thumbnail

দক্ষিণ আফ্রিকায় সাধারণ নির্বাচনে আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত ৯৮ শতাংশ ভোটকেন্দ্রের গণনা শেষ হয়েছে। এতে ৪০ দশমিক ১৫ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছে ক্ষমতাসীন দল আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস (এএনসি) দক্ষিণ আফ্রিকার নির্বাচন কমিশন বলেছে আগামীকাল রোববার (২ জুন) চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

এএনসি এগিয়ে থাকলেও এখন পর্যন্ত যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তাতে বলা যায়, ৩০ বছরে এই প্রথমবারের মতো দলটি ৫০ শতাংশ ভোট নিশ্চিত করতে পারছে না। আর তাহলে জোট সরকার গঠনের জন্য তাদের বিরোধী দলগুলোকে কাছে টানতে হবে।

গত বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকায় সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। ভোট গণনা এখন প্রায় শেষের দিকে। আজ  সকালে ৯৮ শতাংশ কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষে দেখা গেছে, প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (ডিএ) ২১ দশমিক ৭১ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। আর ১৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার দল উমখুনটো উই সিজ (এমকে)

সুস্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ওয়েস্টার্ন কেপ প্রদেশে ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আবারও ক্ষমতায় ফিরছে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। শুধু কোয়াজুলু নাটাল ওয়েস্টার্ন কেপই নয়, গাওতেং প্রদেশেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে এএনসি। গাওতেংয়ের মতো কিছু প্রদেশে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে এএনসিকে জোট করতে হবে।

রাজনীতি-বিশ্লেষক সিজ মোপোফু-ওয়ালশ মনে করেন, এই ফলাফলের মধ্য দিয়ে ইঙ্গিত মিলছে যেএএনসির আধিপত্যের সমাপ্তিঘটতে যাচ্ছে। আল জাজিরাকে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এটা ভালো। যতটা আশা, ততটা ভয়ও থাকা উচিত। কী ঘটতে যাচ্ছে, মানুষ উদ্বিগ্ন অনিশ্চিত। এর মধ্য দিয়ে পরিবর্তন জবাবদিহির নতুন পথ খুলবে।

দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদী শাসনামল অবসানের পর ১৯৯৪ সালে অনুষ্ঠিত অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে বর্ণবাদবিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার নেতৃত্বাধীন এএনসি জয়লাভ করে। এরপর পাঁচ বছর পরপর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ৩০ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে এএনসি। তবে ক্ষমতা ধরে রাখলেও ধারাবাহিকভাবেই এএনসির ভোট কমছিল। সর্বশেষ ২০১৯ সালের নির্বাচনে ৫৭ শতাংশের কিছু বেশি ভোট পায় এএনসি।


জয়   আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

৪৭ নিয়োগদাতার লাইসেন্স স্থগিত করল মালয়েশিয়া

প্রকাশ: ০৬:১৫ পিএম, ০১ জুন, ২০২৪


Thumbnail

মালয়েশিয়ার ৪৭ নিয়োগদাতার লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। শুক্রবার (৩১ মে) মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়।

শনিবার ( জুন) থেকে আর কোনো শ্রমিক মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে পারবেন না। তাই আগমুহূর্তে শেষ সুযোগ হিসেবে দেশটিতে বিপুল পরিমাণ শ্রমিক নিয়ে গেছে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।

অভিযোগ রয়েছে, বিদেশ থেকে শ্রমিক আনার পর তাদের বিমানবন্দর থেকে পুনর্বাসন করছে না নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে নতুন করে আসা শ্রমিকদের অনেকেই আটকা পড়ে আছেন বিমানবন্দরে। সেখানে এখন তিলধারণের ঠাঁই নেই।

হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, গত কয়েকদিনে মালয়েশিয়ায় আসা হাজার হাজার শ্রমিকের বেশিরভাগই বাংলাদেশি। তাদের যেসব চাকরির লোভ দেখিয়ে মালয়েশিয়ায় নিয়ে আসা হয়েছে অনেক ক্ষেত্রে তা হয়তো ভুয়া। তারা প্রতারণার ফাঁদে পড়তে পারেন।

শ্রমিক অধিকারকর্মীরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দালালরা ভুয়া চাকরির লোভ দেখিয়ে বাংলাদেশি শ্রমিকদের মালয়েশিয়ায় নিয়ে আসত। শুধু কারণে মালয়েশিয়া শ্রমবাজার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। তবে এই দালাল এবং প্রতারকদের দৌরাত্ম্য বন্ধ হয়নি।

ফলে গত কয়েকদিনে যেসব বাংলাদেশি শ্রমিক তাড়াহুড়া করে মালয়েশিয়ায় গেছেন তারা প্রতারণার শিকার হতে পারেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অধিকারকর্মীরা।


নিয়োগদাতা   লাইসেন্স   মালয়েশিয়া  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভোটের শেষ দফা, সবার দৃষ্টি বুথফেরত জরিপে

প্রকাশ: ০৪:২৫ পিএম, ০১ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম তথা শেষ দফা আজ। ভোটগ্রহণ সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছে, চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরপরই সন্ধ্যায় বিভিন্ন গণমাধ্যম বুথফেরত সমীক্ষা বা এক্সিট পোল প্রকাশ করবে। যেটা থেকে ধারণা পাওয়া যাবে,পরবর্তী কোন দল সরকার কারা গঠন করতে চলেছে। তবে এ ধরনের জরিপের ফলাফল সব সময় নির্ভরযোগ্য হয়না।   

অন্তিম দফায় আজকের ভোটগ্রহণ চলছে দেশটির ৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৫৭টি লোকসভা আসনে। এর মধ্য দিয়েই ভারতের ৫৪৩টি লোকসভা আসনে ভোট নেওয়া সম্পন্ন হবে।  

ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার আধা ঘণ্টা পরই অর্থাৎ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে শুরু হবে বুথফেরত জরিপ।  সর্বভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর পাশাপাশি অনেক বেসরকারি সংস্থাও জরিপ চালিয়ে থাকে। যেটা থেকে একটা পূর্বাভাস পাওয়া যায় যে, চলমান নির্বাচনে কোন দল কতটি আসন পেয়ে সরকারে আসতে যাচ্ছে। 

বিরোধী মহল নিশ্চিত, বুথফেরত জরিপের ফলাফল দেখিয়ে অনুগত সব গণমাধ্যমে বিজেপি প্রচার শুরু করবেন যে, তৃতীয়বাবারেও সরকার গড়বেন নরেন্দ্র মোদি। ৪ জুন ভোট গণনা প্রভাবিত করতে এটা হবে শাসক দলের একটি মনস্তাত্ত্বিক লড়াই। লক্ষ্য একটাই, গণনাকেন্দ্রে বিরোধী দলের এজেন্টদের মনোবল আগে থেকে ভেঙে দেওয়া, যেন প্রান্তিক আসনগুলোতে বিজেপি বা এনডিএ প্রার্থীদের জয় সুনিশ্চিত করা যায়।   

এবারের ১৮তম লোকসভা নির্বাচন শুরু হয় ১৯ এপ্রিল। আর নির্বাচন শুরু হওয়ার আগে ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) ৪০০ আসনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। তবে ভোট শুরুর পরপরই তাদের স্বপ্ন ভাঙতে শুরু করে।   

এবারের নির্বাচনেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শাসনে দেশটির বিরোধী দলগুলো দুর্বল হয়ে পরেছে। দেশটিতে এখন আইনের শাসন ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বেহাল দশা। মূল্যস্ফীতি ও বেকারত্বের কারণে অর্থনৈতিক ভাবেও ভেঙ্গে পরেছে দেশটি।  

এসব অনেক ভোটার গণতন্ত্রের প্রতি আস্থা হারিয়ে এবং কেন্দ্রবিমুখ ছিলেন। এর একারণেই অন্যান্য নির্বাচনের তুলনায় এবার ভোটের হার কম। বিজেপির অনেক সমর্থকরাই হতাশ হয়ে কেন্দ্রে যাননি। ফলে মোদির আত্মবিশ্বাসেও বড় ধরনের ফাটল দেখা দিয়েছে। তাই ভোট শুরুর পরপরই তিনি উন্নয়নের গল্প বলার পরিবর্তে মুসলিমবিরোধী প্রচারণার আশ্রয় নিয়েছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। 

বিশ্লেষকরা এবিষয়ে নিশ্চিত যে, মোদি শেষ পর্যন্ত টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করতে সক্ষম হলেও তার দল এবার অনেক কম আসন পাবে।   

অন্যদিকে, দেশে মোদিবিরোধী পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে বিরোধী জোট ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স (ইন্ডিয়া) এবার এনডিএ জোটকে পরাজিত করার স্বপ্ন দেখছে। এমনকি বিরোধী দলগুলো মোদির বিদায়ের পূর্বাভাস দিয়ে বলেও দিয়েছে যে, আগামী ৪ জুন (মঙ্গলবার) ভোট গণনার দিনই সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে। 

গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জেতা ৩০৩ আসনের মধ্যে ৪০টিতে জয় এসেছিল ৫০ হাজারের কম ভোটে। ওই আসনগুলোর মধ্যে ১১টিতে হেরেছিল কংগ্রেস। তাই গতবারের মতো গণনা শেষ হওয়ার আগে লড়াই থেকে একপাও পিছিয়ে আসতে রাজি নয় ইন্ডিয়া জোট। এবার তারা আগে থেকে দলের কর্মীদের সতর্ক ও সজাগ থাকার নির্দেশ দিয়েছে। 

শুক্রবার রাতে এক ভিডিও বার্তায় রাহুল গান্ধী দলীয় নেতাদের সতর্ক করে বলেছেন, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ইভিএমের দিকে কড়া নজর রাখতে হবে। শেষ দফার ভোট ও গণনার দিন কর্মীদের প্রত্যেককে সতর্ক থাকতে হবে। কোনো রকম ঢিলেমি দেওয়া যাবে না। 

সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবও একই কথা জানিয়েছেন, বুথফেরত সমীক্ষা শুরু হওয়ামাত্র বিজেপি তাদের অনুগত মাধ্যমগুলোয় প্রচার চালাবে, তিন শতাধিক আসন পেয়ে তারাই আবার সরকার গড়তে চলেছে। গণনার দিন শুরু থেকেই বিরোধীদের মনোবল ভেঙে দিতে তারা এটা করবে,যেন গণনাকেন্দ্রে তাদের কারচুপি প্রতিরোধের শক্তি না থাকে। বিরোধীরা যাতে উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। সেই অবকাশে বিজেপি তাদের সাংগঠনিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শক্তির সাহায্যে গণনায় কারচুপি করবে। 

এমনকি কংগ্রেস সভাপতি খাড়গের ডাকা বৈঠকের মূল উদ্দেশ্যতাও ছিল বুথফেরত সমীক্ষা নিয়ে সজাগ ও সতর্ক করে দেওয়া। আর ভোট গণনার দিন বিরোধী সব প্রার্থীর এজেন্টদের করণীয় বিষয়গুলো বুঝিয়ে দেওয়া। সেই সঙ্গে সব বিরোধী নেতার কাছ থেকে ভোটের রাজ্যওয়ারি হিসাব বুঝে নেওয়া।  

সবদিক বিবেচনা করে কংগ্রেস ঠিক করেছে,এবার বুথফেরত সমীক্ষার ফল নিয়ে গণমাধ্যম বা চ্যানেলে কোনো আলোচনা বা বিতর্কে অংশ নেবে না তারা। দলের মুখপাত্র পবন খেরা শুক্রবার রাতেই জানিয়ে দেন, ভোট নিয়ে আলোচনায় কংগ্রেস অংশ নেবে গণনার দিন। তার আগে নয়। কোনো চ্যানেলে দলের কোনো মুখপাত্র শনিবার সন্ধ্যায় হাজির হবেন না। 

কংগ্রেসের এসব কথায় বিজেপি কটাক্ষ করে বলেছে যে, এর মধ্য দিয়ে কংগ্রেস আগেভাগেই হার স্বীকার করে নিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, কংগ্রেস দলটা চিরকালই নেতিবাচক থেকে গেল। হার নিশ্চিত জেনে আগেভাগেই তারা পালাতে চাইছে। তিনি বলেন, ওদের উচিত না পালিয়ে বাস্তবটা স্বীকার করে নেওয়া ও আত্মানুসন্ধান করা।

দেশটির নির্বাচন কমিশনের ওপর বিরোধীরা যে মোটেই আস্থা রাখতে পারছেন না, এসব সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে তা স্পষ্ট বোঝা যায়। বিরোধীদের আশঙ্কা, কমিশন সব সময় চেষ্টা করে যাবে শাসক দলকে সুবিধা করে দেওয়ার। তামিলনাড়ুর ডিএমকের পক্ষ থেকে ইসিকে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে, ৪ জুন পোস্টাল ব্যালট যেন শুরুতেই গোনা হয়। সেই হিসাবও জানিয়ে দিতে হবে।  তারপর যেন শুরু করা হয় ইভিএমের গণনা। বিরোধী ধারণা, পোস্টার ব্যালট পরে গোনা হলে তাতে কারচুপির আশঙ্কা বেশি থাকে। 

নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতিত্বের এক হিসাবও কংগ্রেস দিয়েছে। বলেছে, এবারের ভোট চলাকালে কমিশনের কাছে দল মোট ১১৭টি অভিযোগ জমা দিয়েছিল। সেগুলোর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ছিল ১৪টি, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে ৮টি এবং অমিত শাহর বিরুদ্ধে ৩টি নির্দিষ্ট অভিযোগ। কমিশন একটিও আমলে নেয়নি।


বুথফেরত জরিপ   ভারত   লোকসভা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন