বাণিজ্যিক
ব্যাংকগুলোর সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের টাকা-ডলার অদলবদল
(সোয়াপ) সুবিধা চালুর ফলে বিদেশি মুদ্রার
রিজার্ভের পালে হাওয়া লেগেছে
দেশের মুদ্রার। ডলার বিক্রি অভ্যহত
থাকলেও বেড়েই চলেছে রিজার্ভ। সোমবার (৪ মার্চ) রেমিট্যান্সের
ইতিবাচক ধারা ও ব্যাংকগুলোর
কারেন্সি সোয়াপের পর দেশের রিজার্ভ
বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৭৪
বিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা
তহবিলের তথ্য হিসাব করলে
রিজার্ভ দাঁড়াবে ২১ দশমিক ৩
বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ আড়াই মাসের ব্যবধানে
দেশের রিজার্ভ আবার ২১ বিলিয়ন
ছাড়ালো। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য পাওয়া
গেছে।
বাংলাদেশ
ব্যাংকের প্রাপ্ত তথ্য বলছে, সাম্প্রতিক
সময়ে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির কারণে ব্যাংকগুলো তারল্য সংকটে ভুগছে। এজন্য তারা বিভিন্ন ভাবে
কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধার নিয়ে
চলার চেষ্টা করছে। এমন পরিস্থিতিতে গত
ফেব্রুয়ারিতে দেশের ২১৬ কোটি ডলারের
রেমিট্যান্স আসায় কয়েকটি ব্যাংকের
হাতে অতিরিক্ত ডলার এসেছে। এসব
ডলারের বিপরীতে গতকাল ব্যাংকগুলো প্রায় ১১ হাজার কোটি
টাকার ধার নিয়েছে। অর্থাৎ
গতকাল ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে ১০১ কোটি
ডলারের কারেন্সি সোয়াপ করেছে ব্যাংকগুলো। এর আগেও ব্যাংকগুলো
৩৭ কোটি ডলার বাংলাদেশ
ব্যাংকের কাছে জমা দিয়েছিল।
বাংলাদেশ
ব্যাংকের ওই সময়ের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, বেশকিছু
ব্যাংক ডলার জমা দিয়ে
কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা নিয়েছে।
এসব ডলার জমার কারণে
রিজার্ভ বেড়েছে। সামনে সেই ডলার ফেরত
নিলে রিজার্ভ হয়তো কমতে পারে;
তবে এর মধ্যে বিভিন্নভাবে
রিজার্ভ বাড়বে।
এখন
আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যাংকগুলো প্রবাসী ও রপ্তানি আয়
কিনছে ১১০ টাকা দরে। এই
দামে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ডলার অদলবদল
করেছে ব্যাংকগুলো। বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার নিয়ে সমপরিমাণ
টাকা দিয়েছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে।
বাংলাদেশ
ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ৭
ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২ হাজার
৫০৮ কোটি ডলার। আন্তর্জাতিক
মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফের হিসাবপদ্ধতি
বিপিএম৬ অনুযায়ী এ রিজার্ভ ছিল
১ হাজার ৯৯৫ কোটি ডলার।
১৪ ফেব্রুয়ারি মোট রিজার্ভ কমে
দাঁড়ায় ২ হাজার ৫০৫
কোটি ডলারে। আর বিপিএম৬ অনুযায়ী,
ওই দিন রিজার্ভ ছিল
১ হাজার ৯৯৩ কোটি ডলার।
এরপর ২০ ফেব্রুয়ারি মোট
রিজার্ভ বেড়ে ২ হাজার
৫৩২ কোটি ডলারে দাঁড়ায়।
আর আইএমএফের হিসাবপদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী, ওই
তারিখে রিজার্ভ ছিল ২ হাজার
১৯ কোটি ডলার। গতকাল
সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২
হাজার ৬৭৪ কোটি ডলার।
আর আইএমএফের হিসাবপদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী, এই
রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়াবে ২ হাজার ১৩০
বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ আড়াই মাস পর
দেশের ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ আবারও ২১ বিলিয়ন ডলার
ছাড়িয়েছে।
এর
আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি টাকার
সঙ্গে ডলার অদলবদল বা
সোয়াপব্যবস্থা চালু করে বাংলাদেশ
ব্যাংক। নতুন এ ব্যবস্থার
ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ডলার–টাকা অদলবদল
করতে পারছে। সর্বনিম্ন ৭ থেকে সর্বোচ্চ
৯০ দিনের জন্য টাকা-ডলার
অদলবদলের এ ব্যবস্থা চালু
করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ সুবিধা চালুর
পর ২০ ফেব্রুয়ারি কয়েকটি
ব্যাংক ২৩ কোটি ৫০
লাখ ডলার বাংলাদেশ ব্যাংকে
জমা দিয়ে সমপরিমাণ টাকা
নিয়েছে। আর ২২ ফেব্রুয়ারি
কয়েকটি ব্যাংক মিলে বাংলাদেশ ব্যাংকে
১৩ কোটি ৫০ লাখ
ডলার জমা দিয়ে তার
বিপরীতে সমপরিমাণ টাকা নিয়েছে।
গত
দুই বছর ধরে দেশে
ডলার সংকট চলছে। এর
ফলে রিজার্ভ কমে প্রায় অর্ধেকে
নেমেছে। ডলার সংকট সামাল
দিতে আমদানি নিয়ন্ত্রণসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া
হয়। তাতে চাহিদা কিছুটা
কমলেও ডলারের সংকট এখনো পুরোপুরি
কাটেনি। ফলে আমদানি দায়
মেটাতে এখনো প্রতি ডলারের
জন্য ১২৩ টাকা পর্যন্ত
দাম দিতে হচ্ছে আমদানিকারকদের।
আবার কিছু ব্যাংক ঘোষণার
চেয়ে বেশি দাম দিয়ে
প্রবাসী আয়ের ডলার কিনছে।
বিভিন্ন
ব্যাংকে ডলারের পাশাপাশি টাকারও সংকট চলছে। কারণ,
ব্যাংকগুলোকে নগদ টাকা দিয়ে
ডলার কিনতে হচ্ছে। আবার অনিয়ম-দুর্নীতির
কারণেও তারল্যসংকটে পড়েছে কিছু ব্যাংক। তবে
কোনো কোনো ব্যাংকের কাছে
বাড়তি কিছু ডলারও রয়েছে।
সেসব ডলার এখন তারা
বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিয়ে তার
বিপরীতে সমপরিমাণ টাকা নিচ্ছে।
ব্যাংক
খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, টাকা–ডলার অদলবদলের
এ ব্যবস্থা উভয় পক্ষের জন্যই
লাভজনক। কারণ, উদ্বৃত্ত ডলারের বিপরীতে ব্যাংকগুলো তাৎক্ষণিকভাবে টাকা পেয়ে যাবে।
আবার নির্ধারিত সময় পর টাকা
ফেরত দিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সমপরিমাণ ডলার
পেয়ে যাবে। এ ব্যবস্থার আওতায়
সর্বনিম্ন ৫০ লাখ ডলার
বা তার সমপরিমাণ টাকা
অদলবদল করা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ
ব্যাংক ও বাণিজ্যিক ব্যাংক-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ ব্যাংকগুলোর সাধারণ ব্যাংকিং থেকে অফশোর ইউনিটে
ডলার স্থানান্তর বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি
মূল ব্যাংক থেকে অফশোর ইউনিটে
যে অর্থ দেওয়া হয়েছে,
তা-ও চলতি বছরের
মধ্যে ফেরত আনতে বলা
হয়েছে। অফশোর ব্যাংকিংয়ে ডলার স্থানান্তর বন্ধ
হয়ে যাওয়ায় ব্যাংকগুলো ব্যবসার জন্য বিদেশি বিভিন্ন
ব্যাংক থেকে যে ডলার
ধার এনেছে, তা ব্যবহার করতে
পারছে না। এখন এসব
ডলার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা দিয়ে টাকা
নিয়ে সেই অর্থ ঋণ
হিসেবে দিতে পারছে ব্যাংকগুলো।
পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ডলারের জমা হওয়ায় বাড়ছে
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও।
রিজার্ভ বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিট্যান্স
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বাজুস
মন্তব্য করুন
আগামী ৬ জুন জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ করা হবে। টানা চতুর্থ মেয়াদের মত দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে আওয়ামী লীগ সরকারের এটিই হবে প্রথম বাজেট। আর এমন এক সময়ে এবার বাজেট দেওয়া হচ্ছে যখন অর্থনৈতিক সংকট ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। কিছু কিছু দৃশ্যমান সংকট সকলের জন্য উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
এবার আসছে বাজেটে মোবাইল ব্যবহারে খরচের বোঝা চাপছে গ্রাহকের কাঁধে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ বাজেটে হ্যান্ডসেট উৎপাদনে ৫ শতাংশ ভ্যাট বাড়াতে চায়। এতে প্রতিটি হ্যান্ডসেটে দাম বাড়তে পারে প্রায় এক হাজার টাকা। সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ করার প্রস্তাবে টকটাইম ও ইন্টারনেট ব্যবহারে ১০০ টাকায় অতিরিক্ত গুনতে হবে প্রায় ৬ টাকা।
ফেসবুক ব্রাউজিং থেকে শুরু করে পড়াশোনা, কেনাকাটা, দাপ্তরিক কাজ- সব ক্ষেত্রেই ইন্টারনেট ব্যবহার বেড়েছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) বলছে, ১৯ কোটি ২২ লাখ সিমকার্ডধারীর মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন ১২ কোটির বেশি গ্রাহক। বর্তমানে মোবাইলে কথা বলায় ১০০ টাকা রিচার্জে গ্রাহকরা ৩৩ টাকার বেশি কর দেন। একই পরিমাণ কর দিতে হয় ইন্টারনেট কিনতেও।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, আসছে বাজেটে উভয় ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এতে অতিরিক্ত ৫ দশমিক ৭৫ টাকা কর বাড়বে। ফলে ১০০ টাকার মোবাইল সেবায় সর্বমোট ৩৯ টাকা কর দিতে হবে, যা হবে দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ।
গ্রাহকরা বলছেন, এভাবে ভ্যাট বাড়ানো সাধারণ মানুষকে শোষণ করার একটা প্রক্রিয়া। ভ্যাট বাড়ালে মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহার করা অনেক কষ্ট হয়ে যাবে। তাই সরকারের কাছে আবেদন, ভ্যাট যেন বাড়ানো না হয়।
মোবাইল অপারেটররা বলছে, সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা রাজস্ব মিলবে। করের পরিবর্তে ডাটা ব্যবহার বাড়িয়েও এ রাজস্ব আদায় সম্ভব। দেশে একজন গ্রাহক মাসে গড়ে সাড়ে ৬ জিবি ডাটা ব্যবহার করেন; ভারতে যার পরিমাণ সাড়ে ১৭ জিবি।
মোবাইল ফোনেও স্বস্তির খবর নেই। বর্তমানে হ্যান্ডসেট উৎপাদনে ৩ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশ পর্যন্ত ভ্যাট দিতে হয় ১৭টি প্রতিষ্ঠানকে। বিক্রয় পর্যায়ে রয়েছে ৫ শতাংশ ভ্যাট। আসছে বাজেটে এ খাতে ভ্যাট বাড়তে পারে আরও ৫ শতাংশ। এতে সরকার ৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব পাবে। তবে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা ফোন বিক্রি বন্ধ হলে এখাত থেকে বছরে রাজস্ব মিলবে প্রায় এক হাজার ২০০ কোটি টাকা।
মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সহসভাপতি রেজোয়ানুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘৫০০ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছি।’
যদিও ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলছেন, মোবাইল সেবায় এবং হ্যান্ডসেট সংযোজনে কর ভার কমাতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ইন্টারনেটের দাম এবং ভ্যাট কমানোর ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং এনবিআরের চেয়ারম্যানের কাছে জমা দিয়েছি।’ বর্তমানে ব্রডব্যান্ড সেবায় ৫ শতাংশ করে তিন স্তরে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিচ্ছেন এক কোটি ৩৪ লাখ গ্রাহক।
মোবাইল বিল ইন্টারনেট ভ্যাট অর্থনীতি
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন অধ্যাপক ড. মো আইনুল ইসলাম।
কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ ও অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলামের প্যানেল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২৯টি পদের মধ্যে ২৭টি পদে নিরঙ্কুশ জয়লাভ করেছে। নতুন কমিটি আগামী দুই বছর (২০২৪-২০২৬) দায়িত্ব পালন করবে।
শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপী দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের শেষদিন শনিবার (১৮ মে) বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সভা ও কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সারাদেশের সাড়ে চার হাজার অর্থনীতিবিদ অংশ নেন।
অন্যান্য পদে নির্বাচিতরা হলেন-সহসভাপতি যথাক্রমে ড. জামালউদ্দিন আহমেদ এফসিএ, এ জেড এম সালেহ্, ড. মো. লিয়াকত হোসেন মোড়ল, সৈয়দা নাজমা পারভীন পাপড়ি (স্বতন্ত্র) ও মো. মোস্তাফিজুর রহমান সরদার। কোষাধ্যক্ষ বদরুল মুনির। যুগ্ম সম্পাদক শেখ আলী আহমেদ টুটুল, মোহাম্মদ আকবর কবীর। সহসম্পাদক নেছার আহমেদ, মনছুর এম ওয়াই চৌধুরী, মো. জাহাঙ্গীর আলম, পার্থ সারথী ঘোষ ও সৈয়দ এসরারুল হক সোপেন।
কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত (গঠনতন্ত্রবলে), অধ্যাপক হান্নানা বেগম, অধ্যাপক ড. মো মোয়াজ্জেম হোসেন খান, অধ্যাপক ড. মো. জহিরুল ইসলাম সিকদার, অধ্যাপক শাহানারা বেগম, ড. নাজমুল ইসলাম, ড. শাহেদ আহমেদ, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাদেকুন্নবী চৌধুরী, অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, মো. মোজাম্মেল হক, অধ্যাপক ড. মো. মোরশেদ হোসেন, অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান খান ও খোরশেদুল আলম কাদেরী।
মন্তব্য করুন
ক্রমেই ঊর্ধ্বমূখী স্বর্ণের বাজার। দেশের বাজারে টানা পঞ্চমবার বাড়লো স্বর্ণের দাম। ফলে নতুন দাম নির্ধারণ হয়েছে। গত কিছু দিন ধরে বেশ কয়েকবার দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ঘন ঘন দাম পরিবর্তনে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে দ্বিধাদ্বন্দ্ব।
শনিবার (১৮ মে) সবশেষ ভালো মানের স্বর্ণের প্রতি ভরিতে বেড়েছে এক হাজার ১৭৮ টাকা। ফলে দেশের বাজারে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের বিক্রি হবে এক লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকায়। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বর্ণের দাম বাড়ার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। আর আজ রোববার থেকে সারা দেশে স্বর্ণের নতুন দাম কার্যকর হবে।
ব্যবসায়ীরা জানান, স্বর্ণের দামের এই হুটহাট পরিবর্তনে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে তাদেরও। তারা বলছেন, স্বর্ণের এই হুটহাট দাম পরিবর্তনে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রায়ই কথাকাটাকাটি হচ্ছে। কারণ তারা দেখে আসছেন এক দাম, কিন্তু বাজারে এসে দেখছেন আরেক দাম।
তবে বাজুস বলছে, বিশ্ববাজারে ঘণ্টায় ঘণ্টায় স্বর্ণের দাম ওঠানামা করায় দেশের বাজারে ২৪ ঘণ্টার কম সময়ে বা ২-১ দিনের ব্যবধানে দাম সমন্বয় করা হচ্ছে।
বাজুস বলছে, বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে অস্থিরতা বিরাজ করছে। ঘণ্টায় ঘণ্টায় দাম ওঠানামা করছে। এজন্য ২৪ ঘণ্টার কম সময় বা ২-১ দিনের ব্যবধানে সমন্বয় করা হচ্ছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিশ্ববাজারে দ্রুত ওঠানামা করছে স্বর্ণের দাম। মূলত ফেডারেল রিজার্ভের সুদহার ও ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার প্রভাবে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম ওঠানামা করছে। তাই দেশের বাজারেও দাম সমন্বয় করতে বাধ্য হচ্ছে বাজুস।
বাজুসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি (পিওর গোল্ড) স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। সে কারণে স্বর্ণের দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাজুস।
২২ ক্যারেটের মূল্য যখন ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা, তখন নতুন মূল্য অনুযায়ী ২১ ক্যারেটের স্বর্ণের ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৮২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৯৬ হাজার ৯১৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ১০০ টাকা। ২১ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ৬ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি এক হাজার ৭১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
কিন্তু সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনা ৮০ হাজার ১৩২ টাকা করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ২৮৩ টাকা।
মন্তব্য করুন
ক্রমেই ঊর্ধ্বমূখী স্বর্ণের বাজার। দেশের বাজারে টানা পঞ্চমবার বাড়লো স্বর্ণের দাম। ফলে নতুন দাম নির্ধারণ হয়েছে। গত কিছু দিন ধরে বেশ কয়েকবার দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ঘন ঘন দাম পরিবর্তনে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে দ্বিধাদ্বন্দ্ব। শনিবার (১৮ মে) সবশেষ ভালো মানের স্বর্ণের প্রতি ভরিতে বেড়েছে এক হাজার ১৭৮ টাকা। ফলে দেশের বাজারে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের বিক্রি হবে এক লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকায়। বাংলাদেশ জুয়েলার্স